সাইফুল্লাহলি মাসলুল, সাইয়্যদিুল কাওনাইন, সাবীলুল্লাহ, ছাহবিুল আয়াত, ছাহবিুল খাইর, ফাদ্বলুল্লাহ, কাফফাতুন নাস, সাইয়্যদিুল মুতাওয়াক্কলিীন, মুত্বহহরিুল আ’যীম, ইমামুল আ’ইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দদিে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যদিুনা, ইমাম- রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৪২

সংখ্যা: ১৪৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

মুর্শিদ ক্বিবলা কর্তৃক খিলাফত লাভ

 ইমামে আ’যম, হাবীবে আ’যম, গাউসুল আ’যম, মুজাদ্দিদে আ’যম, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলীই হাল যামানায় সেই শাশ্বত তর্জ-তরীক্বা মুতাবিক এবং কামিল মুর্শিদ কর্তৃক খিলাফতপ্রাপ্ত এবং হক্বের উপর ইস্তিকামত (অটল) রত একমাত্র মুর্শিদ।  জাহিরীভাবে তাঁকে যিনি খিলাফত দিয়েছেন তিনিও সাধারণ মুর্শিদ নন। তিনি হচ্ছেন, সেই যামানার সর্বশ্রেষ্ঠ, অদ্বিতীয় এবং বেমেছাল (তুলনাহীন) ওলী। কুতুবুল আলম, সুলতানুল আরিফীন, রসূলে নোমা, তাজুল মুফাস্সিরীন, রঈসুল মুহাদ্দিছীন, আল্লামাতুদ্ দাহর, আমিরুশ শরীয়ত, মাহতাবে ত্বরীকত, মুহইস সুন্নাহ, মাহিয়ে বিদ্য়াত, মুজাদ্দিদে যামান, হুজ্জাতুল ইসলাম, ফখরুল ফুক্বাহা ঢাকা আলীয়া মাদ্রাসার তৎকালীন মুফাস্সিরে কুরআন যাত্রাবাড়ীর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা নামে মাশহুর। ফুরফুরা সিলসিলার উজ্জ্বল নক্ষত্র। হযরত শাহ্ ছূফী আবুল খায়ের মুহম্মদ ওয়াজীহুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি- যার মহত্ব ও শ্রেষ্ঠত্বের প্রধান ঘোষণাকারী ছিলেন গত শতকের মুজাদ্দিদ, ইমামুশ্ শরীয়ত ওয়াত্ তরীক্বত, শাইখুল মিল্লাত ওয়াদ্ দ্বীন হযরত আবু বকর ছিদ্দীক ফুরফুরাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর ছাহেবজাদাগণ। তাঁরা প্রায়শই তাঁর উচ্চকিত প্রশংসা করতেন। তাঁরা বাংলাদেশে তাশরীফ রাখলেই তাঁরই ইমামতিতে নামায আদায় করতেন। বলতেন, আপনার ইমামতিতে নামায আদায় করলে যেরূপ নৈকট্য, মুহব্বত এবং ইত্মিনান লাভ হয় তা অন্য কোনভাবে পাওয়া যায়না। (সুবহানাল্লাহ)

ইমামে আ’যম, হাবীবে আ’যম, গাউসুল আ’যম, মুজাদ্দিদে আ’যম, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তাঁর নিকট বাইয়াত হওয়ার প্রায় দেড় বছরের মধ্যেই নকশবন্দীয়ায়ে মুজাদ্দিদিয়া, কাদিরীয়া এবং চিশ্তীয়া ত্বরীকার পরিপূর্ণ নিসবত লাভ করেন। উক্ত চার তরীক্বা ছাড়াও আরো অনেক তরীক্বার তাকমিল বা পূর্ণতা প্রাপ্ত হন। ফলে কুতুবুল আলম, সুলতানুল আরিফীন, তাজুল মুফাস্সিরীন, রঈসুল মুহাদ্দিসীন, আমিরুশ্ শরীয়ত, মাহতাবে তরীক্বত, হযরত শাহ ছূফী আবুল খায়ের মুহম্মদ ওয়াজীহুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি অত্যন্ত খুশী হয়ে খিলাফত দান করেন। শুধু খিলাফত দানই নয় বরং তিনি আল্লাহ পাক এবং তাঁর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাথে তাঁর গভীর তায়াল্লকু-নিসবত এবং নৈকট্য প্রাপ্তি দেখে অভিভূত হতেন। অন্যান্য মুরীদ মুতাকেদীনকে সব সময় সতর্ক করতেন, “খবরদার। তোমরা কখনো আমার শাহ সাহেবের সাথে বেয়াদবী করবে না। তাঁর ব্যাপারে কোন মন্তব্য করবে না।”

