বিষয়টি নতুন না হলেও সহজ নয়। বরং ভীষণ স্পর্শকাতর। মহা জরুরী। এদেশীয় মুসলমানদের ঈমান-আমল, কৃষ্টি-সংস্কৃতি তথা মন-মানসিকতার জঘন্য, গভীর ও মহা কূট ষড়যন্ত্র। যেটা বলেছিলো লর্ড উইলিয়াম মেকলে, “আমরা এদেশ থেকে চলে যাব ঠিকই, কিন্তু আমরা এদেশে এমন একটি জনগোষ্ঠী রেখে যাব যারা রক্তে, বর্ণে, চেহারায় হবে এদেশীয় কিন্তু তাদের চিন্তা-চেতনায়, আচরণে, সংস্কৃতিতে তারা হবে ইংরেজ।” মেকলের কথায় শুধু একজন লর্ডের খেয়াল নয় বরং এর দ্বারা চিরন্তন মুসলমান বিদ্বেষী ইহুদী-খ্রীস্টানদের ইসলাম বিরোধী ষড়যন্ত্রমূলক মন-মানসিকতা ও নীল-নক্শার প্রতিফলন ঘটেছে। এক্ষেত্রে ওরা বিচ্ছিন্ন নয় এবং ওদের অপতৎপরতা সাময়িকও নয়। ইহুদীদের একশ’ বছরের কর্মসূচী প্রটোকল যা পরবর্তীতে উদঘাটিত ও প্রচারিত হয়, তা এ বিষয়ে একটি প্রামান্য দলীল বটে। দুঃখজনক হলেও সত্য, এ পরিকল্পনায় ইহুদী-খ্রীস্টানরা যতটা গুরুত্ব দিয়েছিলো, যতটা আঁট-সাট বেঁধে নেমেছিলো সে তুলনায় অনেক বেশী সহজে তারা ব্যাপক সফল হয়। মুসলমানদের এ সময়ের নিষ্ক্রিয়তা, অদূরদর্শীতা, গাফলতি, আদর্শহীনতা, বিলাসিতা, ইন্দ্রিয় সুখ প্রবণতা তথা বেশরা, বেহায়া মুখীতা ইহুদী-খ্রীস্টানদের সে মহা সুযোগ তৈরী করে দেয়। ইহুদী-খ্রীস্টানগং বরং এ ধারাবাহিকতায় মুসলমান নামধারী বড় বড় মুরতাদ, তথা খাছ এজেন্ট সহজেই পেয়ে যায়। কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার প্রবণতায় তারা খুবই দক্ষ এবং এটা তাদের ঐতিহাসিক প্রবৃত্তি বটে। কুড়োল লোহা হলেও সে কখনই গাছকে কাটতে পারতো না যদি না তার হাতলের মধ্যে ঐ গাছেরই জাত না থাকত। ঠিক তদ্রুপ ইহুদী-খ্রীস্টানরা কখনই মুসলমানদের আজকের ন্যায় ইহুদী-খ্রীস্টান ভক্ত তথা তাদের সংস্কৃতিতে মত্ত করতে পারত না যদিনা মুসলমানদের ভেতর থেকেই তাদের ভক্ত এজেন্ট তথা মুসলমান নামধারী মুনাফিক ও মুরতাদ তৈরী করতে না পারত। সামান্য ব্যক্তি স্বার্থের জন্য এরা দেশ, জাতির জন্য কিরূপ ভয়াবহ ক্ষতির কারণ হতে পারে, সামান্য ইংরেজানুকূল্যের বিনিময়ে মীর জাফরের ষড়যন্ত্রে এদেশীয় স্বাধীনতা বিক্রি এবং দুশ’ বছরের গোলামী ও চরম নিগ্রহ একটি জ্বলন্ত উদাহরণ। একুশ শতকের দ্বার প্রান্তে আজ ইসলাম ও মুসলমান বিদ্বেষীরা এখন আক্ষরিক অর্থে সাম্রাজ্যবাদী না হয়ে বরং সংস্কৃতির আগ্রাসনে অনেক বেশী সক্রিয়। এক্ষেত্রে তাদের মানসপুত্ররা তাদের জন্য অনেক বেশী সহায়ক। এ সময়ের পরিক্রমায় প্রেক্ষিত কারণে কথিত যায়যায়দিন পত্রিকার সম্পাদক শফিক রেহমানকে বলতে হয়, ইহুদী-খ্রীস্টানদের সামান্য খুদ কুড়া সংগ্রহের বিনিময়ে এদেশে মুসলিম মানসে উদ্বাহু পশ্চিমা সংস্কৃতির সয়লাবে স্বপ্নবিলাসী এক একনিষ্ঠ, নিবেদিত ও ধূর্ত খাছ এজেন্ট। তার বেনিফিসিয়ারী হওয়া তথা খুদ কুড়া সংগ্রহের খতিয়ান এখন আলোচনার অবকাশে পুরানো বিষয় যা ইতোমধ্যে সর্বজন বিদিত। কিন্তু তার কূট পরিকল্পনার ব্যাপকতা ও পশ্চিমা সংস্কৃতি বীজায়নের অপতৎপরতা