ছোঁয়াচে রোগ,
ইহা হাদীছ পাকেই বর্ণিত রহে ইসলামে নেই যোগ।
ছোঁয়াচে রোগ, বিশ্বাস করা কাট্টা হারাম কহি,
রব ও রসূল দেন ঘোষণা কুরআন হাদীছে ছহি।
অন্ধ ল্যাংড়া অসুস্থ সাথে, খেতে নেই অসুবিধা,
সূরা নূর পাকে রহে বর্ণিত, নেই এতে কোন দ্বিধা।
নেই ডর ভয়, খুলেই হৃদয়, শুন হে ঈমানদার,
ভাল করে হের কুরআনী বাণী বুঝে লও সমাচার।
অসুস্থ জনেরে সেবা যে করা খাছ সুন্নত শোন,
দূরে সরে যাওয়া নির্মমতা, সাবধান থেকো হেন।
কাট্টা কুফরী শিরিক তোমায় তবেই রাখবে ঘিরে,
ছোঁয়াচে রোগ করলে ইয়াক্বীন, গ্রেফতার জিঞ্জিরে।
রুগিরে দয়া, শান্তনা দেয়া, মুসলিমী অধিকার,
¯েœহ ভালবাসায় রুগিরা দিচ্ছে সুস্থেই পারাপার।
হাবীবী খোদা রোগী হতে যুদা নিষেধ যে করলেন,
তার দেখভালে যাও মুসলিম নেই বাধা বললেন।
তাহলে কেন মুসলমানেরা কাফিরের বুলি শুনে,
অগত্যা হায় যায় সরে যায় সহসা পিছুর পানে।
কেন কুরআন হাদীছী নির্দেশ হায় না বুঝে মুসলমান,
তবে জাহান্নামী কেন হয় অহেতুক হক্ব হতে প্রস্থান।
আল্লাহ ও উনার পাক হাবীব, উনাদের হতে বুঝ বেশি?
রে কমজোর সব মুসলিম আজ উত্তর দেও আসি।
কুরআন হাদীছ ইজমা ক্বিয়াসী নির্দেশ নিয়ে মোরা,
রাখবো শুদ্ধ ঈমান আমল, বিশ্বাসে রই জোরা।
মুসলিম জাতি অগ্রগতিতে তখনই রহে জানি
ইলাহী ভরসায়ই ইস্তিক্বামত সুন্নাহে রয় গুনি।
তাই আমরা মুমিন মুসলমান করবো না আর ভুল,
আল্লাহ ও রসূলী নির্দেশ হতে সরবোনা এক চুল।
করোনার উদ্ভব,
ইহা আল্লাহ হতেই কাফির উপরে একটি মহাগযব।
নহে আজগুবি সত্য যে কহি, অবরুদ্ধ তা-ব,
ওই তাগুতী শক্তি গযবের কাছে, নিশ্চিন বাস্তব।
চিনদেশ হতে করোনা যাত্রা আজ পৃথিবীর গাও ঘেষে,
কাফির মুশরিক নাস্তিক রাখে ধাপে ধাপে নিঃশেষে।
চেয়ে দেখ মুসলিম, মুলকে কাফির অস্থির করোনায়,
মুসলিম নির্যাতনেই অগ্রজচিন করে রাখে অসহায়।
ছলাত ছিয়াম বন্ধ করে, দেয়না রাখতে দাড়ি,
আহা পর্দা ছিড়েই ধর্ষন করে সীমাহীন বাড়াবাড়ি।
তাই কোটি কোটি নাস্তিক প্রাণ করোনায় নেয় কেড়ে,
খোদায়ী অস্ত্র ভাইরাস দিয়ে বদলা যে নেন পুড়ে।
কোটি কোটি মরদেহ তারা, পোড়াইয়া করে ছাই,
দেখি করোনার করাল গ্রাসেই, উপায় যে আর নাই।
অনুরূপ ইটালি ফ্রান্স জার্মানসহ ইউরোপ এশিয়ায়,
হেরি ভারত জাপান দুই কোরিয়া আমেরিকা কানাডায়।
দুই শতাধিক দেশময় জুড়ে করোনা যে বেগময়,
দেশাদ্রোহীরে তারা যে করতে, থাকছেই তন্ময়।
রহে উদ্ভব কাট্টা গযব নেই এতে ক্বীল ও কাল,
তবু কমজোর কিছু মুসলমানেরা, করোনায় বেশামাল।
তবু কেন আজ আতঙ্কে রহ, খোদাদ্রোহীর মত।
কেন তাদের হুকুমে উঠবস করো ছার নেই অবগত।
করহে তওবা ওরে ও মুমিন গুমরাহি দাও ছেড়ে,
লক ডাউন আর শাট ডাউনে রেহাই দিবে না তোরে।
আজ আর কভু করবে না ক্ষমা তাগুতী পোষ্যদেরে,
করোনায় তোরে সহজেই মারে হটছে না আর ফিরে।
কেন কা’বা শরীফেই তাওয়াফ বন্ধ মসজিদে কেন তালা,
এতে করে তোরা বাড়িয়েই দিলি মু’মিনি হৃদয় জ্বালা।
ওরে শুনরে বেয়াকুফ গাদ্দারেরা ইবলীসি তাবেদার,
ঐ আল্লাহ ছাড়া কাউরে ডরে না মুসলিম কোনবার।
নাচ গান বাজনা নাটক সিনেমা সকল খেলা
বন্ধ করলো করোনা সবই নেই এতে আর হেলা।
কাউইয়ে আউওয়াল, ইমামুল উমাম মহান মুর্শিদীন,
উনার মুবারক নির্দেশখানি শুনো হে মুসলিমীন।
ক্বওলে আযীম করহে তাযীম জেনে লও তারতীব,
প্রকৃত মু’মিন বলতে আমিন থেকো নারে নির্জীব।
বলেন সকল প্রকার আযাব গযব বালা মুছীবতগুলো,
কেবল কাফির তাগুত মুশরিকদের সহজেই করে ধুলো।
অবধারিত, শতাব্দি যুগ যুগান্তরেই, খুলে দেখ ইতিহাস,
বলি ওরে ঘুমন্ত দেখরে চেয়েই ভুগিসনা উপহাস।
খলীফাতুল্লাহ মুজাদ্দিদে আ’যম ছহিবে ছমাদ মামদূহ পাক,
তিনি তামাম মু’মিন মুক্তির লাগি দয়া করে দেন ডাক।
করোনা নামক ভাইরাস হতে ত্রাণ যে পেতেই হলে,
সবে মীলাদ শরীফ করবেই পাঠ ইশকের উজ্জলে।
রহমতে খোদা ঝরছে অঝোর মীলাদ শরীফ পাঠে,
অবশ্যই করোনা থাকবে না আর মুসলমানের মাঠে।
এবং সুন্নতি খাবার খাও মুসলিম নিওনারে মুখ ফিরে,
সবাই সুন্নী জীবন, করহে গ্রহণ, ঐক্যতে রও ঘিরে।
-বিশ্বকবি মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৬
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৭
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীকৃত গেল খুলে -২৮
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৯
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৩০