সাম্প্রতিককালে এক পীরজাদার বিয়েতে সংবাদে বলা হয়, কুমিল্লার মুরাদনগরের সোনাকান্দা দারুল হুদার গদিনসীন পীর মাহমুদুর রহমানের বিয়ে উপলক্ষে করা হয়েছে রাজকীয় সব আয়োজন। বরের মামা জানান, এ বিয়েতে ৫টি হেলিকপ্টার, বরযাত্রীর সঙ্গে শতাধিক প্রাইভেটকার, মাইক্রো ও বাসের বহর থাকবে। আমন্ত্রিত অতিথিদের আমন্ত্রণ কার্ড সৌদি আবর থেকে আনা হয়েছে। প্রতি কার্ডে খরচ পড়েছে এক হাজার টাকা। কার্ডের অতিথি দাওয়াত দেয়া হয়েছে ২০ হাজারেরও উপরে। সমকাল সূত্রে জানা যায়, বিয়ের খরচ কোটি টাকারও অনেক উপরে। উল্লেখ্য, ইলমে তাছাউফ হাছিল করা তথা সুন্নত অনুযায়ী আমল করা এটা শিক্ষা দেয়াই পীর ছাহেবদের কাজ। এর উল্টো পীর ছাহেব নামধারীদের কাজ। কারণ বিয়ের সুন্নতী মহরানা হলো মহরে ফাতেমী। যার পরিমাণ একশ’ সোয়া একত্রিশ তোলা রূপার দাম। যার বাজার মূল্য প্রায় ৭১,৭৯৩.৭৫ পয়সা। অথচ এ বিয়েতে মহরানা দেয়া হয় ১০০ ভরি স্বর্ণ ও ১০ লাখ টাকা। অর্থাৎ এখানেও সুন্নতের খেলাফ। এদিকে প্রচার করা হয়েছে বৌভাত অনুষ্ঠান। অথচ এটাও বিদাতী কথা। সুন্নত হলো ওয়ালিয়ামা। মূলকথা হলো, যিনি প্রতি ক্ষেত্রে সুন্নাতের খিলাফ আমল করেন তিনি মুরীদের কি শিক্ষা দিবেন। অতঃপর কথা হলো যিনি বিয়ের কার্ড প্রতি খরচ করেন হাজার টাকা তিনি যাকাত দেন কত? তার বিয়েতে কোটি টাকা খরচ হলে যাকাতে কত ব্যয় হয়। প্রসঙ্গত: উল্লেখ্য, বাংলাদেশে অনেক পীর ছাহেব আছেন যারা বছর বছর তাদের মাদ্রাসার জন্য সাহায্য তুলে বেড়ান। অথচ তারা যে পরিমাণ সম্পদশালী তাতে তাদের যাকাতেই ঐ মাদ্রাসা চলে যাওয়ার কথা। ফুরফুরার নামধারী, বাপ-দাদার নাম ফেরীকারী কিন্তু তাদের আদর্শচ্যুত ও বিকৃত ব্যক্তিত্ব আনসার ছাহেবকে গত আড়াই দশক আগে শোনা গেছে যে, তিনি চল্লিশ কোটি টাকার মালিক। অথচ আগে থেকে তিনি সাহায্যের আবেদন জানিয়ে যাচ্ছেন। কথা হলো, সে আমল থেকে আজ পর্যন্ত তার বিশাল অর্থ-সম্পদের যাকাত গেলো কোথায়? উল্লেখ্য, নির্ভরযোগ্য সূত্রে প্রকাশ, তিনি সৌদি ওহাবী লবিং থেকে প্রচুর টাকার পরিবর্তে ফুরফুরা পরিবারের লোক হওয়া সত্ত্বেও ফুরফুরার ঐতিহ্য বিরোধী তৎপরতায় লিপ্ত হয়েছেন। এদিকে বিয়ের জন্য কার্ড ছাপানোও আরেক বিদ্য়াত। আর সে বিদ্য়াতী কাজ তথা কার্ড ছাপানো হয় যখন সৌদি আরব থেকে এবং তাতে ব্যয় হয় হাজার টাকা। তাতে পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন, আনসার ছাহেবের উক্ত নাতিন জামাইও আনসার ছাহেবের সূত্র ধরেই সৌদি ওহাবী লবিং-এর সাথে সম্পৃক্ত হয়েছেন। অদূর ভবিষ্যতে তার এবং তার শ্বশুরের কাছ থেকেও আনসার আলীর ওহাবী বচন শোনা যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা। উল্লেখ্য, ওহাবীদের ফাদার হচ্ছে ইহুদীরা। ইহুদীদের প্রোটকলের ফাঁকে পড়েছিলো আনসার আলী। আর বর্তমানে তার প্যারালাইসিস্ অবস্থা তথা আশু পরলোকগমনের অবস্থা আঁচ করেই ওহাবীরা এখন নতুন মিত্র খুঁজে নিয়েছে।
-মুহম্মদ তারিফুর রহমান, ঢাকা।
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৩২