অনুসন্ধান
আর্কাইভ
বিভাগ
শুধু আজকের প্রেক্ষাপটে নয়, অতীত ইতিহাস হতেই ইহুদী-খ্রীষ্টানরা মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু মুসলিম সন্ত্রাসবাদ নয়, মার্কিন হামলার পিছনে কি ইহুদী-খ্রীষ্টানরাই দায়ী নয়? -২৪
সংখ্যা: ১২৪তম সংখ্যা | বিভাগ: মতামত
“আপনি সব মানুষের চেয়ে মুসলমানদের অধিক শত্রুরূপে ইহুদী ও মুশরিকদের পাবেন।” সূরা মায়িদার ৮২নং আয়াত শরীফের আলোকে ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে ইহুদীদের ষড়যন্ত্রমূলক গোপনীয় বই-‘প্রটোকল’ যা পরবর্তীতে ফাঁস হয়ে যায়; তার ছত্রে ছত্রে পাওয়া যায় তাদের জঘন্য ষড়যন্ত্রের বিবিধ কূটকৌশল। যাতে প্রমাণিত হয় যে, আজকের তথাকথিত শাইখুল হাদীছ, খতীব, মুফতি, মুফাস্ছিরে কুরআন, মাওলানা তথা পীর ছাহেবরা ইসলামের নামে ছবি তোলা, হরতাল, লংমার্চ, মৌলবাদ, ব্লাসফেমী, নির্বাচন, গণতন্ত্র, নারী নেতৃত্ব সমর্থন ইত্যাদি যেসব হারাম কর্মসূচী দ্বারা তথাকথিত ইসলামী আন্দোলন করছে তা মূলতঃ ঐ ইহুদীরা একশত বছর পূর্বেই তাদের প্রটোকলে লিপিবদ্ধ করেছিল; কিন্তু নামধারী উলামারা এখনও তা বুঝছেনা। নিম্নে ইহুদী প্রটোকলে বর্ণিত সারাবিশ্বে তথা মুসলিম বিশ্বে তাদের তথাকথিত প্রতিভাবান কর্তৃত্ব কায়িম করার জন্য গৃহীত বিভিন্ন কৌশল বা পন্থার কথা তুলে ধরা হলোঃ “আমাদের বিরুদ্ধ পক্ষ থেকে আমাদের প্রতি যেসব হামলার আশঙ্কা রয়েছে, সেসব হামলা প্রতিরোধ করার জন্য আমরা পরিপূর্ণরূপে অস্ত্র সজ্জিত হবো। প্রকাশ ভঙ্গির সূক্ষ্মতম কৌশলটুকুও আমাদের আয়ত্ত করতে হবে, যেন আইনের জটিলতম মারপ্যাঁচ কাটিয়ে আমরা যেসব বিষয়ে রায় প্রদান করবো, তা অস্বাভাবিক পরিমাণে বিদ্বেষাত্মক ও অন্যায় বিবেচিত না হয়ে বরং ভাষার বাহাদূরীতে উঁচুস্তরের নৈতিক মান সম্পন্ন বলে অভিনন্দিত হয়। যেসব সত্যতার মাঝখানে আমাদের কাজ চালিয়ে যেতে হবে, সেগুলোর মধ্যে যে শক্তি রয়েছে, তা অবশ্য আমাদের ডিরেক্টরেটের চারদিকে জমায়েত করতে হবে। দক্ষ প্রচারক, বাস্তবধর্মী আইন ব্যবসায়ী, শাসনদণ্ড পরিচালনাকারী, রাজনীতি বিশারদ এবং আমাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে শিক্ষাপ্রাপ্ত লোকদেরকে আমরা নিয়োগ করবো। তারা তাদের সমাজের সকল গোপন তথ্য অবগত থাকবে, রাজনৈতিক বর্ণমালা ও শব্দসমষ্টির সমন্বয়ে কখন কোন ভাষা রচনা করতে হবে, তাও তাদের বিলক্ষণ জানা থাকবে। মানব মনের সকল দুর্বলতা সম্পর্কে তারা ওয়াকিবহাল হবে এবং দুর্বলতার সুযোগ গ্রহণ করে কখন কিভাবে স্পর্শ-সচেতন সুতো ধরে টানতে হবে, তা তাদের শেখানো হবে। মুসলিম সমাজের মানসিক অবস্থা, ঝোঁক-প্রবণতা, দোষত্রুটি, লাম্পট্য, মন্দ গুণাবলী বিশেষ শ্রেণী ও অবস্থার সূত্রে আমাদের হাতে বাঁধা থাকবে। বলাবাহুল্য, কর্তৃত্ব করার জন্য আমরা যেসব প্রতিভাবানদের নিয়োগ করবো, তারা কিছুতেই মুসলিম সমাজের লোক হবে না। মুসলিম সমাজ তো ছক কাটা পদ্ধতিতে শাসনযন্ত্র পরিচালনা করতেই অভ্যস্ত। যে কাজ তাদের করে দিতে বলা হয়, সে কাজটির উদ্দেশ্য ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করার কষ্ট তারা কখনও স্বীকার করে না। মুসলিম সমাজে আমাদের নিয়োজিত শাসকগণ না দেখেই কাগজে স্বাক্ষর করে এবং অর্থ লালসায় বা কামনা-বাসনা চরিতার্থ করার আশায় কাজ করে যায়। আমাদের গভর্নমেন্টের চারদিকে আমরা অর্থনীতিবিদদের একটা জগত সৃষ্টি করে দেবো। এজন্যই ইহুদীদের শিক্ষা ব্যবস্থার প্রধান বিষয় হচ্ছে অর্থনীতি বিজ্ঞান। অন্যদিকে আমাদের চারদিকে ব্যাঙ্ক মালিক, শিল্পপতি, পুঁজিপতি এবং প্রধানতঃ লক্ষপতিদের এক বিপুল বাহিনী থাকবে। কেননা, সকল জটিল বিষয়ই অর্থনৈতিক অঙ্কের হিসাবে মীমাংসিত হবে। যতদিন পর্যন্ত আমাদের ইহুদী ভাইদের হাতে রাষ্ট্র পরিচালনার এসব দায়িত্ব অর্পন নিরাপদ মনে না হয়, ততদিন পর্যন্ত আমরা অনুগত লোকদের হাতে শাসন ক্ষমতার ভার দিতে থাকবো। তাদের সঙ্গে সঙ্গে জনসাধারণের বিরোধ এত প্রবল থাকবে যে, উভয় পক্ষের মাঝখানে বিরাট ফাটল দেখা যাবে। এসব লোক আমাদের অবাধ্য হলে বিচারের সম্মুখীন হওয়া অথবা দুনিয়া থেকে মুছে যাবার ভয়ে এরা আমাদের স্বার্থরক্ষার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করবে। (চলবে)
-সাইয়্যিদ মুহম্মদ আলমগীর, ঢাকা।
আরও পড়ুন:
ইরাকের মীরজাফর সাদ্দাম রাশিয়ার বেলারুশ যেতে চায় কেন?
প্রসঙ্গঃ ছবি, অশ্লীল ছবি ইনকিলাব ও হাটহাজারীর আহমক শাফী উপাখ্যান
কপিরাইট © ১৪৩৬ হিজরী মাসিক আল বাইয়্যিনাত, সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
আর্কাইভ
বিভাগ
শুধু আজকের প্রেক্ষাপটে নয়, অতীত ইতিহাস হতেই ইহুদী-খ্রীষ্টানরা মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু মুসলিম সন্ত্রাসবাদ নয়, মার্কিন হামলার পিছনে কি ইহুদী-খ্রীষ্টানরাই দায়ী নয়? -২৪
সংখ্যা: ১২৪তম সংখ্যা | বিভাগ: মতামত
“আপনি সব মানুষের চেয়ে মুসলমানদের অধিক শত্রুরূপে ইহুদী ও মুশরিকদের পাবেন।” সূরা মায়িদার ৮২নং আয়াত শরীফের আলোকে ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে ইহুদীদের ষড়যন্ত্রমূলক গোপনীয় বই-‘প্রটোকল’ যা পরবর্তীতে ফাঁস হয়ে যায়; তার ছত্রে ছত্রে পাওয়া যায় তাদের জঘন্য ষড়যন্ত্রের বিবিধ কূটকৌশল। যাতে প্রমাণিত হয় যে, আজকের তথাকথিত শাইখুল হাদীছ, খতীব, মুফতি, মুফাস্ছিরে কুরআন, মাওলানা