সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ‘আবু দাউদ শরীফে’ রিশাদ ফরমান, “নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক প্রত্যেক হিজরী শতকের শুরুতে একজন মুজাদ্দিদ পাঠাবেন। যিনি উম্মতের মাঝে জমে থাকা বেশরা বিদয়াত দূর করবেন।”
উল্লেখ্য, বাংলা ভাষার ব্যবহারে মুসলমানদের সম্পৃক্ততার কাল হতে অদ্যবধি মুসলমানরা সপ্তাহের বারগুলো যে নামে উচ্চারণ করে আসছেন তর সাথে যুক্ত রয়েছে খাছ অনৈসলামী তাবধারা ও অনুষঙ্গ তথা হিন্দুয়ানী চেতনা ও অর্চনা। সে সম্পর্কে একমাত্র মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি ছাড়া কেউই ফিকির করেননি।
সপ্তাহের বারগুলোর নামকরণ সম্পর্কে বিভিন্ন ইতিহাসগ্রস্থ ও বাংলা অভিধান থেকে যা জানা যায়, এশিয়ায় প্রাচীনকালে গ্রহের প্রভাবের ধারণা হইতে গ্রহসপ্তাহ হিসাবে সাতদিনের সপ্তাহের প্রচলন হইয়াছে বলিয়া অনুমান করা হয়। ঐ সময় শ্রমাত্মকভাবে সূর্য, চন্দ্র, মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিগ্রহ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করিতেছে বলিয়া বিশ্বাস করা হইত। দেবতাদের নাম অনুসারেই গ্রহের নাম হয় এবং কুনসুট্যানৃটাইন কর্তৃক খ্রিস্টান সপ্তাহ প্রবর্তনের পরও পূর্বের নামগুলি রহিয়া যায়।
অধিকাংশ ভাষারই ল্যাটিন কিংবা উহার সহিত সাদশ্যপূর্ণ দেবদেবীর নামের অনুবাদ হইতে দিবসমূহের নাম গৃহীত। ইংরেজী দিনগুলি (অধিকাংশই প্রাচীন জার্মান দেবদেরীর নামানুযায়ী) নি¤œরূপ: ডিয়েস সলিস (সানস ডে) সানএড, ডিয়েস লুনা (মুনস ডে) মানডে, ডিয়েস মার্টিস (মার্স ডে), টিউমুডি (টিউস ডে), ডিয়েস মারকিউরি (মারকিউরিস ডে), ওয়েনেসডে (উডানস ডে), ডিয়েস জ্যেডিস জোডস বা জুগিটাস তে), থার্সডে (ধরস ডে), ডিয়েস ডেনারিস (ভেনাস-এস ডে), ফ্রাইডে (ফ্রিগস ডে), ডিয়েস স্যাটার্নি, স্যাটার্ডে (স্যাডার্নস ডে)। বাংলা দিবসগুলির নাম নি¤œরূপ; রবি, সোম, মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি, শুক্র ও শনি।
নি¤েœ অভিধানগুলোতে বারগুলোর বর্ণনায় যা াছে তা উল্লেখ করা গেলো;
সোমবার: চন্দ্র। ২ বসবি। ৩ মহাদেব, শিব। ৪ বম। ৫ কুবের। ৬ বায়ু। ৭ পর্বত। ৮ বানর বি। ৯ বার বি ১০ সোমলতা। ১১ জল। ১২ অমৃত। ১৩ কর্পূর। ১৪ বৈদিক) সুরা। ‘অনন্তর ক্ষত্রিয়ের হস্তে সুরাপুর্ণ কাংশপাত্র স্থাপন করিবে। অহে সোম অতিশয় যাদু ও মাদক তোমার ধারা দ্বারা এই যজমানকে পূত কর। তুমি ইন্দ্রিয় পানের জন্য অভিযুত হইয়াছ। ১৪ সুরা হতে পৃথক পানীয় সোমলতার রস। অহে সুরা ও সোম