১০ই এপ্রিল রোববার ২০০৫, ঢাকা পুরানা পল্টনের গ্রান্ড আজাদ হোটেলে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তথাকথিত মুফতি ইজহার গং এই ঘোষণা দেন। মাত্র কয়েকদিন আগ পর্যন্ত যাকে গুরু বলেছেন, তথাকথিত ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মেনেছেন, আজ হালুয়া রুটির ভাগাভাগিতে হিসেব গরমিল হওয়ায় সেই মুফতে আমিনীর বিরুদ্ধে তারা এই সংবাদ সম্মেলন ডাকেন। সম্মেলনে খণ্ডিতাংশ ত্রয়ের একটি যা তার আয়ত্ত্বে রয়েছে তাকেই তথাকথিত ইসলামী ঐক্যজোটের মূলধারা বলে তিনি দাবী করেন। এবং প্রসঙ্গক্রমে নিজেকে দাবীকৃত শীর্ষস্থানীয় আলেমের প্রতিভূ হিসেবে ব্যক্ত করেন। এর সাথে তথাকথিত শাইখুল হাদীছ আজিজুল হক গং এবং হাটহাজারীর তথাকথিত গ্রান্ড মুফতি আহমেদুল হক্ব সহ পটিয়া হাটহাজারীর তথাকথিত সব আলিমকে শীর্ষস্থানীয় আলিম হিসেবে প্রচার করেন। পাশাপাশি শীর্ষস্থানীয় আলিম হিসেবে তাদের কৃতিত্বটুকুও তিনি তুলে ধরেন। ‘ইসলামী দল দাবী করেও নারী নেতৃত্বের আপনারা কেন জোটে ভিড়েছেন?’ সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তথাকথিত মুফতে ইজহার গং যা বলেন, “ফতোয়ার কথা বললে বলব, আমি গত ৩০ বছর ধরে ফতোয়া রচনা করে আসছি। জোট গঠনের সময় ইসলামী দলগুলোকে নারী নেতৃত্বে সংগ্রাম করার জন্য দেশের শীর্ষস্থানীয় উলামায়ে কিরামগণই সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন। চারদলীয় জোট গঠনের আগে নারী নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তখন শাইখুল হাদীছ (?) আজিজুল হকসহ হাটহাজারী গ্র্যান্ড মুফতি আহমেদুল হক্ব সহ পটিয়া হাটহাজারীর আলিমরা। এক হয়ে সিন্ধান্ত দিয়েছিলেন যে, জাতি ও ইসলামের স্বার্থে নারী নেতৃত্ব মেনে নিতে শরীয়তে কোন বাধা নেই (?)। জাতির প্রয়োজনে ও সময়ের দাবিতে নারী নেতৃত্ব মেনে নেয়া ইসলাম অনুমোদন দিয়েছে(?)। দেশের এহেন অবস্থায় নারী নেতৃত্বের প্রশ্ন না তুলে এক হওয়া উচিৎ (?)। যে ইসলামী দল এ ব্যাপারে বেশী কথা বলতে চায় জানা উচিৎ তাদের চেয়ে বড় আলিম ও বেশী লিখাপড়া জানা ব্যক্তিরাই নারী নেতৃত্বের পক্ষে(?)। (নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক) উপরের বক্তব্যের মূল কথা হল দেশ-জাতি তথা ইসলামের স্বার্থে সময়ের প্রেক্ষিতে তথাকথিত শীর্ষস্থানীয় আলিম ওলামারা নারী নেতৃত্ব জায়িয করেছেন। যদিও তারাই আবার খতমে নুবুওয়াতেরও আন্দোলন করছেন। খতমে নবুওয়তের অর্থ হচ্ছে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামই শেষ নবী। তার শরীয়তই পূর্ণ ও শেষ যা সূরা মায়েদার ৩নং আয়াত শরীফেই