তথা পীর ছাহেবরা ইসলামের নামে ছবি তোলা, হরতাল, লংমার্চ, মৌলবাদ, ব্লাসফেমী, নির্বাচন, গণতন্ত্র, নারী নেতৃত্ব সমর্থন ইত্যাদি যেসব হারাম কর্মসূচী দ্বারা তথাকথিত ইসলামী আন্দোলন করছে তা মূলতঃ ঐ ইহুদীরা একশত বছর পূর্বেই তাদের প্রটোকলে লিপিবদ্ধ করেছিল; কিন্তু নামধারী উলামারা এখনও তা বুঝছেনা। নিম্নে ইহুদী প্রটোকলে বর্ণিত সারাবিশ্বে তথা মুসলিম বিশ্বে তাদের তথাকথিত প্রতিভাবান কর্তৃত্ব কায়িম করার জন্য গৃহীত বিভিন্ন কৌশল বা পন্থার কথা তুলে ধরা হলোঃ “আমাদের বিরুদ্ধ পক্ষ থেকে আমাদের প্রতি যেসব হামলার আশঙ্কা রয়েছে, সেসব হামলা প্রতিরোধ করার জন্য আমরা পরিপূর্ণরূপে অস্ত্র সজ্জিত হবো। প্রকাশ ভঙ্গির সূক্ষ্মতম কৌশলটুকুও আমাদের আয়ত্ত করতে হবে, যেন আইনের জটিলতম মারপ্যাঁচ কাটিয়ে আমরা যেসব বিষয়ে রায় প্রদান করবো, তা অস্বাভাবিক পরিমাণে বিদ্বেষাত্মক ও অন্যায় বিবেচিত না হয়ে বরং ভাষার বাহাদূরীতে উঁচুস্তরের নৈতিক মান সম্পন্ন বলে অভিনন্দিত হয়। যেসব সত্যতার মাঝখানে আমাদের কাজ চালিয়ে যেতে হবে, সেগুলোর মধ্যে যে শক্তি রয়েছে, তা অবশ্য আমাদের ডিরেক্টরেটের চারদিকে জমায়েত করতে হবে। দক্ষ প্রচারক, বাস্তবধর্মী আইন ব্যবসায়ী, শাসনদণ্ড পরিচালনাকারী, রাজনীতি বিশারদ এবং আমাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে শিক্ষাপ্রাপ্ত লোকদেরকে আমরা নিয়োগ করবো। তারা তাদের সমাজের সকল গোপন তথ্য অবগত থাকবে, রাজনৈতিক বর্ণমালা ও শব্দসমষ্টির সমন্বয়ে কখন কোন ভাষা রচনা করতে হবে, তাও তাদের বিলক্ষণ জানা থাকবে। মানব মনের সকল দুর্বলতা সম্পর্কে তারা ওয়াকিবহাল হবে এবং দুর্বলতার সুযোগ গ্রহণ করে কখন কিভাবে স্পর্শ-সচেতন সুতো ধরে টানতে হবে, তা তাদের শেখানো হবে। মুসলিম সমাজের মানসিক অবস্থা, ঝোঁক-প্রবণতা, দোষত্রুটি, লাম্পট্য, মন্দ গুণাবলী বিশেষ শ্রেণী ও অবস্থার সূত্রে আমাদের হাতে বাঁধা থাকবে। বলাবাহুল্য, কর্তৃত্ব করার জন্য আমরা যেসব প্রতিভাবানদের নিয়োগ করবো, তারা কিছুতেই মুসলিম সমাজের লোক হবে না। মুসলিম সমাজ তো ছক কাটা পদ্ধতিতে শাসনযন্ত্র পরিচালনা করতেই অভ্যস্ত। যে কাজ তাদের করে দিতে বলা হয়, সে কাজটির উদ্দেশ্য ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করার কষ্ট তারা কখনও স্বীকার করে না। মুসলিম সমাজে আমাদের নিয়োজিত শাসকগণ না দেখেই কাগজে স্বাক্ষর করে এবং অর্থ লালসায় বা কামনা-বাসনা চরিতার্থ করার আশায় কাজ করে যায়। আমাদের গভর্নমেন্টের চারদিকে আমরা অর্থনীতিবিদদের একটা জগত সৃষ্টি করে দেবো। এজন্যই ইহুদীদের শিক্ষা ব্যবস্থার প্রধান বিষয় হচ্ছে অর্থনীতি