সচেতন মহলকে রীতিমত আতঙ্কিত করে তুলেছে। শফিক রেহমান এক্ষেত্রে তুরস্কের কামালের মত ছক বিন্যস্ত করেছেন। একটি অসচেতন মুসলমান সমাজকে যেভাবে ইউরোপীয় প্যাটার্নে পরিবর্তিত করা হলো, তুরস্কের কামালের সে অপতৎপরতা আজো ধর্মপ্রাণ মুসলমানের অন্তরে অব্যক্ত মর্মপীড়া তৈরী করে। শফিক রেহমান সে কলঙ্কিত পথেরই এক কালো নায়ক সাজতে আগ্রহী। তিনি এক্ষেত্রে লক্ষ্যস্থল করেছেন তরুন সমাজকে। দৈনিক আমাদের সময়ে শফিক রেহমান তার দৈনিক যায়যায়দিন প্রসঙ্গে যা বলেন, “ছেলেমেয়েরা এখন প্রচুর টাকা খরচ করে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে। কিন্তু এদের শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবং আন্দোলন হচ্ছে। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ব্যবসা করছে। এখানে পড়তে মাসে হাজার হাজার টাকা লাগে। কিন্তু আমার কাগজ যদি কেউ কেনে তাহলে মাসে দু’শ বা আড়াইশ’ টাকার মধ্যেই তার পড়াশোনা শেষ হবে। আমি চাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েরা আমার কাগজ পড়ণ্ডক। বিশ্ববিদ্যালয়ে যে শিক্ষা দেয়া হচ্ছে আমার কাগজে তার থেকে অনেক ভাল শিক্ষা দিব। শফিক রেহমান বলেন, আমি অপ্রাপ্তবয়স্কদের গড়তে চাই। অর্থাৎ ৫ বছরের শিশু। তার জন্য কোনো দৈনিক নেই। আমার কাগজটা হবে তার জন্য। আমার কাগজটা হবে ৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের জন্য। যায়যায়দিনে বাচ্চাদের জন্য অনেক আয়োজন থাকবে। দাম এতোই কম থাকবে যে বাচ্চারা কিনতে পারবে। বিশেষ করে কোচিং বা প্রাইভেট পড়ার যে চার্জ সে তুলনায় এর দাম কিছুই না। বাচ্চারা এটা কিনতে তাদের বাবা মাকে বাধ্য করবে। ৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের মধ্যে যারা একেবারেই অক্ষরজ্ঞানহীন তারাও পত্রিকাটি হাতে নিলেও মজা পাবে।” (দৈনিক আমাদের সময়, ৬ জুন, ২০০৬ ঈসায়ী, পৃষ্ঠা নং ৭) প্রতিভাত হচ্ছে, ট্যাবলয়েড আকারে মার খাওয়া দৈনিক যায়যায়দিন এবারে নিছক সাংবাদিকতার দায়বদ্ধতা থেকেই প্রতিদিন ১৬ পৃষ্ঠার ব্রডশীট আর ৩২ পৃষ্ঠার ম্যাগাজিন নিয়ে বের হচ্ছে না। বরং ইহুদীদের একশ’ বছরের কার্যক্রমের নীল-নক্শা প্রটোকলের মতেই শফিক রেহমানের হাতে রয়েছে মহা স্পর্শকাতর ও সূক্ষ্ম কিন্তু গভীর ও ব্যাপক এক মিশন। এ মিশন এ প্রজন্মকে নিয়ে বোল-চালের ধূর্ততায় আর বিশ্বায়নের মন্ত্র-মুগ্ধতার মোহে ও প্রলুব্ধতার ফাঁদে ফেলে এ প্রজন্মকে তথাকথিত প্রাচ্য ও প্রতীচ্যের সম্মিলনে এক শংকর জাতি তৈরী করা, সহজাত ও অনিবার্য কারণেই যা হবে ইসলামী আদর্শহীন, মুসলিম মানসিকতা বিহীন, নামধারী, অথর্ব, পশ্চিমা, খ্রীস্টানদের একটা উপজাত মাত্র। যা কিনা ইহুদী-খ্রীস্টান ষড়যন্ত্রের মূলকথা। আর সেটা বাস্তবায়নের পথে অত্যন্ত ধূর্ততার সাথে চলে শফিক রেহমান হতে যাচ্ছেন আগামী ইতিহাসের এক কলঙ্কিত খলনায়ক। -মুহম্মদ মাহবুব উদ্দীন বদরী, ঢাকা।
