সব প্রশংসা মহান আল্লাহ পাক-এর জন্য। যিনি একটি গুপ্ত ধনভাণ্ডার ছিলেন। তাঁর আসমা ও ছিফাতের বিকাশ হল, মাখলুকাতের মূল- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি অসংখ্য দুরূদ ও সালাম। যাঁর আগমনের দিন হিসেবে, ‘বারই রবিউল আউবান’, কুল মাকাতে সর্বাপেক্ষা সম্মানিত ও সমাদৃত। মুসলিম জাহানে যে দিনটি ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রূপে হয় উদযাপিত ।
ঈদে মীলাদুন নবী ছরাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ঈদ কেবল বারই রবিউল আউয়ালে সীমাবদ্ধ নয় ! মুসলমানদের অন্য দু’টি ঈদ- ‘ঈদুল ফিত্ৰ’ ও ‘ঈদুল আযহা নির্দিষ্ট দিনে গণিভুক্ত থাকলেও, ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ‘ঈদ’ তথা খুশী প্রকাশের কেবল শুরুই রয়েছে। কিন্তু তার স্থিতি অনন্তকালের জন্য। নে খুশী প্রকাশ মহান আল্লাহ পাক-এর কাছে অত্যন্ত মকবুল আমলরূপে গৃহীত।
মূলতঃ ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপনের ঘনঘটা, ব্যাপকতা, প্রাচুর্যতা এমনকি দায়সারা মানসিকতা উম্মত হিসেবে সরদারে দো’জাহা, রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি আমাদের অন্তরের টানের তথা মহব্বতের মাপকাঠির সূচক নির্দেশ করে ।
যদিও কম সময়, কম আকূলধারী একটি মহল দূরভিসন্ধিমূলকভাবে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনের প্রতি বিষোদগার করে
থাকে।
তারা বলে, বিলাদত শরীফ পালন খ্রিষ্টানদের ‘ক্রিসমাস ডে’ এবং হিন্দুদের ‘জন্মাষ্টমী’ পালনের শামিল। সত্যিকার অর্থে কথাটি আদৌ শুদ্ধ নয় বরং অজ্ঞতামূলক। কারণ জন্ম-মৃতা বিয়েসহ কিছু মৌলিক বিষয়াদি আছে যা জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সবারই মানবিক অনুভূতি ।
জনা বা বিয়েতে আনন্দ এবং মৃত্যুতে শোক প্রকাশের অনুভূতিরে রুদ্ধ করা সৃষ্টির শান বিরোধী বা স্বভাব বিরোধী কাজ। হাদীছ শরীফে বলা হয়েছে, ‘ইসলাম ফিতরাতের ধর্ম বা স্বাভাবিকতার ধর্ম।
উল্লেখ্য যারা বলছে যে, খ্রিস্টানদের থেকে ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনের ধারা এসেছে তাদের স্বাদৌ কোন দলীল নেই। বরং ধর্ম প্রবর্তকের জন্মদিন স্থাপন প্রত্যেক ধর্মেরই স্বস্ব বৈশিষ্ট্য। এক্ষেত্রে মূলতঃ জন্মদিন উদযাপনে নিষেধাজ্ঞা নয় বরং উদযাপনের পদ্ধতিটি ইসলামী হয় কিন্তু সে বিষয়ে খেয়াল রাখা বাঞ্ছনীয়।
Oraganized religions, such as christianity, Islam and Hinduism celebrate the birth dates of their founders (Encyclopedia Americana)
“ খ্রিস্টানরা এবং হিন্দুরাও তাদের ধর্ম প্রবর্তকের নামে জন্মদিন পালন করে এজন্য ইসলামে করা যাবে না”- এ কথার উদাহরণটা হচ্ছে এরকম যে, খ্রিস্টান ও হিন্দু ধর্মে বাবা-মার প্রতি দায়িত্ব কর্তব্য পালনের কথা আছে। সুতরাং মুসলমান হতে হলে বাবা-মার প্রতি দায়িত্ব কর্তব্য বাদ দিতে হবে।
উল্লেখ্য, রেনেসাঁর যুগে খ্রিস্টানদের একটি মহল বরং ক্রিসমাস পালন করাকে অধর্মীয় মনে করত এবং এ অনুভূতির কারণে ১৬০০ সালে ইংল্যান্ড ও আমেরিকার কিছু অংশে তা নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়ে যায়।
During The Reformation Many Christians began to consider christmas a non religious customs. During the 1600’s, because of these feelings, Christmas was outlawed in England and in parts of the British colonies in America. (The World Bock Encyclopedia:3)
পাশাপাশি Encyclopaedia Britannica মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে এভাবে, Mawlid, also spelled MAWLUD or MILAD in islam especially the birthday of the Prophet Muhammad (Mawlid an-Nabi)
লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে যে, বিশ্বব্যাপী চালু খ্রিস্টানদের এই বৃহৎ রেফারেন্স বইয়ে স্পষ্টভাবেই উল্লেখ আছে যে, ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলতে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিলাদত শরীফকেই বোঝায়। অথবা মীলাদ বলতে বিলাদত সম্পর্কিত আলোচনাকেই বোঝায় মীলাদ শরীফ যে বরং খ্রিস্টানদের বিরোধী এল সে সম্পর্কেও খ্রিস্টানদের ঐ বইয়েই লেখা রয়েছে, The mawlid indeed betrayed a Christian influence.