বিজ্ঞান। অন্যদিকে আমাদের চারদিকে ব্যাঙ্ক মালিক, শিল্পপতি, পুঁজিপতি এবং প্রধানতঃ লক্ষপতিদের এক বিপুল বাহিনী থাকবে। কেননা, সকল জটিল বিষয়ই অর্থনৈতিক অঙ্কের হিসাবে মীমাংসিত হবে। যতদিন পর্যন্ত আমাদের ইহুদী ভাইদের হাতে রাষ্ট্র পরিচালনার এসব দায়িত্ব অর্পন নিরাপদ মনে না হয়, ততদিন পর্যন্ত আমরা অনুগত লোকদের হাতে শাসন ক্ষমতার ভার দিতে থাকবো। তাদের সঙ্গে সঙ্গে জনসাধারণের বিরোধ এত প্রবল থাকবে যে, উভয় পক্ষের মাঝখানে বিরাট ফাটল দেখা যাবে। এসব লোক আমাদের অবাধ্য হলে বিচারের সম্মুখীন হওয়া অথবা দুনিয়া থেকে মুছে যাবার ভয়ে এরা আমাদের স্বার্থরক্ষার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করবে। (চলবে)
-সাইয়্যিদ মুহম্মদ আলমগীর, ঢাকা।
আরও পড়ুন:
ইরাকের মীরজাফর সাদ্দাম রাশিয়ার বেলারুশ যেতে চায় কেন?
প্রসঙ্গঃ ছবি, অশ্লীল ছবি ইনকিলাব ও হাটহাজারীর আহমক শাফী উপাখ্যান
বিভাগ
শুধু আজকের প্রেক্ষাপটে নয়, অতীত ইতিহাস হতেই ইহুদী-খ্রীষ্টানরা মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু মুসলিম সন্ত্রাসবাদ নয়, মার্কিন হামলার পিছনে কি ইহুদী-খ্রীষ্টানরাই দায়ী নয়? -২৪
সংখ্যা: ১২৪তম সংখ্যা | বিভাগ: মতামত
“আপনি সব মানুষের চেয়ে মুসলমানদের অধিক শত্রুরূপে ইহুদী ও মুশরিকদের পাবেন।” সূরা মায়িদার ৮২নং আয়াত শরীফের আলোকে ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে ইহুদীদের ষড়যন্ত্রমূলক গোপনীয় বই-‘প্রটোকল’ যা পরবর্তীতে ফাঁস হয়ে যায়; তার ছত্রে ছত্রে পাওয়া যায় তাদের জঘন্য ষড়যন্ত্রের বিবিধ কূটকৌশল। যাতে প্রমাণিত হয় যে, আজকের তথাকথিত শাইখুল হাদীছ, খতীব, মুফতি, মুফাস্ছিরে কুরআন, মাওলানা তথা পীর ছাহেবরা ইসলামের নামে ছবি তোলা, হরতাল, লংমার্চ, মৌলবাদ, ব্লাসফেমী, নির্বাচন, গণতন্ত্র, নারী নেতৃত্ব সমর্থন ইত্যাদি যেসব হারাম কর্মসূচী দ্বারা তথাকথিত ইসলামী আন্দোলন করছে তা মূলতঃ ঐ ইহুদীরা একশত বছর পূর্বেই তাদের প্রটোকলে লিপিবদ্ধ করেছিল; কিন্তু নামধারী উলামারা এখনও তা বুঝছেনা। নিম্নে ইহুদী প্রটোকলে বর্ণিত সারাবিশ্বে তথা মুসলিম বিশ্বে তাদের তথাকথিত প্রতিভাবান কর্তৃত্ব কায়িম করার জন্য গৃহীত বিভিন্ন কৌশল বা পন্থার কথা তুলে ধরা হলোঃ “আমাদের বিরুদ্ধ পক্ষ থেকে আমাদের প্রতি যেসব হামলার আশঙ্কা রয়েছে, সেসব হামলা প্রতিরোধ করার জন্য আমরা পরিপূর্ণরূপে অস্ত্র সজ্জিত হবো। প্রকাশ ভঙ্গির সূক্ষ্মতম কৌশলটুকুও আমাদের আয়ত্ত করতে হবে, যেন আইনের জটিলতম মারপ্যাঁচ কাটিয়ে আমরা যেসব বিষয়ে রায় প্রদান করবো, তা অস্বাভাবিক পরিমাণে বিদ্বেষাত্মক ও অন্যায় বিবেচিত