সাইফুল্লাহিল মাস্লুল, সাইয়্যিদুল কাওনাইন, সাবীলুল্লাহ, ছাহিবুল আয়াত, ছাহিবুল খাইর, আছ্ ছবূর, ফাদ্বলুল্লাহ, কাফ্ফাতুন্ নাস, সাইয়্যিদুল মুতাওয়াক্কিলীন, মুত্বহ্হিরুল আ’যীম, ইমামুল আ’ইম্মাহ, মুহ্ইস্ সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা, ইমাম- রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধি এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৩৭

সংখ্যা: ১৪৩তম সংখ্যা | বিভাগ:

-হযরত মাওলানা মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুল হালীম

পীরে কামিল-এর পরিচয়

কামিল পীর ছাহেব-এর অন্যতম পরিচয় হচ্ছে, তাঁকে দেখলেই আল্লাহ পাক এবং তাঁর হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-এর কথা স্মরণ হয়। হক্ব তালাশী প্রত্যেক লোকই প্রথম দর্শনেই তাঁকে চিনে ফেলবেন। অতি সহসাই বলে উঠবেন, নিঃসন্দেহে তিনি আল্লাহ পাক-এর ওলী। ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস্ সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তার বাস্তব প্রমাণ। তাঁর অসংখ্য-অগণিত মুরীদ রয়েছেন, যারা প্রথম দর্শনেই তাঁকে চিনতে পেরেছেন। এমন হাজার-হাজার মুরীদও রয়েছেন যারা প্রাথমিক জীবনে তাঁর চরম বিরোধী ছিলেন। কিন্তু বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচারিতার জাল ছিন্ন করে যেদিন সরেজমিনে দেখার জন্য আসলেন, তাঁর চেহারা মুবারক-এর দিকে দৃষ্টি দিতেই সমস্ত সন্দেহ-সংশয় দুরিভূত হলো। স্বেচ্ছায় হাত বাড়িয়ে দিয়ে বললেন, হুযূর! বেয়াদবী ক্ষমা করুন। বাইয়াত কবুল করে আমাকে আপনার মুরীদগণের অন্তর্ভুক্ত করে নিন। এমন মহান ব্যক্তির বিরোধিতায় লিপ্ত হওয়ার কারণে পরবর্তী জীবনে আফসুস ও অনুশোচনা করছেন। তাঁকে দেখলে বা তাঁর কথা স্মরণ হলে কিংবা কেউ তার সম্মুখে তাঁর নাম মুবারক উচ্চারণ করলে চোখের পানিকে সংবরণ করতে পারেননা। মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা, মামদূহ মুরশিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর  পবিত্র জবান মুবারক থেকে এরূপ অনেক লোকের আলোচনা এবং প্রসংশামূলক বানী শুনার তাওফিক হয়েছে। তাছাড়া আমি নিজ কানেও শুনেছি, অনেক লোকই তাঁকে দেখার সথে সাথে সহসাই বলে উঠতেন, সুবহানাল্লাহ। ইনি আল্লাহ পাক-এর খালিছ ওলী। এমন সুন্দর মানুষ  আমি জীবনে কখনও কোন দিন দেখিনি।  কেউ কেউ বলতো, আজকে আমরা একজন জান্নাতী মানুষ দেখলাম। কেউ বলতো, এতো সুন্দর চেহারা মুবারক। যেন আল্লাহ পাক-এর ফেরেশ্তা। মূলতঃ তিনি এমনি একজন পীর ছাহেব, যাঁকে দেখলে গুনাহখাতা মাফ হয়। জাহান্নামী লোক জান্নাতী হয়। আর জান্নাতী লোক  জান্নাতের সর্বশ্রেষ্ঠ মাক্বাম বা মর্যাদায় উন্নিত হয়। অর্থাৎ তাঁকে মুহব্বতকারী, খিদমতকারী, অনুসরণ-অনুকরণকারী কেউই বঞ্চিত হবেননা। সকলেই সৌভাগ্যবানদের অন্তর্ভুক্ত হবেন। বাস্তবিকভাবে আওলিয়ায়ে কিরামগণের মর্যাাদা-মর্তবা এমনই হয়ে থাকে। এরূপ আওলিয়ায়ে কিরাম সম্পর্কে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,

هم الجلساء لايشقى جليسهم.

