“আপনি সব মানুষের চেয়ে মুসলমানদের অধিক শত্রুরূপে ইহুদী ও মুশরিকদের পাবেন।” সূরা মায়িদার ৮২নং আয়াত শরীফের আলোকে ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে ইহুদীদের ষড়যন্ত্রমূলক গোপনীয় বই-‘প্রটোকল’ যা পরবর্তীতে ফাঁস হয়ে যায় তার ছত্রে ছত্রে পাওয়া যায় তাদের জঘন্য ষড়যন্ত্রের বিবিধ কূটকৌশল।
যাতে প্রমাণিত হয় যে, আজকের তথাকথিত শাইখুল হাদীছ, খতীব, মুফতি, মুফাস্ছিরে কুরআন, মাওলানা তথা পীর ছাহেবরা ইসলামের নামে ছবি তোলা, হরতাল, লংমার্চ, মৌলবাদ, ব্লাসফেমী, নির্বাচন, গণতন্ত্র, নারী নেতৃত্ব সমর্থন ইত্যাদি যেসব হারাম কর্মসূচী দ্বারা তথাকথিত ইসলামী আন্দোলন করছে তা মূলতঃ ঐ ইহুদীরা একশত বছর পূর্বেই তাদের প্রটোকলে লিপিবদ্ধ করেছিল; কিন্তু নামধারী উলামারা এখনও তা বুঝছেনা।
ইহুদী প্রটোকলের তথ্যানুযায়ী আরো প্রতিভাত হয় যে, মুসলমানদের অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করে দেয়ার জন্য ওরা দৃঢ়ভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সম্ভ্রান্ত মুসলমানদের কাছ থেকে জমি ছিনিয়ে নেয়া, ফটকাবাজারীর মাধ্যমে মুসলমানদের ব্যবসা ও শিল্প করায়ত্ত করা মুসলমানদের বিলাসিতায় মত্ত করে তাদের পতনমুখী করা, মুসলিম দেশে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম ক্রমশ! উর্ধ্বমুখী করা এবং মুখরোচক শ্লোগানের মাধ্যমে শ্রমিক শ্রেণীকে আকৃষ্ট ও ব্যবহার করা তাদের গোপন যড়যন্ত্র। এসব বিষয়ে তাদের প্রটোকলের ভাষ্য তুলে ধরা হলো- “শ্রীঘ্রই আমরা বড় বড় ইজারাদারী কায়িম করতে শুরু করবো। ধন-সম্পদ আমাদের হাতে এমনভাবে পূঞ্জীভূত করবো যে, মুসলিম সমাজের বড় বড় সম্পদশালী ব্যক্তিগণকেও এর উপর নির্ভরশীল হতে হবে এবং … রাজনীতির ধ্বংস সাধনের পর রাষ্ট্রের যাবতীয় দায়পত্র নিয়ে মুসলমান ধনপতিগণ সর্বনিম্ন স্তরে নেমে যাবে।”
আমাদের সুপার গভর্নমেন্টের (জাতিসংঘের) গুরুত্ব বাড়াবার জন্য আমরা সকল সম্ভাব্য উপায়ে আমাদের বশ্যতা স্বীকারকারীদের ত্রাণকর্তা ও রক্ষাকর্তা হিসাবে পেশ করব। মুসলিম সমাজের সম্ভ্রান্ত শ্রেণী শক্তিশালী হিসাবে মৃত্যুবরণ করেছে। কিন্তু ভূমি মালিক হিসাবে তারা এখনও আমাদের ক্ষতি সাধন করতে পারে। কেননা তারা যেসব উপকরণের উপর নির্ভর করে জীবন যাপন করে, সেগুলোতে তারা স্বয়ং সম্পূর্ণ। তাই যে কোন উপায়ে তাদেরকে ভূমির মালিকানা থেকে উচ্ছেদ করা অত্যন্ত জরুরী। ভূমির উপর ঋণের বোঝা চাপিয়ে এ উদ্দেশ্য সিদ্ধ করা যেতে পারে। এ ব্যবস্থার ফলে ভূমি মালিকানা আমাদের নিয়ন্ত্রণে আসবে এবং মালিকগণ সর্বদাই বিনা শর্তে বশ্যতা স্বীকার করার জন্য প্রস্তুত থাকবে।