না হয়ে বরং ভাষার বাহাদূরীতে উঁচুস্তরের নৈতিক মান সম্পন্ন বলে অভিনন্দিত হয়। যেসব সত্যতার মাঝখানে আমাদের কাজ চালিয়ে যেতে হবে, সেগুলোর মধ্যে যে শক্তি রয়েছে, তা অবশ্য আমাদের ডিরেক্টরেটের চারদিকে জমায়েত করতে হবে। দক্ষ প্রচারক, বাস্তবধর্মী আইন ব্যবসায়ী, শাসনদণ্ড পরিচালনাকারী, রাজনীতি বিশারদ এবং আমাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে শিক্ষাপ্রাপ্ত লোকদেরকে আমরা নিয়োগ করবো। তারা তাদের সমাজের সকল গোপন তথ্য অবগত থাকবে, রাজনৈতিক বর্ণমালা ও শব্দসমষ্টির সমন্বয়ে কখন কোন ভাষা রচনা করতে হবে, তাও তাদের বিলক্ষণ জানা থাকবে। মানব মনের সকল দুর্বলতা সম্পর্কে তারা ওয়াকিবহাল হবে এবং দুর্বলতার সুযোগ গ্রহণ করে কখন কিভাবে স্পর্শ-সচেতন সুতো ধরে টানতে হবে, তা তাদের শেখানো হবে। মুসলিম সমাজের মানসিক অবস্থা, ঝোঁক-প্রবণতা, দোষত্রুটি, লাম্পট্য, মন্দ গুণাবলী বিশেষ শ্রেণী ও অবস্থার সূত্রে আমাদের হাতে বাঁধা থাকবে। বলাবাহুল্য, কর্তৃত্ব করার জন্য আমরা যেসব প্রতিভাবানদের নিয়োগ করবো, তারা কিছুতেই মুসলিম সমাজের লোক হবে না। মুসলিম সমাজ তো ছক কাটা পদ্ধতিতে শাসনযন্ত্র পরিচালনা করতেই অভ্যস্ত। যে কাজ তাদের করে দিতে বলা হয়, সে কাজটির উদ্দেশ্য ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করার কষ্ট তারা কখনও স্বীকার করে না। মুসলিম সমাজে আমাদের নিয়োজিত শাসকগণ না দেখেই কাগজে স্বাক্ষর করে এবং অর্থ লালসায় বা কামনা-বাসনা চরিতার্থ করার আশায় কাজ করে যায়। আমাদের গভর্নমেন্টের চারদিকে আমরা অর্থনীতিবিদদের একটা জগত সৃষ্টি করে দেবো। এজন্যই ইহুদীদের শিক্ষা ব্যবস্থার প্রধান বিষয় হচ্ছে অর্থনীতি বিজ্ঞান। অন্যদিকে আমাদের চারদিকে ব্যাঙ্ক মালিক, শিল্পপতি, পুঁজিপতি এবং প্রধানতঃ লক্ষপতিদের এক বিপুল বাহিনী থাকবে। কেননা, সকল জটিল বিষয়ই অর্থনৈতিক অঙ্কের হিসাবে মীমাংসিত হবে। যতদিন পর্যন্ত আমাদের ইহুদী ভাইদের হাতে রাষ্ট্র পরিচালনার এসব দায়িত্ব অর্পন নিরাপদ মনে না হয়, ততদিন পর্যন্ত আমরা অনুগত লোকদের হাতে শাসন ক্ষমতার ভার দিতে থাকবো। তাদের সঙ্গে সঙ্গে জনসাধারণের বিরোধ এত প্রবল থাকবে যে, উভয় পক্ষের মাঝখানে বিরাট ফাটল দেখা যাবে। এসব লোক আমাদের অবাধ্য হলে বিচারের সম্মুখীন হওয়া অথবা দুনিয়া থেকে মুছে যাবার ভয়ে এরা আমাদের স্বার্থরক্ষার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করবে। (চলবে)
-সাইয়্যিদ মুহম্মদ আলমগীর, ঢাকা।
ইরাকের মীরজাফর সাদ্দাম রাশিয়ার বেলারুশ যেতে চায় কেন?
প্রসঙ্গঃ ছবি, অশ্লীল ছবি ইনকিলাব ও হাটহাজারীর আহমক শাফী উপাখ্যান