সারাদেশের মানুষ তাদের কথা শুনেনি ॥ তারাও কোনো মানুষের মনে ঢুকতে পারেনি॥ আল বাইয়্যিনাত-এর ‘শবে বরাতের’ ফতওয়াই আমল করায় সারাদেশের মানুষের প্রতি আন্তরিক মুবারকবাদ

সংখ্যা: ১৪৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

 সারাদেশের মুসলমানগণ তাদেরকে ঘৃণা ভার প্রত্যাখান করেছে। তারা জনগণের ধিক্কারের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। মাসিক আল বাইয়্যিনাতে বহুবার প্রকাশিত একটি হাদীছ শরীফের আমল মানুষ যথাযথভাবে করেছে। হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “আখিরী জামানায় এমন কিছু মিথ্যাবাদী দাজ্জাল বের হবে, তারা এমন সব কথা বলবে যা তোমরা শোননি, তোমাদের বাপ-দাদা চৌদ্দপুরুষ শুনেনি।” এদেশের মুসলমানগণ তাদের বাপ-দাদা থেকে পবিত্র শবে বরাতের ফাযায়িল-ফযীলত সম্পর্কে শুনে আসছে। কুরআন শরীফের সূরা দু’খানের ৩-৫নং আয়াত শরীফ এবং তিরমিযী শরীফ, ইবনে মাযাহ শরীফ, রযীন শরীফ ইত্যাদি ছহীহ হাদীছ শরীফের বিবৃতি জেনে আসছে।  হাদীছ শরীফের মূল্যায়ণে শবে বরাতে এক বছরের রিযিক, জন্ম-মৃত্যু, গুনাহ্খতা মাফ ইত্যাদি ফাযায়িল-ফযীলত বিশ্বাস করে আসছে। এবং সে কারণে এদিন বিশেষ ইবাদতমুখী হয়ে আসছে।  কিন্তু মানুষ ইবাদতমুখী হোক তাতে গা জ্বলে ইসলামের নামে কুচক্রি একটি চিহ্নিত জামায়াতের। কারণ, ইসলামকে তারা ইসলাম হিসেবে না দেখে রাজনৈতিক স্বার্থে দেখতে চায়। মানুষ যদি সত্যিকার ইসলামপ্রবণ হয়, যদি তারা ইবাদতমুখী হয়, ইছলাহ হাছিলে রত হয় তাহলে ইসলামের নামে ব্যবসায়িক রাজনৈতিক কর্মসূচী তাদের কাছে ভাল লাগবে না। মসজিদে গিয়ে মানুষ যদি আল্লাহ পাক-এর যিকিরের স্বাদ পায় তাহলে ইসলামের নামে তথাকথিত আন্দোলনে নামাতে মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। একারণেই যিকির-আযকার, তাসবীহ-তাহলীল ইত্যাদিকে ঐ দলটির বড় ভয়। অথচ হাদীছে কুদসীতে ইরশাদ হয়েছে, “নফল ইবাদত দ্বারাই বান্দা আল্লাহ পাক-এর নৈকট্য হাছিল করে। আল্লাহওয়ালা হয়।” (বুখারী শরীফ) কিন্তু মানুষকে আল্লাহওয়ালা হতে দিতে সম্পূর্ণ নারাজ ইসলামের নামে ঐ ধর্মব্যবসায়ী জামায়াতটি। এ কারণেই তাদের নেতা (মওদুদী) ইলমে তাছাউফকে তুলনা করেছে ইসলামের আফিম হিসেবে। (নাউযুবিল্লাহ) এ ধারাবাহিকতায় তার উত্তরসূরী তথাকথিত লেবাছধারী কিছু মাওলানারা আজ শবে বরাতের বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে। নিজস্ব ঘরানার কিছু টিভি চ্যানেলে তারা ইসলামের নামে হাজারো মিথ্যা বয়ান, ভুল মাসয়ালা ও বদ-আক্বীদা প্রচারের পাশাপাশি  এখন খুব জোরে-শোরে প্রচার করছে যে, “শবে বরাতের কথা কুরআন-সুন্নাহ্র কোথাও নেই।” কিন্তু মাসিক আল বাইয়্যিনাতে গত ১৩৫তম সংখ্যা থেকে এখনও ধারাবাহিকভাবে বিস্তারিত দলীল-আদিল্লাহ দ্বারা প্রমাণ করে দেয়া হচ্ছে যে, শবে বরাতের কথা কুরআন-সুন্নাহ্য় কত জোড়ালো ভাবে আছে।  মূলত: শবে বরাত পালনে তাদের এত ভয় কেন? আসলে শবে বরাত একটা আমলমুখী চেতনা। সারারাত আল্লাহ পাক-এর জন্য জেগে কাটানোর জজবা। এই একদিনের জজবাই যদি কারো মর্মমূলে গেঁথে যায় তাহলে সারাবছরই সে চালিত হবে সে আমলী চেতনায়। আর সে চেতনাকেই বড় ভয় ইসলামের নামধারী ঐ জামায়াতটির। তাই তারা মিথ্যার তোড়জোড়ে মুসলমানের ঐ আমলী চেতনাকে অবলুপ্ত করতে চায়। তারা মাকড়সার জালের মত ঘর বুনায়। শয়তানের বাক্সে বসে শবে বরাতের বিরুদ্ধে বুলি কপচিয়ে তারা আত্মপ্রসাদ লাভ করে। কিন্তু মাকড়সার জাল যেমন ঠুনকো তাদের লভিত ঐ আত্মপ্রসাদও তেমনি মিথ্যা। শবে বরাতের পরের দিন এদেশের প্রকাশিত সব জাতীয় দৈনিকের রিপোর্ট তাই প্রমাণ করে:

 যথাযথ মর্যাদায় পবিত্র শবে বরাত উদযাপিত

 স্টাফ রিপোর্টার: “মানবজাতির মধ্যে শান্তি বিরাজ করুক”- এ কামনায় সোমবার দিবাগত রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলিম সম্প্রদায় ধ্যানে মগ্ন হয়েছিলো। মহান আরৗাহ রব্বুল আলামীন মহিমান্বিত শবে বরাতের এই রাতে মানব সমাজ তথা বিশ্বের সব সৃষ্টির ভাগ্য নির্ধারণের দূয়ার খুলে দিয়েছিলেন। হিজরী সালের শাবান মাসের ১৫ তারিখ রাতে পালিত হয় পবিত্র শবে বরাত। …. মঙ্গলবার সরকারী ছুটি ঘোষণা করা হয়। সোমবার রাতে সারাদেশের মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় মিলাদ মাহফিল, যিকির-আযকার ও বিশেষ মুনাজাত। রাতভর প্রার্থনা, কুরআন তিলাওয়াত, যিকির-আযকার, বিশেষ মুনাজাত, ওয়াজ মাহফিল এবং নিকটাত্মীয়ের কবর জিয়ারত করে মুনাজাতের মাধ্যমে কাটিয়ছেন মুছল্লীরা। (দৈনিক জনকণ্ঠ, ২১ সেপ্টেম্বর-২০০৫)

 পবিত্র শবে বরাত পালিত

 সমকাল প্রতিবেদক: সোমবার রাতে লাখ লাখ মুছল্লীরা রাতজাগা ইবাদত-বন্দিগী, তাসবীহ-তাহলীল, কুরআন শরীফ তিলাওয়াত, যিকির-আযকার ও মিলাদ মাহফিলের মধ্য দিয়ে রাজধানীসহ সারাদেশে পবিত্র শবে বরাত পালিত হয়েছে। রাজধানীতে এই রাতে বাইতুল মুকাররম জাতীয় মসজিদসহ মুছল্লীদের সমাগমে কানায় কানায় পুর্ণ হয়ে ওঠে।  ……. লাইলাতুল বরাত উপলক্ষে প্রতিটি মসজিদে ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলসহ বিশেষ আয়োজন করা হয়। ……. মুছল্লী দীর্ঘ রাত জেগে আল্লাহ পাক-এর দরবারে কান্নাকাটি করে ক্ষমা প্রার্থনা করে। তারা হায়াত, মউত, রিযিক, ধন-দৌলত, রোজ-শোকসহ যাবতীয় বিষয়ে আল্লাহ পাক-এর অনুকম্পা কামনা করে। লাইলাতুল বরাতের তাৎপর্যপূর্ণ দিবসে মুসলিম বিশ্বের অন্যান্য স্থানের মতো বাংলাদেশেও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে উৎসবের আমেজ দেখা দেয়। প্রায় প্রতিটি মুসলমান পরিবারেই পিঠা-পায়েস, হালুয়া-রুটিসহ খাবারের বিশেষ আয়োজন করা হয়। অভাবী দরিদ্রদের মাঝে খাবার বিতরণ ও দান-খয়রাত করা হয়। (দৈনিক সমকাল, ১১ সেপ্টেম্বর-২০০৫) উল্লেখ্য, দৈনিক ইত্তেফাক, ইনকিবলা, প্রথম আলো, যুগান্তর, ডেইলী স্টার, অবজারভারসহ অন্য সব জাতীয় দৈনিকের খবরও হুবহু একই। কলেবর বৃদ্ধির জন্য তা দেয়া হলো না।  এমনকি প্রকৃত সত্য স্বীকারে বাধ্য হয়েছে শবে বরাত বিরোধী মহলটিও। তাদের ঘরনের দৈনিকেও পত্রস্থ হয়েছে,

