সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, মুজাদ্দিদ যামান, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, হাবীবুল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি-২৫ (বিলাদত শরীফ ৫৩৬ হিজরী, বিছাল শরীফ ৬৩৩ হিজরী)

সংখ্যা: ২৫৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা

উনার প্রতি আদব (২)

দ্বিতীয় দিন পূনরায় উনার খিদমতে হাযির হয়ে অবনত মস্তকে উনার সামনে দাঁড়িয়ে রইলাম। তিনি বললেন, বসুন। আমি বসে পড়লাম। তিনি আবার বললেন, উপরের দিকে তাকান। আমি আসমানের দিকে দৃষ্টি করলে তিনি পূনরায় আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন কোন পর্যন্ত দেখতে পাচ্ছেন? আমি আরয করলাম আরশে মুয়াল্লা পর্যন্ত। এবার বললেন, নিচের দিকে তাকান। আমি যমীনের দিকে দৃৃষ্টিপাত করলে পূনরায় তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, কোন পর্যন্ত দেখতে পাচ্ছেন? আমি আরয করলাম তাহতাচ্ছারা (মাটির সর্বনি¤œ স্তর) পর্যন্ত দেখতে পাচ্ছি। তারপর আদেশ মুবারক করলেন, হাজার বার পবিত্র সূরা ইখলাছ শরীফ পাঠ করুন। আমি নির্দেশ মুবারক যথাযথভাবে পালন করলে তিনি আবার আদেশ মুবারক করলেন, আসমানে দিকে তাকান, কোন পর্যন্ত দেখতে পাচ্ছেন? আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে বললাম, মহান আল্লাহ পাক উনার আযমতের পর্দা পর্যন্ত দেখতে পাচ্ছি। তিনি পূনঃ নির্দেশ মুবারক করলেন, চক্ষু মুবারকদ্বয় বন্ধ করুন। আমি চক্ষু মুবারক বন্ধ করলাম। তিনি বললেন এবার চোখ মুবারক খুলুন। আমি চক্ষু মুবারক খুললে হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা তিনি উনার দুটি অঙ্গুলি মুবারক আমার চোখের সামনে ধরলেন এবং জিজ্ঞাসা করলেন, এখন কি দেখতে পাচ্ছেন? আমি আরয করলাম, আঠার হাজার আলম দেখতে পাচ্ছি। আমার মুখ মুবারক হতে এ কথাটি শুনে তিনি বললেন, বসুন, এখন আমার কাজ সমাধা হয়েছে। অতঃপর সামনের একখানি ইটের প্রতি ইশারা করে বললেন, এটি উঠান, আমি এটি উঠাতেই তার নিচে কিছুসংখ্যক স্বর্ণমুদ্রা দেখতে পেলাম। তিনি বললেন, এগুলো গ্রহণ করুন এবং দরবেশদের মধ্যে বণ্টন করে দিন। আমি উনার আদেশ মুবারক অত্যন্ত তা’যীম-তাকরীমের সাথে পালন করলাম। (তাযকিরাতুল আউলিয়া)। কিতাবে বর্ণিত আছে-

الادب هو الدين كله

অর্থ: “সম্মানিত দ্বীন উনার পুরোটাই আদব।” যার আদব নেই তার দ্বীন নেই। বেয়াদব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের রহমত, সাকীনা, বরকত, দয়া, ইহসান থেকে বঞ্চিত। কাজেই, মুরীদকে প্রতিটি ক্ষেত্রে আদব বজায় রাখা আবশ্যক।

শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের নায়িব বা প্রতিনিধি।

কাজেই, উনাদের সাথেও সেরূপ আদব বজায় রাখতে হবে যেরূপ মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে বজায় রাখা হয়।

উনাদের সাথে বেয়াদবী করলেও আমল নষ্ট হয়ে যাবে। দুনিয়া-আখিরাত বরবাদ হবে। ইহকালে ক্ষতিগ্রস্থ হবে পরকালেও কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে।

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

يَا ايُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَرْفَعُوا أَصْوَاتَكُمْ فَوْقَ صَوْتِ النَّبِيِّ وَلَا تَجْهَرُوا لَهُ بِالْقَوْلِ كَجَهْرِ بَعْضِكُمْ لِبَعْضٍ أَن تَحْبَطَ أَعْمَالُكُمْ وَاَنتُمْ لَا تَشْعُرُونَ

অর্থ: “হে ঈমানদারগণ! আপনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আওয়াজ মুবারকের চেয়ে আপনাদের আওয়াজকে উঁচু করবেন না। আর পরস্পর যেরূপ উঁচু স্বরে কথা বলেন উনার সাথে সেরূপ উঁচু স্বরে কথা বলবেন না। অন্যথায় আপনাদের আমলগুলো বিনষ্ট হয়ে যাবে অথচ আপনারা টের পাবেন না। নাউযুবিল্লাহ! (পবিত্র সূরা হুজুরাত শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ নং ০২)

অর্থাৎ আদব বজায় না রাখলে কিংবা বেয়াদবী করলে অজান্তে আমলসমূহ বিনষ্ট হয়ে যায়।

উল্লেখ্য যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি মু’মিনগণের, মুহসিনগণের আমল বিনষ্ট করেন না। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

وان الله لا يضيع اجر الـمؤمنين

অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি মু’মিনগণের  প্রতিদান বিনষ্ট করেন না।” (পবিত্র সূরা ইমরান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৭১)

মহান আল্লাহ পাক স্বয়ং তিনিই ইরশাদ মুবারক করেন-

وَلَا نُضِيعُ أَجْرَ الْمُحْسِنِيْنَ

অর্থ: “আমি মুহসিন তথা নেককারগণের প্রতিদান বিনষ্ট করি না।” (পবিত্র সূরা ইউসুফ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ নং ৫৬)

আমল বিনষ্ট তখনই হয় যখন কুফরী করে, কাফির হয়। কাজেই শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার সাথে আদব বজায় না রাখলে কাফির হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নাউযুবিল্লাহ!

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আউলিয়া, ছূফীয়ে বাত্বিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান উনার দীদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-১৯২

পঞ্চদশ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহা সম্মানিতা আম্মা আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম (৪২) উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত

ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, হাকিমুল হাদীছ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ ইমামে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-৩৯ (বিলাদাত শরীফ- ৮০ হিজরী, বিছাল শরীফ- ১৫০ হিজরী)

সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, মুজাদ্দিদ যামান, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, হাবীবুল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি-২৩ (বিলাদত শরীফ ৫৩৬ হিজরী, বিছাল শরীফ ৬৩৩ হিজরী)

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আউলিয়া, ছূফীয়ে বাত্বিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান উনার দীদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-১৯৩