আছে। এছাড়া যে কোন বিষয়ে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কথাই যে শেষ কথা তা কুরআন শরীফের অনেক স্থানেই আছে। হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কথা অগ্রাহ্য করলে সে আর মুসলমান থাকে না। তখন সে নিজেই নবী দাবীর শামিল তথা কাদিয়ানীদের পর্যায়ভুক্ত হয় তাও স্পষ্টই বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত নারী নেতৃত্ব সম্পর্কে হাদীস শরীফে কি রয়েছে তা তথাকথিত শীর্ষস্থানীয় আলেমদের একজন তথাকথিত মাওলানা মহিউদ্দিন সাহেব তার মদীনা পত্রিকায় জানুয়ারী/১৯৮৯ এ বলেছেন। যা এখানে উল্লেখ করা গেলো। “মুহম্মদ আব্দুল আব্দুল হাই তাড়াইল বাজার, কিশোরগঞ্জ প্রশ্নঃ কোন মহিলাকে মুসলিম রাষ্ট্রের রাষ্ট্র প্রধান বানানো শরীয়ত সম্মত কিনা? জানালে কৃতজ্ঞ হব। উত্তরঃ কোন মুসলিম শাসনকর্তা যদি ইসলামী অনুশাসন অনুসরণ করতে যান তবে তার সর্বপ্রথম কর্তব্য দাড়ায় স্বীয় ইমামতিতে নামায প্রতিষ্ঠা করা ও জেহাদের নেতৃত্ব দেওয়া। এ দু’টি ক্ষেত্রেই কিন্তু নারী নেতৃত্ব চলে না। একজন মহিলা যত বড় বিদূষী ও পূণ্যবতীই হোন না কেন, তাঁর পক্ষে নামাযের ইমামতি করার প্রশ্ন আসে না। সে মতে কোন নারীর ইসলামী দেশের সর্বোচ্চ শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়া ইসলামী শরীয়ত সমর্থিত নয়। এক হাদীসে রয়েছে আল্লাহর রসূল (সাঃ) এরশাদ করেছেন, তোমাদের শাসকগণ যখন হবে কৃপণ আর শাসন ক্ষমতা গিয়ে পড়বে নারীদের হাতে তখন দুনিয়ার পৃষ্ঠদেশে অপেক্ষা অভ্যন্তরভাগই তেমাদের জন্য অধিক মঙ্গল জনক বলে বিবেচিত হবে।” হযরত রসূলে করীমের (সাঃ) সময়কালে পারস্য সম্রাট কিসরার এক কন্যাকে সিংহাসনে বসানো হয়েছিল। এ সংবাদ শুনে আল্লাহর রসূল (সাঃ) মন্তব্য করেছিলেন, “যে জাতি তাদের শাসনকর্তৃত্ব নারীদের হাতে তুলে দেয়, তাদের কখনও মঙ্গল হতে পারে না।” উপরোক্ত দু’টি হাদীছই সহীহ এবং হাদীসের প্রায় সব কয়টি বিখ্যাত কিতাবে রয়েছে।” জানুয়ারী/১৯৮৯ সালে মদীনা পত্রিকার প্রেক্ষিতে তাই বলতে হয় যে, আজকে তথাকথিত শীর্ষস্থানীয় আলেম দাবীদাররা সহীহ হাদীস শরীফকে অগ্রাহ্য করে নারী নেতৃত্ব জায়েয করেছেন। এতে কার্যত তারা নিজেদেরকে নবী দাবী করে নব্য কাদিয়ানীর অন্তর্ভূক্ত হয়েছেন। সত্যিকার অর্থে তাই কাদিয়ানীদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের অধিকার তাদের মোটেই নেই। তারা যা করছেন তা সর্বোত রূপেই মেকী ও অসার। এ ছাড়া নারী নেতৃত্ব জায়েয বলে তারা রাসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নামে মিথ্যারোপ করেছেন। হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে আমার নামে মিথ্যারোপ করে সে যেন দুনিয়ায় থাকতেই তার বাসস্থান জাহান্নামে নির্ধারণ করে নেয়। তথাকথিত শীর্ষস্থানীয় আলেমরা সময়ের দোহাই দিয়েছেন। অথচ সময়ের দোহাই দিলে ইসলামকে পূর্ণ মানা হয় না। ওহীর দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছে সে কথার প্রতিফলন হয় না। বরং সময়ের দোহাই দিয়ে হারামকে হালাল করলে তা নব্য কাদিয়ানী হওয়া হয়। আর এসব যুক্তি বাদ দিয়েও তথাকথিত শীর্ষস্থানীয় আলেমদের কথিত ‘সময়টি’ সম্পর্কেও তাদের প্রতারণা, ধোকা ও মিথ্যা তথা মুনাফেকী নিশ্চিতভাবে প্রমান করা যায়। তথাকথিত শীর্ষস্থানীয় আলেমদের প্রতিনিধি মুফতী ইজহার উক্ত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরাই ১৯৯৯ সালের ২৮শে ফেব্রুয়ারি সর্বপ্রথম জোট গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। অর্থাৎ যে সময়ের প্রেক্ষিতে তারা নারী নেতৃত্ব জায়েয করেছেন তা হল ১৯৯৯ সালের প্রথম ভাগ। এখন এই সময়টি যে তাদের অর্থাৎ স্বঘোষিত শীর্ষস্থানীয় আলেমদের দৃষ্টিতেই নারী নেতৃত্ব জায়েয করার মত হয়নি তা তাদের কিতাবেই রয়েছে। যেমন তারা তথাকথিত শাইখুল হাদীস আজিজুল হককে শীর্ষস্থানীয় আলেম বলে থাকে। আর আজিজুল হক তাদের কথিত সময়েরও (১৯৯৯ সালের ফেব্রুয়ারি) প্রায় ৮ মাস পর নারী নেতৃত্ব তো দুরের কথা নারীদের বেপর্দা হওয়া যে চরম অপরাধ সে সম্পর্কে কঠোর সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছে। ১৯৯৯ সালের ডিসেম্বরে ‘আল কুরআনের দৃষ্টিতে মহিলাদের পর্দা’ নামক বই ছাপিয়েছে। উক্ত বইয়ে সে মন্তব্য করেছে বেপর্দা হওয়ার আশঙ্কায় বর্তমানে মহিলাদের হজ্বে যাওয়াও জায়েয নেই। এ সম্পর্কে তথাকথিত শাইখুল হাদীছ আজিজুল হক তার আল কুরআনের দৃষ্টিতে মহিলাদের পর্দা বইয়ে বলেন, সতর্কতাঃ বর্তমানে হজ্জ করতে মহিলাদের যেহেতু পর্দার ক্ষতি হয়, তাই মহিলাদের উপর হজ্জ ফরয হলে, বদলী হজ্জ্র করানো চাই। কারণ, এই হজ্জে ন্যায় বরকতময় সফরে অনেক মহিলা দেখা যায় মাহরাম পুরুষ ব্যতীত রওয়ানা হয়ে যায়, যা কবীরা গুণাহ ও নাজাযিয। অনেক সময় দেখা যায়, মাহরাম সাথে থাকা সত্ত্বেও মহিলারা হজ্জের সফরে পর্দাহীন চলে ও অনেক অবৈধ কাজে লিপ্ত হয়ে থাকে। তাই বদলী হজ্জ করানোই মহিলাদের জন্য উত্তম। এ সম্পর্কে আল্লামা কারমানী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, “এটা হিক্বমতের খেলাফ যে, এক ফরয আদায় করতে গিয়ে অপর ফরয বাদ দেয়া।” (রাহনুমায়ে হুজ্জাজ) মাসয়ালাঃ মহিলাগুগণ হজ্জের ইহরাম বাঁধাতে উচ্চ আওয়াজ না করে ‘লাব্বায়কা’ অর্থাৎ তালবীয়া পড়বে। কারণ, মহিলাদের আওয়াজও পর্যদার অন্তর্ভুক্ত। স্মর্তব্য, বেপর্দা হওয়ার আশঙ্কায় বর্তমানে নারীদের হজ্ব নাজায়েয হওয়ার পাশাপাশি নারী নেতৃত্ব নয় নারী রাজনীতি সম্পর্কে শায়খুল হদস যা বলেন তাহল “রং বেরংয়ের পোশাক, লিপিষ্টিক লাগানো, পুরুষের সাথে অবৈধ মেলামেশা, থিয়েটার নাটক করা, সভা সমিতি করা, রাজনৈতিক আসরে নামা, প্রকাশ্যে সভা সমিতিতে বক্তৃতা দেয়া, আর বেশ্যাবৃত্তি করা। শুধু পেশাদারী বেশ্যা নয়, অপেশাদার বেশ্যাবৃত্তি করা। … ধণ ও ঋণ (পজেটিভ ও নেগেটিভ) ব্যতিত কোন বস্তুর কল্পনা করা যায় না, ধন ঋণ যেমন বিদ্যুৎ উৎপাদন করে, পদার্থের পরমানু (এটম) পজিটিভ ইলেক্ট্রন ও নেগেটিভ প্রোটনের সমষ্টি। এ থেকে ইলেক্ট্রন বিচ্যুত করলে আর পরমাণুর অস্তিত্বই থাকে না। মানবও তাই। স্বাভাবিকভাবে নর ও নারী (ধন ও ঋণ) পরস্পর দর্শনে যৌন আকর্ষণ সৃষ্টি হয় না এ কথা মানুষ অস্বীকার করলেও যুক্তিবাদী বিজ্ঞান তা মানতে প্রস্তুত নয়। দৈহিক মিলনের ফাঁক থাকুক আর না থাকুক, আর থাকলে তো কথাই নেই, আকর্ষণ এতো প্রবল ও তীব্র হয় যে, সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, মুনি মোহন্ত, দরবেশ, কেউ আত্মসংবরণ করতে পারে না।” (আল কুরআনের দৃষ্টিতে মহিলাদের পর্দা, পৃঃ ১৩৪-১৩৫)। অর্থাৎ তথাকথিত শাইখুল হাদীসের লেখা কিতাবের তথ্যানুযায়ীঃ ১. বেপর্দা হওয়ার ভয়ে মহিলাদের বর্তমানে হজ্জে যাওয়া জায়েয নয়। ২. মহিলাদের কণ্ঠস্বরও পর্দার মধ্যে পরে। ৩. যারা রাজনৈতিক আসরে নামে তারা চরিত্রহীনা মহিলা। ৪। নারী-পুরুষ একসাথে হলে আকর্ষণ এত প্রবল হয় যে তা থেকে শাইখুল হাদীছ নিজেও আত্মসংবরণ করতে পারে না। বলাবাহুল্য, তথাকথিত শাইখুল হাদীসের এই কথা তার স্বগোত্রীয় মুফতী, মাওলানা, মুহাদ্দিস, খতীব সাবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। এরাই আবার নিজেদেরকে দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম বলে প্রচার করছে। এরা নাকি ক্বিয়াস করে নারী নেতৃত্ব জায়িয করেছে। (নাঊযুবিল্লাহ) অথচ ক্বিয়াসের ভিত্তি হলো কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ ও ইজমা। কিন্তু এই তিনের কোথাও নারী নেতৃত্ব জায়েয নেই। বরং বিলকুল হারাম। তাহলে প্রশ্ন দাঁড়ায় মনগড়া ক্বিয়াস করে কুরআন সুন্নাহয় স্পষ্ট ঘোষিত একটি হারাম কাজকে হালাল করলেন এই কি শীর্ষস্থানীয় আলেমদের নমুনা? সূরা নুর সূরা আহযাব, সূরা নিছায়ে ঘোষিত পর্দার আয়াত শরীফকে প্রকাশ্যে অস্বীকার করে মুরতাদ হলেন- এই কি শীর্ষস্থানীয় আলেমদের মহাত্ম? গুনাহকারী আর তার সমর্থনকারী সমান