তোমাদের জন্য দেবগণ পৃথকরূপে স্থান কল্পনা করিয়াছেন। তুমি তেজম্বিনী সূরা। আর ইনি রাজা সোম। তোমরা আপন আপন স্থানে প্রবেশ কর…….. এই মন্ত্রে সোমপান ও সুরাপান উভয়কে পৃথক করা হইতেছে। ঐ সুরাপানের পর যে ব্যক্তিকে আপনার রাতি ধেনদাতা, মিত্র। (আরতি দ্র:) বলিয়া মনে করিবে তাহাকেই পানের পর অবশিষ্ট সূরা দান করিবে। ইহাই এইরূপে উভয়ে মিলিয়া একপাত্রে সুরাপান) মিত্রতেুর অনুকূল; এতদ্বারা ঐ সুরাকে পানান্তে মিত্রেই প্রতিষ্ঠিত করা হয় ও পানকারীও মিত্রে প্রতিষ্ঠিত হন। ১৫ ( সৌম্যন্ত সুন্দরে দৈব্যতে- অমর) মনোজ্ঞে সোম দৈবতাকে বিন রমণীয়, সৌম্য, মনোজ্ঞ, সুন্দর। রস- সোমলতার রস। ক্ষয় (৯ সোমের (চন্দ্রেয়) ক্ষয় হয় যে সময়ে) বি. উভয় সমুদ্র স্থিত অলঙ্ঘ্য পর্বত। ২ (রামা মতে) উভয় সীমান্তে অবস্থিত পর্বত; হিা দেবাদিদের শঙ্করের আলয়। জ সোম (চন্দ্র) হতে জ (উৎপত্র)) বিণ, চন্দ্রোদ্ভুত, চন্দ্রজাত,। ২ বি, বুধগ্রহ, ৩ গজ, ৪ দুগ্ধ, তীর্থ, সোম (চন্দ্রের)। সোম: সোমলতার রস। শ্রীকৃষ্ণের অস্ত্য লীলাক্ষেত্র।
মঙ্গলবার: বি, শুভ, হিত, কল্যাণ, (মঙ্গল হউক, মঙ্গলা, মঙ্গাল সংবাদ) কুত্যগ্রহ, ভৌমগ্রহ, লৌকিক দেবতাদ্বের কাহিনী ও মহাত্ম বিষয়ক কাব্য বিশেষ (মনসা মঙ্গল, চন্ডী মঙ্গল।
মঙ্গল: [মনৃগ (গমনে) – অল (র্ত্তৃ)। প্রাদে চট্টল, মঁঅল] বি.মহেঙ্কর; পরম দেবতা। ২ মঙ্গলগ্রহ, কুজ্রহ, ৩ মঙ্গলবার ভৌমবার ৪ শুভ কল্যাণ। ‘মঙ্গল তোমার নাম, মঙ্গল তোমার খাম, মঙ্গল তোমার কার্য তুমি মঙ্গল নিখাম। ৫ মাহাত্ম: দেবদেবীর অতি গীতি। এ অনুদামঙ্গল । হরিনাম মঙ্গল, ঔঠিল চতুর্দিকে! ৬, সুনিমিত। বামে শব; শিবা, কুন্ড, দক্ষিণে গো, মৃগ। দ্বিজ, সম্মুকে উত্তমা স্ত্রী, দক্ষিনাবর্ত্ত শঙ্খ ইতাদি সুনিমিত্ত বলিয়া পরিগণিত। জাতক ৪র্থ খ- টিকা। ৭ বিণ শুভদায়ক। ৮ সূলক্ষণযুক্ত, সচরাচর রাজার ব্যবহার্য্য দ্রব্যের নামের পূর্কো ‘মঙ্গল’ শব্দ ব্যবহৃত হইত যথা, মঙ্গলাশ্ব, মঙ্গলহন্তী, মঙ্গলাসন ইত্যাদি। উৎকৃষ্ট, জাতীয় সিন্ধুদেমীয় ঘেটকরূপে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন এবং বারাণসীরাজের মঙ্গলাশ হইয়াছিলেন। স্ত্রী! ক্ষোমঙ্করী, দুর্গা, [খনিজ পরি- কামনা, শুভ প্রার্থনা]
বুধ: {বুধ (জানা) + অ (র্ত্তৃ), যে সকল জানে) বি, বুধগ্রহ-
২. {পু) চন্দ্রের পুত্র। ৩. প-িত; জ্ঞানী। ‘তবে মন্ত্রী সারণ সচিব শ্রেষ্ঠ বুধ। -মেঘ-।
৪. বুধবার; চক্র-বুধের বাণ্যাদি সঞ্চর চক্র বি: চার- বুধের শুভাশুভ সূচক সঞ্চার। বার-বি, মঙ্গলের পরবর্তী (বুধগ্রহের) দিবস- রতœ- বুধগ্রহের প্রীতিজনক মণি; মরকত মণি। – বুধাষ্টমী- বুধবারে শুঙ্কা অষ্টমী ( চৈত্র পৌষ এবং হরিশয়ন অর্থাৎ আষাঢ় হতে কার্ত্তিক ভিন্ন)।
