আমাদের দেশের অনেক সাধারণ মুসলমানই শিয়া আক্বীদার কুফরী ও খারাপ দিকগুলো সম্পর্কে ভালভাবে জানেন না। শিয়াদের অমুসলমান মানতেও অনেকের ঘোর আপত্তি। শিয়ারা কেন মুসলমান নয়- তা এ লেখার বিষয় নয়।
“হযরত জিব্রীল আলাইহিস্ সালাম ভুল করে হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর উপর ওহী নাযিল না করে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উপর ওহী নাযিল করেছিলো। বা হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ছাড়া বাকি তিন খলীফার চরিত্র ভাল ছিলনা।” (নাঊযুবিল্লাহ)
শুধু এসব কুফরী আক্বীদা ছাড়াও শিয়াদের যে আরো অনেক কুফরী আক্বীদা রয়েছে এবং সে কারণে তাদের মুসলমান বলা যায়না সে সম্পর্কে বোঝার জন্য আগ্রহী পাঠকদের মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর সংশ্লিষ্ট সংখ্যাগুলো পড়ে নেয়ার অনুরোধ থাকলো।
তবে শিয়ারা যে আসলেই ইসলামের বাইরে তা বোঝার জন্য তাদের দু’একটি কীর্তিকলাপই যথেষ্ট।
প্রথমতঃ তাদের মতবাদে “ছবি আঁকা হারাম কিন্তু ছবি তোলা জায়িয।”
বলাবাহুল্য, ছবি আঁকা একটা সীমাবদ্ধ ব্যাপার। কিন্তু ছবি তোলা ব্যাপক ও বিস্তর। কাজেই তাদের ফতওয়া যে স্ববিরোধী তা বলাই বাহুল্য। আর ছবি তোলা জায়িয করনের দ্বারাই টিভি, ভিসিআর, ভিসিডি, সিডি ইত্যাদির সংক্রমণ হয়েছে। যা মুসলিম মূল্যবোধ ও ইসলামী চেতনাকে ক্ষয়িষ্ণু থেকে ক্ষয়িষ্ণুতর করে ফেলছে।
হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “ঐ ঘরে রহমতের ফেরেশ্তা থাকে না, যে ঘরে ছবি ও কুকুর থাকে।” অর্থাৎ ছবি থাকলেই সেখানে লা’নত হয়। আর এ লা’নতকেই জায়িয করেছে শিয়া মাযহাব।
এদিকে ইন্টারনেট সূত্রে জানা যায়,
আফগানিস্তানে চুক্তি বিয়ের হিড়িক
আফগানিস্তানে এখন চুক্তি বিয়ের (কন্ট্রাক্ট ম্যারেজ বা মুতাহ বিবাহ) হিড়িক পড়েছে। চুক্তি বিয়ের বাজার এখন রমরমা। এ রকম একজন পাত্রের নাম পায়েন্দা মোহাম্মদ। ইন্টারনেট।
গত মাসে বিয়ে করেছেন পায়েন্দা মোহাম্মদ। এ নিয়ে কুড়িবার বিয়ে করলেন তিনি। কিন্তু বিয়ে চার ঘণ্টার বেশি স্থায়ী হয়নি। এ সময়ের বেশি বিয়ে টিকুক পায়েন্দা নিজেই তা চাননি। তাই বলে তার দৃষ্টিতে বিয়েটা অবৈধ নয়।
এর কারণ হিসেবে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ন্যাটো বাহিনী আফগানিস্তানে আক্রমণ করার পর প্রায় কুড়ি লাখ লোক ইরানে পালিয়ে যায়। ইরানে শিয়াদের মাঝে মুতা বিয়ে বা চুক্তি বিয়ের চল আগে থেকেই আছে। পায়েন্দার মতো যুবকরা ইরানে থাকার সময়েই এ রীতিতে একাধিক বিয়ে করেছেন। তালেবান বাহিনী পিছু হটার পর তারা দেশে ফেরত আসে। তারা মুতা বা চুক্তি বিয়ের রীতিটিও নিয়ে আসেন।
উল্লেখ্য, মুতা বিয়ে বা কন্ট্রাক্ট ম্যারেজ ইসলামী আদর্শের সাথে সম্পুর্ণ বিরোধপূর্ণ। তাহলে ব্যাভিচারের প্রতি ইসলামের শক্ত দৃষ্টিভঙ্গির কোন অর্থ থাকেনা। কারণ মুতা বিয়ের নামে যে কেউ যখনই ইচ্ছা তার নফসানিয়াত চরিতার্থ করতে পারে। তাহলে ইসলামী আদর্শ সংযমের কোন প্রয়োজন থাকেনা। আর হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে ‘যারা ফুলে ফুলে মধু খুঁজে বেড়ায় তারা বেহেস্তের ঘ্রানও পাবেনা।’
মূলতঃ ইরানে শিয়ারা যে সে পর্যায়েরই লোক তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
-মুহম্মদ মাহবুব বদরী, ঢাকা।
বিৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বিৃটিশ ভূমিকা-১৫