রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাক্বীক্বী নায়িব ও ওয়ারিছ।  তাঁর বিরোধিতাকারীরা মুনাফিক, কাফির ও শয়তানের অনুসারী- ৩

সংখ্যা: ১২৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

 রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী সর্বোত্তম চরিত্র মুবারকের অধিকারী ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই তাঁর অসংখ্য কারামত প্রকাশিত হয়েছে। শিশু অবস্থা থেকেই তিনি আল্লাহ পাক-এর ঘোষিত ছাদিক্বীন হিসাবেই জমিনে তাশরীফ এনেছেন। মূলতঃ শরীয়তের একটি উসূল হলো-

النبى نبيا ولو كان صبيا الولى وليا ولو كان صبيا.

অর্থঃ- “যিনি নবী তিনি শিশু অবস্থায়ও নবী, যিনি ওলীআল্লাহ তিনি শিশু অবস্থা থেকেই ওলীআল্লাহ। ইমামুল আইম্মা, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আল্লাহ পাক-এর লক্ষ্যস্থল রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলীও ওলীয়ে মাদারজাদ হিসাবেই জমিনে তাশরীফ এনেছেন। শিশু অবস্থা থেকেই অসংখ্য আউলিয়া-ই-কিরামগণের সাথে তাঁর রূহানী তায়াল্লুক বা সাক্ষাৎ হতো। একদা আফযালুল আউলিয়া, ক্বাইয়্যূমে আউয়াল, ইমামুল আইম্মা, হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর সাথে রূহানীভাবে বিশেষ সাক্ষাতে জিজ্ঞাসা করেন, আপনি কি মুজাদ্দিদ হবেন? ওলীয়ে মাদারজাদ রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বিনয়ের সাথে জবাব দেন, আমার ইলম্-কালাম কিছুই নেই আমি কি করে মুজাদ্দিদ হব। তখন আফযালুল আউলিয়, ক্বাইয়্যুমে আউয়াল, হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, “আপনাকে সমস্ত কিছুই দান করা হবে আল্লাহ পাক-এর তরফ থেকে।” অতঃপর বাইয়াত হওয়া ফরয আদায়ের লক্ষ্যে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে তৎকালীন ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার মুফাস্সিরে কুরআন, তাজুল মুফাস্সিরীন, রঈসুল মুহাদ্দিছীন কুতুবুল আলম, মুফতিউল আ’যম হযরতুল আল্লামা আবূ খায়ের মুহম্মদ ওয়াযীহুল্লাহ নানুপুরী (যাত্রাবাড়ীর হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা) রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর নিকট বাইয়াত হন। মাত্র প্রায় দেড় বছরে তিনি চার তরীক্বায় পূর্ণতাপ্রাপ্ত হয়ে স্বীয় মুর্শিদ ক্বিবলার চুড়ান্ত সন্তুষ্টি হাছিল করে খিলাফত লাভ করেন। এরপরেও তিনি দীর্ঘদিন পীর ছাহেব ক্বিবলার দরবার শরীফে যাতায়াত করেন। এমনকি ফেরেশ্তা ছুরতের অনেক ভক্তবৃন্দ নিয়েও তিনি তথায় যাতায়াত করেন।  ব্যক্তিগত যোগ্যতা, আল্লাহ পাক প্রদত্ত চুড়ান্ত পর্যায়ের আদব-কায়দা, খাছ ইল্মে লাদুন্নী, রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সুন্নতের হুবহু অনুসরণ ও দায়েমী তায়াল্লুক তথা অতুলনীয় ইল্ম, আমল ও ইখলাছে সন্তুষ্ট হয়ে স্বীয় মুর্শিদ ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর সম্মানে তাঁকে নামধরে না ডেকে ‘শাহ ছাহেব’ বলে সম্বোধন করতেন।  এমনকি কুতুবুল আলম যাত্রাবাড়ীর হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি সন্তুষ্ট হয়ে একথাও বলেছিলেন যে, আল্লাহ পাক যদি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, আপনি আমার জন্য উল্লেখযোগ্য কি করেছেন? আমি বলবো, হে আল্লাহ পাক! যামানার মুজাদ্দিদ ও লক্ষ্যস্থল আপনার খাছ ওলী রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলাকে যমিনে রেখে এসেছি। জীবনের শেষ দিকে তিনি প্রায়ই রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর প্রশংসা করতেন। একদা তিনি প্রশংসা করতে গিয়ে বলেছেন, আমার শাহ ছাহেব হচ্ছেন রসূলে নোমা, তিনি যে কোন সময় যে কোন লোককে আল্লাহ পাক-এর রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর দীদার ঘটিয়ে দিতে পারেন। (সুবহানাল্লাহ) তিনি প্রায়শঃই স্বীয় মুরীদ-মু’তাকিদদের লক্ষ্য করে বলতেন, “সাবধান! তোমরা কেউ কখনো আমার শাহ ছাহেব-এর সাথে বেয়াদবী করবেনা। যে ব্যক্তি তাঁর সাথে বেয়াদবী করবে সে অবশ্যই বেঈমান হয়ে মারা যাবে।” অনুরূপ অসংখ্য অগণিত প্রশংসা তিনি নিজ যবান মুবারকে করেছেন, যার অসংখ্য প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীও আজও বিদ্যমান রয়েছে। অনেক ছানা-ছিফত ও প্রশংসা করার কারণে যাত্রাবাড়ীর অনেক মুরীদ বর্তমানে রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর হাতে পূনরায় বাইয়াত গ্রহণ করেছেন ও করছেন। হাদীছে কুদসীতে আল্লাহ পাক বলেন,

