খ্রীষ্টানরা এত স্পর্ধা পেয়েছে খারিজী-ওহাবীদের কারণেই ওহাবী খারিজীদের খারাপ খাছলতের খাছ দিকটি হচ্ছে, বদ আক্বীদা ও বেয়াদবী। আল্লাহ পাক-এর রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম তাদের মতই মানুষ, মাটির মানুষ, হযরত আদম আলাইহিস্ সালাম ভুল করেছেন এসবই তদের আক্বীদা। (নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক) ইসলামী ধর্মীয় বিশ্বাসে সমস্ত নবী-রসূল নিস্পাপ। মহান আল্লাহ পাক পৃথিবীতে মানুষ পাঠাবেন তা ফেরেশতাদের নিজেই বলেছেন। কুরআন শরীফে ইরশাদ করেছেন, “নিশ্চয়ই পৃথিবীতে মানুষকে আমি খলীফা হিসেবে প্রেরণ করব।” কাজেই পৃথিবীতে মানুষ প্রেরণ এটা আল্লাহ পাক-এরই কথা। তাই হযরত আদম আলাইহিস্ সালাম ভুল করেছেন, গুণাহ করেছেন তার গুণাহ করার ফলেই মানুষ পৃথিবীতে এসেছে এটা ইসলামী আক্বিদার খিলাফ যা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। ইসলামের দৃষ্টিতে হযরত আদম আলাইহিস্ সালাম প্রথম মানব প্রথম নবী ও রসূল এবং মানব জাতির পিতা। ইসলামে তার অবস্থান ও মর্যাদা সুউচ্চ। কিন্তু ২৫শে ডিসেম্বর খ্রীষ্টীয় সম্প্রদায়ের প্রচারিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় (যা বিভিন্ন দৈনিকে পত্রস্থ হয়) “হযরত আদম আলাইহিস্ সালাম আল্লাহ পাক-এর বিরুদ্ধে গুণাহ করে গোটা দুনিয়াকে গুণাহের অন্ধকারে আচ্ছন্ন ও নিমজ্জিত করেন। আর গোটা মানবজাতিকে সেই অন্ধকারে নিক্ষেপ করেন।” উল্লেখ্য, এধরণের বক্তব্য প্রচার ইসলাম ধর্মের উপর প্রকাশ্য চরম আঘাত যা মুসলমান সম্প্রদায়কে গভীরভাবে ক্ষুব্ধ করেছে। উল্লেখ্য, একই প্রচার পত্রে আদম আলাইহিস্ সালামকে এরূপভাবে বর্ণনা করে হযরত ঈসা আলাইহিস্ সালামকে বেগুণাহ দাবী করা হয়। যাতে প্রমাণিত হয় যে প্রচারপত্রটি উদ্দেশ্যমূলক। কাজেই ইসলাম ধর্মের মূল বিশ্বাসের প্রতি এরূপ ধৃষ্টতাপূর্ণ উক্তির জন্য মুসলমান হিসেবে আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি আমরা আরো ক্ষোভ প্রকাশ করছি ঐসব খারিজী, ওহাবীদের প্রতি যারা বলে থাকে যে হযরত আদম আলাইহিস্ সালাম ভুল করেছেন। (নাঊযুবিল্লাহ) মুলতঃ তাদের বদ আক্বীদা ছড়ানোর ফলেই আজকে কাফির খ্রীষ্টানরা এত সাহস পেয়েছে।
-মুহম্মদ আশরাফুল আলম, ঢাকা।
ইরাকের মীরজাফর সাদ্দাম রাশিয়ার বেলারুশ যেতে চায় কেন?
প্রসঙ্গঃ ছবি, অশ্লীল ছবি ইনকিলাব ও হাটহাজারীর আহমক শাফী উপাখ্যান