রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাক্বীক্বী নায়িব ও ওয়ারিছ। তাঁর বিরোধিতাকারীরা মুনাফিক, কাফির ও শয়তানের অনুসারী- ৬

সংখ্যা: ১২৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

(ধারাবাহিক)

ইবলিসের অনুসারী, দাজ্জালের চেলা উক্ত উলামায়ে ‘ছূ’র দল রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর বিরোধিতা করতে গিয়ে লক্বব মুবারক ব্যবহারের বিরোধিতা করে বলে থাকে, ‘এত লক্বব আল্লাহ্ পাক-এর হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং অতীতের কোন আউলিয়া-ই কিরাম ও ইমাম মুজতাহিদগণও ব্যবহার করেননি।” (নাউযূবিল্লাহ)
প্রথমত: আল্লাহ্ পাক-এর হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর শানে এরূপ মিথ্যা কথা যে কত বড় পর্যায়ের কুফরী তা বলার অপেক্ষাই রাখেনা।
ফার্সী কবি আল্লামা শায়খ সা’দী রহমাতুল্লাহি আলাইহি গুলিস্তা কিতাব এর মধ্যে বর্ণনা করেন,
উদূ লেখা ঢুকবে……………………………………………….
অর্থঃ- “যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষ কথা না বলে ততক্ষণে তার দোষ গুণ প্রকাশ পায় না।”
কাজেই যার অন্তরে গালীয, নাপাকী বা কুফরী রয়েছে তার দ্বারাই আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর শানে এরূপ ডাহা মিথ্যা কথা বলা স্বাভাবিক।
সুতরাং আল্লাহ পাক-এর হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যা করেছেন সেটাকে যদি কেউ ‘করেননি’ ইত্যাদি বলে তাহলে সে আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উপর মিথ্যারোপ করলো।
অথচ হাদীছ শরীফে আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন,

من كذب على متعمدا فليتبوأ مقده من النار.

অর্থঃ- “যে ব্যক্তি আমার নামে মিথ্যা কথা বলে সে যেন দুনিয়ায় থাকতেই তার স্থান জাহান্নামে নির্ধারণ করে নেয়।”
কাজেই যে ব্যক্তি বলবে যে, আল্লাহ্ পাক-এর হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও এত লক্বব ব্যবহার করেননি, সে যেন তার স্থান জাহান্নামে নির্ধারণ করে নেয়।
কারণ আল্লাহ পাক-এর হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অসংখ্য লক্বব মুবারক ব্যবহার করেছেন। যার অধিকাংশই স্বয়ং আল্লাহ্ পাক কুরআন শরীফে ও অন্যান্য আসমানী কিতাবে বর্ণনা করেছেন। আর অগণিত লক্বব মুবারক স্বয়ং আল্লাহ্ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেই হাদীছ শরীফে বর্ণনা করেছেন। যার বিস্তারিত দলীলভিত্তিক আলোচনা মুহদিয়া জামিয়া শরীফ থেকে প্রকাশিত ‘কিতাবুল আলক্বাব’ প্রথম খন্ডে পেশ করা হয়েছে।
সূতরাং সুন্নতের অনুসরণে লক্বব ব্যবহার করাকে নাজায়িয বলা চরম পর্যায়ের বেয়াদবী, কুফরী ও চির জাহান্নামী হওয়ার কারণ।
মূলতঃ ইবলিসের অনুসারী, রাজারবাগ শরীফের বিরোধী উক্ত উলামায়ে ‘ছু’র দল, তাদের ধর্ম নিয়ে ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় দুনিয়াবী ফায়দা লুটার মোহে এখন পাগলা কুকরের মত হয়ে গেছে।
হযরত আল্লামা শায়খ সাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি ‘গুলিস্তা’-এর মধ্যে বর্ণনা করেন,

اذ يئش الانسانال طال لسانه كسنور مغلوب يصول على الكلب.

অর্থঃ- “মানুষ যখন নিরূপায় হয়ে যায় তখন তার জ্বিহবা বড় হয়ে যায়। যেমন নিরূপায় বিড়াল প্রাণের মায়া ত্যাগ করে কুকুরের উপর হামলা করে।”
সুতরাং ধর্মব্যবসায়ী ওহাবী, খারিজী, লা-মাযহাবী, বিদয়াতী তথা বাতিলপন্থীরা নিরূপায় হয়ে আবোল-তাবোল বলতে বলতে এখন সুন্নতের বিরুদ্ধে বলতে তথা আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিরুদ্ধে বলতে শুরু করেছে।
অথচ হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে,

لو تركتم سنة نبيكم لكفرتم او لضللتم.

