স্যাটেলাইট প্রযুক্তির শীর্ষে আরোহণকারী আমেরিকা লাদেনকে হেনকাল পর্যন্ত খুঁজে পায়নি। আফগানিস্তানের শাসক বা নাগরিক না হওয়ার পরও আফগানিস্তান দখলের জন্য লাদেনকে ইস্যু করতে তাদের বাধ সাধেনি। হাতের মুঠোয় থাকার পরও লাদেনকে হত্যা না করার পিছনে যে আরো গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে এবং তা খোদ বাংলাদেশ পর্যন্ত পৌঁছতে পারে তা সচেতন করতে ‘জামানার তাজদীদী মুখপত্র ‘মাসিক আল বাইয়্যিনাত’ আদৌ গাফলতি করেনি। বাংলাদেশের গোয়েন্দারা সম্প্রতি এফ.বি.আই সূত্রে খবর পেয়েছেন যে, “ওসামা বিন লাদেনসহ তিন আল কায়েদা নেতা আসন্ন বিশ্ব ইজতেমায় টঙ্গীতে আসছেন”- এ বিষয়ে গত ২৩ ডিসেম্বর ‘দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকায় ‘লাদেনসহ ৩ আল কায়েদা নেতার সন্ধানে বাংলাদেশের গোয়েন্দারা’শীর্ষক লিড নিউজ হয়। অর্থাৎ এবার ধর্মব্যবসায়ী ও ধর্মান্ধরা ইহুদী-নাছারা তথা সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকার এদেশ দখলের ইচ্ছাকে ষোল কলায় পূর্ণ হতে দিতে চলছেন। লাদেন যে সি.আই.এ’র এজেন্ট এ মন্তব্য করায় আল বাইয়্যিনাত-এর বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছিলেন আজকের কওমী গং। কারণ, লাদেনের মদদে ততদিনে তাদের মাদ্রাসায় অর্থ ও অস্ত্র দু’টোরই যোগান হচ্ছিলো। শুধু কওমী মাদ্রাসা গংই নয় ইসলামের নামধারী জামাতের বহু অঙ্গ সংগঠনও এই প্রক্রিয়ায় সংযুক্ত হয়েছিলো। অর্থাৎ আজকের জঙ্গীবাদ, বোমাবাজির ক্ষেত্র ও ভিত তারা অনেক আগেই করেছিলো। তাদের সে নীল নকশার ছক ধরেই, হঠাৎ করে জঙ্গীবাদের উত্থান, দেশের ৬৩ জেলায় এক যোগে বোমা হামলা, বিচারকদের হত্যা ইত্যাদির দ্বারা এখন এর পিছনে যে লাদেনের হাত রয়েছে সে প্রচারণা এখন সহজেই হালে পানি পাবে। আর আসন্ন তাবলীগে লাদেন টঙ্গীতে আসছে এবং এরপর বাংলাদেশ থেকেই তার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালনা করবে প্রচলিত তাবলীগওয়ালাদের কারণে এ প্রচারণাও তখন পালে হাওয়া পাবে। কারণ প্রচলিত তাবলীগওয়ালাদের প্রজ্ঞাহীনতার কারণে, সর্বভুক মানসিকতাবাদী হয়ে দল বৃদ্ধির প্রবণতার কারণে তা খুনী, ডাকাত, জঙ্গীদের নিরাপদ চারণভূমি বলে ইতোমধ্যে যথেষ্ট কুখ্যাতি অর্জন করেছে। সুতরাং লাখো শহীদের বিনিময়ে অর্জিত এদেশের স্বাধীনতা যে সত্যিই সাম্রাজ্যবাদীদের হাতের থাবায় আটকে যাচ্ছে তা বলার সময়ও এখন পার হয়ে গেছে। সত্যিই কত অবুঝ অবলার এদেশ। ইসলামী আন্দোলনের নামে টাকা খেয়ে, জঙ্গীবাদের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে এরা যে ইসলাম তো পরের কথা খোদ দেশই বিক্রি করার ষড়যন্ত্রীতে পরণিত হচ্ছে সে হুশ-খেয়াল-বিবেক কিছুই এদের নেই। এদের অবস্থাটা হয়েছে যেন, কুরআন শরীফের ঐ আয়াত শরীফের মতো, “তাদের চোখে ধুলা পড়ে গেছে তাই তারা দেখেনা। তাদের কানে তালা লেগে গেছে তাই তারা শুনেনা। তাদের অন্তরে মহর পড়ে গেছে তাই তারা বুঝেনা।”
-মুহম্মদ আলম মৃধা, ঢাকা।
বিৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বিৃটিশ ভূমিকা-১৫