আখাচ্ছুল খাছ অমূল্য শিরণী,
আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীবী খলীফা, ইমামুল উমাম তিনি।
তিনি আহলে বাইতি রসূল হয়েই, তাশরীফ কায়িনাতে,
তিনি রহমত আর বরকতি নাজে, এলেন মুক্তি দিতে।
তিনি ইনসানী নূরী ইমাম, সাইয়্যিদী আমানত,
তিনি তো রব্বি রোশনাহী শান, ইহসানী ইবারত।
তিনি যে হাবীবী আলায়ে হাসিন, সুন্নতী শাফাক্বাত,
তিনি ঈমানদারের হিফাযতী নূর, ইছলাহী দারাজাত।
তিনি আখাচ্ছুল খাছ আহলে বাইতি ইজমালী আযীমত,
তিনি দ্বীন ইসলামী শামস ও ক্বমার নন্দিত নিছবত।
বরহক্ব, তিনিই করেন সুন্নতী নূরে আলোময় কায়িনাত,
রহেন তিনি অম্লান, আকমলি দানে বেমিছাল মিরকাত।
তিনিই শান্তি মুক্তি ঐক্যের দূত, অপ্রতিরোধ্য নূর,
তিনি রব ও রসূলী পক্ষ থেকেই, পথ দেখান দস্তুর।
তিনি তরানের কাণ্ডারী হয়ে, যাহির যে আখিরাতে,
তিনি উলুল আলবাবী ইলহামী শানে কায়িম যিন্দেগীতে।
যবে আজকে কঠিন করাল গ্রাসে, দাপরায় মু’মিনীন,
যবে অমানিশার নিবীড় গহীনে, গ্রেফতার আবেদীন।
যবে মজলুমী তপ্ত গুহায়, গুমরে গুমরে কাঁদে।
যবে হায়েনার হিংস্র থাবায়; আটক জুলুমের ফাঁদে।
আহা এহেন ভীষণ নির্যাতনের ভয়াল আগুন থেকে,
ওই ইমামুল উমাম দৃষ্টি দানেন মুসলিমী সব দিকে।
তিনি যে উনার জাব্বারী ফায়িযে ধ্বসান তাগুতী ঘের,
তিনি তো উনার কুওওতী ত্যাজে চেহরা করেন বের।
উঠান মুসতাজাবুদ দাওয়াত হয়েই, দস্ত খোদায়ী পানে,
তিনি গর্জে উঠেন দুনিয়া কাঁপিয়ে, নিস্তানাবুদী শানে।
হলেন তিনি মুসলিমী তাসলিম বেলা, রহমানী মাধ্যম।
করেন মুসলিম জাতির মুক্তির তরে, মুনাজাত হরদম।
সেই সে মহান ইমামুল উমামী, শুনি মোরা নছীহত,
এসো জিন ইনসান মুসলিম সবে, নিতে সেই ছোহবত।
সেই নছীহত শুনি আলবত, হেয়ালিপনারে ছেড়ে,
আউওয়াল আখির নিতে কামিয়াব রইবো যে দ্বীনদারে।
বলেন ইমামুল উমাম মুজাদ্দিদে আ’যম, মুসলিম সাবধান,
দেখ পৃথিবী নামক গ্রহের দিকেই বিপদ যে ধাবমান।
এই পৃথিবী ঘারেই, রইছে চেপেই ইবলীসি দূর্নীতি,
সন্ত্রাস আর মারামারিসহ নিয়ে এলো দুর্গতি।
হায় ইবলীসি চালে হচ্ছে বেতাল মুসলিমী শরাফত,
শুধুই হক্কানী ছেড়ে কায়িনাত জুড়ে বনতেছে বদবখত।
চির দুশমন ইবলীস আহা নিয়ে আজ আনুবিক,
মুসলিম জাতি করতে ধ্বংস ঘিরে রাখে চৌদিক।
আহা মু’মিনীন মাঝে উস্কানি দিতে ব্যস্ত যে শয়তান,
দেখি হিংসানলেই পুরোটা পৃথিবী রাখছেই হয়রান।
করায় পারমানবিক মরণাস্ত্রের দেশে দেশে সেই মেলা,
ওই প্রদর্শনী ও মহরাসহ, হুমকিও ফের খোলা।
কেন মুসলিম জাতি ইহানত নিয়ে হয়ে আছে নাজেহাল?
হায় ঈমানের গুরুত্ব হারায়ে, কেন রহ বেসামাল?
আজ দেশ বিদেশের সবখান হতে মুসলিম বিতাড়িত,
ইবলীস, মুসলিমহীন রাখতে পৃথিবী চাল চালে নিয়মিত।
জেনে শুনে হায় মুসলিম কেন অবুঝি খেরকা পড়ে,
হায়! নির্বোধ হয়ে গুজরাও দিন নিজকে পঙ্গু করে।
নিছক আয়েশের ক্ষণিক নেশায় বেমালুম তুমি থেকে,
তোমার তাহযীব আর তামাদ্দুনকে কেন হে করছো ফিঁকে।
আরো যে বলেন, অভাগা মু’মিন মুসলিম শুনে লও,
তাগুতি জামাত ছেড়ে দিয়ে সবে সুন্নতি দলে রও।
শুনো মহাসম্মানিত ছাহাবাগণ সুন্নী সামানা নিয়ে,
ইসলামী দ্বীন করেন প্রচার হাবীবী দরস দিয়ে।
কেবল হতচ্ছাড়া হচ্ছ তোরাই, হাবীবী সুন্নাহ ভুলে,
কেন আঁকড়িয়ে ধরছিস তোরা তাগুতকে বিলকুলে।
ওই খালিক্ব মালিক রব্বি আদেশ লও জেনে মুসলিম,
হাবীবী মুহব্বত আর ইত্তেবাতেই, মুক্তি যে সমীচিন।
শুনো কহি পাক হাবীবী ছহীহ হাদীছেই বর্ণিত ফরমান,
উনার আহলে বাইতী ইশকে কেবল কামিয়াব আবাদান।
বুজদিলি স্বভাব ত্যাগ করেই এসো হে মুসলমান,
হারাম এনাম দাও ছুড়ে দাও, পেতে হলে ইহসান।
থুথু নিক্ষেপে বেড়িয়ে আয় তাগুতী ধোঁকা থেকে,
থেকো নারে আর তাগুতী আঁচলে ঈমানদারেরা লুকে।
ওই ইত্তেহাদের ময়দানে আয় ওরে ও মুসলিমীন,
ছাহাবী আলয় হও আলোয়ান লুফে নিতে আমিরীন।
গ্রহ, আপোষহীন ন্যায়ের তরে, ইখলাছী হাতিয়ার,
রইবেই তুমি তাগুত পালিদ নিস্তানাবুদে দূরন্ত দূর্বার।
ওই খোদায়ী খাজানা দস্তে তোমার, তুমি তো মুসলমান,
হাবীবী হিম্মত হামিশা তোমার, হও কামিলুল ইনসান।
শুধু মুসলিম খোদায়ী খলীফা, আর কেহ নাহি হবে,
ইহা ইরশাদে ইলাহী কালাম, সাচ্ছা ইয়াক্বীনে রবে।
এহেন নাজুকে থেক না লাজুক মুসলিম তুমি আর,
তোমার কাঁধেই হবে যে নিতে, পৃথিবীর শাসন ভার।
-বিশ্বকবি মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৪
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৫
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৭৮
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৬