[সমস্ত প্রশংসা খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য এবং অশেষ-অসীম সম্মানিত ছলাত ও সালাম মুবারক সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ। মহান আল্লাহ পাক উনার, উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের খাছ রহমত, বরকত, সাকীনাহ, দয়া-দান, ইহসান মুবারক উনাদের কারণে “গবেষণা কেন্দ্র মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ” উনার ফতওয়া বিভাগ উনার তরফ থেকে বহুল প্রচারিত, হক্বের অতন্দ্র প্রহরী, বাতিলের আতঙ্ক, সম্মানিত ও পবিত্র কুরআন শরীফ, সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ, সম্মানিত ইজমা’ শরীফ এবং সম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের অকাট্ট দলীলের আলোকে প্রকাশিত একমাত্র দলীলভিত্তিক তাজদীদী মুখপত্র “মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ” পত্রিকায় যথাক্রমে- ১. টুপির ফতওয়া (২য় সংখ্যা) ২. অঙ্গুলী চুম্বনের বিধান (৩য় সংখ্যা) ৩.নিয়ত করে মাজার শরীফ যিয়ারত করা (৪র্থ সংখ্যা) ৪. ছবি ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় হারাম হওয়ার ফতওয়া (৫ম-৭ম সংখ্যা) ৫. জুমুয়ার নামায ফরযে আইন ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফতওয়া (৮ম-১০ম সংখ্যা) ৬.মহিলাদের মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামায পড়া মাকরূহ্ তাহ্রীমী সম্পর্কে ফতওয়া (১১তম সংখ্যা) ৭. কদমবুছী ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১২তম সংখ্যা) ৮. তাহাজ্জুদ নামায জামায়াতে পড়া মাকরূহ্ তাহরীমী ও বিদ্য়াতে সাইয়্যিয়াহ্ এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৩তম সংখ্যা) ৯.ফরয নামাযের পর মুনাজাত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৪-২০তম সংখ্যা) ১০. ইন্জেকশন নেয়া রোযা ভঙ্গের কারণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২১-২২তম সংখ্যা) ১১. তারাবীহ্-এর নামাযে বা অন্যান্য সময় কুরআন শরীফ খতম করে উজরত বা পারিশ্রমিক গ্রহণ করা জায়িয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৩-২৪তম সংখ্যা) ১২. তারাবীহ্ নামায বিশ রাকায়াত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৫-২৯তম সংখ্যা) ১৩. দাড়ী ও গোঁফের শরয়ী আহ্কাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩০-৩৪তম সংখ্যা) ১৪.প্রচলিত তাবলীগ জামায়াত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩৫-৪৬তম সংখ্যা) ১৫. আযান ও ছানী আযান মসজিদের ভিতরে দেয়ার আহ্কাম এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৪৭-৫০তম সংখ্যা) ১৬. দোয়াল্লীন-যোয়াল্লীন উনার শরয়ী ফায়সালা এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৫১-৫২তম সংখ্যা) ১৭. খাছ সুন্নতী টুপি ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৫৩-৫৯তম সংখ্যা) ১৮.নূরে মুহম্মদী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও উনার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৬০-৮২তম সংখ্যা) ১৯. ইমামাহ্ বা পাগড়ী মুবারকের আহ্কাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কিত ফতওয়া (৮৩-৯৬তম সংখ্যা) ২০.শরীয়তের দৃষ্টিতে আখিরী যোহ্র বা ইহ্তিয়াতুয্ যোহ্রের আহ্কাম এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৯৭-১০০তম সংখ্যা) ২১. জানাযা নামাযের পর হাত তুলে সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করার শরয়ী ফায়সালা ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১০১-১১১তম সংখ্যা) ২২.হিজাব বা পর্দা ফরযে আইন হওয়ার প্রমাণ ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১১২-১৩১তম সংখ্যা) ২৩. খাছ সুন্নতী ক্বমীছ বা কোর্তা এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৪০তম সংখ্যা) ২৪.হানাফী মাযহাব মতে ফজর নামাযে কুনূত বা কুনূতে নাযেলা পাঠ করা নাজায়িয ও নামায ফাসিদ হওয়ার কারণ এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৩২-১৫২তম সংখ্যা) ২৫. ইসলামের দৃষ্টিতে বিশ্বকাপ ফুটবল বা খেলাধুলা’র শরয়ী আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফতওয়া (১৫৫তম সংখ্যা) ২৬. হানাফী মাযহাব মতে পুরুষের জন্য লাল রংয়ের পোশাক তথা রুমাল, পাগড়ী, কোর্তা, লুঙ্গি, চাদর ইত্যাদি পরিধান বা ব্যবহার করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৫৩-১৬০তম সংখ্যা) ২৭. ইসলামের নামে গণতন্ত্র ও নির্বাচন করা, পদপ্রার্থী হওয়া, ভোট চাওয়া ও দেয়া হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৬১-১৭৫তম সংখ্যা) ২৮. কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস উনাদের দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৬৮-২৩৭), ২৯. জুমুয়া ও ঈদাইনের খুৎবা আরবী ভাষায় দেয়া ওয়াজিব। আরবী ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় খুৎবা দেয়া মাকরূহ তাহরীমী ও বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৯২-১৯৩তম সংখ্যা) ৩০. কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান শবে বরাত-এর আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৯৫-২১৩তম সংখ্যা), ৩১. পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা ও ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে “কুলাঙ্গার, পাপিষ্ঠ ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে শরীয়তের সঠিক ফায়ছালা ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” (২০৩তম সংখ্যা), ৩২. কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে “হানাফী মাযহাব মতে নামাযে সূরা ফাতিহা পাঠ করার পর ইমাম ও মুক্তাদী উভয়ে ‘আমীন’ অনুচ্চ আওয়াজে বা চুপে চুপে পাঠ করাই শরীয়ত উনার নির্দেশ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” (২১২তম সংখ্যা), ৩৩. “পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” (২২০তম সংখ্যা-চলমান), ৩৪. “পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ইসলামী মাস ও বিশেষ বিশেষ রাত ও দিনের আমলসমূহের গুরুত্ব, ফযীলত এবং বেদ্বীন-বদদ্বীনদের দিবসসমূহ পালন করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” (২৩৮-চলমান), ৩৫. “পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অর্থাৎ সম্মানিত শরীয়ত উনার আলোকে খাছ সুন্নতী বাল্যবিবাহ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” (২৬৪-চলমান), ৩৬. সম্মানিত ও পবিত্র কুরআন শরীফ, সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ, সম্মানিত ইজমা শরীফ এবং সম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে সম্মানিত ও পবিত্র মসজিদ মুবারক উনার ও উনার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে এবং বিশেষ করে সম্মানিত ও পবিত্র মসজিদ মুবারক যারা ভাঙবে, ভাঙ্গার কাজে সাহায্য-সহযোগিতা করবে বা সমর্থন করবে তাদের প্রত্যেকের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদ- ও তৎসংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” (২৬৫-চলমান), পেশ করার পাশাপাশি-
৩৭তম সম্মানিত ফতওয়া মুবারক হিসেবে
‘সম্মানিত ও পবিত্র কুরআন শরীফ, সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ, সম্মানিত ইজমা’ শরীফ এবং সম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, তাদের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। তারা নামধারী মুসলমান হোক বা কাফির হোক অথবা নাস্তিক হোক কিংবা যেকোনো ধর্মেরই অনুসারী হোক না কেন। তাদের তাওবা গ্রহণযোগ্য হবে না। এমনকি যারা তাদেরকে সমর্থন করবে, তাদেরও একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদ- এবং তৎসংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে আখাছ্ছুল খাছ সম্মানিত বিশেষ ফতওয়া মুবারক’ পেশ করতে পারায় মহান আল্লাহ পাক উনার, উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ বেশুমার শুকরিয়া আদায় করছি।
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল সম্মানিত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত,
বুযূর্গী-সম্মান মুবারক
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শুধু যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নন; এছাড়া যত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক রয়েছেন, সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক তিনি خَالِقٌ ‘খ্বালিক্ব’ (সৃষ্টিকর্তা) হিসেবে আহাদ তথা একক। আর যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি خَالِقٌ ‘খ্বালিক্ব’ (সৃষ্টিকর্তা) নন হিসেবে একক অর্থাৎ مَـخْلُوْقٌ ‘মাখলূক্ব’ (সৃষ্টি) হিসেবে আহাদ তথা একক। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি হচ্ছেন ‘আহাদ’ আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন اَحْمَدُ ‘আহমদ’। এই সম্মানিত ও পবিত্র اَحْمَدُ ‘আহমদ’ শব্দ মুবারক উনার মধ্যে ‘মীম’ হচ্ছেন মাখলূকাতের পর্দা (আবরণ)। অন্যথায় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও হচ্ছেন اَحَدٌ ‘আহাদ’ তথা একক। সুবহানাল্লাহ!
