শুধু দেশেই নয় বিদেশেও এখন মহিলারা খেলতে যাচ্ছে, যথারীতি নিশ্চুপ মৌসুমী ইসলামী আন্দোলকারীরা! মূলতঃ তারাই মহিলা খেলাকে জায়িয বলেছে ও করেছে॥

সংখ্যা: ১৬৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

          উপমা দেয়া আল্লাহ পাক-এর সুন্নত। আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সুন্নত। আল্লাহ পাক নিজেই বলেছেন যে, আল্লাহ পাক মশার উপমা দিতেও কুণ্ঠাবোধ করেন না।

          প্রশ্ন উঠতে পারে, উলামায়ে ছূ’দের উপমা তাহলে কি হতে পারে? বলার অপেক্ষা রাখেনা কুরআন শরীফের ভাষায় এরা ‘বালহুম আদল’ অর্থাৎ চারপেয়ে পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট। সঙ্গত কারণেই এদের উপমা মিলে যায় হঠাৎ লম্ফঝম্প প্রদর্শকারী ব্যাঙের সাথে। বৃষ্টি হলে, পানি জমলে তথা অনুকূল পরিবেশ পেলে এরা হঠাৎ ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ শব্দে মুখরিত হয়ে উঠে। রীতিমত লম্ফঝম্ফ প্রদর্শন করতে থাকে। কিন্তু যখন শীতকাল আসে তখন আর দেখা যায় না। তখন এরা গর্তে লুকিয়ে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন থাকে। জীববিজ্ঞানের ভাষায় একে ব্যাঙের হাইবারনেশান পিরিয়ড বলে।

          স্মরণ করা যেতে পারে ২০০৪ সালের কথা। ২রা জুলাই/০৪ বাইতুল মুকাররমের খতীব ওরফে খবীছ উবাই মহিলা কুস্তির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানায়। তথাকথিত ইসলামী পত্রিকা, মাসিক মদীনার সম্পাদক মাহিউদ্দীনও একইভাবে তার তথাকথিত জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম সংগঠনের ব্যানারে তীব প্রতিবাদ মিছিল করে। সে সময় বিবিসিতেও সে মহিলা কুস্তির বিরুদ্ধে ইসলামের শক্ত নিষেধ বাণী শোনায়। এরপর তথাকথিত ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের মৃত আমীর চর্মনাই ফজলু মিঞা মহিলা ক্রিকেটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়। অর্থাৎ মহিলা খেলাধুলার বিরুদ্ধে সেদিন দেওবন্দী খারেজীরা বেশ কিছু লম্ফঝম্ফ দেখিয়েছিল।

          কিন্তু তারপর কি এক অদৃশ্য ও রহস্যজনক কারণে তারা পর পর তিনজনেই চুপ মেরে যায়। বরং তারা পাল্টা জায়িয ফতওয়া দেয়! দৈনিক সংবাদে ছাপা হয়, “খতীব উবায়দুল হক এবং মৌলবাদী সংগঠন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ-এর নির্বাহী সভাপতি মাওলানা মুহিউদ্দীন খান ওরফে মাহিউদ্দীন বাংলাদেশে প্রথমবারের মত মহিলা কুস্তি অনুষ্ঠানের জন্য অনুমতি দিয়েছে।” (দৈনিক সংবাদ ১ম পৃষ্ঠা, ২২শে জুলাই’০৪)

          উবাই, মাহিউদ্দীন গং সেদিন বিশেষ পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশে প্রথমবারের মত বা একবারের জন্য অনুমতি দিচ্ছে বলে জানায়। এরপরে এধরনের মহিলা খেলাধূলা কখনই তারা হতে দিবেনা। বরদাশত করবেনা বরং দুর্বার আন্দোলন ও প্রতিরোধ গড়ে তুলবে বলে ঘোষণা দেয়।

          কিন্তু উবাই মাহিউদ্দীন গং এর লম্ফঝম্ফ প্রদর্শন সেবারেই শেষ হয়ে যায়।া এরপর উত্তরোত্তর মহিলা খেলা আরো বাড়তে থাকে।

          গত ১৮ জুলাই মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত এসিসি মহিলা ক্রিকেটে বাংলাদেশ মহিলা ক্রিকেট দল বিজয় লাভ করে। এ প্রসঙ্গে রিপোর্ট হয়-

এসিসি মহিলা ক্রিকেটে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন

          এনএনবিঃ এসিসি মহিলা ক্রিকেটে বাংলাদেশ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহিলা ক্রিকেটে এটাই প্রথম অংশগ্রহণ এবং প্রথম চুর্নামেন্টে অসাধারণ সাফল্য তুলে এনেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। মালয়েশিয়ার জহর ক্রিকেট একাডেমীতে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টে গতকাল ফাইনালে বাংলাদেশ দল ৮ উইকেটে নেপাল দলকে পরাজিত করে।