গ্লোবাল ভিলেজ তথা বিশ্বায়নের বাতাবরণে বিশ্বকাপ জ্বরের প্রকোপে ম্লান হচ্ছে ইসলামী অনুভূতি ॥ নির্বিকার মুসলমান; বোধোদয় হবে কবে? (২) সমঝদাররা সহজেই বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। তারা একে মুজাদ্দিদে আ’যমের সাক্ষাত কারামত বলেই অনুধাবন করতে পেরেছেন। মু’জিযা বা কারামত সব সময়ই জাহির হয়না। তবে কোন কোন সময় তা প্রকাশও পায় বটে। তাতে আম জনতার জন্য চোখ খুলে যাওয়ার মত বিষয় ঘটে। বিশ্বকাপ নিয়ে যে অন্ধ উন্মাদনা মুসলিম বিশ্ব তথা এদেশকেও গ্রাস করেছিলো তার মাতামাতি থেকে উম্মাহকে ফিরিয়ে আনা অনেকটা অভাবনীয় এবং অচিন্তনীয় ব্যাপারই ছিলো। এদিকে ফুটবল প্রেমিকদের টপ ফেবারিট ছিলো ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনা। বলা চলে, এদু’টি দলের প্রতি প্রবল আকর্ষণের স্নায়ুচাপেই উন্মাদনার জোয়ারে উর্মি জেগেছিলো। কিন্তু কোয়াটার ফাইনালে দু’দলের পরাজয়েই সে জোয়ারে চরম ভাটা পড়ে যায়। অন্ধ উন্মাদনার আবেগের মোহ কাটে। বাস্তবতার একটা রেশ জাগে। “ইসলামের দৃষ্টিতে বিশ্বকাপ ফুটবল বা খেলাধুলার শরয়ী আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে” মুজাদ্দিদে আ’যমের ফতওয়ার উপলব্ধির মানসিক ভিত কুদরতীভাবে তৈরী হয়। পাশাপাশি আরো স্মর্তব্য যে, রোনালদো অথবা জিদানকে নিয়ে পেলে বা ম্যারাডোনার মত ক্রেজ তৈরী হতে পারত তাদের কর্মকাণ্ডে সে ধরনের ক্রেজ তৈরীর সুযোগও এবার মিইয়ে গেল। আবারো বলতে হয়, এসব কিছুই মুজাদ্দিদে আ’যমের অনবদ্য কারামতের বহি: প্রকাশ মাত্র। (খ) “মধ্যপ্রাচ্যের গাজা ভূখণ্ডে রক্ত-মৃত্যুর সঙ্গে ফিলিস্তিনীদের নিত্য বসবাস। জমির দখল ছাড়বে না ইসরাইল। তাই গাজা ঘিরে ইসরাইল সেনার অবরোধ, বিমান হানা চলতেই থাকে। পানি নেই, রান্নায় গ্যাস দুর্লভ। ইচ্ছা করলে বাড়ীর বাইরে পা রাখার উপায় নেই। চলছে সেনা টহল। বাঁচার প্রেরণা সেখানে বিশ্বকাপ ফুটবল! এক টুকরো চারকোণা সবাক, সচল পর্দায় দেখা বিশ্বজোড়া বলের লড়াই! ইব্রাহিম মুসা এমনই এক ফুটবল-পাগল। ৩২ বছর বয়সী এই ছুতার মিস্ত্রির জীবনে ৯ জুন থেকে ৯ জুলাই ফুটবল ছাড়া ছিলনা কোনও শব্দ যেন। কিন্তু বিশ্বকাপের জন্য অহরহ বিমান হানা তো আর বন্ধ হয়নি। তাই যখন-তখন ব্ল্যাক-আউট। ব্রাজিল-ঘানা প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল সে কারণে দেখতে পারেননি মুসা। হাজার সমস্যা নিয়ে ঘর করা মুসাও ওই মুহূর্তে নিতান্ত অসহায়। তার কথায়, “রোজই তো এমন আলো চলে যায়। অসুবিধাও হয়। কিন্তু খেলা দেখতে না পারায় মনে হচ্ছিল এত বড় শাস্তি আল্লাহ আগে দেননি। (নাউযুবিল্লাহ) তবুও মুসা নাছোড়বান্দা। তার মনে তখন একটা কথাই ঘুরপাক খাচ্ছে, “ব্রাজিল-ফ্রান্স ম্যাচটা কোনও ভাবে মিস করা যাবে না।” শেষ পর্যন্ত একটা জেনারেটর কিনে ঘরে ফিরলেন। জেনারেটরের কল্যাণে ইতালি আর ফ্রান্সের সেমিফাইনালে ওঠাটা তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করলেন মুসা। মুখে তখন তার বিজয়ীর হাসি। কিন্তু খেলা দেখতে তো যে কোনও