বৃহস্পতি: [ বৃহৎ শ্রেষ্ঠ) পতি (প্রভু) ৬তৎ ৎ = স। কিংবা বৃহতী (বাক্য) পতি, ৬তৎ, নিধাতন, বাক্যের অধিপতি। গ্রা- বিস্পতি, বেস্পতি। নারীভাষার ‘বেরোস্পতি’। পু-ব= (চট্টলাদি অঞ্চলে) বিস্যুৎ। ‘বিস্যুৎবারের বার বেলা’- দ্বি-রায়] বি. সুরশুরু; দেবতাদিগের আচর্য্য। ২ ধর্ম্মশাস্ত্র প্রণেতাগণের অন্যতম। ৩ [সুরাচার্য্য বৃহস্পতির তুলনায়) বাচস্পতি; মহাপ-িত; বিদ্যাবিশারদ। প্র-বিদায় বৃহস্পতি। ৪ ( জ্যো-) নবগ্রহের পঞ্চম গ্রহ, ৫ চাবর্বাক দর্শনকার মুনিবি:।
এ সম্বন্ধে মতভেদ আছে। ৬ সপ্তাহের পঞ্চম দিন। চক্র-ফলিত জ্যোতিবাণুমোদিত আষ্কিত মরদেহ। ২-৬ বর্ষব্যাপী কালচক্র। বার (প্রাদে- ঢাকা অহ্চলে বিস্যইদবার। ময়মনসিংহে বিস্যুইদবার, নবদ্বীপ, হুগলী অঞ্চলে বিষ্যুদবার) রবিবার হতে গণনা করিয়া সপ্তাহের পঞ্চম দিবস। সুত- বি, বৃহস্পতিবার পুত্র চক। সূত্র- বি বৌদ্ধদিগের ধর্ম্ম- শাস্ত্র বি:। কোন কোন মতে চাবর্বক মুনি ও বৃহস্পতি একই ব্যক্তি। বৃহস্পতির দুশা- বি, বৃহস্পতি গ্রহের দশা।
শুক্রবার: শুচ (শুচি হওয়া+ র (জ্ঞ) বি,গ্রহ বি। ২ অগ্নি, ৩ গ্রা শুককুর (ল) বার্গব, শুক্রকাচার্য, ৪, জ্যৈষ্ঠ মাস, ৫, যোগ বি:, ৬ বীর্য্য, রেত: শরীরস্থিত বীর্য্যবন্ধক। জভু বিশ, শুক্র হতে উৎপন্ন। বার গ্রাম শুক্কুরবার শুক্র (গ্রহবি:) বার (দিন) তৎ বি, শুক্রগ্রহের খাদক। ২, বি মূষুর, শিষ্য বি দৈত্য দানব কাণাশুক্কুলা, পরিশি দ্র:)
শুক্রবার: গ্রহ বিশেষ, শুক্রতারা, দ্যৈগুরু শত্রু চার্য, রেত; বীর্য, শাং গাচার্ষ এই দিনের অধিদেবতা।
শনিবার: ইহুদীদের উপাসনার দিন। সাথে সাথে বিশ্বাসেরও দিন। সূর্য্যতনয়; সপ্তম গ্রহ (ছায়া ইহার জননী)। শনি গ্রহের ভোগ্যদিন, সপ্তাহের শেষ দিন। শনি আশ্রয় করা যার ফলে লোক শ্রীভ্রষ্ট, ধনে বঞ্চিত ও বিপন্ন হয়। শনি গ্রহের প্রীতকর বলিয়া এই মাস। শনিবার- শনি গ্রহের ভোগ্য দিন; রবিবার হতে আরম্ভ করিয়া সপ্তাহের শেষ দিন।
শনি: সূর্যপুত্র। অশুত গ্রহ বিশেষ (শনির প্রবেশ) সপ্তাহের বার বিশেষ, শত্রু সর্বনাশাকারী।
রবিবার: খ্রিস্টানদিগের বিশ্রামবার ও উপাসনারও দিন। সোমবার হইতে যে সপ্তাহ আরম্ভ হয় তাহার শেষ দিবস।
রবি- ( রু (শব্দ করা) + ই (র্ত্তৃ-জ্ঞ=) যে অবিরাম শব্দ করে। বি, সুর্য্য (নিয়ত বিঘুর্ণিত ও শব্দায়মন বলিয়া) চাঁদের কি এমনিবরণ ঢেকেছে রবির কিরণ হ্যাঁগো চন্দোদরে মলিন কি হয় দিনমণি। গগণের থলে রবি চন্দ্র দীপক জ্বলে।
