হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, আখিরী যামানায় এমন কিছু মিথ্যাবাদী দাজ্জাল বের হবে, তারা এমন সব কথা বলবে যা তোমরা শোননি, তোমাদের বাপ-দাদা চৌদ্দপুরুষ শোনেনি। এ হাদীছ শরীফে উল্লিখিত মিথ্যাবাদী দাজ্জালের আরেক নাম হচ্ছে এরা উলামায়ে ছু। এরা দ্বীন বিক্রী করে দুনিয়াবী ফায়দা হাছিল করে। দুনিয়াবী ফায়দা বলতে শুধু টাকা-পয়সাই নয়। বরং এটাও দুনিয়াবী প্রবণতা যে নিজেকে তথাকথিত প্রগতিশীল শ্রেণী ভাবাপন্ন মনে করা। তথাকথিত সংস্কৃতিবান মনে করা। অথবা তথাকথিত মানবাধিকারবাদীর অন্তর্ভুক্ত ভাবা কিংবা সানাতন চিন্তাধারা বাদ পরিহারকারীদের দলভুক্ত দাবী করা। আর মূলত এরূপ দুনিয়াবী চেতনার কারণেই সাধারণ শিক্ষিত দুনিয়াদার অথবা বিধর্মী কফিররা ইসলামের যেসব বিধিবিধানের ব্যাপারে নাক সিটকিয়ে থাকেন, তাদের জাতে উঠার জন্য ধর্মব্যবসায়ী দুনিয়াদার আলিমরা তখন দুনিয়াদারদের ঐ ভাষায়ই কথা বলে। ইসলামের নামে ইসলামের বিষয়ে ইসলাম বিরুদ্ধ কথা বলে। ইসলাম বিরোধী মত বা ফতওয়া প্রচার করে। অধুনা নারী স্বাধীনতা নিয়ে তুলকালাম আন্দোলন চলছে। ভাবখানা এই যে, পারলে তারা নারী পুরুষের শারীরিক গঠন প্রকৃতি ও একাকার করে দিতে উদ্যত। ঘর-সংসার অফিস আদালতের পর এখন মসজিদেও এই দৃষ্টিভঙ্গি আগ্রাসী। যেন মসজিদে পুরুষের পাশাপাশি নারীকেও হাজির করতে পারলে তথাকথিত সমতা রক্ষিত হয়। এ প্রেক্ষিতে নামধারী উলামারা এখন মসজিদে ও মহিলাদের ইমামতি সমর্থন করছে। এখানে একটি লক্ষনীয় দিক হচ্ছে যে যারা ইসলামের নাম দিয়ে রাজনৈতিক দল করছে, নির্বাচনে নামছে, ভোট চাইছে তারাই এ বিষয়ে অতি আগ্রহের সাথে কাজ করছে। কারণ মেয়েরা যদি “ঘরের গোপন প্রকোষ্ঠে নামায পড়লে ২৫গুণ সওয়াব বেশী”- এ হাদীছ শরীফের আমল করে ঘরেই বসে থাকে, তাহলে আর তাদের ঘরের বাইর করা যাবেনা। আর ঘরের বাইর না করলে ইসলামের নামে মহিলা রাজনীতি করানো যাবেনা। তাদের মিছিল মিটিং এ হাজির করানো যাবে না। আর এসব কিছুই সুযোগ মত করানো যায় যদি প্রথম তাদের মহিলা জামায়াতের নামে মসজিদে হাজির করানো যায়। মসজিদের নামে ঘর থেকে বের করা যায়। বলা বাহুল্য এজন্যই দেশ-বিদেশের ধর্মব্যবসায়ী মাওলানারা মহিলা জামাতের ব্যাপারে এত উদগ্রীব। মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে মুসলিম মেয়েদের যেতে বাধা নেই বলে জানিয়েছে ভারতের তথাকথিত বিশিষ্ট আলিম অল ইন্ডিয়া পার্সোনাল ল বোর্ডের সহ-সভাপতি তথাকথিত মৌলানা কালবে সাদিক। তার কথায় ইসলামে মেয়েদের মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়া বাধ্যতামুলক না হলেও নিষিদ্ধ নয়। আনন্দবাজার অন লাইনে এসব কথা জানা যায়। উল্লেখ্য দ্বিতীয় খলীফা হযরত উমর ফারুক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং উম্মুল মুমেনীন হযরত আয়েশা সিদ্দিক্বা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা মহিলা জামায়াত নিষিদ্ধ করেছেন এবং ইসলামী শরীয়তে মহিলা জামায়াত নিষিদ্ধ তা ইজমাও হয়ে গেছে। তারপরে তথাকথিত মাওলানা সাদিক যখন বলে সে মসজিদে মুসলিম মেয়েদের নামায পড়া নিষিদ্ধ নয় তখন তিনি কোন স্তরের জাহিল ও গোমরাহ তা সহজেই প্রমাণিত হয়। পাশাপাশি আরো প্রতিভাত হয় যে এসব গোমরাহ, জাহেল তথা ধর্মব্যবসায়ী উলামায়ে ‘ছু’ শুধু বাংলাদেশে নয়, ভারতেও নয়, পাকিস্তানেও নয় বরং গোটা মুসলিম বিশ্বেই রয়েছে। আর এদেরকেই হিদায়েতের জন্য এদের দ্বারা গোমরাহী, ও বেদয়াতী কার্যকলাপ তাজদীদের জন্যই আল্লাহ পাক বর্তমান জামানায় পাঠিয়েছেন, মুজাদ্দিদে আ’যম ইমামুল আইম্মা কুতুবুল আলম, মুহ্ইস্ সুন্নাহ সাইয়্যিদ ইমাম হযরত রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলীকে । তিনি শুধু বাংলদেশের নন, ভারতের নন, পাকিস্তানের নন বরং তিনি গোটা আলমের মুজাদ্দিদ। তিনি কুতুবুল আলম তিনি মুজাদ্দিদে আ’যম। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য একটি সিলসিলার ত্যাজ্য নাতি ছাহেব তার দাদাকে উল্লেখ করে থাকে বাংলা আসামের মুজাদ্দিদ হিসেবে। কিন্তু আসলে মুজাদ্দিদ কোন অঞ্চল ভিত্তিক হন না। তিনি গোটা আলমেরই হয়ে থাকেন তবে কেউ কেউ বিশেষ শক্তিশালী হয়ে থাকেন। যেমন রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা শুধু সাধারণ মুজাদ্দিদ নন বরং তিনি মুজাদ্দিদে আ’যম। -মুহম্মদ মাহবুবুর রহমান, ঢাকা।
বৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বৃটিশ ভূমিকা-১১