অর্থাৎ যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সমকক্ষ যেমন কেউ নেই, তেমনিভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারও সমকক্ষ কেউ নেই। সুবহানাল্লাহ! যিনি খালিক্ব রব মহান আল্লাহ পাক তিনি যেমন সমস্ত কিছু থেকে ছমাদ তথা বেনিয়ায (অমুখাপেক্ষি), ঠিক তেমনিভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও একমাত্র যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত সমস্ত সৃষ্টিজগত থেকে, সমস্ত কায়িনাত থেকে ছমাদ তথা বেনিয়ায (অমুখাপেক্ষি)। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে শুধু ‘মহান আল্লাহ পাক’ বলা যাবে না। এছাড়া যত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক রয়েছেন, সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের মালিকই হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ উনাকে শুধু ‘মহান আল্লাহ পাক’ বলা ব্যতীত সমস্ত কিছুই বলা যাবে। সুবহানাল্লাহ! সমস্ত সৃষ্টিজগত মিলে অনন্তকাল যাবৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যতই শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক বর্ণনা করুক না কেন, উনার সম্মানিত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক বিন্দু থেকে বিন্দুতমও বর্ণনা করা সম্ভব হবে না। সুবহানাল্লাহ! কেননা উনার সম্মানিত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক সমস্ত সৃষ্টিজগতের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ! কেউ কখনও চিন্তা-কল্পনা করে মিলাতে পারবে না। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব এবং মাহবূব। সুবহানাল্লাহ! তিনি হচ্ছেন ‘যিক্রুল্লাহ তথা মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত ও পবিত্র যিকির মুবারক। অর্থাৎ স্বয়ং যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই দায়িমীভাবে উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত ও পবিত্র যিকির মুবারক করে থাকেন, উনার সম্মানিত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক আলোচনা মুবারক করে থাকেন তথা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ‘ইয়াদ শরীফ পালন করে থাকেন। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম উনাকে সৃষ্টি মুবারক করার পর থেকেই সম্মানিত খুশি মুবারক প্রকাশ করে উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত ও পবিত্র যিকির মুবারক করে যাচ্ছেন, উনার সম্মানিত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক আলোচনা মুবারক করে যাচ্ছেন তথা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ‘ইয়াদ শরীফ পালন করে যাচ্ছেন এবং অনন্তকাল যাবৎ উনার সম্মানিত ও পবিত্র যিকির মুবারক করতেই থাকবেন, উনার সম্মানিত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক আলোচনা মুবারক করতেই থাকবেন তথা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ‘ইয়াদ শরীফ পালন করতেই থাকবেন। সুবহানাল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক থেকে নেয়া এক কাতরা নূর মুবারক থেকেই সমগ্র সৃষ্টি জগতের বিকাশ:
যিনি খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক থেকে নেয়া এক কাতরা নূর মুবারক থেকেই সম্মানিত আরশে আযীম মুবারক, সম্মানিত কুরসী মুবারক, সম্মানিত জান্নাত মুবারক, জাহান্নাম, আসমান-যমীন, চন্দ্র-সূর্য, আলো-বাতাস, মাটি-পানি, গাছপালা-তরুলতা, জামাদাত, শাজারাত, হাজারাত, জিন-ইনসান, হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম এবং হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারাসহ সমস্ত সৃষ্টি জগত, তামাম মাখলূকাত সৃষ্টি করেন। সুবহানাল্লাহ! এ প্রসঙ্গে স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই ইরশাদ মুবারক করেন-
(১-৪)
اَوَّلُ مَا خَلَقَ اللهُ نُوْرِىْ وَخَلَقَ كُلَّ شَيْئٍ مِّنْ نُّوْرِىْ.