উপরোক্ত তথ্যসূত্র হতে প্রতিভাত হয় যে, আসলে দিবসগুলোর নাম হিনদুদের ধ্যান-ধারণা হতে উৎসারিত। হিন্দুরা তাদের পৌত্তলি ধারণায় গ্রহের নামকরণ করত এবং উল্লিখিত দিনগুলোকে উক্ত গ্রহগুলেঅর জন্য পূঁজার বা ভোগদানের জন্য নির্দিষ্ট করে নিয়েছিলো।
সুতরাং মুসলমান হিসেবে এসব নামকরণের সাথে সম্পৃক্ত হওয়া তার মুসলমানিত্বের খিলাফ। ইসলামী অনুভুতি ও উপলব্ধির খিলাফ।
বলাবাহুল্য, এ বিষয়টিতে এযাবত আর কারো নজদারিতে পড়েনি। কিবলমাত্র, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি এ বিরাট বিদয়াত নির্মূল করছেন। তিনি সাপ্তাহিক বারের নামগুলো আরবীতে উচচারণের তাজদীদ করছেন। হাদীছ শরীফ-এর বরাতে তিনি বলেন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমরা তিনটি কারণে আরবীকে মুহব্বত করো। আমি আরবীভাষী, পবিত্র কুরআন শরীফ-এর ভাষা আরবী এবং জান্নাতবাসীদের ভাষা হবে আরবী।”
আর হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ হিজরী সন অনুযায়ী বৎনরম সান ও বার গণনা করেছেন। যা আল্লাহ পাক উনার নিয়ামতের অন্তর্ভুক্ত। তাই হিজরী সন অনুযায়ী বৎসর, মাস ও বার গণনা করাই সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত।
বলাবাহুল্য, মুজাদ্দিদে আ’যম, মুহইস সুন্নাহ, আওলাদে রসূল, রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি সে সুন্নত জিন্দাহ করনেই বেমেছাল যোগ্যতাধারী ও গায়েবী মদদপ্রাপ্ত। উনার ুছীলায়ই এ সুন্নত জিন্দা হচ্ছে ও হবে ইনশাআল্লাহ।
সে ধারাবাহিকতায় দৈনিক আল ইহসানে সপ্তাহের আরবী বারগুলেঅর নাম ইতোমধ্যে ছাপা হয়েছে এবং এ বিষয়ে আরো ব্যাপক লেখালেখি হবে ইনশাআল্লাহ! প্রসঙ্গত এ নিবন্ধেও সপ্তাহের দিনগুলেঅর আরবী নাম উল্লেখ করা গেলো-
ইয়াওমুল ইছনাইনিল আ’যমী= {সোমবার)। ‘ইছনাইনি’ শব্দের ‘হামযা’কে ধের যোগে, ‘ছা’কে সাকিন করে, প্রথম ‘নূন’কে যবর এবং ইয়াকে সাকিন যোগে এবং শেষের ‘নুন’ বর্ণকে যবর ও ‘য’ বর্ণকে যের দিয়ে পরের ‘ইয়া’ বর্ণকে সাকিন করে এবং ‘মীম’ বর্ণকে যের দিয়ে পড়তে হবে।
ইয়াওমুছ ছুলাছায়ি= (মঙ্গলবার)। ‘চ’লাছায়ি’ শব্দের প্রথম ‘ছ’ বর্ণকে পেশ যোগে, লাম বর্ণকে যবর যোগে এবং ‘ছা’ বর্ণকে আলিফসহ যবর যোগে এবং শেষ বর্ণ ‘হামযা’কে যের দিয়ে পড়তে হবে।
ইয়াওমুল আরবিয়ায়ি= (বুধবার)। ‘আরাবিয়ায়ি’ শব্দের ‘হামযা’কে যবর দিয়েত, ‘র’ বর্ণকে সাকিন করে এবং ‘বা’ অক্ষরকে যের দিয়ে ‘আ’ইন’কে আলিফের সাথে যবর যোগে এবং শেস বর্ণ ‘হামযা’ ধের দিয়ে পড়তে হবে।