 ان اوليائى تحت قبائى لايعرفهم غيرى الا اوليائى.

 অর্থঃ- “নিশ্চয়ই আমার ওলীগণ আমার কুদরতী জুব্বার নীচে অবস্থান করেন। তাঁদের হাক্বীক্বী ফযীলত আমি ও আমার খাছ ওলীগণ ব্যতীত কেউই উপলব্ধি করতে পারেনা।” (রাহাতুল মুহিব্বীন) সুতরাং যিনি যামানার মুজাদ্দিদ, আল্লাহ পাক-এর লক্ষ্যস্থল তথা সমসাময়িক সকল ওলীআল্লাহগণের মধ্যে যিনি সর্বাধিক মর্যাদা-মর্তবা ও উচ্চ মাক্বামের অধিকারী। তাঁর হাক্বীক্বী মর্যাদা কেবলমাত্র আল্লাহ পাক ও আল্লাহ পাক যাঁদেরকে বুঝার বা উপলব্ধি করার তাওফিক দেন তাঁরাই বুঝতে বা উপলব্ধি করতে পারেন। (চলবে) -সাইয়্যিদ মুহম্মদ আখতারুজ্জামান, ঢাকা।

 শুধু আজকের প্রেক্ষাপটে নয়, অতীত ইতিহাস হতেই ইহুদী-খ্রীষ্টানরা মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু মুসলিম সন্ত্রাসবাদ নয়, মার্কিন হামলার পিছনে কি ইহুদী-খ্রীষ্টানরাই দায়ী নয়? -২২  

ইরাকের মীরজাফর সাদ্দাম  রাশিয়ার বেলারুশ যেতে চায় কেন?    

চট্টলার বহুল প্রচলিত দৈনিক পত্রিকার মাধ্যমে প্রকাশ্যে আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাতের কাছে ক্ষমা চেয়ে তারা রক্ষা পেলো ॥

প্রসঙ্গঃ ছবি, অশ্লীল ছবি ইনকিলাব ও হাটহাজারীর আহমক শাফী উপাখ্যান

শুধু আজকের প্রেক্ষাপটে নয়, অতীত ইতিহাস হতেই ইহুদী-খ্রীষ্টানরা মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু মুসলিম সন্ত্রাসবাদ নয়, মার্কিন হামলার পিছনে কি ইহুদী-খ্রীষ্টানরাই দায়ী নয়? -২৩