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি সর্বপ্রথম আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক সৃষ্টি মুবারক করেন এবং আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক থেকে সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেন।” সুবহানাল্লাহ! (মাকতূবাত শরীফ, নূরে মুহম্মদী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আল ইনসানুল কামিল, হাক্বীক্বতে মুহম্মদী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পৃ:
সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
(৫)
اَخْرَجَ حَضْرَتْ عَبْدُ الرَّزَّاقِ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ حَضْرَتْ مَعْمَرٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ الْـمُنْكَدِرِ عَنْ حَضْرَتْ جَابِرٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ سَاَلْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ اَوَّلِ شَىْءٍ خَلَقَهُ اللهُ تَعَالـٰى فَقَالَ هُوَ نُوْرُ نَبِيِّكَ يَا حَضْرَتْ جَابِرُ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ خَلَقَهُ اللهُ ثُـمَّ خَلَقَ فِيْهِ كُلَّ خَيْرٍ وَّخَلَقَ بَعْدَه كُلَّ شَىْءٍ وَّحِيْنَ خَلَقَه اَقَامَه قُدَّامَه مِنْ مَّقَامِ الْقُرْبِ اثْنَـىْ عَشَرَ اَلْفَ سَنَةٍ ثُـمَّ جَعَلَه اَرْبَعَةَ اَقْسَامٍ فَخَلَقَ الْعَرْشَ (مِنْ قِسْمٍ) وَّالْكُرْسِىَّ مِنْ قِسْمٍ وَّحَمَلَةَ الْعَرْشِ وَخَزَنَةَ الْكُرْسِىِّ مِنْ قِسْمٍ وَّاَقَامَ الْقِسْمَ الرَّابِعَ فِـىْ مَقَامِ الْـحُبِّ اثْنَـىْ عَشَرَ اَلْفَ سَنَةٍ ثُـمَّ جَعَلَه اَرْبَعَةَ اَقْسَامٍ فَخَلَقَ الْقَلَمَ مِنْ قِسْمٍ وَّاللَّوْحَ مِنْ قِسْمٍ وَّالْـجَنَّةَ مِنْ قِسْمٍ ثُـمَّ اَقَامَ الْقِسْمَ الرَّابِعَ فِـىْ مَقَامِ الْـخَوْفِ اثْنَـىْ عَشَرَ اَلْفَ سَنَةٍ ثُـمَّ جَعَلَهٗ اَرْبَعَةَ اَجْزَاءٍ فَخَلَقَ الْـمَلَائِكَةَ مِنْ جُزْءٍ وَّالشَّمْسَ مِنْ جُزْءٍ وَّالْقَمَرَ وَالْكَوَاكِبَ مِنْ جُزْءٍ وَّاَقَامَ الْـجُزْءَ الرَّابِعَ فِـىْ مَقَامِ الرَّجَاءِ اثْنَـىْ عَشَرَ اَلْفَ سَنَةٍ ثُـمَّ جَعَلَه اَرْبَعَةَ اَجْزَاءٍ فَخَلَقَ الْعَقْلَ مِنْ جُزْءٍ وَّالْعِلْمَ (مِنْ جُزْءٍ)