          এসিসি মহিলা ক্রিকেটে বাংলাদেশ দল সেমিফাইনালে স্বাগতিক হংকংকে ৫৮ রানে হারায়। এসিসি ক্রিকেটের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৮৯ রানে জয়লাভ করে। ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারায় ১০ উইকেটে। তৃতীয় ম্যাচে সিঙ্গাপুরকে একই ব্যবধানে হারায় বাংলাদেশ মহিলা ক্রিকেট দল। এরপর কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশ দল চীনকে ৮৭ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা লাভ করে।

ক্রীড়া উপদেষ্টার অভিনন্দন

          যুব ও ক্রীড়া, বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ, খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা তপন চৌধুরী এশিয়া ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) মহিলা ক্রিকেট টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ প্রমীরা ক্রিকেট দল অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় দলের খেলোয়াড়, কোচ ও কর্মকর্তাদের আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

এনএসসির চেয়ারম্যানের অভিনন্দন

          জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) এর চেয়ারম্যানের এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল মইন ইউ আহমেদ এনডিসি, পিএসপি, এশিয়া ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) মহিলা ক্রিকেট টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ প্রমীলা ক্রিকেট দল অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় দলের, খেলোয়াড় কোচ ও কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।

যুব ও ক্রীড়া সচিবের অভিনন্দন

          যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ডাঃ মোঃ গোলাম মোস্তফা তালুকদার বাংলাদেশ প্রমীলা ক্রিকেট দল এসিসি মহিলা ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় দলের খেলোয়াড়, কোচ ও কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।

এসিসি মহিলা কাপ জয়ী বাংলাদেশ দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

          ইউএনবিঃ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এসিসি মহিলা ক্রিকেটের শিরোপা জয়ে বাংলাদেশ প্রমীলা দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। গতকাল বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক তাজকিয়া আক্তারকে পাঠানো এক বার্তায় প্রধান উপদেষ্ঠা বলেছেন, এ জয় বিশ্বে আমাদের দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।পাশাপামি এ জয়ে বাংলাদেশের মানুষ আনন্দিত ও উল্লাসিত। পাঠানো বার্তায় তিনি এসিসি কাপে অংশ নেয়া বাংলাদেশের মহিলা দলের সদস্য, কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ এবং ভবিষ্যতে এ জয়ের ধারা অব্যাহত রাখার আহবান জানান।

          প্রথমবারের মতো এমিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল মহিলা ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করে। মালয়েশিয়ায় প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ও স্বাগতিক দেশসহ মোট ৮টি দেশ এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। দেশগুলো হলো নেপাল, বাংলদেশ, হংকং, চীন, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, আরব আমিরাত, থাইল্যান্ড।

          উল্লেখ্য, সেনাবাহিনী প্রধান থেকে প্রধন উপদেষ্টা সবাই এই মহিলা ক্রিকেট দলকে ব্যাপক সংবধৃনা দিয়েছে। তার মানে মহিলা খেলাধুলা এখন সারাদেমে জাতীয়ভাবে এত বেশী হচ্ছে যে মহিলারা এখন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও প্রথম পুরস্কার লাভ করেছে।

          প্রসঙ্গত আরো উল্লেখ্য যে, মহিলা খেলাধূলা বিষয়ক খবর যদিও প্রতিদিনই পত্র-পত্রিকায় ফলাও করে ছাপা হচ্ছে এমনকি এসিসি ক্রিকেটে বিজয় লাভকারী মহিলা দল সম্পর্কেও পর্যায়ক্রমিক রিপোর্ট হয়েছে। এখানে তার কয়েকটি শিরোনাম উল্লেখ করা গেল,

প্রমীলা ক্রিকেট দল আজ মালয়েশিয়া যাচ্ছে। (যুগান্তর ০৫-০৭-০৭)

          খেলা নয় যেন ছেলেখেলা; বাংলাদেশ মহিলা ক্রিকেটাররা এক উইকেটে হারালেন ইউ.এই.কে (যুগান্তর ১২-০৭-০৭)

          বাংলাদেশে মহিলা দলের খেলা। (সমকাল ১১-০৭-০৭)

সেমিফাইনালে মহিলা দল

(সমকাল ডেস্ক)

          প্রথম সফরেই বাজিমাত মহিলা ক্রিকেট দল। (সমকাল)

          আবারো জিতেছে মহিলা ক্রিকেট দল। (যায় যায় দিন-৪/০৭/০৭)

