শিক্ষক অনশন, স্যালাইন ও গোমরাহ মাহিউদ্দীনের জিহালতি

সংখ্যা: ১৩১তম সংখ্যা | বিভাগ:

          চাকরি জাতীয়করণের এক দফা দাবীতে বাংলাদেশ বেসরকারী প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির আহ্বানে গত ৩০শে মে/২০০৪ রবিবার অনশন ধর্মঘট শুরু হয় এবং ২রা জুন/২০০৪ বুধবার ৩ টায় তাদের ৭২ ঘন্টার অনশন শেষ হয়। উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে সরকার প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক ঘোষণা করে। বর্তমানে সারাদেশে প্রায় ২৩ হাজার বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ১ লাখ শিক্ষক কর্মরত আছেন। যারা স্বল্প পারিশ্রমিকে ১ কোটি কোমলমতি শিশুদের শিক্ষাদানে রত আছেন।          এ সম্পর্কে পত্রিকায় রিপোর্ট হয়, “বাংলাদেশ বেসরকারী প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির আহ্বানে গত রোববার বিকেল ৩টা থেকে মুক্তাঙ্গনে ৭২ ঘন্টার লাগাতার অনশন শুরু করে গতকাল বিকেলে (বুধবার) ৩টা ৫ মিনিটে একই স্থানে শুরু হয় আমরণ অনশন। ….. গতকাল বিকেলে মুক্তাঙ্গনে গিয়ে দেখা যায়, টানানো সামিয়ানার ভিতর একটা নির্দিষ্ট অংশ আলাদা করে ২৬ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা আমরণ অনশন শুরু করেছেন। ……. এ শিক্ষকদের প্রায় সবারই হাতে ঝুলছে স্যালাইন। ‘অপসেনিন বাংলাদেশ’ সমর্থন হিসেবে বেরসরকারী শিক্ষকদের স্যালাইন সরবরাহ করে যাচ্ছে। …… (দৈনিক প্রথম আলো ৩/৬/২০০৪)    পাঠক! উপরের সংবাদের যা মূল উপজীব্য বিষয় তাহলো যে, অনশনরত শিক্ষকরা ৭২ ঘন্টা যাবত যথারীতি অনশন করেছেন এবং তারপরও আমরণ অনশনে কিছু সময় অতিবাহিত করেছেন আর সে সময়ে তাদের একমাত্র খাদ্য ছিল স্যালাইন। যার দ্বারা খুব সহজেই প্রতিভাত হচ্ছে যে, এই স্যালাইনই অনশনরত শিক্ষকদের শরীরে খাদ্যের সরবরাহ তথা জীবনী শক্তি সঞ্চার করেছে। অর্থাৎ স্যালাইন  এখানে স্পষ্টতঃ খাদ্যের বিকল্প হিসেবে প্রতীয়মান হচ্ছে।

প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য যে, রোযার মূল হুকুম হচ্ছে সুবহে সাদিক থেকে মাগরীবের ওয়াক্ত পর্যন্ত দেহকে ক্ষুধা, তৃষ্ণা, একান্তবাস ইত্যাদি কাজ থেকে বিরত  রাখা। সেক্ষেত্রে স্যালাইন নিলে যে ক্ষুধা থাকার শর্ত পূরণ হয়না বা দেহে খাদ্য শক্তির সঞ্চার হয় তা বর্ণিত ঘটনা সাপেক্ষে সাধারন পাঠকও আল্লাহ পাক-এর রহমতে এতক্ষণে বুঝেছেন।

কিন্তু আল্লাহ পাক-এর রহমত যার উপর থেকে উঠে গেছে, যার দিলে মহর পড়ে গেছে, যার চোখ অন্ধ হয়ে গেছে, কান বধির হয়েছে সে ব্যক্তি তথা তথাকথিত সম্পাদক গোমরাহ্ মাহিউদ্দীনকে সে কথা বার বার শুনানোর পরও সে আদৌ শুনেনি, দেখেনি, বুঝেনি, মানেনি। বরং গোমরাহীর উপর দৃঢ় থেকে সে বার বার বলেছে, “রোজা অবস্থায় ইনজেকশন স্যালাইন নিলে রোজা ভঙ্গ হয়না।”

