মাহে রমাদ্বান, মহা মহিয়ান,
ইলাহী উনার খাছ পয়গাম, বেমিছাল অনুদান।
জান্নাতী ফটক, বরহক্ব খোলা প্রবাহিত রহমত,
রহেন বরকত আর নাজাতী নেওয়াজে হরদম মহরত।
কহেন কালাম পাক আর হাদীছ শরীফেই ফযীলত অফুরান,
যুগ যুগ ধরে ধরণী ক্রোড়েই হচ্ছে প্রকাশমান।
দেন মহান আল্লাহ পাক উনার বান্দার তরে নিয়ামত সব ঢেলে,
স্বয়ং মাহে রমাদ্বান আলোয়ান হয়ে রহিছেন মকবুলে।
শুধু মুসলিম জাতি সেই প্রীতি লয়ে সহাস্য তেজিয়ান,
রহেন ইরহাম বড় ইকরাম হয়ে ইনয়ামে ধাবমান।
স্বচ্ছ সাহসী নেকী পরশেই মুসলিম জনে জনে,
খোদায়ী খইর নিতেই অধীর জান্নাতী মধুবনে।
ইশকে ইলাহী রূহী তাজ হয়ে নির্ভয়ে গুজরান,
আশিকে রসূল মশগুল থেকে দারাজাতে আগুয়ান।
শায়েখী প্রেমেই প্রজ্ঞা গ্রহিয়া প্রেমাস্পদের পথে,
সালিক-সালিকা হয়ে ফানা-বাক্বা নিজকে রাখেন গেঁথে।
কত যে মধুর সুদূর মলয়ে দিলি বাতায়ন মেলে,
ওই রহমানী রেযা পেয়েই তাজা ছিয়ামী অগ্রদলে।
আহসান বড় ইহসান হয়ে রমাদ্বানে রন ফুটে,
গফফারী গুণে গুনাহগুলো ধুনে অনায়াসে দেন মিটে।
ওই ইফতার সহ সাহরী বেলায় ইলাহী উনার দান,
বেহিসাব ঝরে ছিয়ামী কাতারে নেই এতে ব্যবধান।
ঈমানী কুওওয়াত মজবুত হয় আলবৎ উদ্যানে,
করেন ইয়াক্বীন, সবে মু’মিনীন দ্বিপ্ত দিশারী শানে।
মাহে রমাদ্বান শেষের দশেই ক্বদর শরীফই রাত,
ও রাতের মুহব্বতে অধীর রহেন তামাম মাখলূক্বাত।
হাজারো রাতের ফযীলত মিলে ও-রাতের সওগাতে,
ইলাহী রহম বর্ষিত রহে ও-রাতেই কায়িনাতে।
ওলী আবদাল মুজাদ্দিদসহ ইমাম ও মুজতাহিদ,
এলেন এ মাহের কোলে উজ্জ্বলী ডালে বিজ্ঞ নূরে আবিদ।
পহেলা ছিয়াম নিয়ে পয়গাম বড়পীর হযরত,
খোদায়ী যমীনে তাশরীফ আনেন লভিলেন বিলাদত।
তিনি মাতৃদুগ্ধ ত্যাগের জোয়ারে ছিয়ামেই বেমিছাল,
লভেন হয়ে রোযাদার খ্যাতি বেশুমার দারাজাতে মালামাল।
ওই হাজারো কারামত করে অবগত যুগান্তরের হালে,
আজিও জীবিত মুসলিম হৃদে অনাদির চঞ্চলে।
দিনু বর্তমানের বিশ্বজুড়েই ফুরফুরে সংবাদ,
বাতিল বিদয়াত উৎখাত তরে বিজয়ে জিন্দাবাদ।
সেই নূরী চাঁদ, হলো যে আবাদ, ইসলামী মারকাজে,
কায়িনাত মাঝে আবে হায়াতের অনুপম নওরোজে।
তিনি তাশরীফ আনেন দ্বীনি দিগন্তে সুন্নতী শাহী শানে,
তিনি অবস্থানেন এখনো সেখানে ইলহামী অনুক্ষণে।
তিনি তো তাবা করার তরে কায়িনাতে যাহিরান,
তিনি তো তওবা করাবার তরে নাশিছেন কাফিরান।
তিনি তো একক সুমহান ইমাম খলীফায়ে মুসলিমীন,
তিনি পথপ্রদর্শক রূহানী আলোক বন্ধু যে আমিনীন।
তিনি তো নায়িব খোদায়ী আমীর অত্যন্ত দূর্বার,
তিনি তো তাগুত নিখুঁত নিয়মে করে দেন ছনছার।
তিনি তো মাওলা আওলায়ে নূর দ্বীনদারী খতিয়ানে,
তিনি তো আতিক চিনায়ে পথিক জুড়ে দেন হক্ব পানে।
সেই সে নূর শাহী তূর হয়ে মাহে রমাদ্বান পাড়ে,
হন যাহিরান ৯ই রমাদ্বান আলমে আরওয়াহ ছেড়ে।
তিনি যে হলেন খলীফাতুল উমাম হযরত মানছূর,
তাগুতী তল্পী তাবা করে দিতে সফরেন বিস্তুর।
তামাম জগৎ নিতে ফযীলত তোহফায়ে বিলাদত,
সবে ইন্তিজারের কাতারে রহেন আশিকানে এযাবৎ।
ওই সপ্ত যমীন আসমানসহ সজ্জিত নও সাজে,
সাইয়্যিদী ইমাম স্বয়ং তামাম আদরেন ভাঁজে ভাঁজে।
ওই ঝিমিয়ে পড়া মুসলিম জাতি জগতে পূনর্বার,
ওই ঘুণে ধরা সব মুসলমানেরে করতে চমকদার।
ওই অথর্ব আর অলস গাফিল বোবা মুসলিমদেরে,
চাঙ্গা করতে রাঙ্গান তিনি সুন্নতী তুলি নেড়ে।
ওই মুশরিক তল্পীবাহক ভীরু মুসলিম অনুগামী,
রহেন, তাদেরে তাজা করতেই তিনি হরদম উদ্যমী।
তিনি মুশরিকী ছল নস্যাৎ করে তাওহীদে বলিয়ান,
তিনি ইহুদী কাফির রাখেন অস্থির বিজয়ে অবস্থান।
বিশ্ব মু’মিন রেখেই অধীন বানাচ্ছেন মুজাহিদ,
তিনি বিশ্ব বিদয়াত ছনছারকারী শ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ।
এসো হে মু’মিন শোকর আদায়ে হাত তুলে আজ বলি,
জনম জনম ইমামী বলয়ে রহিবই সবে মিলি।
ওই উনার আদেশে উনার পরশে আমরা মুসলমান,
রহি সচেতন, বাস্তবে মন, থাকবো না পিছুয়ান।
উনার ফায়িযে বলিয়ান হয়ে পৃথিবীর প্রতি কাতে,
হক্বের নিশান রেখে উত্থান উড়াবো দিবস রাতে।
চাচ্ছি মদদ ওগো সুলত্বান শাহানশাহ মানছূর,
চাচ্ছি রেযা ওগো বুরহান ইহসানে সুরাসুর।
-বিশ্বকবি আল্লামা মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৩৫
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৩৬
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৩৭
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৩৮
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৩৯