উল্লেখ্য সেব দুনিয়াবী দলীলের বাইরে খোদ কুরআন শরীফেই নবী আলাইহিস্ সালামগণের আগমন দিন বা বিলাদত শরীফের দিন উপলক্ষে খুশী প্রকাশ করা সম্পর্কে বলা হয়েছে, তাঁর প্রতি সালাম (রহমত, বরকত ও সাকিনা) যেদিন তিনি আগমন করেন এবং যেদিন তিনি বেছাল শরীফ বরণ করবেন এবং যেদিন তিনি পুনরুত্থিত হবেন।” (সুরা মরিয়ম-১৫) “সালাম (রহমত, বরকত ও লাকিনা ) আমার প্রতি যেদিন আমি আগমন করেছি। যেদিন বেছাল লাভ করবো ও যেদিন জীবিত অবস্থায় পুনঃরুত্থিত হবো।” (সূরা মরিয়ম-৩৩)
বর্ণিত আয়াত শরীফদয়ে হযরত ইয়াহইয়া আলাইহিস সালাম ও হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম-এর আগমন, বেছাল শরীফ ও পুনঃরুত্থান প্রত্যেকটাই সালাম, রহমত, বরকত ও সাকিনার কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
যদি তাই হয়, তাহলে যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, রহমতুল্লীল আ’লামীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাগ্রাম, যাকে সৃষ্টি না করলে আল্লাহ পাক কিছুই সৃষ্টি করতেন না, তাঁর আগমন বিদায় ও পুনঃরুত্থান যে কতটুকু ছলাত, সালাম, রহমত, বরকত ও সাকিনার কারণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
উল্লেখ্য, রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেও নিজের বিলাদত শরীফের দিনকে মূল্যায়ন করেছেন। তিনি নিজেও নিজের বিলাদত শরীফের উপর খুশী হয়ে পরিণত বয়সে নিজের আকীকা নিজেই দিয়েছেন। এবং ইরশাদ করেছেন, “তোমরা সোমবার রোজা রাখ। কারণ, ঐদিন আমার বিলাদত শরীফ হয়েছে” (মুসলিম শরীফ)
মত রয়েছে যে, বাদশাহ মালিক মোজাফফর মীলাদ শরীফ উনার প্রবর্তক। আসলে তিনি এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। মূল প্রবর্তক ছিলেন শায়খ ওমর ইবনে মোল্লা মুহম্মদ মাওসেলী রহমতুল্লাহি আলাইহি। অপরদিকে মালেক বাদশাহ ছিলেন মিশরের প্রখ্যাত সুলতান গাজী সালাহউদ্দিনের স্ত্রীর ভাই। যিনি ছিলেন নেককার, আল্লাহওয়ালা। মীলাদ বিরোধীরা তাকে অন্যায়ভবে ফাসিক বানিয়েছেন। অথচ ঐতিহাসিক সত্য যে, সপ্তম শতাব্দীতে কুখ্যাত যালিম গভর্নর হাজ্জাজ বিন ইউসূফের পৃষ্ঠপোষকতায় কুরআন শরীফ-এ হরকতুযুক্ত করা হয়। আর আজকের ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বা মীলাদ বিরোধীরাও জাহিল হাজ্জাজের হরকত দেয়া কুরআন শরীফই পড়ে যাচ্ছে। যদিও যুদ্ধের ময়দান ছাড়াই হাজ্জাজ অন্যায়ভাবে এক লাখ বিশ হাজার লোককে হত্যা করেছে।
অতএব, যারা নেককার হওয়া সত্ত্বেও মালিক মোজফফর বাদশাহর প্রবতর্তিত মীলাদ শরীফ উনাকে অস্বীকার করতে চায় হাহলে কুরআন শরীফ-এ মহা যালিম হাজ্জাজের দেয়া হরকত তারা গ্রহণ করে কিভাবে? হাজ্জাজের করা হরকত গ্রহণ করেই তারা নিজেরা ইলম শিখছেন এবং তাদের ছাত্রদেরকেও দরস দিচ্ছেন। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী তাহলে মীলাদের আগে কুরআন শরীফ উনার হরকতকেই বা দিতে হবে।