ইয়াওমুল খামীস = ( বৃহস্পতিবার)। “খামীস” শবেদর ‘খ’ অক্ষরে যবর, ‘মীম’ বর্ণের নিচে বের দিয়ে ‘ইয়া’কে সাকিন এবং ‘সীন’কে যের যোগে পড়তে হবে।
ইয়াওমুল জুমুয়াতি= (শুক্রবার)। ‘জুমুয়াতি’ শব্দের ‘জীম’ ও ‘মীম’ বর্ণদবয়ে পেশ যোগে এবং ‘আইন’ বর্ণকে যবর যোগে এবং শেষের ‘তা’ বর্ণকে যের দিয়ে পাঠ করতে হবে।
ইয়াওমুস সাবতি= (শনিবার)। প্রতিবারেই (ইয়াওমু) শব্দের “ইয়া’র উপর যবর এবং ‘ওয়াও’ এর উপর সাকিন করে, ‘মীম’ বর্ণকে পেশ যোগে পড়তে হবে। ‘সাবতি’ শবেদর ‘ছীন’ অক্ষরে যবর এবং ‘বা’ অক্ষরে সাকিন এবং শেষ বর্ণ ‘তা’কে যের দিয়ে পড়তে হবে।
ইয়াওমুল আহাদি= ( রোববার)। ‘আহাদি’ শব্দের হামযাহ ও ‘হা’ বর্ণকে যবর এবং শেস অক্ষর ‘দাল’কে যের দিয়ে পড়তে হবে।
( বি: দ্র: – ইওয়ামুল শব্দটি প্রতিবারেই মুদাফ হিসেবে এসেছে এবং এ কারণই শেষের ‘মীম’ অক্ষরে পেশ যোগে এবং পরবর্তী শব্দটি ‘আলিফ লাম’ যোগে মুদাফ ইলাইহি হিসেবে শেষ অক্ষরে যের যোগে পড়তে হবে।
মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “হে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনি (আমার বানদা আপনার উম্মতদেরকে) জানিয়ে দিন যে, যদি তোমরা আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত করতে চাও, তাহলে আমি রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পূর্ণ অনুসরণ-অনুকরণ তথা ইতায়াত করো।”
উক্ত আয়াত শরীফ-এর মাধ্যমে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো যে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইতায়াত তথা অনুসরণ-অনুকরণের মাধ্যমেই বা সুন্নত পালনের দ্বারা মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত-মারিফাত ও মাগফিরাত হাছিল করা সম্ভব।
আর বলঅর অপেক্ষা রাখেনা যে, হিন্দুয়ানী চেতনাসমৃক্ত বারগুলোর নাম উচ্চারণ করার পরিবর্তে আরবীতে নাম উচ্চারণ করার মাধ্যমেই আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সন্তুষ্টি হাছিল তথা বিজাতীয় ও বিধর্মীয় তাছির থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। কাজেই সে লক্ষ্যে আমাদের সবারই উচিত, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মা, কুতুবুল আলম, মুহসি সুন্নাহ, আওলাদে রসূল, রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার এ মহান তাজদীদ গ্রহণকরত: নিজেদের ঈমান রক্ষা করা তথা হিন্দুয়ানী অর্চনা থেকে নিজেকে হিফাজত করা।
-মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান, ঢাকা।
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৩২