গুণাহগার। এই উসুল মোতাবেক দেশে বিরাজমান সব অনৈসলামিক কাজের ভার বহনকারী জোট সরকারের সমান অংশীদার তারাও; এটাই কি তথাকথিত শীর্ষস্থানীয় আলেমদের কৃতিত্ব। মদ, মদের কারখানা- বেপর্দা-বেসরা, সিনেমা ভিডিও স্যাটেলাইট সংস্কৃতি সহ যাবতীয় পাপাচারের আধার জোট সরকারের গুণাহর ভাগীদার তথাকথিত শীর্ষস্থানীয় আলেম সমাজ এটাও কি তথাকথিত শীর্ষস্থানীয় আলেমদের শীর্ষত্ব। মুলত: তারা আজকে প্রবৃত্তির প্রবণতায় ক্ষমতার মোহে অর্থের লোভে অন্ধ হয়ে গেছেন এটাই কি তথাকথিত শীর্ষস্থানীয় আলেমদের বেলায় প্রকৃত সত্য নয়? “তোমরা অল্প মূল্যে আমার আয়াত শরীফকে বিক্রী করোনা” মনগড়া অজুহাতে নারী নেতৃত্বকে জায়েয করতে প্রেক্ষিতে এই আয়াত শরীফই কি তাদের জন্য প্রযোজ্য নয়? কিন্তু তারপরেও তারা দাবী করছে যে তারাই শীর্ষস্থানীয় আলিম। প্রশ্নে দাঁড়ায় তারা শীর্ষে কোন দিকে? লম্বায়? উচুতে? মোটায়? টাকায়? শক্তিতে? কুফরীতে? হারাম কাজে? বেপর্দ-বেশারায়? যদি এ ধরনের কোন একটাও হয় তাহলে তা হতেও পারে। কিন্তু ইলম বা আমল বা আসল হিসেবে যে তা মোটেও নয়। বরং সেদিক থেকে বলতে হয় তারাই বরং নিকৃষ্ট তথা উলামায়ে’ছূ যে সম্পর্কে হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে- “সাবধান যারা ধর্মব্যবসায়ী আলেম তারাই নিকৃষ্ট।” কাজেই বলা চলে ধর্মব্যবসায়ী এসব তথাকথিত শীর্ষ স্থানীয় আলেম নামধারীদের তথা উলামায়ে’ছূদের মুখোশ উন্মোচন করে তথা হাকীকত তুলে ধরে আল বাইয়্যিনাত বর্তমান সময়ে বিরাট জিহাদী ভূমিকা পালন করছে। যেমনটি হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন, কিছুক্ষণ সময় জামানার উলামায়ে ‘ছূ’দের দোষত্রুটি বর্ণনা করা ষাট বছর বেরিয়া নফল ইবাদতের চেয়েও শ্রেষ্ঠ। তাই বলতে হয়, যে কোন শীর্ষস্থানীয় আলিম নয় বরং শীর্ষস্থানীয় আলিমের খোলসে বর্তমান জামানার ধর্মব্যবসায়ী আলিমদেরই সমালোচনা আল বাইয়্যিনাতে করা হয়। যারা শুধু আল বাইয়্যিনাতে এর বক্তব্যনুযায়ীই নয় বরং তাদের নিজেদেরই লেখা কিতাব, তাদের নিজেদের দেয়া বক্তব্য তথা নিজেদের পত্রিকার ভাষ্যনুযায়ীই নাহক্ব, ফাসিক ফুজ্জার ও গোমরাহ বলে প্রমাণিত হয়। পাশাপাশি যথাযোগ্য তাজদীদী ভূমিকা পালনের দ্বারা আবারও অনিবার্যভাবে প্রমাণিত হয় যে, মাসিক আল বাইয়্যিনাতই জামানার তাজদীদী মুখপত্র। এবং এর প্রতিষ্ঠাতা ও পৃষ্টপোষক ইমামুল আইম্মা, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা যামানার মুজাদ্দিদ তথা মুজাদ্দিদে আ’যম।
-মুহম্মদ ওয়ালীউল্লাহ, ঢাকা।
বৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বৃটিশ ভূমিকা-১১