একটি পরীক্ষিত সত্য এই যে, সব আউলিয়ায়ে কিরাম, অনুসরণীয় মুহাক্কিক আলিম তথা আশিকে রসূলগণ সবাই মীলাদ শরীফ উনাকে উচ্ছসিতভাবে গ্রহণ করেছেন আর ওহাবী, খারেজী, জামায়াতী, বিদয়াতী ও দুনিয়াদার ধর্মব্যবসায়ী আলিম তথা উলামায়ে ‘সূ’রাই মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়ামের বিরোধিতা করে।
প্রসঙ্গেত উল্লেখ্য যে, ওহাবী, সালাফী, খারিজী, লা-মাযহাবী, কাদিয়ানী, বাহাই, শিয়া ইত্যাদি অনেক বাতিল ফিরক্বার ভারে দিশেহারা সাধারণ মুসলমানের হতাশ জিজ্ঞাসা হচ্ছে ‘ইসলামের নামে এত ফিরকা কেন?’ আসলে মানুষ যেমন জাহান্নামী হবে এবং জান্নাতী হবে এটা যেমন স্বতঃসিদ্ধ তেমনি ইসলামের নামে অনেক ফিরক্বা দল, মত-পথ হবে তাও অনিবার্য সত্য। হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ মুবারক হয়েছে বণী ইসরাঈলে হয়েছে বাহাত্তর ফিরকা আর উম্মতে মুহম্মদীর মাঝে হবে তিয়াত্তর ফিরক্বা। তার মধ্যে কেবল একটিই হক্ব বা জান্নাতী আর বাকী সব জাহান্নামী।
মূলত ইসলামের নামে হাজারো দল, মত তথা ঐক্যজোট বা ফিরক্বা গ্রুপ এগুলো মুসলিম উম্মাহর জন্য চরম ফিৎনা স্বরূপ।
আফজালুন নাস বাদাল আম্বিয়া হযরত আবু বকর ছিদ্দীক আলাইহিস সালাম উনার হতে বর্ণিত, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, ‘অচিরেই বিভিন্ন ধরনের ফিৎনা দেখা দিবে। জেনে রাখ এরপর আরো বিভিন্ন ধরনের ফিৎনা দেখা দিবে। জেনে রাখ অতঃপর বিরাট ফিৎনা এসে হাজির হবে।’ (মিশকাত)
বর্তমান আখিরী যুগের ফিৎনা সম্পর্কে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আখিরী যামানায় মানুষ সকালে ঈমানদার আর সন্ধায় কাফির হবে। আবার সন্ধ্যায় ঈমানদার হবে কিন্তু সকালে কাফির হবে।” অর্থাৎ আখিরী যামানায় বেশরা-বিদয়াত বা বাতিল মতবাদের এত ব্যাপকতা থাকবে, এত গোমরাহির বিস্তৃতি থাকবে যে, মানুষের ইচ্ছায় অনিচ্ছায়, অজ্ঞানে, মুহূর্তে-মুহূর্তে ঈমান হারাবে। এরপর হয়তোবা তার মধ্যে ইসলামী অনুভূতি আসবে কিন্তু পরে আবার কুফরী মত সমর্থন করে কাফির হয়ে যাবে।
বলাবাহুল্য, এজন্য সর্বাংশে দায়ী বর্ণিত উলামায়ে ‘সূ’রাই। যেমন তারা আজকে ছবি তোলা জায়িয করেছে। মাওসেতুং এর লংমার্চ, গান্ধীর হরতাল, খ্রিস্টান প্রোটেস্ট্যান্ট এর মৌলবাদ, ইহুদী নাছারার নির্বাচন করছে, বেপর্দা হচ্ছে। এমনকি তারা মসজিদেও হারাম মহিলা জামায়াত জায়িয করার পাশাপাশি নারী নেতৃত্বও জায়িয করছে। ফলত, নারী নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মুসলমানদের আবহমানকালের যে অসহনীয় দৃষ্টিভঙ্গি ছিল তাতে ধ্বংস নেমেছে। এই সুযোগটি ইহুদী গোষ্ঠী লুফে নিয়েছে। ড: আমিনা তথা কমিনা ইহুদী তথাকথিত নামাযে ইমামতি করে নতুন ফিৎনা তৈরি করেছে।
