ডায়নার মৃত্যুকাহিনী আবার আলোচনায় এসেছে। নতুন করে বিচারের প্রক্রিয়া চলছে। তথ্য উদঘাটনের কথা বলা হচ্ছে। সরশেষ ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। কিন্তু বলার অপেক্ষা রাখেনা, এসবই লোক দেখানো, আপাত: ভুয়া ও মেকী।
এসব তোড়-জোর যতই দেখানো হোক, ডায়না মুসলমান হয়েছিলেন, ধনাঢ্য মুসলমান দোদী আল ফায়েদকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন এসব তথ্য ওরা কোনদিনই প্রকাশ করবে না। বরং এ ধরনের কউ মুসলমান হলে তাদেরকে বিশেষ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মেরে ফেলাই ওদের যুগ যুগের অভ্যাস। এযেন ওদের অলংঘনীয় আলোচিত নিয়ম। এ ব্যাপারে কি ইংল্যান্ড, কি আমেরিকা, কি রাশিয়া, কি সিআিইএ, কি কেজিবি সবাই একই রকম।
প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যায়, ইউকে টাইমস অনলাইন সূত্রে জানা যায়, গত বছর ২০শে নভেম্বর এক হাসপাতালে মারা যান রাশিয়ার গুপ্তচর সংস্থা কেজিবির প্রাক্তন অীফসার লিটিভিনেনকো। তার মৃত্যুর সংবাদ সারাবিশ্বে বিশেষ করে পশ্চিমা মিডিয়ায় তখন তুলেছিলো বিরাট আলোড়ন। কারণ, লিটিভিনেনকোর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। তিনি যখন হাসপাতালে অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন তখন আইসটপ পলোনিয়াম ২১০ নামের এক বিষাক্ত রেডিয়েশনে ভরেছিলো তারা সারা দেহ। কিভাবে তিনি এই এই বিষাক্ত রেডিয়েশনে আক্রান্ত হলেন? আর কে তাকে হত্যা করার ুদ্দেশ্যে বিষাক্ত এই রেডিয়েকটিভ উপাদান দিল তার দেহে- এ প্রশ্ন ছিলো সবার মনে। তবে অনেকে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভাদিমির পুতিনকে এই মৃত্যুর পিছনে জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন। হাসপাতালে ডাক্তাররা অনেক চেষ্টা করেও বাচাঁতে পারেননি লিটিভিনেনকোকে।
লিটিভিনেনকো এক সময় রাশিয়ান গুপ্তচর সংস্থা কেজিবি এবং এফএসবি-এর সদস্য হিসেবে কমরত ছিলেন। পরে তিনি প্রেসিডেন্ট পুতিন ও ক্রেমলিনের অনেক মিথ্যা েএবং অন্যায়-অবিচারের মুখোশ উন্মোচন করে দেন এবং চেচনিয়ার স্বাধীনতার পক্ষেও তিনি ছিলেন সোচ্চার। যার ফলে রাশিয়ায় থাকা নিরাপদ নয় ভেবে সপরিবারে ব্রিটেনে পালিয়ে আসেন। তবে অনেকে যে বিষয়ে অবগত নন তা হলো মৃত্যুর পূবে তিনি ইসলাম কবুল করেন। লিটিভিনেনকোর পিতা ওয়াল্টার এক সাক্ষাৎকারে জানালেন যে, তার ছেলে মৃত্যুর দু’দিন াগে তাকে বললেন, ‘আব্বা আমি মুসলমান হয়েছি।’ মৃত্যুর পর লিটিভিনেনকোর লাশ তার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রিজেন্ট পার্ মসজিদে মুসলমান হিসেবে জানাযা ড়িয়ে দাফন করা হয়। তবে রেডিয়েশনের কারণে তার লাশকে েইসলামী প্রথায় গোছল করানো সম্ভব ছিলো না।
উল্লেখ্য, হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “ইসলাম বিরোধিতায় সব কাফিরের ধম এক।” কিন্তু গাফিল মুসলমান আজও তা উপলব্ধি করছেন না।
-মুহম্মদ আশিকুল্লাহ, ঢাকা।
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৩২