লক্বব সম্পর্কে মুযাদ্দিদে আ’যমের সু-মহান তাজদীদ এবং ‘ক্বিতাবুল আলক্বাব’ ও কিছু কথা

সংখ্যা: ১২৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

মহান আল্লাহ্ পাক-এর অশেষ শোকরিয়া যে অবশেষে বহু প্রতীক্ষিত ‘ক্বিতাবুল আলক্বাব’ প্রকাশিত হয়েছে, প্রচারিত হয়েছে। মূলতঃ বর্তমান পনেরশ  হিজরী ’শতকের মুজাদ্দিদ; মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মা, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর বিরোধিতায় বিরোধী মহল প্রধান যে সুযোগ নিয়ে থাকে তা ‘লক্বব’ নিয়ে।  এখানে একটা বিষয় খুব সূক্ষ্মভাবে উপলদ্ধির দাবী রাখে যে, মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা যদি লক্বব প্রকাশের দ্বারা দুনিয়াবী ফায়দা হাছিল করতে চাইতেন তাহলে তিনি লক্বব প্রকাশ করতেন না। কারণ আজকের বিরোধিরাও তাঁর ‘লক্বব’ প্রকাশের আগে বিরোধিতায় নামেনি। পাশাপাশি লক্ববসমূহের বিকৃত ব্যাখ্যা করে সাধারণ মানুষকে মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর বিরুদ্ধে বিভ্রান্ত করা, উত্তেজিত করা এবং সে উত্তেজিত মহলকে নিয়ে মাহফিলের বিরোধিতা করা বিরোধী মহলের জন্য এক বিশেষ সুযোগ বটে। সেক্ষেত্রে এ বিষয়টি অবশ্যই, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মা, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এরও খেয়ালে থাকা একান্তই স্বাভাবিক। কিন্তু তার পরেও তিনি শুধু লিল্লাহিয়তের কারণে লক্বব সম্পর্কে মানুষের ভ্রান্ত বিশ্বাস দূঢ় করে ছহীহ আক্বীদা প্রচার-প্রসারের লক্ষ্যে তথা একটি সুন্নত সম্পর্কে সম্যক ধারণা দেয়ার লক্ষ্যে লক্বব প্রকাশ করেছেন। মূলতঃ লক্বব সম্পর্কে বিরোধী মহলের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, লক্বব প্রকাশের কত জরুরত ছিল। অজ্ঞ মহল এ বিষয়ে কত অজ্ঞতার মাঝে ছিল।  নামধারী বড় বড় মুফতি, মাওলানা, শাইখুল হাদীছ, শাইখুত্ তাফসীর তারাও বলে বেড়াল যে- মহান আল্লাহ্ পাক, আল্লাহ্ পাক-এর রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বা অতীতের ইমাম মুজতাহিদ আউলিয়া-ই-ক্বিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ কেউই এত লক্বব ব্যবহার করেননি। কেউ কেউ বললেন, ‘কাইয়্যূমুয্ যামান’ লক্বব হলো আল্লাহ পাক, ‘হাবীবুল্লাহ’ লক্বব কেবল মাত্র হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর, ‘ইমামুছ্ ছিদ্দীক্বীন’ বলতে আফযালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া হযরত আবু বকর ছিদ্দীক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুরও ইমাম বোঝায় ইত্যাদি ইত্যাদি। এখন কথা হল যে, এসব বক্তব্য যদি সত্য না হয় তাহলে পরিণতিটা কি দাঁড়ায়? সেক্ষেত্রে কি উম্মাহকে অন্ধকার, অজ্ঞতা আর অসত্যে রাখাই ঠিক হবে? অথবা অজ্ঞতার প্রেক্ষিতে সত্য গ্রহণে অবুঝ শক্তির উন্মত্ততাকে ভয় করে চুপ থাকাই সমীচীন হবে? নাকি মানুষ বিকর্ষিত হবে, বিক্ষুদ্ধ হবে, ষড়যন্ত্রকারীরা, বিরোধিতাকারীরা মোক্ষম মওকা পাবে এসব গায়রুল্লাহ জনিত ফিকির না করে উম্মাহকে লক্বব সম্পর্কে সত্যিকার স্বচ্ছ ধারণা দিয়ে, একটি সুন্নত সম্পর্কে ছহীহ বুঝ দেয়াই হবে বেমেছাল ঈমানী কুয়ত ও তাজদীদের পরিচয়। মূলতঃ সে মহান তাজদীদই অপূর্ব রূহানী