শুনুন, ওই মুবারক পাক জুমাদাল ঊলা
বছর ঘুরেই আসেন আবার হৃদয়ে দিতেই দোলা।
অসংখ্য ওই স্মৃতিময় জোড়া কাহিনীর উজ্জ্বলে,
পবিত্রে ভরা জুমাদাল উলা খুশির খাঞ্চা খুলে।
কত শত দরস ফুলে ফলে রহে আকাশ চুম্বি হয়ে,
মৌ মৌ তার সুবাসে মুখর অনাবিল নিশ্চয়ে।
অন্যতম ঈদের ফোয়ারা এ মাসের বুকে বহে,
কুল মাখলূক্ব রহে উন্মুখ মক্কা শরীফে চাহে।
নিসবতে আযীম মহামহিমের ঝালোরে সূর্যদান,
কায়িনাত আজ নও হাসিনেই দিবা রাত গুলশান।
মুবারক বাইশ জুমাদাল উলা পাক নিসবতে আযীম,
কায়িনাত জোড়া খুশির ফোয়ারা বহিতেছে তাসলীম।
কহি হাবীবে আলা কুবরাহী লালা মুবারক কুরবত,
এ মাহের বাইশ রজনী ভুবনে বর্ষিল হুরমত।
ওই আরশ যমীন ঈদে মুহসিন স্মরণীয় শৃঙ্খলে,
আবাদুল আবাদ সেই সওগাত রহিছেন উজ্জ্বলে।
হযরত নূরুছ ছালিছা আলাইহাস সালাম উনারই বিলাদত,
এগারই দিবস এ মাহের কোলে উজালেন আলবত।
তামাম দুনিয়া খুশির মৌজে মাতোয়ারা বিলকুল,
রহেন জান্নাতসহ জগৎ কাননে নওসাজে মকবুল।
হযরত খলীফা ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার লখতে জিগার
সিবতু রসূল শাহী বুলবুল সাইয়্যিদী মনিহার।
হযরত নূরুছ ছানিয়া আলাইহাস সালাম উনার নয়নমণি,
এই জুমাদাল উলায় গ্রহেণ বিছাল ফরমানে রাহমানি।
সাইয়্যিদু কুরাইশ সাইয়্যিদুন নাস জাদ্দু হাবীবী বিছালী শান
এই মুবারক মাসে করেন প্রকাশ রহমতে শাহী দান।
খোদায়ী খাছ খুশবু ঝরছে জুমাদাল উলাহী উদ্যানে,
নজরানা নাজ রহিছে বিরাজ এ মাসের আয়োজনে।
জানি, হাদিউল উমাম রহমে কারাম মাখলূক্বী ইহসান,
তিনি জান্নাতী ঝালোর বাতি হিদায়াতী অনুদান।
তিনি শামসীর হায়দারী তীর সাইয়্যিদী হাতিয়ার,
তিনি তো হিলাল আল বালাগাল সুন্নতী মনওয়ার।
তিনি তো এ মাহে বিলাদতী শান প্রকাশ করেন ওরে,
তিনি তো এলেন দিশারী হয়েই এ মাহের চত্বরে।
তিনি শামসুন তিনি মাসনুন তিনি তো হাবীবী নাজ,
তিনি ইখলাছ তিনি আলমাছ তিনি তো রূহানী রাজ।
ওই জুমাদাল উলার নবম তারিখে ধরণীর ময়দানে,
তিনি শুভাগমনের সূর্যসমই শোভিছেন উদয়নে।
তিনি খ¦ালিক মালিক রব্বি উনার মাহবূবী আনওয়ার,
তিনি পাক সাইয়্যিদী হাদিউদ্দীন জান্নাতী উপহার।
তিনি তো এলাজ বেলাহাজ নেশে রহেন উজ্জীবিত।
তিনি তাগুতের তরে সংহারী তীর, সহসাতে নিবেদিত,
তিনি শাহদামাদ, নূরী ফাহাদেই করছেন গুজরান,
রহেন নিবরাসাতুল উমামী নজরে মহতী ভাগ্যবান।
মুজাদ্দিদ আ’যম শাহান শাহ পীর হাদিউল উমামী তাজ,
উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুন নিসা খোদ হন মিনজাহ।
জান্নাতী ইমাম সাইয়্যিদুল উমামী ওয়ালিদ হয়েই তিনি,
নব আরশের রাজ নূর পেয়ে লভেন হুব্বী খনি।
ওই উনার রোবেই তাগুত পালিদ হচ্ছে যে কুপোকাত,
তিনি মালিক মালিকার মাজহারী ধন দস্তুরে শাফাকাত।
আজ দেড় হাজারের হিজরী বক্ষ জাহিলীতে তোলপাড়,
আজ মুসলমান কাফিরি চাবুকে খাচ্ছেই খুব মার।
দ্বীন ইসলামী ধ্রুব তারকা ঘন মেঘে ঢাকা রহে,
পাক সুন্নতী নজরানা হায় নেই মুসলিমী গৃহে।
কোথায় শৌর্য কোথায় সৌম্য কোথায় ঈমানী জোশ,
আজ সর্বহারা মুসলমানেরা কেন যে রয় খামোশ।
ওরে মুসলমানেরা কতকাল আর কোনঠাসা হয়ে রবি,
হীনম্মন্যতা দাও ছেড়ে দাও ছিনে লও তব দাবি।
আহন দাফন করহে এবার, হিম্মত গ্রহ দিলে,
বেয়াকুবগিরি ত্যাগ করে আয় বিদ্রোহী মাহফিলে।
নহ অপদার্থ, স্বার্থ হাছিলে সচেতন রহ সবে,
পড় ইতিহাস ছাহাবী যুগের বীরত্ব ফিরে পাবে।
গড় কারবালা ঈমানী খুনেই করে দিতে লালে লাল,
ইমামী ইশকে ফানা বাকা হয়ে জ্বালাও সত্য মশাল।
শুনো তারিখ বিন যিয়াদ বখতিয়ারী বজ্রের গর্জন,
আকাশে বাতাসে ধ্বনি প্রতিধ্বনি করেনা কো প্রহসন।
নই কাপুরুষ মুসলিম মোরা, নইকো ইমামহীন,
নই বুজদিল লই তারতীল নাশতে মুশরিকীন।
মোরা পাক মুজাদ্দিদী তাজদীদ পেয়ে জেনেছি ভবিষ্যৎ,
শুন, মোদের আর্জি মাদানী মর্জি অনন্ত মুদ্দত।
পেয়েছি মুজাদ্দিদ আ’যম ইমামুল উমাম মহাবীর রাহগীর,
তিনি আওলাদে রসূল খলীফা খোদার ইসলামী তাশমীর।
তিনি মুর্শিদ দ্বীনী তামজিদ, ওই শুনরে মুসলমান,
করি চুরমার মোরা মুজরিমী শির, খিলাফতে আগুয়ান।
পেয়ে মুরশিদী শান রহি গুলশান নই আর ভবঘুরে,
ওই বাংলাদেশের রাজারবাগ শরীফ আয়রে দেখতে ওরে।
-বিশ্বকবি আল্লামা মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৩০
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৩১
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৩২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৩৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৩৪