অর্থঃ- “যদি তোমরা তোমাদের নবীর সুন্নতকে তরক (ইহানত বা অবজ্ঞা) করো তবে তোমরা কুফরী করলে বা গোমরাহ হলে।” সেজন্যই আক্বাঈদের কিতাবে এসেছে,

اهانة السنة كفر.

অর্থঃ- “সুন্নতকে ইহানত করা কুফরী।”
যেহেতু লক্বব স্বয়ং আল্লাহ্ পাক ব্যবহার করেছেন, আল্লাহ্ পাক-এর হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ব্যবহার করেছেন, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়াল আনহুমগণ ব্যবহার করেছেন, অতীতের সকল হক্কানী-রব্বানী আউলিয়ায়ে কিরাম ও ইমাম-মুজতাহিদগণ ব্যবহার করেছেন, সেহেতু রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলীও তাঁর নাম মুবারকের পূর্বে লক্বব মুবারক ব্যবহার করে থাকেন।
সুতরাং রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর বিরোধিতা করতে গিয়ে, লক্বব ব্যবহারকে নাজায়িয বলা, লক্ববের মনগড়া ও কুফরীমূলক ব্যাখ্যা প্রদান করা মূলতঃ সুন্নতের বিরোধিতা করারই শামীল। আর সুন্নতের বিরোধিতা করা স্পষ্টতই নাজায়িয, হারাম, কুফরী ও জাহান্নামী হওয়ার কারণ।
মূলতঃ পৃথীবীর ইতিহাসে এযাবত যত নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সাল্লাম, হক্কানী-রব্বানী আউলিয়ায়ে কিরাম ও ইমাম-মুজতাহিদগণ অতীত হয়েছেন তন্মধ্যে একজনও দেখানো যাবে না যে, যিনি লকব¡ মুবারক ব্যবহার করেননি। প্রত্যেকেই নিজের জীবদ্দশায় অসংখ্য লক্বব মুবারক ব্যবহার করেছেন।
জাহিল, ভণ্ড, প্রতারক ধর্মব্যবসায়ী যারা বলে যে, “আজ পর্যন্ত কেউ এত লক্বব ব্যবহার করেননি” তাদের এ জেহালতি মূলোৎপাটনের লক্ষ্যে শুধুমাত্র নিম্নোক্ত গুটি কয়েক কিতাবে কতিপয় সর্বজনমান্য আউলিয়ায়ে কিরাম বা ইমাম, মুজতাহিদগণের লক্বব মুবারকের সংখ্যা বর্ণনা করা হলো-
১। সমগ্র পৃথিবীর মানুষের কাছে উম্মতের মধ্যে ইল্মের দিক থেকে যিনি পিতৃতুল্য, যিনি সর্বপ্রকার মানুষকে সহজভাবে দ্বীনের উপরে চলার লক্ষ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হানাফী মাযহাব উপহার দিয়েছেন, যিনি দায়িমীভাবে আখিরী নবী, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মুবারক দীদারে মশগুল ছিলেন, ইমামুল আইম্মা, ইমামুল আ’যম, হযরত ইমাম আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাহি-এর ৪৮টি লক্বব মুবারক। (ইলাউস সুনান, তাহাবী শরীফ)
২। মালিকী মায্হাবের প্রতিষ্ঠাতা ও ইমাম, হযরত ইমাম মালিক রহ্মতুল্লাহি আলাইহি-এর ৪১টি লক্বব মুবারক। (আত্তারগীব ওয়াততারখীব-১৪, মুয়াত্তায়ে মালিক-৯, আওযাযুল মাসালিক-৪, মুক্বাদ্দামায়ে কিতাবুল হুজ্জাহ)
৩। শাফিয়ী মায্হাবের প্রতিষ্ঠাতা ও ইমাম, হযরত ইমাম শাফিয়ী রহ্মতুল্লাহি আলাইহি-এর ৩৭টি লক্বব মুবারক। (মা’রেফুস্ সুনান ওয়াল আছার, আহকামুল কুরআন লিশ্ শাফেয়ী রহ্মতুল্লাহি আলাইহি, আহ্কামুল কুরআন পৃষ্ঠা ১২)
৪। বুখারী শরীফের লিখক, হযরত ইমাম মুহম্মদ ইবনে ইসমাইল বুখারী রহ্মতুল্লাহি আলাইহি-এর ২৭টি লক্বব মুবারক। (বুখারী-১/৩, উমদাতুল ক্বারী-১/২, জাওয়াহেরুল বুখারী, বুখারী শরহে কেরমানী, তানযীমুল আশ্তাত, আশয়াতুল লুময়াত-১/৯, তারীখুল কাবীর)
৫। ক্বাদিরিয়া তরীক্বার প্রতিষ্ঠাতা ও ইমাম, হযরত বড় পীর আব্দুল ক্বাদির জ্বিলানী রহ্মতুল্লাহি আলাইহি-এর ৫১টি লক্বব মুবারক। (আশয়াতুল লুময়াত-১/১৭, ফায়সালায়ে হাফতে মাসায়েল, সাইয়্যিদুল আউলিয়া)
৬। চীশ্তীয়া তরীক্বার প্রতিষ্ঠাতা ও ইমাম, হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন চীশ্তী রহ্মতুল্লাহি আলাইহি-এর ৮২টি লক্বব মুবারক। (আনীসুল আরওয়াহ, দলীলুল আরিফীন)
৭। মুজাদ্দেদিয়া তরীক্বার প্রতিষ্ঠাতা ও ইমাম, হযরত শায়খ আহ্মদ ফারুক্বী সিরহিন্দী মুজাদ্দিদে আল্ফে ছানী রহ্মতুল্লাহি আলাইহি-এর ২৪টি লক্বব মুবারক। (সীরাতে মুজাদ্দিদে আল্ফে ছানী/মাকতুবাত শরীফ)
৮। হযরত ইমাম হাসান বসরী রহ্মতুল্লাহি আলাইহি-এর ২৪টি লক্বব মুবারক।(মুকাদ্দিমায়ে তাফসীরে হাসান বসরী)
৯। বায়হাক্বী শরীফের লিখক, হযরতুল আল্লামা ইমাম বায়হাক্বী রহ্মতুল্লাহি আলাইহি-এর ৪৫টি লক্বব মুবারক। (মুক্বাদ্দামা দালাইলুন্ নুবুওয়াহ্, আহকামুল কুরআন লিশ্ শাফিয়ী পৃষ্ঠা-২৪)
১০। তাফসীরে জালালাইন শরীফের লিখক, হযরতুল আল্লামা জালালুদ্দীন মহল্লী রহ্মতুল্লাহি আলাইহি-এর ২৪টি লক্বব মুবারক। (হাশিয়াতুল জুমাল আলাল জালালাইন-৩৫ পৃষ্ঠা, কামালাইন শরহে উর্দু জালালাইন ১ম জিঃ ৬ পৃষ্ঠা, আত তাফসীর ওয়াল মুফাসিসরুন ১ জিঃ)
১১। তাফসীরে ইবনে কাসীর-এর লিখক হযরতুল আল্লামা আবুল ফিদা ইসমাঈল ইবনে কাসীর রহ্মতুল্লাহি আলাইহি-এর ২৭টি লক্বব মুবারক। (জামেয়ুল মাছানীদ ওয়াস সুনান)
১২। মুসলমানদের মধ্যে সর্বাধিক কিতাব লিখকদের অন্যতম ও বিশ্ববিখ্যাত তাফসীরগ্রন্থ জালালাইন শরীফের লিখক, হযরতুল আল্লামা জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহ্মতুল্লাহি আলাইহি-এর ২২টি লক্বব মুবারক। (আদ্দুরুল মানসুর, আল ইতকান/৩) (চলবে)

