সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, মুজাদ্দিদুয যামান, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, হাবীবুল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি-৭২ সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নছীহত মুবারক (৫)

সংখ্যা: ৩০২তম সংখ্যা | বিভাগ:

তাই তো কবি যথার্থই বলেছেন-

مٹا دو اپنی ہستی کو اگر کچھ مرتبہ چاہو کہ دانہ بخاک ملکر گول گلزار ہوتا ہے

অর্থ: যদি সম্মান-মর্যাদা হাছিল করতে চাও তাহলে নিজের হাস্তী তথা অস্তিত্বকে বিলীন করে দাও। কেননা, শষ্য-দানা মাটির সাথে মিশে, অস্তিত্বকে বিলীন করার পরেই ফুলে-ফলে সুশোভিত হয়ে থাকে।

তিনি আরো বলেন যে, নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত ইত্যাদি ইবাদত-বন্দেগীর একটি বাহ্যিক রূপ আছে। আর একটি হাক্বীক্বত বা মৌলিক তথা প্রকৃত রূপ আছে। এ সব ইবাদত-বন্দেগীর হাক্বীক্বত বা প্রকৃত অবস্থাকে ছেড়ে দিয়ে শুধু জাহিরী বা বাহ্যিক দিকের প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ হওয়া একেবারেই ফুজুল তথা বাতিল বা অকার্যকর। সেই ব্যক্তি প্রকৃত আহমক বা নির্বোধ, যে ঐ সব বিষয়ের হাক্বীক্বত বা মূলে পৌঁছতে চায় না এবং প্রয়োজনও অনুভব করে না।

পরিশেষে তিনি আরো বললেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি অনন্ত-অসীম। তিনি সর্বদা ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। আর সালিক বা মুরীদ প্রথম অবস্থায় অন্ধ ও বধির থাকে। নাউযুবিল্লাহ!

মুরীদ যখন মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট হতে দৃষ্টি লাভ করে তখনই সে প্রকৃত অবস্থা দেখতে পায় ও শুনতে পায়। আর তখনই নিজে নিজেকে বিক্রি করে দেয়। আর যখন তার অবস্থা এরূপ হয় তখন সে মুশাহিদ বা দর্শনকারী হয়। এবং সবসময়ের জন্য জীবন্ত থাকে, অমর হয়। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুবারক শানে ইরশাদ মুবারক করেছেন-

اِتَّـقُوْا فِرَاسَةَ الْمُؤْمِنِ فَإِنَّهٗ يَـنْظُرُ بِنُـوْرِ اللهِ تَـعَالٰى‏

অর্থ: তোমরা মু’মিনের ফিরাসাত বা অন্তর্দৃষ্টিকে ভয় করো। কেননা উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার নূর মুবারক দ্বারা সবকিছুই দেখে থাকেন। সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ, তবারানী শরীফ, তাফসীরে তাবারী শরীফ)

গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার চারিত্রিক গুণাবলীর কয়েকটি দিক

সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, মুজাদ্দিদে যামান, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছিলেন সুলত্বানুল হিন্দ অর্থাৎ ভারত উপমহাদেশের রূহানী জগতের বাদশাহ। এই উপমহাদেশের পবিত্র বেলায়েতের (অলিত্ব) মাক্বাম পূর্ণতার সনদ দেন তিনি। উনার সনদ ব্যতীত কেউ বেলায়েতের দায়িত্ব ভার বহন করতে পারেন না। যারাই ওলীআল্লাহ হয়েছেন উনারা সবাই সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার অনুমোদন পেয়েছেন। সেটা রূহানীভাবে হোক অথবা জাহিরীভাবে হোক।

কাজেই তিনি মহান আল্লাহ পাক এবং উনার মহাসম্মানিত হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কত মুহব্বত-মা’রিফাত, তায়াল্লুক, নিসবত, কুরবত মুবারক হাছিল করেছেন তা সহজেই অনুমেয়। আর উনার চারিত্রিক গুণাবলীর বর্ণনা দেয়ার যোগ্যতা কার আছে? আর সে বর্ণনা শোনার ধৈর্য্যই বা কতজনের আছে?

পাঠকের ধৈর্যের দিকে লক্ষ্য করে যৎকিঞ্চিত আলোকপাত করছি। মহান আল্লাহ পাক এবং মহাসম্মানিত হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা কবুল করুন। ছহীহ সমঝ দান করুন। আমীন।

একজন কুতুবুজ্জামান-এর দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছহিবে কাশ্ফ ওয়া কারামত, ফখরুল আউলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলার্দু রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুজ্জামান-এর দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছহিবে কাশ্ফ ওয়া কারামত, ফখরুল আউলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছহিবে  ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলার্দু রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুজ্জামান-এর দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান- ৫৪

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছহিবে কাশ্ফ ওয়া কারামত, ফখরুল আউলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলার্দু রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুজ্জামান-এর দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান- ৫৫

একজন কুতুবুজ্জামান-এর দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান- ৫৬