          উল্লেখ্য, পত্রিকার পাতায় আন্তর্জাতিক অঙ্গণে মহিলা ক্রিকেট দল সম্পর্কে এরূপভাবে খবর আসার পরও সেদিনের লম্ফঝম্ফ প্রদশৃনকারী উবাই-মাহিউদ্দিন গং কোন টু শব্দ করেনি। আদৌ প্রতিবাদ জানায়নি।

          অথচ তাদের নাকের ডগার উপর ঘটে যাচ্ছে একের পর এক সব ঘটনা।

          শুধু ক্রিকেট আর কুস্তি নয়; এমন কিছু নেই যাতে জাতীয় পর্যায়ের নামে মহিলাদের প্রদশৃন করা না হচ্ছে। এখন পত্রিকার পাতা খুললেই সারাদেশ ব্যাপী মহিলা খেলাধূলার ব্যাপক খবর পাওয়া যাচ্ছে। প্রসঙ্গতঃ তার কিছু উদাহরণ দেয়া গেল-

খবরে এসেছে-

বেসিক ব্যাংক মহিলা হ্যান্ডবল কাল শুরু

          এনএনবিঃ বেসিক ব্যাংক ১৮তম জাতীয় মহিলা হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতা কাল বুধবার ধানমন্ডিস্থ মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স শুরু হচ্ছে। দুই বছর পর মহিলা হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পূর্বে এ প্রতিযোগিতার পৃষ্ঠপোষক ছিল ট্রান্সকম বেভারেজ লিমিটেড। কিন্তু দুই বছর ওই প্রতিষ্ঠান পৃষ্ঠপোষকতা না করায় এবং অন্যান্য কারণে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। এবার যদিও হচ্ছে আর্থিক সংগতির সাথে তাল মলিয়ে ২ লাখ ৫৬ হাজার টাকার বাজেটের এ প্রতিযোগিতায় বেসিক ব্যাংক দিচ্ছে ২ লাখ টাকা। ১৬টি দল অংশগ্রহণ করছে ৪টি গ্রুপে।

          উল্লেখ্য, জাতীয় মহিলা হ্যান্ডবলে উত্তরবঙ্গের (রাজশাহী) দলই বেশী। টুর্নামেন্টের ১৬টি দলের মধ্যে ৬টি জেলাই উত্তরবঙ্গের। ঢাকা বিভাগ থেকে খেলছে ৪টি দল।

জাতীয় মহিলা হ্যান্ডবলে বিজেএমজি’র শিরোপা অক্ষুণœ

          ইউএনবি: বেসিক ব্যাংক ১৮তম জাতীয় মহিলা হ্যান্ডবল চ্যাম্পিয়নশিপে বিজেএমনি তাদের শিরোপা অক্ষুণœ রেখেছে। মঙ্গলবার আউটার স্টেডিয়ামে হ্যান্ডবল কোর্টে অনুষ্ঠিত ফাইনাল ম্যাচে তারা ১৪-১১ গোলে গতবারের রানার্স-আপ আনসার ও ভিডিপিকে পরাজিত করে। প্রথমার্থে বিজয়ী দল ১০-৭ গোলে এগিয়ে থাকে।

          বিজেএমসি’র পক্ষে সাদিয়া খাতুন পাঁচ গোল এবং ডালিয়া আক্তার তিন গোল দেন। অন্যদিকে আনসার ও ভিডিপি’র পক্ষে হাসি করেন তিন গোল।

          প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অধিকারিণী ঢাকা জেলা দলের আক্তারুন্নেছা এবার সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন। ফাইনাল ম্যাচ শেষে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বেসিক ব্যাংকের এমডি ডা. এ এইচ ইকবাল হোসেন বিজয়ী দলের হাতে ট্রফি তুলে দেন।

আন্তঃজেলা মহিলা কাবাডি শুরু আজ

স্পোর্টস রিপোর্টারঃ

          প্রথম বারের মতো আন্তঃজেলা মহিলা কাবাডি প্রতিযোগিতা আজ থেকে শুরু হচ্ছে। সকালে ধানমন্ডির মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে কয়েকটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হলেও প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করাহবে বিকালে। পল্টন ময়দান সংলগ্ন কাবাডি কোর্টে বিকাল ৪ টায় টাঙ্গাইল ও খুলনা জেলার মধ্যকার ম্যাচ দিয়েই এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন ঘোষণা করা হবে। এ সময় কাবাডি ফেডারেশনের সভাপতি ও পুলিশের আইজিপি নূর মোহম্মদের স্ত্রী বেগম ইশমত নূর প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে টুর্নামেন্টের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। আর এ ম্যাচের মধ্য দিয়েই খেলোয়াড়দের বহু প্রতিক্ষিত কাবাডি টার্ফেরও উদ্বোধন হবে।

