সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, মুজাদ্দিদুয যামান, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, হাবীবুল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি-৬৯

সংখ্যা: ২৯৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নছীহত মুবারক (২)

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

তখন সুলত্বানুল আরিফীন হযরত খাজা কুতুবুদ্দীন বখতিয়ার কাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, ছফরে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ সাথে রাখা উচিত কিনা? সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যামানা মুবারক বর্তমান পরিস্থিতির বিপরীত ছিল। তখন জিহাদের ময়দানে অথবা ছফররত অবস্থায় কোন কাফির, মুশরিক দ্বারা পবিত্র কুরআন শরীফ অবমাননা ও অমর্যাদা হওয়ার ভয় ছিল। তাই তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উম্মতগণকে পবিত্র কুরআন শরীফ সাথে বহন না করার নির্দেশ মুবারক দিয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমানে সেই আশঙ্কা নেই। কাজেই, পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ সফরে সাথে রাখা উচিত। তাছাড়াও পবিত্র কুরআন শরীফ বর্তমান অবস্থার ন্যায় কিতাব আকারে বাঁধানো ছিলো না। তখন বিচ্ছিন্ন অবস্থায় বিভিন্ন জিনিষের উপর লিখে রাখা হতো।

সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আরো বলেন, সুলত্বান মাহমূদ গজনবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে স্বপ্নে দেখে আমি জিজ্ঞাসা করলাম, মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনার সাথে কিরূপ আচরণ করছেন?

উত্তরে তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রশাসনের কাজে সফর করতে করতে আমি এক এলাকায় গেলাম। সেখানে আমাকে একটি কামরায় রাত যাপনের জন্য থাকতে দেয়া হলো। আমি শুতে যাবো, এমন সময় আমার চোখে পড়লো, বিছানার উপর একখানা পবিত্র কুরআন শরীফ উনার একখানা পৃষ্ঠা মুবারক। তখন আমি মনে মনে চিন্তা করলাম যে, যে বিছানাতে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার একখানা পৃষ্ঠা মুবারক রয়েছেন, সেখানে আরাম করা-শয়ন করা আদব হবে কি?

পরক্ষণে ভাবলাম, পবিত্র কুরআন শরীফ উনার পৃষ্ঠা মুবারক অন্যত্র সরিয়ে দিলে বা অন্য কামরায় পাঠিয়ে দিলে কোন অসুবিধা হবে কি? কিন্তু আবার চিন্তা করলাম, নিজের আরামের জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র কালাম উনার পৃষ্ঠা মুবারক অন্যত্র স্থানান্তরিত করা কি আদব হবে? তাই পবিত্র কুরআন শরীফ উনার আদবের বিষয়টা চিন্তা করতে করতে রাত শেষ হয়ে ফযর হয়ে গেলো। আমার শোয়া হলো না। আমার এই আমলটি মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট খুবই পছন্দ হয়েছিল। তিনি ঐ আমলের জন্য আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আরো বলেন, আমি ‘জামিউল হিকায়েত’ কিতাবে দেখেছি, প্রাচীনকালে একজন যুবক ছিল। সে অত্যন্ত দুশ্চরিত্র ও ব্যভিচারী ছিল। সমস্ত মুসলমান তার প্রতি অসন্তুষ্ট ছিল। সবাই তাকে বুঝানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সে কারো কোন কথাই মানতো না। আর ঐ অবস্থায় সে ইন্তিকাল করলো।

রাতে এক বুযুর্গ ব্যক্তি তাকে স্বপ্নে দেখলেন যে, তার মাথায় নূরানী তাজ (টুপি) কোমরে স্বর্নখচিত কোমরবন্দ (বেল্ট) এবং মহামূল্যবান পোশাক পরিহিত। হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি নির্দেশ মুবারক হয়েছে যে, ‘উনাকে জান্নাতে পৌছে দিন’। সেই বুযুর্গ ব্যক্তি উনাকে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি তো অপকর্ম ও কুকর্ম ছাড়া অন্য কিছু করতেন না। তাহলে আপনি এ সৌভাগ্য কিভাবে লাভ করলেন?

তিনি বললেন, দুনিয়াতে আমি একটিই ভালো কাজ করেছি। আমি যখন কোথাও পবিত্র কুরআন শরীফ দেখতাম উনার সম্মানে দাঁড়িয়ে যেতাম। অত্যন্ত তা’যীম-তাকরীমের (সম্মানের) সাথে দেখতে থাকতাম। পবিত্র কালাম পাক উনাকে তাযীম-তাকরীম ও সম্মান প্রদর্শনের কারণে মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে এই নিয়ামত মুবারক দান করেছেন। সুবহানাল্লাহ! (গরীবে নেওয়াজের পূর্ণাঙ্গ জীবনী-২৯০)

ক্বায়িম মাক্বামে আবূ রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাখ্দূমুল কায়িনাত, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের মহাসম্মানিত হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার দীদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-২৩৯

উম্মু মুর্শিদিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- মহাসম্মানিত হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম মুবারক সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত-৮৯

ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, হাকিমুল হাদীছ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইউস সুন্নাহ ইমামে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-৮৫ (বিলাদাত শরীফ- ৮০ হিজরী, বিছাল শরীফ- ১৫০ হিজরী)

ওলীয়ে মাদারজাত, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আউলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আযম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্বরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান- ৭২

ওলীয়ে মাদারজাত, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আউলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আযম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্বরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান- ৭৩