সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ,
করি মোরা মু’মিনীন জীবনের চেয়ে আপনায় আহলাদ।
এই ঈদে মোরা তামাম আশিক গড়ছি ইত্তিহাদ,
ইস্তিকবাল আহলান আর সাহলানসহ জানাই জিন্দাবাদ।
গদ গদ হৃদে গ্রহি আপ্রাণ,
দুলোকে ভুলোকে মোরা হাজিরান।
দ্বীপ্ত ঈদেই নিশ্চিত জেনে,
গ্রহি সঞ্জিবনীর সামানা এনে।
কায়িনাত পুরো আবে হায়াতেই ডুবে রহে প্রতিক্ষণ,
ছালাত সালাম পঠে অবিরাম নেই এতে সমাপন।
প্রতি মাখলূক্বাতের তানখা সে শুধু শাহী ঈদী আয়োজন,
আরশ কুরসি যমীন আসমান কেউ নহে বিয়োজন।
ইহসান আজ হয়ে আহসান,
লয়েই মুখোর ঈদের আমান।
নও সাজে হেরি নূরানী শান,
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদী দান।
মোরা জানাই মুবারকবাদ সাইয়্যিদুশ শুহূরী আল হিলাল,
রহেন রবীউল আউওয়াল হামিশা উজ্বাল আনন্দে উত্ত্বাল।
এ মাহে বহে অবিরাম, হয়ে আকরাম জান্নাতী সওগাতে,
রহেন হাবীবী হাছিলে আশিকান মিলে বেমিছাল দৌলতে।
শুধু বদবখত রহে আলবত
রিক্তের গৃহে সঞ্চিত মত।
করে বোবা কান্নায় মাতামাতি,
রহে তুচ্ছতে ত্যালেসমাতি।
এ মাহের কোলে গৌরব দোলে শাহানশাহী আমানত,
আল কালামি জাগে ইরহামী হাবীবীতে ছোহবত।
মা’বুদী মেওয়া এ মাহের শিরে চমকিছে বেহতর,
রহে যে আকুল আশিকে রসূল কায়িনাতী প্রান্তর।
জান্নাতী দাওয়াত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ,
ইহা মুসলিমি দ্বীনি ইমদাদ।
আউওয়াল আখির বহুত জরুরী,
দ্বীনি দ্বিপ্তেই পালন করি।
হায় যে তবুও ইবলীসি হেন হিংসায় জ্বলে যায়,
মুসলিম মাঝে ওয়াস ওয়াসা দেয় ধর্মীয় আঙিনায়।
বিদয়াত বলেই চিৎকার করে চেলাদের নিয়ে সাথে
ওই চেলারাই হলো উলামায়ে সূ ইতিহাসে রয় গেঁথে।
নেই ঈদ দুই ঈদ ছাড়া,
কহে কি কহে কি হতচ্ছাড়া।
ওরা নরকের কঠিন কিট,
যাহির বাতিনে তারাই চিট।
ওরা ধোঁকাবাজ হাদীছ শরীফে বহু রহে বর্ণিত,
তাই জাহান্নামী ওরা হয়ে দিশাহারা, হরদমে ঘৃণিত।
শুনুন, ওরা শত্রু মুসলিমদের প্রথম কাতারে কহি,
ওরা জঘন্য তাগুতি গন্য, ইয়াক্বীনি চোখেই চাহি।
শ্রেষ্ঠ ঈদ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ,
হাক্বীক্বী মু’মিনের ইহাই ইয়াদ।
নেই চু-চেরা কোন কালে,
হরদম জোশ এই মাহফিলে।
মোরা করছি ইয়াক্বীন সেরা ইবাদত কুরআনী ইরশাদ,
ফালইয়াফরহূ করছি পালন তেড়ে দিয়ে বিশ্বাদ।
ঐকতানেই মুসলিম মোরা হয়ে সবে বলিয়ান,
রহি হিদায়েতের নূরানী রাহেই আমরাই অম্লান।
সেই সাইয়্যিদুল আইয়াদ পাক মুজাদ্দিদী আজমতি তাজদীদ
সেই মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মোদের করলেন তারশীদ।
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ অনন্তকালব্যাপী,
পালন করা ফরযে আইন ফতওয়া দিলেন মাপি।
পাক রাজারবাগ দরবার শরীফে তেষট্টি দিন সহ,
ওই মহাসমারোহে হচ্ছে পালন শওকতে অহরহ।
শুনুন আখাচ্ছুল খাছ সাইয়্যিদুশ শুহূর রবীউল আউওয়ালে,
পালন মাসব্যাপীসহ বারই শরীফ বেমিছাল উজ্জ্বলে।
মুরীদ মু’তাক্বিদ আওয়াম জনতার,
হেরি ওই মাহফিলে ঢল সমাহার।
জওক শওকের বিরল ইযহার,
শুকরিয়া নজীরবিহীন দৃশ্য বাহার।
আযীমুশ শান বারই শরীফে দেশ ও দেশান্তরে
ইমামুল উমামী নির্দেশে ওই খুশির পতাকা উড়ে।
উন্নত মানের ফিরণি বিরাণী জর্দা পোলাও পশেন,
লক্ষ লক্ষ আশিক, জাকির হস্ত বাড়িয়ে নেন।
রাজধানী ঢাকার প্রতি লোকালয়ে,
বিলান তবারুক যেয়ে যেয়ে।
ওই সহস্রাধিক গাড়ির বহর,
রয় মুখোরিত পুরোই শহর।
বেষ্টিত না’ত শরীফের মিষ্টি ধ্বনীতে পুরোটা বিশ্বময়,
আজ কায়িনাত জান্নাতী নাজে বেশুমার ঘিরে রয়।
বারই শরীফের রুপালী হিলাল ঈদি আমেজেই রহে কামাল,
রয় কোটি কোটি কণ্ঠে, মীলাদ ক্বিয়ামে, কায়িনাত উত্ত্বাল।
-বিশ্বকবি মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৪২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৪২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীকৃত গেল খুলে-৪৯
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৫০
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৫১