শ্যারন থেকে শরম নিন  ‘ইহুদী শ্যারনদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়া – আর ইসলামের নামে আপনাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড’- দু’য়ের মধ্যে পার্থক্য কোথায়?

সংখ্যা: ১৪৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

 “আমাদেরকে সরল পথে পরিচালিত করুন। তাদের পথে যাদেরকে নিয়ামত দেয়া হয়েছে। তাদের পথে নয় যারা গযবপ্রাপ্ত এবং বিভ্রান্ত।” সূরা ফাতিহার উপরোক্ত আয়াত শরীফের তাফসীর আপনারা এ যাবত করেছেন। বলেছেন নিয়ামত প্রাপ্ত বলতে এখানে নবী, ছিদ্দীক, শহীদ ও ছলেহগণের পথ বুঝানো হয়েছে। আর গযব প্রাপ্ত ও বিভ্রান্ত বলতে ইহুদী ও খ্রিস্টানদের বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ কিনা ইহুদী ও নাছারাদের পথ অনুসরণ করা যাবে না। সূরা ফাতিহা অনুসরনে এ কথাই আপনারা বলেছেন। কিন্তু তথাকথিত ইসলামী রাজনীতির নামে আপনারা কি করছেন? ১৯৮২ সালে লেবাননের সাবরা এবং শাতিলা শরণার্থী শিবিরে হামলাকারী ইহুদী নেতা শ্যারন এখন ইসরাইলে আলোচনার ঝড় তুলেছে। বিদেশী পত্র-পত্রিকান্তরে রিপোর্ট হয়েছেঃ “ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল শ্যারন গত ২১ নভেম্বর ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টি ত্যাগের আকস্মিক ঘোষণা দেন। শ্যারনের শীর্ষ উপদেষ্টা আসাফ শরিফ জানান, গাজা থেকে ইহুদী বসতি প্রত্যাহার নিয়ে লিকুদ পার্টির কট্টরপন্থি নেতাদের সাথে কয়েক মাস ধরে মন কষাকষির পর শ্যারন দল ত্যাগের এই নাটকীয় সিদ্ধান্ত নেন। এর আগে ইসরাইলের কোয়ালিশন সরকার থেকে মধ্যপন্থি লেবার পার্টি নিজেদের সরিয়ে নেয়ার পক্ষে ভোট দেয়। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শ্যারন প্রেসিডেন্ট মোশে কাতসভের প্রতি দেশের পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেয়ার আহ্বান জানান। বিভিন্ন দলের সাথে জরুরি বৈঠক শেষে প্রেসিডেন্ট আগামী ২৪ মার্চ ১২০ আসনের ইসরাইলি পার্লামেন্ট নেসেটের নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করেছেন। আগামী অক্টোবরে এই নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। এখন প্রেসিডেন্ট কাতসভ যে কোনো দিন পার্লামেন্টের স্পিকার রিউভেন রিভলিনকে ‘নেসেট’ভেঙ্গে দেয়ার আহ্বান জানাবেন। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে মন্ত্রিসভায় নতুন মন্ত্রী নিয়োগ নিয়ে শ্যারনের সঙ্গে লিকুদ পার্টিতে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। শ্যারন মনোনীত এহুদ ওলমার্ট, রনি বার অন, এবং জিয়েভ বোয়িম-এই তিন লিকুদ নেতাকে মন্ত্রিসভায় নিয়োগ দিতে বাধা দেয় লিকুদ দলের অধিকাংশ নেতা। তাদের অভিযোগ এরা শ্যারনের ঘনিষ্ঠ এবং দলে ভাঙন সৃষ্টির কাজে লিপ্ত। পরে ওলমার্ট এবং লেবার পার্টির সদস্য মাটান ভিলানিকে সর্বসম্মতভাবে মন্ত্রিসভায় নিয়োগ দেয়া হয়। দ্বন্দ্ব আরো চূড়ান্ত আকার নেয় যখন লেবার পার্টির নতুন প্রধান আমির পেরেজ শ্যারন সরকারের ওপর থেকে দলের সমর্থন তুলে নেন। তিনি অভিযোগ করেন, তার নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ইহুদিদের জীবনমান উন্নয়নে সরকার তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এমন পরিস্থিতিতে শ্যারন পার্লামেন্ট ভেঙে দেন এবং নতুন নির্বাচনের আহ্বান জানান। সেই সঙ্গে লিকুদ দল থেকেও পদত্যাগ করেন।”(সূত্রঃ ইন্টারনেট) উপরোক্ত সংবাদভাষ্য থেকে কয়েকটি বিষয় নির্ণীত হয়ঃ (ক) দল গঠন, (খ) দলে দ্বন্দ্ব হওয়া, (গ) দল বিভক্ত হওয়া, (ঘ) দলের উপর সমর্থন তুলে নেয়া, (ঙ) পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেয়া, (চ) নতুন দল করা, (ছ) নির্বাচন করা। মূলতঃ উপরোক্ত কালচারই এখন এদেশীয় তথাকথিত ইসলামী দলগুলোর মধ্যেই পূর্ণমাত্রায় দেখা হয়েছে। ইসলামের নামে জামায়াতে ইসলাম বলে মওদুদী ফির্কাভিত্তিক রাজনৈতিক দলা করা। ইসলামী ঐক্যজোট ভেঙ্গে চার টুকরা হয়েছে। জোট সরকারের উপর আমিনী গ্রুপের সমর্থন তুলে নিয়ে আবার হালুয়া-রুটির ভাগ পেয়ে আবার জোটের তোয়াজ করেছে, নারী নেতৃত্ব হারাম ফতওয়া দিয়ে আবার নারী নেতৃত্ব জায়েয করেছে, ’৯৬ এর পার্লামেন্ট থেকে তথাকথিত জামায়াতে ইসলামীর পদত্যাগ করেছে, আওয়ামী লীগের সাথে আঁতাত করে বি.এন.পির বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে, আবার বি.এন.পি’র সাথে আঁতাত করে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গিয়েছে, এম.পি-মন্ত্রী হয়ে রাজনৈতিক সুবিধা হাছিলের জন্য মূলতঃ ইসলামের নামে নির্বাচন করেছে। বলাবাহুল্য, ইসরাইলের ইহুদীদের রাজনৈতিক অবস্থান ও তৎপরতা এবং আমাদের তথাকথিত ইসলামী দলগুলোর অবস্থান ও তৎপরতার মধ্যে তাহলে পার্থক্য কোথায়? বিশেষত শ্যারনের দল সম্পর্কে আরো বলা হয়েছে, “অন্য দুটি দল যদি শ্যারনকে ছাড়া সরকার গঠনের চিন্তা করে তবে তা হবে হাস্যকর। শ্যারন নিজে নেতা হতে না পারলেও নেতা কিং মেকারের চাবিকাঠি তার কাছে থাকবে।”

