ছাহিবুর রিদ্বওয়ান, আয়ায্যু উম্মাতিন নাবিয়্যি, আ’দালু উম্মাতিন নাবিয়্যি, ছাহিবুত্ তাক্বওয়া, মাহবুবুল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা, ইমাম-
-হযরত মাওলানা মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুল হালীম
খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ্ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর জিন্দাকৃত বা পুনঃপ্রচলন করা কতিপয় সুন্নতের বিবরণ।
টুপিঃ
টুপি পরা দায়িমী সুন্নত। আল্লাহ পাক-এর হাবীব, আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সব সময় টুপি মুবারক পরিধান করেছিলেন। পাগড়ীর নিচে এবং পাগড়ী ছাড়া শুধু টুপি মুবারকও পরেছেন। ইহা ইসলাম ও মুসলমানগণের শে’য়ার বা জাতীয় বৈশিষ্ট্য। টুপি না থাকলে টুপি ছাড়াও নামায শুদ্ধ হবে। কিন্তু টুপি থাকা সত্ত্বেও অলসতা বশতঃ না পরলে নামায মাকরূহ তাহরীমী হবে।
আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোন ধরনের টুপি পরিধান করেছেন তা নামধারী মুসলমানগণ ভুলে গিয়েছিল। তার কারণ, টুপি পরিধানে দুনিয়াবী তথা শারীরিক অনেক ফায়দা রয়েছে। এই দুনিয়াবী ফায়দা হাছিল এবং আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর টুপি মুবারকের ধরন পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে ইহুদী-নাছারা এবং মুশরিকরাও বিভিন্ন প্রকার টুপি পরিধান শুরু করে। ইহুদী-নাছারা এবং মুশরিকরা মুসলমানগণের বন্ধু নয়। বরং শত্রু। পাশাপাশি এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী দল তাদের ব্যবসায় লাভবান হওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের টুপি বাজারজাত করতে থাকে। আর কতিপয় নামধারী মুসলমান অজ্ঞতাবশতঃ তাদের নফসের অনুকূল সেই টুপি পরিধান করে এবং তার প্রচার-প্রসারে সদা তৎপর হয়। উলামায়ে ‘ছূ’রাও তাদের অজ্ঞতার কারণে সেই মনগড়া টুপি পরিধান করে এবং সে সম্পর্কে মিথ্যা ফতওয়া প্রদান করে যে, “সব ধরনের টুপি পরিধান করা জায়িয। আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সব ধরনের টুপি পরিধান করেছেন।” (নাঊযুবিল্লাহ)
তারা এটাও বলে যে, “শরীয়তে টুপির সুনির্দিষ্ট কোন বর্ণনা নেই। যেকোন ধরনের টুপি পরলেই সুন্নত আদায় হবে।” (নাঊযুবিল্লাহ)
অথচ তাদের এ বক্তব্য কাট্টা কুফরী। কারণ, এ বক্তব্য দ্বারা যেমন একদিকে আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নাম মুবারকে মিথ্যারোপ করা হয়। তেমনি অপরদিকে ইসলামকে নাকিছ বা অপূর্ণ সাবিত (প্রমাণ) করা হয়। যা ই’তিকাদী (বিশ্বাস্য বিষয়) এবং আ’মালী (আমলগত) উভয় দিক দিয়ে মারাত্মক হুমকি স্বরূপ। আল্লাহ পাক-এর হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সব ধরনের টুপি পরিধান করেননি। হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে,
عن عبد الله بن عمرو رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من كذب على متعمدا فليتبوا مقعده من النار.
অর্থঃ “যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় আমার নামে মিথ্যা বললো, সে তার স্থান জাহান্নামে নির্ধারণ করলো।” অর্থাৎ সে জাহান্নামী। (বুখারী শরীফ, মিশকাত শরীফ, উমদাতুল ক্বারী, ফতহুল বারী, ইরশাদুস্ সারী, তাইসীরুল ক্বারী, মিরকাত, লুময়াত, আশয়াতুল লুময়াত, শরহুত তীবী)
উলামায়ে “ছূ”দের এই মনগড়া ফতওয়ার কারণে মুসলিম উম্মাহ ফিৎনায় পড়ে যায়। তারা আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ইতায়াত (অনুসরণ-অনুকরণ) ছেড়ে দিয়ে মনগড়া আমল এবং সেই কুফরীমূলক ফতওয়ার অনুরসরণ করতে থাকে। ফলে মুসলমানগণ টুপির ধরন ভুলে যায়। সাথে সাথে সেই সুন্নতেরও বিলুপ্তি ঘটে।
খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আযম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী সেই বিলুপ্ত সুন্নতকে জিন্দা বা পুনঃপ্রচলন করতঃ ঈমান ও আমল হিফাজতের পথ প্রদর্শন করেন। (অসমাপ্ত)