কুয়তের বদৌলতে করেছেন বর্তমান যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মা, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী। কিতাবুল আলক্বাব তাঁর যে সু-মহান তাজদীদকে উপলব্ধি করার জন্যই এক বিশেষ সহায়ক গ্রন্থ। গবেষণা কেন্দ্র মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ থেকে গত রমাদ্বান ১৪২৪ হিজরী; নভেম্বর ২০০৩ সালে কিতাবটি প্রকাশ পায়। এটি কিতাবের প্রথম প্রকাশই কেবল নয়, প্রথম খ-ও বটে। *মুজাদ্দিদে যামান এর সু-মহান তাজদীদ,* মুকাদ্দিমাতুল কিতাব, * ওলী আল্লাহ্গণের ফযীলত, * লক্বব এর সংজ্ঞা, * লক্বব ব্যবহার করা সুন্নত, * সুন্নত পালনের গুরুত্ব ও ফযীলত, *মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন-এর লক্বব মুবারক, * সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর লক্বব মুবারক এ আটটি বিষয়ে প্রথম খ-ে সারগর্ভ ও কালজয়ী আলোচনা করা হয়েছে। বলা চলে এ দ্বারা যেন মুসলমানগণ নতুনভাবে, আল্লাহ পাক ও আল্লাহ্ পাক-এর রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে তথা আউলিয়া-ই-কিরামগণকে চিনতে পারবেন, জানতে পারবেন। যেমন সাধারণভাবে মানুষ জেনে থাকে যে আল্লাহ্ পাক-এর ৯৯টি মুবারক নাম আছে। কিন্তু এ কিতাবে ইবনে কাছীরে বরাত দিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে যে আল্লাহ পাক-এর পাঁচ হাজার লক্বব মুবারক রয়েছে। আরো উল্লেখ করা হয়েছে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর এক হাজার বা তদুর্ধ্ব লক্বব মুবারক রয়েছে। মূলতঃ লক্বব সম্পর্কে কিতাবুল আলক্বাব এর এসব তথ্য অভিনব হলেও তার সবই দলীল ভিত্তিক। সঙ্গত করণেই তা অস্বীকারের জো নেই। তাই এ বইটি আল্লাহ পাক ও তার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ফযীলত ও মর্তবা অনুধাবনে আমাদের নতুন চোখ খুলে দিবে। বাংলা ভাষায় এ যাবত এ রকম তথ্যবহুল ও প্রজ্ঞা সম্পন্ন কিতাব বের হয়েছে তা বলা যায়না। পবিত্র কা’বা শরীফ ও রওজা শরীফ-এর সুদৃশ্য প্রচ্ছদ এবং শেষ কভারে তাজদীদী মুখপত্র মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর জলছাপে শোভনীয় লেমেনেটিং বাঁধাইয়ের কিতাবটির হাদিয়া রাখা হয়েছে মাত্র ১০০ টাকা। লক্বব সম্পর্কে সব ফেতনার অবসানে তথা সত্যিকার ইল্ম আহরণে ‘কিতাবুল আলক্বাব’ সত্যিই এক সু-মহান তাজদীদ, এক অনবদ্য নিয়ামত ও রহমত।

-মুহম্মদ মাহবুবুর রহমান, ঢাকা।

 শুধু আজকের প্রেক্ষাপটে নয়, অতীত ইতিহাস হতেই ইহুদী-খ্রীষ্টানরা মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু মুসলিম সন্ত্রাসবাদ নয়, মার্কিন হামলার পিছনে কি ইহুদী-খ্রীষ্টানরাই দায়ী নয়? -২২  

ইরাকের মীরজাফর সাদ্দাম  রাশিয়ার বেলারুশ যেতে চায় কেন?    

চট্টলার বহুল প্রচলিত দৈনিক পত্রিকার মাধ্যমে প্রকাশ্যে আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাতের কাছে ক্ষমা চেয়ে তারা রক্ষা পেলো ॥

প্রসঙ্গঃ ছবি, অশ্লীল ছবি ইনকিলাব ও হাটহাজারীর আহমক শাফী উপাখ্যান

শুধু আজকের প্রেক্ষাপটে নয়, অতীত ইতিহাস হতেই ইহুদী-খ্রীষ্টানরা মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু মুসলিম সন্ত্রাসবাদ নয়, মার্কিন হামলার পিছনে কি ইহুদী-খ্রীষ্টানরাই দায়ী নয়? -২৩