সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদী আরেক শান, মাহে রবীউছ ছানী,
অঝোর ধারায় ঝরে রহমত, খোদায়ী মেহেরবানী।
ফালইয়াফরহূ ফলগুবারী, নূরী মেঘে ভাসমান,
বাবুল খইর রহে রহে খুনে গ্রহিছেন মু’মিনান।
রবীউছ ছানী যে নও সাজে রন নূরানী অলঙ্কারে,
নজরানা হয়ে রাখেন দিওয়ানা আশিকের ইচ্ছারে।
বাতিল বিদয়াত রহে কুপোকাত আশিকে রসূল বেলা,
নব চেতনার ঝণ্ডা উড়ান জ্বালান খবীসি খেলা।
পুরো জগতের কানায় কানায় উথলে উঠছে ঈদ,
হাবীবী মুহব্বতের জোয়ার বইছে ইহসানে তামজিদ।
মায়া-মমতার শিকলে বাঁধছে ইনসাফী আবাহনে,
হায়াত-মউত গুল্জারে দেন কামিলুল ইনসানে।
রবীউছ ছানী স্নিগ্ধ রবিতে উজ্জ্বল কায়িনাত,
দ্বীন ইসলামী নিয়ম অধ্যায়ে জাগছে আবদিয়াত।
আজ সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ইবলীসি চালবাজি,
নাস্তানাবুদ হচ্ছেই উহা, উবে যায় কারসাজি।
সত্য ও ন্যায় কভু না হেয়, নাহি খায় হাবুডুবু,
শ্লীল সাম্য শান্তিতে ডাকে খুলিয়া নিজের তাঁবু।
আয় আয় ওরে পথভোলা সব নিদ্রিত ইনসান,
রবীউছ ছানীর উদ্যানে আয় নিতে শাহী অনুদান।
রিক্ততা তব আর নহে নব শূন্যে ঝুলেই রবে,
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদী রওশনে রহ মুসলিম গৌরবে।
ছানী সাইয়্যিদুশ শুহূরেই রহে হাজারো লক্ষ স্মৃতি,
রবীউছ ছানীর পরিচতি নিয়ে এ মাহে বিলায় প্রীতি।
ওই আউলিয়া কুল সম্রাজ্ঞী ফুল হাবীবায়ে সুবহান,
পান সাইয়্যিদাতু নিসায়ি মঞ্চে আহলান সাহলান।
তিনি আওলাদে রসূল বুলবুলে দ্বীন সাইয়্যিদী মুহসিনা
তিনি যাহির বাতিনী মুহিউদ্দীন আবাদান মুর্জিনা।
তিনি আল কালামী মিছদাক্বী জান ইরফানে তাকমিল,
তিনি আল হাদীছি স্বচ্ছ শীর প্রসস্থ তারতীল।
তিনি খালিক্ব মালিকী অফুরান নাজ ইনসানী রাহনুমা,
তিনি সুন্নতী শাহানাজ হয়ে জীবন্ত মুকরিমা।
তিনি তছাওউফী তাফসিল হয়ে খোদায়ী দূরন্তর,
তিনি ইজমা ক্বিয়াসী শামসুন হয়ে অনন্ত বিস্তর।
তিনি ইমামুল উমামী লখতে জিগার আউলিয়া শিরমণি,
তিনি উম্মুল উমামী নূরী আত্বহার মাহবূবা রহমানী।
তিনি বারাকাত জুড়ে কায়িনাত দানিছেন সত্যতা,
বহান শাজারাত আর হাজারাতে খোদ ইহসানী নাব্যতা।
তিনি আহলিয়া নক্বশায়ে গণী হাদিউল উমামী হিয়া,
তিনি উখতুনে ছানী মুজাদ্দিদ আওয়ামের তাযকিয়া।
তিনি তো উম্মু সাইয়্যিদুল উমামী বিরল তূর্য শান,
তিনি দ্বীনদার হয়ে আবরার সত্যে বিরাজমান।
তিনি বেশুমার হয়ে হক্বদার জাহিলী সমাজ জ্বেলে,
তিনি দিচ্ছেন হুসনে হাসিন ইরহামী দ্বার খুলে।
ওরে জগতের ঝলশানো নারী কান পেতে লও শুনে,
তিনি দেন ডাক করতেই পাক নারী জাতিকেই এনে।
তিনি নিবরাসাতুল উমাম হয়েই জগতে তাশরিফান,
উনিশে রবীউছ ছানীতে প্রকাশ, বিলাদতী মহা শান।
আজকে কঠিন জাহিল জগতে সত্য যে নিভুয়ান,
আজকে নিয়তি নির্মম কলে গুজরায় ম্রিয়মান।
হায় ঘোর তমশার কড়াল গ্রাসেই কাঁপতেছে কায়িনাত,
আহা হায় হুতাশের চাবুকাঘাতেই নুয়ে রহে দারাজাত।
রহে ঘুরপাকে ইনসানিয়াত পাগলা হায়েনা সম,
ইবলীসি দাসে নিশ্বাস ছেড়ে কহিতেছে নম নম।
আয় আয় ওরে ইনসান জাত নয়নযুগল খুলে,
হের হে তামাম তাগুতের চাল ছাকনিতে খুব চেলে।
আখি যুগলেই অশ্রুবন্যা জারি রাখো বহমান,
কঠিন জাহিলে আটকায় রাখে ধোঁকা দেয় শয়তান।
দুহাত তুলেই ফরিয়াদ কর দরদ লাগিয়ে হৃদে,
মাফ করে দিন আয় রহমান, সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদে।
বাঁচতে চাইলে লও শুনে লও রব্বানী সংবাদ,
ওই সংবাদ দূর করে দেয় জাহিলের উন্মাদ।
শুনো, খোদায়ী খাছ খলীফা ভূবনে তাশরীফ এনেছেন,
কাট্টা কাফির ইবলীসি জাত নিস্ত করে দিতেছেন।
জারি করে দেন সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ আবাদুল আবাদান,
তিনি জিন ইনসানের মুক্তির তরে খুলে দেন খতিয়ান।
উনার দোয়ার তোফায়েলে আজ তাগুত হালাকে দোলে,
উনার দোয়ার তীব্র আঘাতে তমশা যাচ্ছে চলে।
জিন ইনসানেরা কহিছে আমীন সেই সে দোয়ার মাঝে,
তিনি ইমামুল উমাম দশম খলীফা আওয়াম নিচ্ছে বুঝে।
তিনি খলীফায়ে আস সাফফাহী তাজে সজ্জিত নূরিয়ান,
তিনি তো খোদ উনার রোবেই দফে দেন শয়তান।
ওই আর বসে নয় ওরে ইনসান মুসলিম মু’মিনীন,
এবার একত্র হও রাজারবাগেই ছেড়ে দিয়ে গমগীন।
ঈর্ষা ত্যাগেই ভরসা গ্রহিবো খোদায়ী মেহেরবানী,
ইমামুল উমামী তাকবীর দিয়ে উচ্চে রাখিবো ধ্বনি।
-বিশ্বকবি আল্লামা মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৮২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, উলামায়ে ছূ’দের হাক্বীক্বত গেল খুলে-১৭
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-১৮
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-১৯
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংগের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২০