ক্লাবে চলে যেতে পারতেন মুসা। সেখানে তো আর বিদ্যুতের সমস্যা নেই। মুসার নিজের গাড়িও আছে। অল্প হেসে মুসা বলেন, “খেলা দেখতে গিয়ে যদি বাকি তেলটুকু ফুরিয়ে যায়, তবে ইসরাইলী সেনারা এলে ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে যাব কী করে?” এই এক মাস ক্লাবগুলোতেও উপচে পড়েছে কিশোর-যুবকদের ভিড়। দু’একটা জায়গায় বড় স্ক্রিনে খেলা দেখানোর ব্যবস্থা হয়েছে। ব্রাজিল-ফ্রান্স ম্যাচের দিন সে এক দৃশ্য। কেউ গাছে চড়ে, কেউ ক্লাবের দেওয়ালে উঠে জিদান-রোনাল্ডোদের দেখতে মরিয়া। একটি ক্লাবের কর্তা ফরিদ খাতিব বললেন, “নিত্যকার যন্ত্রণা ভুলিয়ে দিয়েছে ফুটবল।” সত্যিই তাই। যে কোনও মুহূর্তে দরজায় কড়া নাড়তে পারে মৃত্যু। এ রকম পরিস্থিতিতে বিশ্বকাপ ফুটবল মুসাদের কাছে যেন ক্যানবন্দি অক্সিজেন। রোজনামচার বিভীষিকা থেকে বেরিয়ে একটু অন্য রকমভাবে বাঁচা। হোক না তা কয়েকটা রাতের জন্য।” -ইন্টারনেট ইন্টারনেট সূত্রে প্রাপ্ত উপরোক্ত সংবাদভাষ্যে যা এসেছে তাতেই মূলত: ফিলিস্তিনীদের পড়ে পড়ে মার খাওয়ার রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত লাঞ্ছিত হবেনা, পদদলিত হবেনা যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা কুরআন-সুন্নাহ্র উপর অটল থাকবে। আর যখন তা থেকে বিচ্যুত হবে তখনই লাঞ্ছিত ও পদদলিত হবে।” উল্লেখ্য, বিপদে ইবাদত-বন্দিগী করে আল্লাহ পাক-এর সাহায্য চাওয়া মুসলমানের তরীক্বা। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ জিহাদের আগে, মূলত: সবসময়ই আল্লাহ পাক-এর দরবারে রোনাজারিতে ব্যস্ত থাকতেন, সাহায্যের জন্য আবেদন-রোদন করতেন। ফরয-ওয়াজিব তো বটেই সুক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম সুন্নতের উপর দায়িম কায়িম থাকতেন। এক জিহাদে তাদের মেসওয়াকের দৃশ্য দূর থেকে দেখে কাফিররা ভাবলো, ‘সর্বনাশ! মুসলমানরা এত তীব্র শক্তিশালী যে, আস্ত গাছ শিকড়সহ তুলে তা দিয়ে দাঁত মাজে। তাদের এমন ভয়ঙ্কর শক্তির সাথে কখনও কারো পারা সম্ভব নয়।’ এটা ভেবে তারা পলায়ন করলো। মূলকথা, মেসওয়াকের মত একটা সুন্নতের আমল করায় আল্লাহ পাক এত বড় কামিয়াবী দিলেন। সেখানে সুন্নতের আমল তো নয়ই বরং ফরয-ওয়াজিব দ্বিধাহীনচিত্তে বাদ দিয়ে উল্টো বিধর্মীদের তালে উন্মাতাল হয়ে উঠছে ফিলিস্তীনসহ সব দেশের মুসলমান। অথচ বিধর্মীদের দ্বারাই তারা শোষিত, নির্যাতিত, লাঞ্ছিত ও পদদলিত হচ্ছে। আল্লাহ পাক তাই ইরশাদ ফরমান, “যমীনে যা কিছু বিপদ-আপদ সব কিছু মানুষের হাতের কামাই।” হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “যখন মুসলমানরা আল্লাহ পাক-এর কাছে কৃত ওয়াদা ভঙ্গ করবে অর্থাৎ বে-আমলদার হবে তখন আল্লাহ পাক তাদের উপর বিজাতীয় শত্রু চাপিয়ে দিবেন।” আর বাস্তবেও তা-ই হচ্ছে। কিন্তু তারপরেও নির্বিকার মুসলমান। –
-মুহম্মদ তারীফুর রহমান, ঢাকা।
বিৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বিৃটিশ ভূমিকা-১৫