 যথাযোগ্য মর্যাদায় পবিত্র শবে বরাত পালিত

 নিজস্ব প্রতিবেদক: যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে গত সোমবার রাতে সারাদেশে শবে বরাত পালিত হয়েছে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নফল নামায, কুরআন শরীফ তিলাওয়াত, যিকির, বিশেষ দোয়া ইত্যাদির মাধ্যমে রাতটি অতিবাহিত করেছেন। অনেকে আত্মীয়স্বজনের কবর জিয়ারত এবং গরিব ও আত্মীয়স্বজনদের মাঝে খাবার বিতরণ করেছেন। মসজিদে মসজিদে বিশেষ আলোচনা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব অনুষ্ঠানে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহ্র অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করা হয়েছে। সোমবার সন্ধা থেকে গতকাল পর্যন্ত সারাদেশের মসজিদে মুছল্লীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে অনেকে গতকাল মঙ্গলবার নফল রোজা রাখেন।। (দৈনিক নয়া দিগন্ত, ১২ সেপ্টেম্বর-২০০৫) উল্লেখ্য, ওদের ‘দৈনিক সংগ্রামের’ রিপোর্টও একই রকমের। পত্রিকান্তরে প্রকাশিত এসব রিপোর্ট দ্বারা তাহলে কি সাব্যস্ত হয়? ‘আকলমন্দ লিয়ে ইশারাই কাফি হ্যায়।’  শবে বরাতের রাতে আল্লাহ পাক-এর খাছ রহমত নাযিল হয়। সামান্য ইবাদত দ্বারাই মানুষ সে রাতে রহমত হাছিল করে। আর এ ধারার এক কাতরা রহমত প্রাপ্তিই যে কোন মুসলমানের জন্য  প্রবাহমান জীবন মোড় ঘুরে আল্লাহওয়ালা হওয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট। কিন্তু এ রহমত অর্জনে বড় বিরোধী ইবলিস শয়তান। যে কোনো উপায়েই তা না হতে দিতে বদ্ধ পরিকর ইবলিস শয়তান। তাই শয়তানের বাক্সে ইদানিংকালে তার এধরনের কিছু খাছ চেলা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। তারা “শবে বরাত কুরআন-সুন্নাহ্য় কোথায় নেই, এ রাতে আমলের দরকার নেই” ইত্যাদি শয়তানি কথা আওড়াচ্ছে।  আল্লাহ পাক ইরশাদ ফরমান, “তার চেয়ে অধিক জালিম কে, যে মসজিদে আল্লাহ পাক-এর যিকির তথা ইবাদত-বন্দিগীতে বাধা দেয়।” মূলত: ইসলামের নামে আন্দোলন দাবী করলেও আসলে এ জামায়াতটি এরূপই মহা জালিম। তারা জুলূম করেছে ৭১ এ। তারা জুলূম করছে বর্তমানে। সারাদেশে বোমা হামলায় এদের কানেকশন দিন দিন উদঘাটিত হচ্ছে। মসজিদে মহিলা জামায়াত করনে এদের উৎসাহের অন্ত নেই। কারণ ইসলামের নামে মহিলাদের ঘর থেকে বের করার অভ্যাস করতে পারলে সরলমতি মহিলাদের সহজেই এদের জামায়াতের কর্মী বানানো যাবে।  দলীয় মহিলা এমপি বানাতে এমনকি নারী নেতৃত্ব সমর্থনেও এদের কুণ্ঠাবোধ নেই। কিন্তু এদের যত কুণ্ঠা শবে বরাত পালনে। কারণ শবে বরাতের সেন্টিমেন্ট এদের ধর্মের নামে ব্যবসায়িক তৎপরতার পরিপন্থী। আল্লাহ পাক-এর শুকরিয়া, বাংলাদেশের মুসলমান এদের কথা শোনেনি। এদের কাছে যায়ওনি। এরা বাংলাদেশের সাধারণ মুসলমানের হৃদয়ে আদৌ আসন পড়তে পারেনি। স্বাধীনতা উত্তর আজও এদের ১% ও জনসমর্থন নেই। এদের উপর আল্লাহ পাক-এর রহমত নেই।  এরা শয়তানের বাক্সে বসে শবে বরাতের বিরুদ্ধে তর্জন-গর্জন করেছে কিন্তু তাতে ‘যতে গর্জে তত বর্ষায়না’ প্রবাদের উদাহরণ করুণভাবে তৈরী হয়েছে। সারাদেশে মানুষ কি বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আল বাইয়্যিনাত-এর আমল করেছে, সারারাত জেগে শবে বরাত পালন করেছে তা অন্য সব জাতীয় দৈনিকের পাশাপাশি ওদের ঘরানার দৈনিক ২টিও স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে।  আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “সত্য এসেছে, মিথ্যা দূরীভূত হয়েছে। নিশ্চয়ই নিশ্চয়ই মিথ্যা দূরীভূত হওয়ারই যোগ্য।”

-মুহম্মদ ওয়ালীউল্লাহ, ঢাকা।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের  দাঁতভাঙ্গা জবাব- ১৫

 বিৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বিৃটিশ ভূমিকা-১৫ 

কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-৩

চাঁদের তারিখ নিয়ে জাহিলী যুগের বদ প্রথার পুনঃপ্রচলন॥ নিশ্চুপ উলামায়ে ‘ছূ’ ঈদ, কুরবানীসহ জামিউল ইবাদত হজ্জও হচ্ছে বরবাদ

শুধু ছবি তোলা নিয়েই বড় ধোঁকা নয়, গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্র চর্চা করে “ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের” নামেও তিনি মহা ধোঁকা দিচ্ছেন