বলাবাহুল্য, স্যালাইন নিয়ে শুধু এবারেই অনশন হয়নি বরং সব অনশনকারীরাই স্যালাইন নিয়েই বেঁচে থাকেন এবং ডাক্তারি মতে স্যালাইন দিয়ে ছয়মাসও রোগী বাঁচিয়ে রাখা যায়। কিন্তু তারপরেও গোমরাহ্ মাহিউদ্দীন তা মেনে নিতে অপ্রস্তুত। স্বাস্থ্য সম্পর্কিত এরূপ স্পষ্ট ও প্রকাশ্য জ্ঞানকে বার বার অস্বীকার করার পর তাকে নিরেট জাহিল ছাড়া আর কি বলার থাকে। আর এরূপ জাহিল ও গোমরাহ ব্যক্তি যখন ইসলামী পত্রিকার সম্পাদক সেজে বসে তখন তার মাসয়ালা কতটুকু শুদ্ধ হতে পারে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। এজন্য কুরআন শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “আল্লাহ পাক যাকে হিদায়েত দান করেন সে হিদায়েত পায়। কিন্তু যে গোমরাহীর উপর দৃঢ় থাকে তার কখনও হিদায়েত নছীব হয়না।”

পাশাপাশি এরূপ গোমরাহ ব্যক্তির পরিণতি সম্পর্কে ইরশাদ হয়েছে, “যে ছহীহ্ ইলম্ ব্যতীত কোন ফতওয়া দিবে, যতজন লোক তার উপর আমল করবে তাদের সমূদয় গুণাহ্ ভুল ফতওয়া  দানকারীর উপর পড়বে।”   সেক্ষেত্রে গোমরাহ ও জাহিল মাহিউদ্দীন দলীল-প্রমাণ ছাড়া ‘রোজা অবস্থায় ইনজেকশন ও স্যালাইন নিলে রোজা ভঙ্গ হয়না’ এ ভুল ফতওয়া দেয়ার কারণে যতজন রোজাদারের রোজা ও ঈমান নষ্ট হবে সমূদয় গুণাহ্ তার উপর বর্তাবে। (নাউযুবিল্লাহ)

-মুহম্মদ ওয়ালীউল্লাহ্, ঢাকা।

রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাক্বীক্বী নায়িব ও ওয়ারিছ। তাঁর বিরোধিতাকারীরা মুনাফিক, কাফির ও শয়তানের অনুসারী- ৬

‘ইসলামের দৃষ্টিতে প্রাণীর ছবি তোলা, রাখা, আঁকা, দেখা হারাম’ মুজাদ্দিদে আ’যমের অনবদ্য তাজদীদ

ইমাম সম্মেলনে অর্ধনগ্ন খ্রীষ্টান মহিলা মেরীর পর এবার খোলামেলা হিন্দু মহিলা সুনিতা মুখার্জী তথাকথিত ইমামদের প্রতি নিস্প্রোয়জন ছিল প্রধানমন্ত্রীর নছীহত

ইতিহাসের নিরীখে, বর্তমান সংবিধান প্রণেতা গণপরিষদেরই কোন আইনী ভিত্তি বা বৈধতা ছিল না। গত ৫৪ বৎসর দেশবাসীকে যে অবৈধ সংবিধানের অধীনে বাধ্যগত করে রাখা হয়েছিলো এর প্রতিকার দিবে কে? ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দ্বীন ইসলামের প্রতিফলন ব্যাতীত কোন সংবিধানই বৈধ হতে পারে না কারণ দেশের মালিক ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান

প্রসঙ্গঃ ‘ইসলাম ও মুসলমানের স্বার্থ রক্ষায় প্রতিবাদ’ প্রতিবাদের ভাষা ও ধরণ; বৃহত্তর স্বার্থের জন্য ক্ষুদ্রতর স্বার্থ ত্যাগ এবং সহীহ সমঝ