উল্লেখ্য যে, সুলতানুল আরিফীন যাত্রাবাড়ীর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি সাধারণত তাঁকে শাহ্ ছাহেব বলেই সম্বোধন করতেন। তিনি আরো বলেন, অন্যান্য আউলিয়ায়ে কিরামগণের সাথে বেয়াদবী করলে অন্ধ, খঞ্জ, বোবা, বধির, লুলা, ল্যাংড়া হয় কিন্তু তাঁর সাথে যারা বেয়াদবী করবে, তাঁর বিরুদ্ধাচারণ করবে তারা সবাই ঈমানহারা হয়ে যাবে। দেখ! আমার এমনও মুরীদ আছে যাকে স্বয়ং আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেই আমার খানকা শরীফ পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে যান। (সুবহানাল্লাহ)

আর সেই ব্যক্তিত্ব যে ছিলেন ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস্ সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, রাজারবাগ শরীফের মামদুহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তাতে কারো কোন প্রকার সংশয় ও দ্বিধা ছিলোনা। তিনি আল্লাহ পাক এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আওলাদ। এমনকি তিনি তাঁর ছাহেবজাদাদের সম্পর্কে হযরত মামদুহ মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলীকে ওছীয়ত করেছিলেন যে, “আমার ছাহেবজাদাদেরকে আপনার ছোহবতে রেখে তা’লীম তরবিয়ত দিবেন।” তিনি প্রায়শঃই বলতেন, “আমার সৌভাগ্য এমন একজন মহান ও যোগ্য ব্যক্তিকে স্বীয় খলীফা মনোনীত করতে পেরেছি।”

সেক্ষেত্রে তিনি নকশবন্দিয়া মুজাদ্দেদিয়া তরীক্বার ৪৩তম, কাদিরীয়া তরীক্বায় ৪৪তম এবং চিশতিয়া তরীক্বায় ৪২তম ঊর্ধ্বতম পুরুষে গিয়ে আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাথে মিলিত হয়েছেন। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আমার অন্তরে যা ছিল তা সবই হযরত আবু বকর ছিদ্দীক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর অন্তরে ঢেলে দিয়েছি।” সেই ঢেলে দেয়া নিয়ামত সিলসিলাক্রমে তিনি পেয়েছেন।

উল্লেখ্য, তিনিই একমাত্র বাতি যিনি সারা দুনিয়া আলোকিত করছেন। (অসমাপ্ত)

রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধি এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৭

ইমামুল আলম, জামিউ বাইনাল বাতিন ওয়াজ্ জাহির, মুফাখ্খরুল আমাসিল ওয়াল আবরার, ফরীদুল আওয়ান, বারাকাতুল আনাম, জাইনুদ্ দ্বীন, সুলতানুজ্ জাহিদীন, কুদওয়াতুল হাদীইন, রঈসুল মুতাওয়াক্কিলীন, আরকানুল ইসলাম, হুজ্জাতুল আউলিয়া, হাকিমুল আরিফীন,আবুল ফয়েজ ওয়াত্ তাওয়াজ্জুহ্, সাইয়্যিদুনা, ইমাম- রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধি এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৭

ইমামুল আ’লাম, জামিউ বাইনায্ যাহির ওয়াল বাতিন, মুফাখ্খরুল আমাছিল ওয়াল আবরার, ফরীদুল আওয়ান, বারাকাতুল আনাম, যাইনুদ্ দ্বীন, সুলতানুয্ যাহিদীন, কুদওয়াতুল হাদীইন, রঈসুল মুতাওয়াক্কিলীন, ইমামুল আইম্মা, মুহ্ইস্ সুন্নাহ্, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদুয্ যামান, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা, ইমাম- রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধি এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৯

  কুতুবুল আকতাব, সুলতানুল আত্কিয়া, মুগীসুল ওয়ারা, আমিনুল কুলূব ওয়ান্ নুহা, মিফতাহুল খাযায়িনিল র্আশ, আজওয়াদুন্ নাছ, শাইখুল আলম, জামিউল ইল্ম ওয়াল হিকাম, আমিনু কুনুজিল র্ফাস, ইমামুল আইম্মা, মুহ্ইস্ সুন্নাহ্, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদুয্ যামান, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা, ইমাম – রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধি এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-১০

রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধি এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ- ১১