রাজারবাগ শরীফ বিরোধী,বাতিলরাই নিজেদের তৌহিদী জনতা দাবী করে ॥ রিসালত বাদ দিয়ে তৌহিদী জনতা দাবীদাররা মুসলমান নয়- ১ 

সংখ্যা: ১৩৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

জাহান্নামে সবচেয়ে কম শাস্তি হবে আবু তালিবের। এক আল্লাহকে তিনি মানতেন। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিয়াল্লিশ বছর অবর্ণনীয় খিদমত করেছিলেন তিনি।  তার ব্যাপক প্রভাব, সরাসরি হস্তক্ষেপ ও সার্বিক সহযোগিতার কারণে সেই প্রারম্ভিক যুগেও দৌর্দ- প্রতাপশালী কাফির সর্দাররা বিরোধিতার ক্ষেত্রেও হিসেব করতো। স্বীয় ভাতিজা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মাঝে রিসালতের পূর্ণ বিকাশ তিনি ঠিকই অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। কিন্তু মৌখিক স্বীকৃতি জ্ঞাপন করতে তার ছিল এক ধরণের সামাজিক আড়ষ্টতা। যার কারণে আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি অনুক্ষণ স্নেহ সুলভ দৃষ্টি ও সার্বিক সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা থাকার প্রেক্ষিতে তিনি ইসলামের বিশেষ খাদিম হিসেবে মূল্যায়িত হলেও মুসলমান হিসেবে স্বীকৃতি পাননি।  তবে ইসলামের খিদমতে তার দৃষ্টান্তমূলক অবদান থাকায় পরকালে তার সবচেয়ে কম আযাব হওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।   তার বিপরীতে হযরত হামযা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বিরাট মর্যাদা হাছিল করেছেন। চাচা হওয়া সত্ত্বেও, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে রসূল হিসেবে মেনেছেন। অপরিসীম আনুগতা প্রকাশ করেছেন। এমনকি শেষ পর্যন্ত ইসলামের জন্য গৌরবময় শাহাদাত বরণ করেছেন। চাচা হওয়া সত্ত্বেও অনুপম, নম্রতা, বিনয়ের মিছদাক হয়েছেন হযরত আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। তাঁকে এক ব্যক্তি সাধারণভাবে প্রশ্ন করেছিলো, কে বড়? আল্লাহ পাক-এর রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বড়? না, আপনি বড়? জবাবে তিনি বলেছিলেন- দেখ, আল্লাহ পাক-এর রসূল, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার চেয়ে অনেক অনেক বড়। তবে হ্যাঁ, আমি দু’বছর আগে পৃথিবীতে এসেছি।’ (সুবহানাল্লাহ) চাচা হওয়া সত্ত্বেও তাঁরা এভাবেই রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে রসূল হিসেবে মূল্যায়ণ করেছেন। রসূল হিসেবে মেনেছেন। তাই তাঁরা এত মর্যাদা হাছিল করেছেন। কিন্তু আবু জাহিল, আবু লাহাবের ন্যায় একটি গোষ্ঠী তখনও ছিলো যারা আল্লাহ পাক-এর রসূল, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে রসূল হিসেবে মানতে চাইতো না। হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “একবার হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, যে এক আল্লাহ পাককে মানবে, মুহব্বত করবে সে জান্নাতে যাবে।’ তখন কিছু ইহুদী-নাছারা এসে বললো, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ, ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমরা তো এক আল্লাহকে মানি, মুহব্বত করি। তাহলে তো আমরাও জান্নাতে যাব।’ তখন আল্লাহ পাক আয়াত শরীফ নাযিল করলেন, ‘তোমরা যদি আল্লাহ পাক-এর মুহব্বত পেতে চায় তবে আমার হাবীব (হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনুসরণ করো। তবে আল্লাহ পাক তোমাদের মুহব্বত করবেন, ক্ষমা করবেন।’ ইহুদী-নাছারারা লা-জাওয়াব হলে গেলো। মূলতঃ শুধু আল্লাহ পাককে স্বীকার করলে হবে না। কারণ, আল্লাহ পাক নিজেই বলেছেন, “হে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনার যিকিরকে বুলন্দ করেছি। কতটুকু বুলুন্দ? একতুটু বুলন্দ যে, তা খোদ কলেমা শরীফের সাথে সংযুক্ত হয়ে গেছে। কোন লোক ক্বিয়ামত অবাধি যদি শুধু লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু পড়ে তবুও সে মুসলমান হবে না। যতক্ষণ সে মুহম্মাদুর রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম না পড়বে। এজন্য কলেমা শরীফের দু’টো অংশ বলা হয়। প্রথমাংশ তৌহিদ লা-ইলাহা ইল্লাল্লা। অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোন মা’বুদ নেই। আর দ্বিতীয়াংশ হলো, মুহম্মদুর রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। অর্থাৎ মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ পাক-এর রসূল। কলেমার এই অংশ হলো রিসালত। কাজেই দেখা যাচ্ছে, তৌহিদ এবং রিসালত এই দু’য়ের সমষ্টি হলো কলেমা শরীফ বা ঈমান।  অতএব, যে শুধু তৌহিদ স্বীকার করবে কিন্তু রিসালত স্বীকার করবেনা সে বা তারা ঈমানদার নয়। তারা আবু জাহিল বা আবু লাহাব গং-এর বংশবদ।  তাদের নেতারা মুফতী, মাওলানা, শাইখুল হাদীছ, মুফাস্সিরে কুরআন, পীর, খতীব হলেও, ইসলামের অনেক খিদমত করলেন তারা বড় জোর আবু তালেবের অনুসারী হতে পারে। ইসলামের ভাষায় তারা কখনও ঈমানদার হতে পারে না। তারা জান্নাতে যেতে পারবে না।  কাজেই আজকে যারা তৌহিদী জনতার নাম নিয়ে, ইমামে আ’যম, মুজাদ্দিদে আ’যম, ফারুকে আ’যম, হাবীবে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, মুহইস্ সুন্নাহ, আওলাদে রসূল, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর বিরুদ্ধে মিথ্যা লিফলেট ছড়ায় তাদের অনুধাবন করা উচিৎ এ বিরোধিতা তাদের কোথায় দাঁড় করায়।  তাদের উপলব্ধি করা উচিৎ যে, তারা তৌহিদী জনতার পরিচয়ে খোদ মুসলমান থেকেই বিচ্যুত হয়ে যাচ্ছে। কারণ যারা শুধু তৌহিদী জনতা দাবী করে তারা কখনই মুসলমান নয়। মুসলমান হতে হলে তৌহীদের সাথে রিসালতও স্বীকার করতে হবে। শুধু তৌহিদবাদীরা ইহুদী ও খ্রীষ্টান ইউনেটিরিয়ান বা ব্রাহ্ম একেশ্বরবাদীর মত। এমনকি হিন্দুরাও বলে থাকে যে, তারা এক ভগবানকে মানে।  কিন্তু আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে মানার ও স্বীকার করার ক্ষেত্রেই মুসলমান-অমুসলমান দু’ভাগ হয়ে গেছে।  কাজেই শুধু তৌহিদী জনতা যারা দাবী করবে, তারা অমুসলমানের কাতারেই পড়বে। (নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক) এ গ্রুপটি মুসলমানদের হিতাকাঙ্খী বা ইসলাম দরদী আদৌ নয়।

-মুহম্মদ ওয়ালীর্উ রহমান, ঢাকা।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব।  খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১১         

বৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বৃটিশ ভূমিকা-১১

 রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাক্বীক্বী নায়িব ও ওয়ারিছ। তাঁর বিরোধীতাকারীরা মুনাফিক, কাফির ও শয়তানের অনুসারী -১১     

 “হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে সিনেমা”  নিশ্চুপ উলামায়ে ‘ছূ’রা ॥ সর্বাঙ্গে দায়ী তারা 

অবশেষে তথাকথিত ইসলামী জামাতের আমীর নিজামী ও বায়তুল মোকাররামের তথাকথিত খতীব উবায়দুল হক, এরপর এবার মুফতে আমিনীও রাজারবাগ শরীফের তাজদীদ মানতে বাধ্য হলেন