উল্লেখ্য ড: কমিনা ইসলামের দৃষ্টিতে শুধু মুরতাদ তাই নয় বরং সেও একজন নব্য কাদিয়ানী। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন, আমার পরে ৭০ জন অর্থাৎ বহুসংখ্যক ভ- নবীর আবির্ভাব হবে মূলত: যারা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শরীয়তের খেলাফ মনগড়া মত বা ফতওয়া জারী করে তারা কার্যত নিজেরাই নতুন নবী দাবী করে। অর্থাৎ তারাও হুবহু কাদিয়ানীদের সমপর্যায়। এক্ষেত্রে ড: কমিনার সাথে সাথে হাজারো হারামকে হালালকারী তথাকথিত শাইখুল হাদীছ, মুফতী, মাওলানা, খতীব আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাসসিরে কুরআন এরা সবাই নব্য কাদিয়ানীর পর্যায়ভুক্ত হয়।
হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “হযরত হুযাইফা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, আমি আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বলতে শুনেছি, মানুষের অন্তরে ফিৎনাসমূহ এমনভবে প্রকাশ করে, যেমন আঁশ একটি পর আরেকটি বিছানো হয়ে থাকে। এবং যেই অন্তরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে তা প্রবেশ করে তাতে একটি কালো দাগ পড়ে। আর যে অন্তর তাকে স্থান দেয় না সেটাতে একটি সাদা দাগ পড়ে। ফলে মানুষের অন্তরসমূহ পৃথক পৃথক দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। এক প্রকার অন্তর হয় মর্মর পাথরের ন্যায় শ্বেতশুভ্র, যাতে আসমান ও যমীন বহাল থাকা পর্যন্ত (অর্থাৎ ক্বিয়ামত পর্যন্ত) কোন ফিৎনাই ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারবে না। পক্ষান্তরে দ্বিতীয় প্রকার অন্তর হয় কয়লার মত কালো। উপুড় হওয়া পাত্রের ন্যায়, যাতে কিছুই ধারণ করার ক্ষমতা থাকে না। তা ভালকে ভাল জানার এবং মন্দকে মন্দ জানার ক্ষমতা রাখে না ফলে কেবলমাত্র তাই গ্রহণ করে যা তার প্রবৃত্তির চাহিদা হয়।” (মুসলিম)
উল্লেখ্য, গান-বাজনা, বেপর্দা, বেশুরা, বেহায়া, অশ্লীলতার জোয়ারে প্রচ- ফিৎনার এ যুগে প্রবৃত্তির সংশোধনের জন্য হামিলু লিওয়ায়িল হামদ, হাবীবে আ’যম সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সার্বক্ষণিক রূহানী সংযোগ সমৃদ্ধ ও উনার মহান সুন্নত দ্বারা সুশোভিত মুকাম্মিলে আ’যম, মুজাদ্দিদে আ’যমের নেক ছোহবতের বিকল্প নেই।
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আযম, ঈদে আকবর, পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে সে মহান নিয়ামত নছীব করুন। (আমীন)