“আপনি সব মানুষের চেয়ে মুসলমানদের অধিক শত্রুরূপে ইহুদী ও মুশরিকদের পাবেন।” সূরা মায়িদার ৯২নং আয়াত শরীফের আলোকে ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে ইহুদীদের ষড়যন্ত্রমূলক গোপনীয় বই-‘প্রটোকল’ যা পরবর্তীতে ফাঁস হয়ে যায় তার ছত্রে ছত্রে পাওয়া যায় তাদের জঘন্য ষড়যন্ত্রের বিবিধ কূটকৌশল।
যাতে প্রমাণিত হয় যে, আজকের তথাকথিত শাইখুল হাদীছ, খতীব, মুফতি, মাওলানা তথা পীর ছাহেবরা ইসলামের নামে ছবি তোলা, হরতাল, লংমার্চ, মৌলবাদ, ব্লাসফেমী, নির্বাচন, গণতন্ত্র, নারী নেতৃত্ব সমর্থন ইত্যাদি যেসব হারাম কর্মসূচী দ্বারা তথাকথিত ইসলামী আন্দোলন করছে তা মূলতঃ ঐ ইহুদীরা এক শত বছর পূর্বেই তাদের প্রটোকলে লিপিবদ্ধ করেছিল। অর্থাৎ আজকের তথাকথিত ইসলামী আন্দোলনের নামে গৃহীত হারাম কর্মসূচী যথা, ছবি তোলা, লংমার্চ, হরতাল, মৌলবাদ, ব্লাসফেমী, গণতন্ত্র, নির্বাচন ইত্যাদি সব ওদেরই ইচ্ছার প্রতিফলন। কিন্তু নামধারী উলামারা এখনও তা বুঝছেনা।
পাশাপাশি আরো জ্ঞাতব্য যে মুসলিম দেশসমূহে যে সাধারণ শিক্ষা বিরাজমান, স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে শিক্ষা কাঠামো, প্রক্রিয়া ও পাঠক্রম বিদ্যামান সে শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে মুসলমানই যে ইসলামের বিরুদ্ধে বলছে বিষয়টি কেবল তাই নয়; বরং দুনিয়াবী শিক্ষার দিক থেকেও তারা একটা অনুর্বর, অনুৎপাদনশীল তথা ইহুদী-নাছারা তাবেদার গোষ্ঠীতে পরিণত হচ্ছে এ বিষয়টি ইহুদীদের প্রটোকলে লিপিবদ্ধ হয়েছেঃ
শিক্ষা ব্যবস্থার নয়া রূপ
একমাত্র আমাদের ছাড়া দুনিয়ার যাবতীয় সমষ্টিগত শক্তি বিনষ্ট করার জন্য প্রথমেই আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এক নবতর শিক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে নিষ্প্রাণ করে দেবো। এ শিক্ষাগারের সকল অধ্যাপক ও কর্মচারীবৃন্দ একটা বিস্তারিত কার্যসূচী অনুসারে নতুন দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত হবেন এবং কখনও এক চুল পরিমাণও এদিক-সেদিক নড়-চড় করবেন না। বিশেষ সতর্কতার সঙ্গে তাদের নিয়োগ করা হবে এবং তারা আমাদের উপর পরিপূর্ণরূপে নির্ভরশীল হবেন।
রাষ্ট্রের প্রচলিত আইন-কানুন ও রাজনীতি সংক্রান্ত অপরাপর প্রয়োজনীয় বিষয়াবলীকে আমরা পাঠ্যতালিকা-বহিঃর্ভূত করে দেবো। মুসলমানদের বিশ্বজোড়া শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি লক্ষ্য করলে তোমরা বুঝতে পারবে যে, রাষ্ট্রসংক্রান্ত ব্যাপারে ভ্রান্ত ধারণার বশবর্তী বিপুল জনতা অবাস্তব কল্পনা-বিলাসী ও অবাঞ্ছিত নাগরিক সৃষ্টি করে মাত্র। আমরা অবশ্যই তাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় এমন সব মূলনীতি শামিল করবো, যা তাদের শিক্ষা নীতিকে সম্পূর্ণরূপে অচল করে দেবে।
গ্রীক ও ল্যাটিন ভাষার প্রাচীন গ্রন্থাদি এবং প্রাচীন ইতিহাস পঠনের যাবতীয় প্রচলিত পন্থার মধ্যে ভালোর তুলনায় মন্দটাই বেশী। কিন্তু গইম তথা মুসলিম সমাজের বুদ্ধিজীবীদের আমরা এ পন্থায়ই আকর্ষিত করেছি। পূর্ববর্তী শতাব্দীগুলোর যেসব ঘটনা আমাদের জন্য অবাঞ্ছিত, সেগুলো স্মৃতিপট থেকে মুছে দেবো। শুধু মুসলিম সরকারের ভুল-ভ্রান্তির ইতিহাস তাদের স্মৃতিপটে জাগ্রত করে রাখার ব্যবস্থা করবো।
গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাকে সব ধরণের লোকের সাধারণ প্রবেশ ক্ষেত্রে পরিণত করা নির্বোধের কাজ। কেননা, এর ফলে জন্মগত অধিকারে যারা উচ্চ মর্যাদার হকদার, তাদের সে মর্যাদা থেকে বঞ্চিত করে অবাঞ্ছিত লোকেরা তথায় পৌঁছে যাবে। মুসলমান সমাজ এধরণের অবাস্তব পন্থা গ্রহণ করার ফলে তাদের যে দুর্দশা হয়েছে, তা তোমাদের বিলক্ষণ জানা আছে।
আমরা জনশিক্ষা সম্পর্কিত যাবতীয় স্বাধীনতা হরণ করবো। এককথায় আমরা শত শত বছরের অভিজ্ঞতা থেকে জানতে পেরেছি যে, মানুষ খেয়ালের বশে পরিচালিত হয় ও খেয়ালের নেশায়ই জীবনযাপন করে আর এসব খেয়াল মানুষের মন-মগজে শিক্ষার মাধ্যমেই বদ্ধমুল হয়ে যায়। বিভিন্ন ধরণের বৈচিত্র্যময় পদ্ধতিতে আমরা মানুষের নিকট থেকে স্বাধীন চিন্তার শেষ বিন্দুটুকু পর্যন্ত ছিনিয়ে নিয়ে তাদেরকে আমাদের কাজে নিয়োগ করব।
আর এ উদ্দেশ্য সামনে রেখেই সুদূর অতীত থেকে আমরা আমাদের ইঞ্ঝিত মতবাদের দিকে মানব সমাজকে পরিচালনা করে আসছি। চিন্তাধারা নিয়ন্ত্রণ করার উদ্দেশ্যে আমরা ইতোমধ্যেই উদ্দেশ্যমূলক শিক্ষাদানের ব্যবস্থা চালু করেছি। এর উদ্দেশ্য হলো, গইম তথা মুসলিম সমাজকে চিন্তাশক্তিহীন অনুগত পশুর স্তরে নামিয়ে আনা, যেন তাদের চোখের সামনে কোন কিছু পেশ না করা পর্যন্ত তারা নিজস্ব চিন্তার সাহায্যে কোন ধারণাই পোষণ না করতে পারে।
-সাইয়্যিদ মুহম্মদ আলমগীর, ঢাকা।