وَّالْـحِكْمَةَ وَالْعِصْمَةَ وَالتَّوْفِيْقَ مِنْ جُزْءٍ وَّاَقَامَ الْـجُزْءَ الرَّابِعَ فِـىْ مَقَامِ الْـحَيَاءِ اثْنَـىْ عَشَرَ اَلْفَ سَنَةٍ ثُـمَّ نَظَرَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ اِلَيْهِ فَتَرَشَّحَ النُّوْرُ عَرَقًا فَقَطَرَ مِنْهُ مِائَةُ اَلْفٍ وَّاَرْبَعَةٌ (وَّعِشْرُوْنَ اَلْفًا وَّاَرْبَعَةُ اٰلَافٍ) قَطْرَةً مِّنْ نُّوْرٍ فَخَلَقَ اللهُ مِنْ كُلِّ قَطْرَةٍ رُوْحَ نَبِـىٍّ عَلَيْهِ السَّلَامُ اَوْ رُوْحَ رَسُوْلٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ ثُـمَّ تَنَفَّسَتْ اَرْوَاحُ الْاَنْۢبِيَاءِ فَخَلَقَ اللهُ مِنْ اَنْفَاسِهِمُ الْاَوْلِيَاءَ وَالسُّعَدَاءَ وَالشُّهَدَاءَ وَالْـمُطِيْعِيْنَ اِلـٰى يَوْمِ الْقِيَامَةِ فَالْعَرْشُ وَالْكُرِسِىُّ مِنْ نُّوْرِىْ وَالْكَرُوْبِيُّوْنَ مِنْ نُّوْرِىْ وَالرُّوْحَانِيُّوْنَ وَالْـمَلَائِكَةُ مِنْ نُّوْرِىْ وَالْـجَنَّةُ وَمَا فِيْهَا مِنَ النَّعِيْمِ مِنْ نُّوْرِىْ وَمَلَائِكَةُ السَّمٰوَاتِ السَّبْعِ مِنْ نُّوْرِىْ وَالشَّمْسُ وَالْقَمَرُ وَالْكَوَاكِبُ مِنْ نُّوْرِىْ وَالْعَقْلُ وَالتَّوْفِيْقُ مِنْ نُّوْرِىْ وَاَرْوَاحُ الرُّسُلِ وَالْاَنْۢبِيَاءِ مِنْ نُّوْرِىْ وَالشُّهَدَاءُ وَالسُّعَدَاءُ وَالصَّالِـحُوْنَ مِنْ نِّـتَاجِ نُوْرِىْ ثُـمَّ خَلَقَ اللهُ اثْنَىْ عَشَرَ اَلْفَ حِجَابٍ فَاَقَامَ اللهُ نُوْرِىْ وَهُوَ الْـجُزْءُ الرَّابِعُ فِـىْ كُلِّ حِجَابٍ اَلْفَ سَنَةٍ وَّهِىَ مَقَامَاتُ الْعُبُوْدِيَّةِ وَالسَّكِيْنَةِ وَالصَّبْرِ وَالصِّدْقِ وَالْيَقِيْنِ فَغَمَسَ اللهُ ذٰلِكَ النُّوْرَ فِـىْ كُلِّ حِجَابٍ اَلْفَ سَنَةٍ فَلَمَّا اَخْرَجَ اللهُ النُّوْرَ مِنَ الْـحُجُبِ رَكَّبَهُ اللهُ فِـى الْاَرْضِ فَكَانَ يُضِىْءُ مِنْهَا مَا بَيْنَ الْـمَشْرِقِ وَالْـمَغْرِبِ كَالسِّرَاجِ فِـى اللَّيْلِ الْـمُظْلِمِ ثُـمَّ خَلَقَ اللهُ حَضْرَتْ اٰدَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ مِنَ الْاَرْضِ فَرَكَّبَ فِيْهِ النُّوْرَ فِـىْ جَبِيْنِه ثُـمَّ انْتَقَلَ مِنْهُ اِلـٰى حَضْرَتْ شِيْثٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَكَانَ يَنْتَقِلُ مِنْ طَاهِرٍ اِلـٰى طَيِّبٍ وَمِنْ طَيِّبٍ اِلـٰى طَاهِرٍ اِلـٰى اَنْ اَوْصَلَهُ اللهُ صُلْبَ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ الْـمُطَّلِبِ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ وَمِنْهُ اِلـٰى رِحْمِ اُمِّـىْ حَضْرَتْ اٰمِنَةَ بِنْتِ وَهْبٍ عَلَيْهَا السَّلَامُ ثُـمَّ اَخْرَجَنِـىْ اِلَـى الدُّنْيَا فَجَعَلَنِـىْ سَيِّدَ الْـمُرْسَلِيْنَ وَخَاتَـمَ الـنَّبِـيِّـيـْنَ وَرَحْمَةً لِّـلْـعَـالَـمِـيـْنَ وَقَائِدَ الْغُرِّ الْـمُحَجَّلِيْنَ وَهٰكَذَا كَانَ بَدْءُ خَلْقِ نَـبِيِّكَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَا حَضْرَتْ جَابِرُ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ.