উল্লেখ্য তথাকথিত জামায়াতে ইসলামীও সে একই প্রক্রিয়ায় নিজেদের বিক্রি করতে চায় তা বলার অপেক্ষা রাখে না। পাশাপাশি জামায়াতসহ সব ইসলামের নামধারী দলগুলোই নির্বাচনের ব্যাপারে একমত। অথচ হাদীছ শরীফে নির্বাচনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।  এ সম্পর্কে আগামী ২৪শে মার্চ ইসরাইলের ১২০ আসনের পার্লামেন্ট নেসেটের নির্বাচন ছাড়াও আরো একটি ঘটনা উল্লেখ্য। বলা হয়েছে, “অন্য যে ঘটনাটি ইসরাইলের রাজনৈতিক অঙ্গনকে প্রবল ঝাঁকুনি দিয়েছে, তা হলো লেবার পার্টির নেতার পদে আমির পেরেতজের নির্বাচন। প্রায় সব পক্ষেরই ধারণা ছিল ওই পদে সহজেই নির্বাচিত হচ্ছেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ শিমন পেরেজ।  কিন্তু সবার ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে ৪৩% ভোট পেয়ে দলের নেতা নির্বাচিত হন আমির পেরেতজ। শিমন পেরেজ পান ৪০% ভোট। অপর প্রার্থী সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনিয়ামিন বেন এলিজার পান ১৭% ভোট। পেরেতজের নেতা নির্বাচনকে দলের জন্য ইতিবাচক বলেই মনে করছেন বিশ্লেষ করা।” তাহলে দেখা যাচ্ছে নির্বাচন ইহুদীদের জীবনের সর্বাংশের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গরূপে একীভূত হয়েছে। যা তাদের শেয়ার বা বৈশিষ্ট্য তথা নিদর্শনরূপে গণ্য। আর সেই খাছ ইহুদী আমলকেই একনিষ্ঠভাবে আমল করে যাচ্ছে আমাদের তথাকথিত ইসলামী দলগুলো । যদিও তারা মুখে বলছে, “ওদের পথ দিয়োনা আল্লাহ পাক যারা গযব প্রাপ্ত ও বিভ্রান্ত অর্থাৎ যারা ইহুদী ও নাছারা।” হাদীছ শরীফে বলা হয়েছে, “তোমরা ইহুদী-খ্রীস্টানদের খেলাফ কর।” আর ইহুদী-খ্রীস্টানদেরই খাছ আমল হলো নির্বাচন করা। আর কার্যত ইসলামের নামধারী রাজনীতিকরা সেই ইহুদী-নাছারাদেরই প্রক্রিয়াই নির্বাচন করছে, তাদেরই নেতা মানছে। আর হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “যে যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখবে তার হাশর-নশর তাদের সাথেই হবে।” অতএব, ইসলামের নামধারী আজকের জামাত, ঐক্যজোট, শাসনতন্ত্র আন্দোলন, খেলাফত মজলিস ইত্যাদির হাশর-নশর কার সাথে হবে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।

-মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান, বাসাবো, ঢাকা।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের  দাঁতভাঙ্গা জবাব- ১৫

 বিৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বিৃটিশ ভূমিকা-১৫ 

কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-৩

চাঁদের তারিখ নিয়ে জাহিলী যুগের বদ প্রথার পুনঃপ্রচলন॥ নিশ্চুপ উলামায়ে ‘ছূ’ ঈদ, কুরবানীসহ জামিউল ইবাদত হজ্জও হচ্ছে বরবাদ

শুধু ছবি তোলা নিয়েই বড় ধোঁকা নয়, গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্র চর্চা করে “ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের” নামেও তিনি মহা ধোঁকা দিচ্ছেন