বাঁচার আর্তনাদ
মুসলিম জাতি দুর্গতি ভোগে খুঁজতেছে ইমদাদ।
পবিত্র দ্বীন ভাবতেছে হীন তাগুতি চমক হেরে,
তাই দলে দলে ইবলীসি ছলে ঈমান হারিয়ে মরে।
আহা আজকার দিনে ফিতনা গহীনে নেতিয়ে দ্বীন ইসলাম
দেখি, বাঁচা ও মরার ঘানিতে মুচড়ে কাঁদছে মুহতারাম।
ফের ধুকে ধুকে হচ্ছে যে ফিকে মুসলিমী অভিজাত,
দেখি রন্ধ্রে রন্ধ্রে তাগুতি মন্ত্রে মুসলিম কুপোকাত।
কাফির গোষ্ঠী মুসলিমী বুকে চালাচ্ছে গুলি হেসে,
চাচ্ছে তারা মুসলিম মেরে মাটিতে রাখবে মিশে।
চাচ্ছে ঘরবাড়ি সব গুড়ে নিঃস্ব বানিয়ে ছাড়ে,
এহেন দৃশ্যে রহে সহাস্যে তাগুতেরা ফুরফুরে।
আহা পতনের বন্যায় ভাসে কথিত মুসলমান,
তবু কাফিরের কির্তন গায় হয়ে হায় বেঈমান।
হায় অপদস্থের ভয়াল চাবুকে মুসলিম বেকারার,
সকল কাফির এক হয়ে তারা করছে অত্যাচার।
তওবা ভুলেই মুসলিম আজ বারবার মার খায়,
রছমী আমলে রয় অবহেলে আঁধারেই গুজরায়।
মানবেতরের করাল গ্রাসেই হরদম হরবেলা,
নিন্দা নেশায় মত্ত থেকেই বনছে তাগুতী খেলা।
পুরো বেশামাল মুসলিম জাতী প্রগতির কায়িনাতে,
তবু তাগুতের তপস্যায় রত বেঁচে থাকে কোনমতে।
এভাবে আউওয়াল আখির বিনাশে অধির কমজোড় মুসলিমীন,
জাহান্নামী হয়ে যাচ্ছে মারা, যারা ঈমানহীন।
করি, মোরা দুনিয়ার মুসলিমদের এক হতে আহ্বান,
আয় ছেড়ে আয় তাগুতের প্রেম, ওরেও মুসলমান।
ওরে বুজদিল আর কতকাল রবি বোবার কুটিরে ঢুকে,
কত কাল আর যাতনা সইবি ঈমান করেই বিকে।
উঠায়ে শির তাকাওরে বীর ওরে ও মুসলমান,
ভীতুর দরজা ভেঙ্গে বের হও শুনে লও ফরমান
নও তুমি আর বেকার ভূবনে হক্বের মশাল হাতে,
দাফন কর হে হয়রানী আর পেরেশানী নিঃশেষেতে।
দেখরে তাকিয়ে বাংলা গগণে মহান সূর্য খান,
তিনি তড়িৎ গতিতে দেন যে জ্বালায়ে মরদুদ শয়তান।
ওরে ঈমানদার মুসলিম সবে জেনে নাও আলবত,
তিনি মুজাদ্দিদে আ’যম আল্লাহ উনার বিলকুল রহমত।
পরিচয় উনার ইমামুল উমাম আমীরুল মু’মিনীন,
তিনি কিংবদন্তী মাখলূক্বাতেই সুমহান আজিমীন।
তিনি আল কালামী মিছদাক্বী নূর শাহান শাহ আরিফীন,
তিনি আল হাদিছী দীপ্ত দলীল দস্তুরে ছদিক্বীন।
তিনি জাব্বারী গুণে গুণান্বিত গাফফারী আনওয়ার,
তিনি ক্বইয়ূমী কুরবতে লন ইসলামী দ্বীনদার।
তিনি ঈমানের ইবারত হয়ে জগতে জ্যোতিষ্মান,
তিনি আবাদান ইহসান গুণে কুওওয়াতে আলীশান।
তিনি মুক্তির সুমহান দূত ইছলাহী অভিষার,
তিনি কামিলীন ইনসান হয়ে জগতেই জাগুয়ার।
তিনি খলীফায়ে আসসাফফাহ ছিফতে ইমামে মুসলিমীন,
তিনি জাগ্রত উন্নত শীরে করছেন আমিরীন।
পৃথিবীর সব মুসলিম তিনি এক করে আগুয়ান,
ছনছার তিনি দিবেন করেই মুশরিক কাফিরান।
শুন, ঐকতানেই হয় জমায়েত পেয়ে উনার নির্দেশ,
ওই পাক আফগান তুর্কি ইরান মুসলিম সব দেশ।
সেই নির্দেশ দেন ইমামুল উমাম বিজয়ী তখতে বসে,
তিনি যাহিরী বাতিনী সুন্নতী নূরে নন্দিত জৌলুসে।
শুরুটা হবেই গাযওয়ায়ে হিন্দ এরপর বাকিগুলো,
ওই ইমামুল উমাম মূলকে তাগুত করবেন সব ধুলো।
খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ করবেন জারি তিনি,
ইহাই নিত্য সত্য উহাই কুরআন হাদীছে জানি।
তাই আলবত প্রস্তুত রহ মুসলিম ময়দানে,
মোরা করবো যুদ্ধ তাগুত রুদ্ধে জজবাহী আলোড়নে।
ওই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ দামামা, টর্ণেডো হয়ে বাজে,
কাফিরের সাথে লড়ার খবর আকাশে বাতাসে খোঁজে।
মোরা মুসলিম ইলাহী ফৌজ নেই ডর মৃত্যুতে,
যুদ্ধরে মোরা বন্ধু ভাবছি জীবনের ফিতরাতে।
যুদ্ধ বাঁধলে মুসলিম মোরা একই কাতারে আসি,
ধরি ইলাহী রাহেই অটুট থাকতে ইমামুল উমামি রশি।
ইনশাআল্লাহ পারবে না কেউ রুখে দিতে আমাদের,
রহি কঠিন লৌহ প্রাচীরেই গাঁথা ভাঙ্গবোনা কভু ফের।
হাবীবী সৈনিক মুসলিম মোরা নির্ভীক হরদম,
দূর্বার ত্যাজে লড়বোই মোরা হউক যত দূর্গম।
শুন, ইহুদী হিন্দু বৌদ্ধ নাছারা নাস্তিক মুরতাদ,
আজন্ম লড়াই করবো তোদেরে করে দিতে বরবাদ।
ইমামুল উমাম খলীফাতুল উমামী ফায়েজে মুসলমান,
খিলাফত ক্বায়িম রাখবো দায়িম দেখতেছি ক্বারিবান।
শুন অপ্রতিরুদ্ধ আমীরুল মু’মিনীন খলীফায়ে মনছুর,
হের উনারই রোবে উপরে পড়ছে ইবলীসি অঙ্কুর।
-বিশ্বকবি মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৪
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৫
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৬