ইমামুল উমাম শাহান শাহ আউলিয়া,
উনার ফায়িযে জাগ্রত রহে জজবা যে উথলিয়া।
ওই দুস্থ যে রহে পুরো দুস্তুর সাবলিল শৃঙ্গে,
দেখি গর্জে উঠলো লা-শারিক মাঠে সংগতি সঙ্গে।
ওই সুমহান নূরী সুন্নতী,
দিচ্ছেন তাড়ায় দূর্গতি।
আল কালামী দীপ্ত দিশায়,
সব মু’মিনীন ফিরে পায়।
হক্বের যিকির ফিকিরে মত্ত অনন্ত গৌরবে,
তাগুতী তামাশা সংহারে আজ পুরোটাই রয় ডুবে।
আজি অধুনার উদ্যানে শুধু মুসলমানের ভীড়
খোদায়ী খলীফা মুজাদ্দিদে আ’যম উনার উচ্চে শির।
দিকে দিকে শুনি উনার ডাক,
টানছেন দিয়ে নূরী আখলাক্ব।
মু’মিনী ক্বওম তিনি ধরে,
ওই উঠান মুক্তি তীরে।
আল হিলালের রূপালী চমক চমকে ধরণী কোলে,
তরিৎ তাগুতী তামাম তল্পি ধ্বংস শিখায় দোলে।
দেখ লাল সূর্যের তীব্র ত্যাজেই মামদূহী মুরীদান,
হরদম হালে রহেন উজ্জলে অগ্রেই আগুয়ান।
ওই মাদানী মোহনা রাজারবাগ
মুসলিম সব জাগরে জাগ।
ডরভয় সব রয় উবে,
ঈমানী কুওওয়াত ফিরে পাবে।
আনতে শাশ্বত শান্তি শিবির ইসলামী খিলাফত,
লও রে মু’মিন হীনতা ছেড়েই মুজাদ্দিদী মতামত।
তাজদীদ উনার রহে সরদার দ্বীনি সব খাতে,
রয় উনার ক্বিয়াসে তৃপ্তি পিয়াসে মুসলিম মহরতে।
পুরো ধরণীর তাগুত পন্থী সবে রহ হুঁশিয়ার,
রহেন ইমামুল উমাম উনার তামাম মুরীদান জাগুয়ার।
দেন, তোদের সকল ষড়যন্ত্রের সূক্ষ্ম জালকে জ্বেলে,
ওই সুন্নী ঝাণ্ডা সর্বোচ্চে রাখেন যে তুলতুলে।
গোটা বিশ্বের গায়ে গায়ে,
ইমামী আযান বয়ে বয়ে।
দেন গন মহলে পৌঁছিয়ে,
ইমামুল উমামী রাজ লয়ে।
শুধু আবদার করেন বার বার পাক মামদূহী অনুসারী,
আলবত ওই খিলাফতখানি করতে বিশ্বে জারি।
সবে প্রস্তুত অযুত নিযুত মুরীদান হাক্বীক্বতে,
দিবেন তাগুত পূজারী নস্যাৎ করি, ইছলাহী অগ্নিতে।
হায় শুনছি এখন বাংলাদেশেই কুশিল বুদ্ধিজীবী,
এক হয়ে তারা করবে বিদায় ইসলামী পায়রবী।
হাবীবী খোদা নূরী রসূল উনার সুন্নী রীতি,
চলবে না আর বংলাদেশে কইছে নমশুদ্র জাতি।
আহা রবির পুজারি দল করে কী আস্ফালন,
বলে রবীহীন দেশ পুরোই অচল নেই এতে প্রহসন।
অমঙ্গল প্রদীপ বঙ্গ দ্বীপকে হামেশা রাখছে ভালে,
এ প্রথা ইয়াক্বীন করবে বাঙ্গালী যুগান্তরের ডালে। নাউযুবিল্লাহ!
খন্নাসি সেবক আরদালিজীবী কহে কি বাংলাদেশে,
আটানব্বই ভাগ মুসলিম মাঝে কেমন করেই ঘোষে?
মুর্তি দিয়ে সাজাবেই দেশ ঘটা করে তারা কহে,
নাচে গানে সবে উত্তাল রবে এমন কৃষ্টি চাহে।
এদেশ নহে মুসলমানের এদেশ রবি বঙ্কিমের,
কাজী নজরুল সহযোগী গানে গানে রহে ঢের।
পাঠশালা সহ বিদ্যালয় সকল শিক্ষালয়ে,
তাগুত পুজারী এক হাত লয় নমদের লেজ ছুয়ে।
একি হলো হাল সবে বেশামাল হিন্দু বৌদ্ধ ছলে,
মুসলিম কেন নিজকে রাখছে তাগুতের বাহু তলে।
মুসলিম কেন হেয়ালিপনায় নিজকে ডুবায় শেষে,
মুসলিম কেন পরাশ্রয়েই নিজকে বাঁধছে কষে।
আহা অখ্যাত সব উলামায়ে সূ ও মুরতাদি গ্যারাকলে,
আওয়াম মু’মিন রহে যে অধীন চাতুরীর কোলাহলে।
হায় ঈমান আমল আক্বীদা সহ মুসলিমী অভিজাত,
জগাখিচুরীর তলায় ঘুমায় নাক ডেকে দিবারাত।
মুজাদ্দিদে আ’যম ইমামুল উমাম নিয়ে সত্যের বাতি,
মু’মিন তোমায় ডাকেন সদায় ঝেড়ে ফেলো দুর্গতি।
শুধু আখিরী রসূল হাবীবী ত্বরিকায় মু’মিনের মুক্তি,
বাকি পথ সব রহে রহে ওই কাজ্জাবে ব্যাপ্তী।
আর নয় ওরে বার বার কহি আয় আয় ফিরে আয়,
দ্বীন ইসলামী মোহনায় থেকে হক্কানী গুজরায়।
আফসোস করে আপোষ করনা নিজকে বিক্রি করে,
বৈধ উপায়ে, মুজাহিদ হয়ে, হরদম যাও লড়ে।
গাজী শহীদের ন্যয্য পাওনা লও বুঝে হিম্মতে,
আক্বীদা আমল করনা বিফল সচেতন সবখাতে।
তাওহীদ আর রিসালতী শানে মুসলিম চিরদিন,
ওই রহে উজ্জল সদা অবিকল ইহসানে অমলীন।
–বিশ্বকবি আল্লামা মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৪
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৫
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৬