সম্মানিত রজবুল হারাম শরীফ, সম্মানিত শা’বান শরীফ ও সম্মানিত রমাদ্বান শরীফ মাস এবং উনাদের প্রাসঙ্গিক আলোচনা

সংখ্যা: ৩০০তম সংখ্যা | বিভাগ:

সম্মানিত মাস তিনটি সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুবারক আলোচনার বিশেষ মাস। সুবহানাল্লাহ!

আরবী সপ্তম মাসের নাম রজব। এ মাসটি পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ মুবারক কৃত চারটি হারাম বা সম্মানিত মাসের মধ্যে অন্যতম।

উল্লেখ্য, রজব মাসের প্রথম তারিখ  মুবারক রাতটি এবং বার হিসেবে প্রথম জুমআবার মুবারক রাতটি পবিত্র রগায়িব শরীফ উনার রাত এবং তা দুআ কবুলের খাছ রাত। এ মুবারক রাতেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার খিদমত মুবারকে তাশরীফ নেন। সুবহানাল্লাহ! তাই এই রাতের মর্যাদা শবে বরাত, শবে ক্বদর সহ সমস্ত ফযীলতপূর্ণ রাত ও দিন অপেক্ষা লক্ষ-কোটি গুণ বেশি। সুবহানাল্লাহ! আর সাতাশ তারিখ মুবারক রাতটি পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার রাত।

স্মরণীয় যে, পবিত্র মি’রাজ শরীফ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সীমাহীন মর্যাদা-মর্তবা মুবারক প্রকাশের এক বিশেষ আনুষ্ঠানিকতা আর তা হচ্ছে, মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে উনার যিনি হাবীব ও মাহবূব নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কিরূপ নিছবত মুবারক; সেটা কায়িনাতবাসীকে জানানোর জন্যেই মহান আল্লাহ পাক তিনি মি’রাজ শরীফের আনুষ্ঠানিকতার ব্যবস্থা করেন। সুবহানাল্লাহ!

জানা আবশ্যক যে, এই মি’রাজ শরীফেই যে শুধু তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার দীদার মুবারক লাভে ধন্য হয়েছেন তা নয় বরং সৃষ্টির শুরু থেকেই তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার দীদার মুবারকে ছিলেন, এখনো আছেন এবং অনন্তকাল ধরেই থাকবেন। সুবহানাল্লাহ!

আরবী অষ্টম মাসের নাম শা’বান । এ মাসটির অন্যতম ও বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ‘চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাতটি।’ এই রাতটিকে পবিত্র কুরআন শরীফ-এ ‘লাইলাতুম মুবারাকাহ’ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ-এ ‘লাইলাতুন্ নিছফি মিন শা’বান’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ফার্সী ভাষায় এই রাতটিকে বলা হয় ‘শবে বরাত’ বা ভাগ্য রজনী এবং এ নামেই আমাদের এ উপমহাদেশে রাতটি প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। এ রাতটিও দুআ কবুলের খাছ রাত। এ রাতটিতে বান্দার আগামী এক বছরের সমস্ত বিষয় ফায়ছালা করা হয়। সুবহানাল্লাহ! রাতটির ফযীলত ও আমল সম্পর্কে বহু হাদীছ শরীফ বর্ণিত রয়েছে।

আরবী নবম মাসের নাম রমাদ্বান। পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছে, রমাদ্বান শরীফ অত্যন্ত বরকতময় মাস। এ মাসের মধ্যে রয়েছে লাইলাতুল ক্বদর যা হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। এ রাতটিও দুআ কবুলের খাছ রাত।  মহান আল্লাহ পাক তিনি এ মাসের রোযা ফরয করেছেন। আর হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তারাবীহ নামাযকে সুন্নত করে দিয়েছেন। এ মাসে একটি নফল আমল একটি ফরয আমলের সমান এবং একটি ফরয আমল সত্তরটি ফরয আমলের সমান। যে একজন রোযাদারকে ইফতার করায় তার পাপ মোচন করা হয় এবং তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেয়া হয়। এছাড়া সে নিজের রোযার ছওয়াব তো পাবেই তদুপরি আরেক রোযাদারের ছওয়াবও সে লাভ করবে। এক চুমুক দুধ অথবা একটি খেজুর অথবা এক গ্লাস পানি দ্বারা ইফতার করালেও বর্ণিত প্রতিদানসমূহ লাভ করবে। আর যে ব্যক্তি রোযাদারকে তৃপ্তি সহকারে পানাহার করাবে মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে ক্বিয়ামতের দিন হাউজে কাওছার থেকে পানি মুবারক পান করাবেন, জান্নাতে প্রবেশের পূর্ব পর্যন্ত সে আর পিপাসিত হবে না। সুবহানাল্লাহ! এ মহিমান্বিত মাসটি হাক্বীক্বী তাক্বওয়া হাছিলের মাস। তাছাড়া এ মহিমান্বিত মাসটি যাকাত আদায় করারও খাছ মাস। তাই প্রত্যেক মালিকে নেছাব ব্যক্তির উপর ফরয, এ মাসেই যাকাত আদায় করা।

মাহে রমাদ্বান শরীফ ও তার প্রাসঙ্গিক আলোচনা

 মাহে শাওয়াল ও তার প্রাসঙ্গিক আলোচনা

  মাহে যিলক্বদ ও তার প্রাসঙ্গিক আলোচনা

মাহে যিলহজ্জ ও তার প্রাসঙ্গিক আলোচনা –

 মাহে মুহররমুল হারাম শরীফ ও তার প্রাসঙ্গিক আলোচনা