          কয়েক মাস আগেই কোরিয়া থেকে এ কৃত্রিম টার্ফ বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু এতোদিন এ টার্ফে কোনো ম্যাচ হয়নি। তাই প্রথমবারের মতো। আয়োজিত এ টার্ফে কোনো ম্যাচ হয়নি। তাই প্রথমবারের মতো আয়োজিত এ টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ব্যবহৃত হচ্ছে টার্ফ। এ প্রতিযোগিতায় মোট ১৩টি জেলা( ঢাকা, টাঙ্গাইল, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী, খুলনা, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নড়াইল, জামালপুর, রাঙামাটি, ফরিদপুর, মাদারীপুর ও গাইবান্ধা) অংশ নিচ্ছে। (যায়যায়দিন) ১৩/০৭/০৭)

জাতীয় মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপ ১ সেপ্টেম্বর

          এনএনবিঃ আগামী সেপ্টেম্বর মাসের ১ম দিনের মাঠে গড়াচ্ছে প্রথম জাতীয় মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ। এরপর অক্টোবর মাসে মহিলা ফুটবল লীগ ও স্কুল ফুটবল অনুষ্ঠিত হবে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই মহিলা ফুটবল লীগ ও স্কুল লীগের তারিখ চূড়ান্ত করবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের মহিলা ফুটবল কমিটি। গত রবিবার মহিলা ফুটবল কমিটিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কমিটির সদস্য সচিব কামরুন নাহার ডানা, মনজুর হোসেন মালু, গোলাম মোল্যা ও নাসরিন সাইদ ইস্কান্দার।

          কামরুন নাহার জানান, খুব শিগগিরই বাংলাদেশ সফরে আসছে উড়িষ্যা মহিলা ফুটবল দল।বাংলাদেশ সফরে তারা ৩টি প্রদর্শনী ম্যাচ খেলবে। পর্যায়ক্রমে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম, কমলাপুর স্টেডিয়াম, রাঙামাটি স্টেডিয়ামে প্রদর্শনী ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি জানান।

          উল্লেখ্য, এতসব আগাম ঘোষণার পরও এদেশের মৌসুমী ইসলামী আন্দোলকারীরা নিশ্চুপ, নিশ্চল, নিথর! মহিলা খেলার ঘোষণায় তারা যেরূপ লম্ফঝম্ফ দেখিয়েছিলেন আজকে নাকের ডগায় হাজারো মহিলা দেখা জাতীয়, আন্তর্জাতিকভাবে হওয়ার পরও তারা বেঘোরে দিবা নিদ্রা যাচ্ছেন? অথচ আজকের মহিলা খেলাধূলার এই ব্যাপক প্রচলনৈর পেছনে তারাই পূর্ণ দায়ী। কারণ তাদের গুরু থানভী, শফীসহ তারা সবাই খেলাধূলা জায়িয করেছে। নাউজুবিল্লাহ। উবাই-মাহিউদ্দীন চর্মনাই মৃত ফজলু সে যে প্রথমবারের মত কুস্তি আর ফুটবল জায়িয করেচে তার রেশ ধরে আজকে মহিলা ক্রিকেট, ফুটবল জাতীয় পর্যায় ছেড়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে।

          উবাই-মাহিউদ্দীন-ফজলুর দেয়া একবারের অনুমতি একবারেই থেমে থাকেনি। বরং তার বিস্তার এখন বিশ্বব্যাপী। ইসলামী দষ্টিকোণ থেকে এর দায়ভার মাহিউদ্দীন-উবাই-ফজলুকেই নিতে হবে। তাদের কাঁধেই সব গুণাহর বোঝা চাপবে। হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “যে কেউ একটা গুণাহর কাজের সূচনা করল অতঃপর যতজন লোক তাতে জড়িত হল তাদের সব গুণাহ প্রথম যে দেখিয়েছে তার কাঁধেই পড়বে। (নাউজুবিল্লাহ)

-মুহম্মদ মাহবুবুর রহমান, ঢাকা।

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৩২

কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-১৮

‘ক্লোজআপ ওয়ান তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ’- একটি সূক্ষ্ম ও গভীর ষড়যন্ত্রের প্রক্রিয়া অথচ নিশ্চুপ তথাকথিত খতীব, মহিউদ্দীন, আমিনী ও শাইখুল হাদীছ গং তথা তাবত ধর্মব্যবসায়ীরা- (১)

মওদুদীর নীতি থেকেও যারা পথভ্রষ্ট সেই জামাত- জামাতীদের জন্যও ভয়ঙ্কর মুনাফিক॥ আর সাধারণের জন্য তো বলারই অপেক্ষা রাখেনা

প্রসঙ্গঃ আমেরিকায় ইহুদী প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণ- ২