অর্থ: “হযরত আব্দুর রায্যাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত মা’মার রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে তিনি মুহম্মদ ইবনে মুনকাদির রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে, তিনি হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণনা করেন। হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বলেন, আমি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি সর্বপ্রথম কোন জিনিস সৃষ্টি মুবারক করেছেন, সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলাম। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হে হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু! খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি সর্বপ্রথম আপনার যিনি মহাসম্মানিত নবী ও রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক সৃষ্টি মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর উনার মধ্যে সমস্ত কল্যাণ ও ভালাই মুবারক সৃষ্টি করেছেন। উনার পরেই মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেছেন, সমস্ত মাখলূক্বাত সৃষ্টি করেছেন। সুবহানাল্লাহ! যখন মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক সৃষ্টি মুবারক করেন, তখন তিনি সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক উনাকে মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মুখে মাক্বামে কুরব মুবারক তথা নৈকট্য মুবারক উনার মাক্বাম মুবারক-এ ১২ হাজার বছর সম্মানিত অবস্থান মুবারক করান। সুবহানাল্লাহ! তারপর উক্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক উনাকে চার ভাগে ভাগ করেন। অতঃপর একভাগ দিয়ে ‘সম্মানিত আরশে আযীম মুবারক, অপরভাগ দিয়ে সম্মানিত কুর্সী মুবারক এবং আরেকভাগ দিয়ে সম্মানিত আরশে আযীম মুবারক বহনকারী হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে এবং সম্মানিত কুর্সী মুবারক উনার রক্ষণাবেক্ষণকারী হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে সৃষ্টি মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ! তারপর মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত চতুর্থভাগ নূর মুবারক উনাকে মাক্বামে হুব্ব তথা সম্মানিত মুহব্বত মুবারক উনার মাক্বাম মুবারক-এ ১২ হাজার বছর সম্মানিত অবস্থান মুবারক করান। সুবহানাল্লাহ! তারপর উক্ত সম্মানিত চতুর্থ ভাগ নূর মুবারক উনাকে চারভাগে ভাগ করেন। অতঃপর একভাগ দিয়ে সম্মানিত ক্বলম মুবারক, অপরভাগ দিয়ে সম্মানিত লাওহ মুবারক এবং তৃতীয়ভাগ দিয়ে সম্মানিত জান্নাত মুবারক সৃষ্টি করেন। সুবহানাল্লাহ! তারপর মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত চতুর্থ ভাগ নূর মুবারক উনাকে সম্মানিত মাক্বামে খওফ মুবারক উনার মধ্যে ১২ হাজার বছর সম্মানিত অবস্থান মুবারক করান। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর উনাকে চারভাগে ভাগ করে এক ভাগ দিয়ে সম্মানিত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে, অপরভাগ দিয়ে সূর্য এবং তৃতীয়ভাগ দিয়ে চাঁদ ও তারকারাজী সৃষ্টি করেন। সুবহানাল্লাহ! তারপর মহান আল্লাহ পাক তিনি আবার সম্মানিত চতুর্থভাগ নূর মুবারক উনাকে সম্মানিত মাক্বামে রযা’ তথা প্রত্যাশা উনার মাক্বাম মুবারক-এ ১২ হাজার বছর সম্মানিত অবস্থান মুবারক করান। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর উক্ত সম্মানিত নূর মুবারক উনাকে চারভাগে ভাগ করে একভাগ দিয়ে সম্মানিত আক্বল মুবারক, অপরভাগ দিয়ে সম্মানিত ইলম মুবারক এবং আরেকভাগ দিয়ে সম্মানিত হিকমত মুবারক, সম্মানিত পবিত্রতা মুবারক ও সম্মানিত তাওফীক্ব মুবারক সৃষ্টি করেন। সুবহানাল্লাহ! তারপর সম্মানিত চতুর্থভাগ নূর মুবারক উনাকে সম্মানিত মাক্বামে হায়া তথা সম্মানিত লজ্জাশীলতা উনার মাক্বাম মুবারক-এ ১২ হাজার বছর সম্মানিত অবস্থান মুবারক করান। