মহামতি মাহে রমাদ্বান,
খোদায়ী খইর ভরপুর হেথা জান্নাতী অফুরাণ।
রহমত আর মাগফিরাত সহ নাজাতী অমিয় শান,
ফের শবে ক্বদরের কুদরতী মেওয়া রব্বানী ইহসান।
কুরআন উনার নাযিলের মাস,
ইলাহী নাজের বিরল উচ্ছাস।
প্রত্যাশা পূরণ এ মাহের কোলে,
নূরী দোলনাতে হরদম দোলে।
ওই আল ইসলাম আঞ্জামে রহেন নও নাজে বেশুমার,
পুরো কায়িনাত গ্রহে সওগাত রহমানী আনওয়ার।
জান্নাত উনার দরজা সকল রাখছেন খুলে খুলে,
ওই জাহান্নামের জখমি কপাট বদ্ধ তালায় ঝুলে।
মু’মিনান সবে মেহমান হয়ে ইলাহী বাগেই ভীর,
হেরি সাহরী আর ইফতার মাঝে রহমতে স্থির।
মাওলা মালিকি দানের খাঞ্চা মু’মিনের দ্বারে দ্বারে,
ছিয়ামী সাকীনা সহসা পেলেন দ্বীনদারী অকাতরে।
আজ ছিয়ামের খুশির ঝিলিক,
পুরো তাগুতকে করছে অলিক।
কাঁদে মরদুদ বন্দী গুহায়,
হেরে যাই বুঝি আমি হায় হায়।
খাদা খন্দকে রয় ডুবে ওই অপমানে শয়তান,
এক চেটিয়া মু’মিনী দাপট এনেছেন রমাদ্বান।
শুনুন, এ মাহে খোদ আল্লাহ যে হন মহামতি মিজবান,
পান, রোযাদার সবে মেজবানী খেতে মুবারক আহলান।
সুবহানাল্লাহ! রহমত নাজাত মাগফিরাতের বেমিছাল হাদিয়ায়,
ওই মু’মিন মু’মিনা রহেন পুলকিত কামিয়াবী আঙ্গিনায়।
খোশ পয়গাম কুরআনী কালাম নূরী ক্বদরের রাতে
শুকুর, মুসলমানেরে করেন মালামাল ইনসানিয়াতী জুতে।
শুনুন পাক মুজাদ্দিদ গাউছুল আ’যম ইমামুল উমাম তিনি।
বলেন মুসলিম জাতি এক হও সবে ফরমানে আসমানী।
পাক ছিয়ামীতে উদ্দমী হও অবহেলা দাও ছেড়ে
সুন্নী জীবন করহে গঠন বিকল্প নেই ওরে।
বিনা হিসেবে জান্নাত পেতে ওরে ও মুসলমান,
সুন্নাহ প্রচারে কহি মিলবেরে নেই এতে হয়রান।
করহে ইয়াক্বীন ওরে ও মু’মিন থেকোনা চুপটি বসে
কহি রহ রহ ঝুকে সুন্নাহ ইশকে রমাদ্বানী উচ্ছাসে।
সুন্নাহ প্রচারের কেন্দ্র গড়েন শুনো হে মুসলমান,
উহা এসেই দেখ রাজারবাগ শরীফ চমকিছে অফুরান।
বড় ইহসান রাব্বি অনুদান ইমামুল উমাম পেয়ে,
কায়িনাত জুড়ে উহাই প্রচারে ইশকি জজবা দিয়ে।
তিনি দেশ বিদেশ বিশ্ব জুড়েই জোরালো ভূমিকা সহ,
প্রতি লোকালয়ে সুন্নীদ্রব্য রাখেন অর্থবহ।
তিনি প্রতিকুল চুরমার করে রহেন অগ্রসর,
তিনি সাবলীল সফলতা পান নেই এতে নড়চড়।
মুসলিম মোরা বিধর্মীদের তর্জতরীকা নিয়ে,
ঈমানহারা হচ্ছি কেবল তাদের খাবার খেয়ে।
সুন্নী খাবার সুন্নী পোশাক সুন্নতী আসবাব,
দুনিয়া আখিরে দিচ্ছেন করে কামিয়াব বেহিসাব।
তবে কেন কাফিরের অনুসরনে জীবন বিলিয়ে দেই,
তাদের দর্শ পুরো বিমর্ষ, কোন কল্যাণ নেই।
ইমামুল উমাম নছীহত উনার শুনো হে ঈমানদার,
মোরা তওবা করেই করবো গ্রহণ সুন্নতী সমাচার।
কহি আজ ফিতনার দূর্বিসহ কঠিন অন্ধকারে
আহা কালাতিপাত করছি মু’মিন তাগুতী অত্যাচারে।
দেই ছেড়ে দেই কুফরী সকল নাপাক তর্যরীতি
বিশ্ব জুড়েই জ্বালিয়ে রাখবো অনাদী সুন্নাহ বাতি।
এলেন রমাদ্বান, নিয়ে অফুরান, বেমিছাল নিয়ামত
খলীফায়ে আল মানছূর তিনি রহমানী আজমত।
তিনি হাবীবী নায়িব খলীফা উমাম রব্বানী উপহার,
তিনি সাইয়্যিদী সচ্ছ নিয়াজ ইসলামী আনওয়ার।
বিলাদতী শান ৯ই রমাদ্বান প্রকাশ করেন তিনি।
কায়িনাত জুড়ে ওদিনের তরে হলো বরকতী ধ্বণি।
তিনি হাবীবী নূর, মনছূর হয়ে ধরাতে তাশরিফান,
তিনি মুক্তির দ্বীপ্ত ইমাম, শুনো হে মুসলমান।
তিনি মুসলিমী বিশ্বের মাঝে সুমহান রাহবার,
উনার ফায়িযে নিঃশ্বেষ হয়, জঘন্য বরবর।
তিনি জজবাহি নূরে, মুসলমানেরে রেখেই যে হরদম,
তিনি নিস্তেনাবুদ যাচ্ছেন করে বাতিলের দহরম।
মোরা মুসলিম থাকবোনা থেমে তাগুতের কোন ভয়ে,
খলীফাতুল উমাম, মু’মিনী ইমাম বিজয় আসছে ধেয়ে।
খুশির খবর, বলছি জবর, শুনে লও দিল খুলে,
খিলাফতী হাওয়া বহিছে প্রবল, খলীফাতুল উমামী পালে।
আমরা মু’মিন রহিবো অধিন উনাদের মারকাজে,
বিজয়ী মোরা হবোই হবো, রবোনা হীনের লাজে।
তাই জোরে মোরা দেই তাকবীর আল্লাহু আকবার,
খলীফাতুল উমাম জিন্দাবাদ ইরহামে গাফফার।
-বিশ্বকবি মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৩৫
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৩৬
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৩৭
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৩৮
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৩৯