-সাইয়্যিদ মুহম্মদ আখতারুজ্জামান, ঢাকা।

‘ইসলামের দৃষ্টিতে প্রাণীর ছবি তোলা, রাখা, আঁকা, দেখা হারাম’ মুজাদ্দিদে আ’যমের অনবদ্য তাজদীদ

ইমাম সম্মেলনে অর্ধনগ্ন খ্রীষ্টান মহিলা মেরীর পর এবার খোলামেলা হিন্দু মহিলা সুনিতা মুখার্জী তথাকথিত ইমামদের প্রতি নিস্প্রোয়জন ছিল প্রধানমন্ত্রীর নছীহত

ইতিহাসের নিরীখে, বর্তমান সংবিধান প্রণেতা গণপরিষদেরই কোন আইনী ভিত্তি বা বৈধতা ছিল না। গত ৫৪ বৎসর দেশবাসীকে যে অবৈধ সংবিধানের অধীনে বাধ্যগত করে রাখা হয়েছিলো এর প্রতিকার দিবে কে? ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দ্বীন ইসলামের প্রতিফলন ব্যাতীত কোন সংবিধানই বৈধ হতে পারে না কারণ দেশের মালিক ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান

প্রসঙ্গঃ ‘ইসলাম ও মুসলমানের স্বার্থ রক্ষায় প্রতিবাদ’ প্রতিবাদের ভাষা ও ধরণ; বৃহত্তর স্বার্থের জন্য ক্ষুদ্রতর স্বার্থ ত্যাগ এবং সহীহ সমঝ

তথাকথিত জাতীয় খতীবের নববর্ষ পালন জিহালতি আর গোমরাহীর চরম মিশ্রণ