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর মহান আল্লাহ পাক তিনি উক্ত সম্মানিত নূর মুবারক উনার প্রতি সম্মানিত বিশেষ দৃষ্টি মুবারক হাদিয়া মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত বিশেষ দৃষ্টি মুবারক উনার কারণে উক্ত সম্মানিত নূর মুবারক থেকে ফোঁটা ফোঁটা করে সম্মানিত নূর মুবারক বের হতে লাগলেন। সুবহানাল্লাহ! এভাবে উক্ত সম্মানিত নূর মুবারক উনার থেকে এক লক্ষ চব্বিশ হাজার সম্মানিত নূর মুবারক উনার ফোঁটা বা বিন্দু মুবারক বের হলেন। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর মহান আল্লাহ পাক তিনি উক্ত প্রত্যেক সম্মানিত নূর মুবারক উনার ফোঁটা থেকে হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত রূহ মুবারক সৃষ্টি করেন। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত রূহ মুবারক শ্বাস মুবারক গ্রহন করেন। তারপর মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের শ্বাস মুবারক থেকে ক্বিয়ামত পর্যন্ত যত হযরত আউলিয়া-ই কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম, সৌভাগ্যশীল, শহীদ এবং আনুগত্যশীল ব্যক্তি আসবেন উনাদের প্রত্যেকের সম্মানিত রূহ মুবারক সৃষ্টি করেন। সুবহানাল্লাহ! সুতরাং সম্মানিত আরশ মুবারক এবং সম্মানিত কুরসী মুবারক আমার সম্মানিত নূর মুবারক থেকে সৃষ্টি। সুবহানাল্লাহ! নৈকট্যপ্রাপ্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা (যারা সম্মানিত আরশে আযীম মুবারক উনার চারপাশে সম্মানিত অবস্থান মুবারক করেন। যেমন হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি এবং হযরত মীকাঈল আলাইহিস সালাম তিনি) আমার সম্মানিত নূর মুবারক থেকে সৃষ্টি। সুবহানাল্লাহ! পবিত্র আত্মার অধিকারী তথা সম্মানিত রহমত মুবারক উনার সম্মানিত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা এবং অন্যান্য হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা সকলেই আমার সম্মানিত নূর মুবারক থেকে সৃষ্টি। সুবহানাল্লাহ! সম্মানিত জান্নাত মুবারক এবং উনার মধ্যে অবস্থিত সমস্ত সম্মানিত নিয়ামত মুবারক আমার সম্মানিত নূর মুবারক থেকে সৃষ্টি। সুবহানাল্লাহ!
সাত আসমানের সমস্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনার সম্মানিত নূর মুবারক থেকে সৃষ্টি। সূর্য-চর্ন্দ্র ও তারকারাজি আমার সম্মানিত নূর মুবারক থেকে সৃষ্টি। সুবহানাল্লাহ! সম্মানিত আক্বল বা বিবেক মুবারক এবং তাওফীক্ব বা সামর্থ্য মুবারক আমার সম্মানিত নূর মুবারক থেকে সৃষ্টি। সুবহানাল্লাহ! হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত রূহ মুবারক আমার সম্মানিত নূর মুবারক থেকে সৃষ্টি। সুবহানাল্লাহ! এবং সকল শহীদ, সৌভাগ্যশীল ও ছালিহীন তথা হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা আমার সম্মানিত নূর মুবারক উনারই ফসল মুবারক তথা উনারাও আমার সম্মানিত নূর মুবারক থেকে সৃষ্টি। সুবহানাল্লাহ! তারপর মহান আল্লাহ পাক তিনি ১২ হাজার সম্মানিত হিজাব মুবারক সৃষ্টি করেন। অতঃপর মহান আল্লাহ পাক তিনি আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক উনাকে- হিজাবে আযমত উনার চতুর্থ হিজাব মুবারক-এ কায়িম করেন, অতঃপর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক উনাকে প্রত্যেক হিজাব মুবারক উনার মধ্যে ১ হাজার বছর করে সম্মানিত অবস্থান মুবারক করান। সুবহানাল্লহ! আর তা হচ্ছে, সম্মানিত ‘উবূদিয়্যাহ (বন্দেগী মুবারক), সাকীনাহ (প্রশান্তি মুবারক), ছবর (ধৈর্য্য মুবারক), ছিদক্ব (সততা মুবারক) এবং ইয়াক্বীন (দৃঢ় বিশ্বাস মুবারক) উনাদের মাক্বাম মুবারক। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর মহান আল্লাহ পাক তিনি সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক উনাকে প্রত্যেক হিজাব তথা পর্দা মুবারক উনাদের মধ্যে এক হাজার বছর করে নিমজ্জিত মুবারক করে রাখলেন। সুবহানাল্লাহ! তারপর মহান আল্লাহ পাক তিনি যখন সম্মানিত হিজাব তথা পর্দা মুবারক উনার ভিতর থেকে সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক উনাকে বের করে পৃথিবীতে আরোহণ মুবারক করালেন, তখন উক্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক উনার আলো মুবারক-এ পৃথিবীর পূর্ব-পশ্চিম এবং উভয়ের মাঝে যা কিছু রয়েছে সমস্ত কিছু আলোকিত হয়ে গেলো যেমন অন্ধকার রাতে বাতি (তার চারপাশের সমস্ত কিছুকে) আলোকিত করে থাকে। সুবহানাল্লহ!