 অর্থঃ “তাঁরা এমন ব্যক্তি যাদের মজলিসে উপবেশন কারীগণ বঞ্চিত হয়না।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, একদা সুলতান মাহমুদ, কুতুবুল আলম হযরত আবুল হাসান খারকানী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর দরবার শরীফে গেলেন। সবিনয়ে জানতে চাইলেন সুলতানুল আরিফীন হযরত বাইযীদ বোস্তামী রহমতুল্লাহি আলাইহি  সম্পর্কে।  কুতুবুল আলম হযরত আবুল হাসান খারকানী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমার পীর ছাহেব ক্বিবলা, সুলতানুল আরিফীন হযরত বাইযীদ বোস্তামী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন, “যে ব্যক্তি আমাকে দেখেছে সে বদ্বখতি হতে মুক্তি পেয়েছে। অর্থাৎ সে জান্নাতী হয়েছে।” একথা শুনে সুলতান মাহমুদ বললেন, হুযূর! বেয়াদবী মাফ করবেন, আপনার পীর ছাহেব সুলতানুল আরিফীন হযরত বাইযীদ বোস্তামী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর মর্যাদা-মর্তবা কি আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর চেয়েও বেশী? কারণ আবু জেহেল, আবূ লাহাবের মত অনেক কাফিরই তো তাঁকে দেখেছে কিন্তু তারা তো যেমন বদ্বখত্ ছিল তেমনই বদ্বখত্ রয়ে গেল। জান্নাতী হতে পারলনা। কুতুবুল আলম, হযরত আবূল হাসান খারকানী রহমতুল্লাহি আলাইহি বললেন, দেখ মাহমুদ, আদবের প্রতি লক্ষ্য রেখ, মুখ সামলিয়ে কথা বল। নিজের আধিপত্যের মধ্যে নিজের হস্তক্ষেপ সীমাবদ্ধ রাখ। এই স্থান তোমার হস্তক্ষেপের অনেক ঊর্ধ্বে। প্রকৃতপক্ষে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ ব্যতীত কেউ আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে হাক্বীক্বীভাবে দেখতে পায়নি। আল্লাহ পাক বলেন,

وترهم ينظرون اليك وهم لايبصرون.

অর্থঃ “হে আমার হাবীব! ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আপনি তাদেরকে দেখছেন যে, তারা আপনার প্রতি দৃষ্টিপাত করছে কিন্তু তারা আপনাকে দেখতে পায়নি।” (সূরা আ’রাফ-১৯৮) সুলতান মাহমুদের কথাটি পছন্দ হলো। তিনি নীরব রইলেন।    (অসমাপ্ত)

দলীলুল খইরাত, যখীরাতুল্লাহ, যুল খুলুক্বিল আযীম, রহমাতুল উম্মাহ, রফীউদ্ দারাজাত, রুহুল হক্ব, রুকনুল মুতাওয়াদ্বিয়ীন, যইনুল ইবাদ, সাইয়্যিদুছ্ ছাক্বালাইন, ছাহিবুল বুরহান, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস্ সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা, ইমাম- রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধি এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৩০

দলীলুল খইরাত, যখীরাতুল্লাহ, যুল খুলুক্বিল আযীম, রহমাতুল উম্মাহ, রফীউদ্ দারাজাত, রুহুল হক্ব, রুকনুল মুতাওয়াদ্বিয়ীন, যইনুল ইবাদ, সাইয়্যিদুছ্ ছাক্বালাইন, ছাহিবুল বুরহান, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস্ সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা, ইমাম- রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধি এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৩১

 দলীলুল খইরাত, যখীরাতুল্লাহ, যুল খুলুক্বিল আযীম, রহমাতুল উম্মাহ, রফীউদ্ দারাজাত, রুহুল হক্ব, রুকনুল মুতাওয়াদ্বিয়ীন, যইনুল ইবাদ, সাইয়্যিদুছ্ ছাক্বালাইন, ছাহিবুল বুরহান, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস্ সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা, ইমাম- রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধি এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৩১

যিকরুল্লাহ বিল খাইর, হাবীবু রব্বিল আ’লামীন, রউফুম বিল মু’মিনীন, জালিলুস্ সাক্বালাইন, ক্বাওওয়ামুল লাইল, ছাওওয়ামুন্ নাহার, আহসানুত্ তাযকিরাহ, খতীবুল আউলিয়া, আশিদ্দাউ আলাল কুফ্ফার, সা’দুল খালায়িক, ছাহিবুদ্ দারাজাত, ইমামুল আ’ইম্মাহ, মুহ্ইস্ সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা, ইমাম- রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধি এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৩২

যিকরুল্লাহ বিল খাইর, হাবীবু রব্বিল আ’লামীন, রউফুম বিল মু’মিনীন, জালিলুস্ সাক্বালাইন, ক্বাওওয়ামুল লাইল, ছাওওয়ামুন্ নাহার, আহসানুত্ তাযকিরাহ, খতীবুল আউলিয়া, আশিদ্দাউ আলাল কুফ্ফার, সা’দুল খালায়িক, ছাহিবুদ্ দারাজাত, ইমামুল আ’ইম্মাহ, মুহ্ইস্ সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা, ইমাম- রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধি এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৩৩