মুসলিম সমাজের সম্ভ্রান্ত শ্রেণী উত্তরাধিকার সূত্রেই ক্ষুদ্রদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে অসমর্থ; তাই ওরা আমাদের এসব ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে ক্রমান্বয়ে নিঃশেষ হয়ে যাবে। একই সময়ে আমরা জোরে শোরে ব্যবসা ও শিল্পের পৃষ্ঠপোষকতা করবো। সব চাইতে বেশী উৎসাহ দেবো ফটকা বাজারের প্রতি। ফটকা বাজার প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভেতর থেকে ধ্বংস করবে। ফটকা বাজারীর অবর্তমানে শিল্প প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সম্পদ ব্যক্তিগত তহবিলে পুঞ্জীভূত হতে থাকবে এবং এর ফলে শিল্পপতিগণ ঋণমুক্ত হয়ে তাদের হারানো ভূমি পুনরুদ্ধার করার সামর্থ্য অর্জন করতে পারে। আমরা যা চাই তা হচ্ছে এই যে, শিল্প-কারখানা দেশ থেকে শ্রম ও সম্পদ কুড়িয়ে হস্তগত করবে এবং ফটকা বাজারের মাধ্যমে পৃথিবীর সকল সম্পদ আমাদের হাতে তুলে দিয়ে গোটা মুসলিম সমাজকে সর্বহারায় পরিণত করবো। এ অবস্থায় উপনীত হলেই মুসলিম সমাজ অন্য কারণে হোক, অন্ততঃ নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার তাগিদে আমাদের কাছে নতি স্বীকার করবে।
মুসলিম সমাজের ধ্বংস সাধনের কাজ পরিপূর্ণ মাত্রায় সম্পাদনের জন্য আমরা ফটকা বাজারীর সহকারী হিসাবে বিলাসিতা আমদানী করেছি। বর্তমানে বিলাসী জীবন যাপনের উদগ্র আকাঙ্খা মুসলিম সমাজকে ক্রমশঃ গ্রাস করে চলছে। আমরা শ্রমজীবীদের পারিশ্রমিকের হার বৃদ্ধি করবো। কিন্তু এতে শ্রমিক সমাজের কোনই লাভ হবে না। কারণ একই সময়ে কৃষিজাত দ্রব্যাদির উৎপাদন কমে যাওয়া ও গবাদি পশুর বংশ হ্রাস পাওয়ার অজুহাত তুলে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দাম বাড়িয়ে দেবো। আমরা সুকৌশলে উৎপাদনের পরিমাণ কমানোর সুদূরপ্রসারী ব্যবস্থা অবলম্বন করবো। এ কাজে সাফল্য অর্জন করার জন্য শ্রমিকদের মধ্যে অপরাধপ্রবণতা ও পানাসক্তি বাড়িয়ে দেবো। সঙ্গে সঙ্গে পানাসক্ত ও অপরাধ প্রবণ শ্রমিকদের মাধ্যমেই মুসলিম সমাজের শিক্ষিত শ্রেণীকে ধরাপৃষ্ঠ থেকে মুছে ফেলার ব্যবস্থা করবো। এ বিষয়গুলোর প্রকৃত তাৎপর্য সম্পর্কে মুসলিম সমাজকে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অজ্ঞতায় নিমজ্জিত রাখার জন্য আমরা শ্রমিক শ্রেণীর নিঃস্বার্থ মঙ্গল কামনার মুখোশ ধারণ করবো এবং বড় বড় মুখরোচক অর্থনৈতিক শ্লোগান প্রচার করে তাদের মন-মগজ আচ্ছন্ন করে রাখবো। (চলবে)
-সাইয়্যিদ মুহম্মদ আলমগীর, ঢাকা।
ইরাকের মীরজাফর সাদ্দাম রাশিয়ার বেলারুশ যেতে চায় কেন?
প্রসঙ্গঃ ছবি, অশ্লীল ছবি ইনকিলাব ও হাটহাজারীর আহমক শাফী উপাখ্যান