তারপর মহান আল্লাহ পাক তিনি মাটি থেকে আবুল বাশার সাইয়্যিদুনা হযরত আদম ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে সৃষ্টি করেন। অতঃপর মহান আল্লাহ পাক তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত আবুল বাশার ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত কপাল মুবারক উনার মাঝে (আমার) সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনাকে রাখলেন। সুবহানাল্লাহ! তারপর (আমার) সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাইয়্যিদুনা হযরত আবুল বাশার ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার থেকে হযরত শীস আলাইহিস সালাম উনার মাঝে স্থানান্তরিত হলেন। সুবহানাল্লাহ! আর এই সম্মানিত স্থানান্তর মুবারক পূত-পবিত্র ও সর্বশ্রেষ্ঠ মহাসম্মানিত ব্যক্তিত্ব মুবারক উনার থেকে সর্বোত্তম ও সর্বশ্রেষ্ঠ মহাসম্মানিত ব্যক্তিত্ব মুবারক উনার মাঝে, সর্বোত্তম ও সর্বশ্রেষ্ঠ মহাসম্মানিত ব্যক্তিত্ব মুবারক উনার থেকে পূত-পবিত্র ও সর্বশ্রেষ্ঠ মহাসম্মানিত ব্যক্তিত্ব মুবারক উনার মাঝে চলতে থাকেন। সুবহানাল্লাহ! এভাবে মহান আল্লাহ পাক তিনি এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক আমার মহাসম্মানিত আব্বাজান সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল মুত্ত্বালিব আলাইহিমাস সালাম উনার মাঝে পৌঁছিয়ে দেন এবং উনার থেকে আমার মহাসম্মানিতা আম্মাজান সাইয়্যিদাতুনা হযরত আমিনা বিনতে ওয়াহাব আলাইহিমাস সালাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ (সম্মানিত ও পবিত্র রেহেম শরীফ-এ) স্থানান্তরিত করেন। সুবহানাল্লাহ! তারপর মহান আল্লাহ পাক তিনি আমার মহাসম্মানিতা হযরত আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার মধ্যস্থতা মুবারক-এ আমাকে দুনিয়ার যমীনে প্রকাশ করেন তথা আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে ভূষিত করেন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়্যীন, রহমতুল্লিল আলামীন সম্মানিত লক্বব মুবারক-এ এবং অতি উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব মুবারক তথা সমস্ত মাহবূব ব্যক্তিত্ব মুবারক উনাদের ক্বায়িদ হিসেবে। সুবহানাল্লাহ! এই হচ্ছে আপনার মহাসম্মানিত নবী ও রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত সৃষ্টি মুবারক উনার সূচনা বা উৎস মুবারক- হে হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু! সুবহানাল্লাহ! (মুছান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক্ব: হাদীছ শরীফ: ১৮, আল জুযউল মাফক্বূদ মিনাল জুযয়িল আউওয়াল মিনাল মুছান্নিফ লিহাফিযিল কাবীর আবী বকর আব্দুর রাজ্জাক্ব আছ ছন‘আনী ৬৩ পৃ. হাদীছ শরীফ নং ১৮)
অসমাপ্ত-পরবর্তী সংখ্যার অপেক্ষায় থাকুন