মুহররম স্মৃতিময় দুর্বার,
আজমতে ইজাফত আলবত বরকত হুরমতে সমাহার।
রওশন বর্ষণ কায়িনাতে অগণন, আদি হতে দায়ীমান,
কুদরতে ইলাহী হরদম রহে মুহি তাওয়ারিখে সেই শান।
উদ্যত সৈনিক নির্ভীক চৌদিক লিল্লাহে কুরবান,
ওই সত্য যে নিত্যই দস্তুর নীহারিকা ধাবমান।
সদা ইনসাফ আশরাফ আতরাফে বিলকুল যাহিরীন,
জানি ইহসান অনুদান মহীয়ানে বিচরণ মুহসিন।
তপ্ত ত্রাস পাতে হ্রাস না রহে কভু আপসে,
হক্ব পেশ নাশে ঠক নন্দিত মোহনার পরশে।
আহসান গুলশান উঁচুয়ানে জ্যাতিয়ান মুহররমী আহ্বান,
যুগ-যুগান্তর কভু না অবান্তর স্বকীয়তা স্বচ্ছতে আলোয়ান।
কায়িনাত হাসানাত বিস্তরে ছদাক্বাত সহনীয় অগ্রজ,
নূরে নূর কাহিনায় রহেনাকো কালিমায় ফুটন্ত হররোজ।
থরে থরে সাজানো ঘটনাতো বাগানো সুখ শোকে একাকার,
শুরু শেষ নয় লেশ খোদায়ী খলকেই রহে জাগুয়ার।
মুহররম মুকাররম যুগ যুগ হরদম সৃষ্টির প্রীতিতে,
ওই স্মরণই সঞ্চয় বরণেই বসুধায় জরুরী যে নীতিতে।
ফিকিরে অধীর লভিতে আবির জানি গণ গুজরান,
আবহমানের তীরে ভীরতো সবাই করে দেখতেই শেষখান।
শহীদী সফল স্বাদ নহে নহে বরবাদ বভুক্ষ পীড়নে,
গাজীর গৌরব রহে সদা উদ্ভব বাস্তবি বন্ধনে।
আজাদী আহলাদ হয় নাহি বরবাদ মুহররমী মাহিনায়,
পরাজয় করে ক্ষয় রহিল তো নিত্যয় দূরন্ত উজ্জ্বলি সাধিকায়।
এ মাহে মু’মিনী জজবাহী দাওয়া সেবন করেন জনে জনে,
এ মাহে ইমানী রুতবাহী শান রুশনাহী জোশে প্রতিক্ষণে।
ওই খোদায়ী খাছ খ¦ইর গ্রহেন মুসলিমী অন্তরে,
হাবীবী হাদীছ আমলে রইছ ওয়াদাহী নীতির প্রান্তরে।
তাই পৃথিবীর তামাম মু’মিন এ মাহের অনুরণে,
নব শক্তির অর্পিত নূরে নূরায়িত রহে বিতরণে।
দ্বীনদারী ফের পাঞ্জেরী খুলে ঝুকে শুধু হক্ব তানে,
উড়ে সত্য বিজয়ী মিথ্যারে পুড়ি যোদ্ধা বিহঙ্গনে।
ওরে ও মু’মিন তবুও তোমায় নিশ্চিত হওয়া চাই,
ইমামী নিয়ম ভঙ্গ করলে উপায় তো আর নাই।
ওই ইমামী নজরে তাক্বদীর ঘুরে গাফফারী ইরহামে,
কামিয়াব তব নব চেতনায় মর্ম রাখছে চুমে।
জানো কী তোমরা ইমাম তোমার কতখানি দরকার?
উলিল আমর শ্রেষ্ঠ অমর মওজুদ বেশুমার।
উনার সকাশে জিন্দা ঈমান এপার ওপার কহি,
দস্তুর ধারা তিনিই পশেন নেই এতে আর ত্রাহী।
প্রতি যুগে যুগে শতাব্দী চুড়ে ইমামী সূর্যোদয়,
সেই সূর্যেই ঝলমলে রহে মু’মিনেরা নিশ্চয়।
কোথা সে ইমাম খুঁজো কী আওয়াম জাহিলিয়াতের ভীড়ে?
কোথা সওগাত আবে হায়াতের সেফালী স্বচ্ছ তীরে।
আজ কে মু’মিন নবীন নাবিক প্রয়োজন বহুতর,
আজকে ঈমান হিফাযত বেলা হেলা নাহি অবসর।
সেই সে নাবিক মহান অধিক রসূলী খলিফা তিনি,
সেই সে প্রতীক কভু না অলিক বাস্তবে মহামণি।
আজিকার দিনে নিখিল ভূবনে দিশেহারা মু’মিনীন,
ইহুদী নাছারা ইয়াযীদি বাছারা নয় তারা নিশ্চিন।
তাগুতবাদীরা সোচ্চার সবে শুনো হে মুসলমান,
নিচ্ছেই কেড়ে তোমার ঈমান বিলীনে অবস্থান।
শুনো যামানার ইমাম উনার দিয়ে দেই পরিচয়,
অবয়বসহ যোগ্য নূরের নববী রাখেন জয়।
হাবীবী হাসান মহীয়ানসহ রাখেন জিন্দা তিনি,
আর তো যমীনে নববী শান রহেনারে মিনমিনি।
সেই সে মহান ইমামী বয়ান শুনাবো বলি এবার,
এই বাংলাদেশের ঢাকা রাজধানী রাজারবাগ দরবার।
খাছ আহলে বাইত আছেন সেথায় শুনো মুসলিম সবে,
আওলাদে রসূল উনারাই মূল দ্বিনীয়াতি গৌরবে।
তিনি মুজাদ্দিদ আ’যম ইমামে আ’যম রহমতি রাহনুমা,
তিনি ইহসান ইলাহী আমান মহামতি শাহনামা।
আজ আলমের তিনিই বিশেষ রব্বি হাবীবী নাজ,
ছোহবতে উনার নূর বেশুমার ইছলাহী মিনহাজ।
নয় পরিহাস বিজয়ের মাস মুহররম মহীয়ান,
লক্ষ কাহিনী ও কারবালাসহ জানো হে মুসলমান।
পূত-পবিত্র কারবালা ইমাম উনারই বংশধর,
যমীনে এবার হলেন যাহির উজালা তো নশ্বর।
গাউসুল আ’যম শাহানশাহ অলী ছাহিবে জামিন্দার,
তিনি হক্ব নাহক্বের ফারাককারী ন্যায্য কামিলদার।
তিনি আল কালামী মিছদাক্ব হয়ে যমীনে তাশরীফান,
করেন আল হাদীছি হাকিম হয়েই মু’মিনেরে গুলশান।
ওরে ও গাফিল মুসলিম আজ হেলাখানি দাও ছেড়ে,
ওই পাক ইমামী রজ্জুখানি রাখ হে কামড়ে ধরে।
আজকে কঠিন নিদানের কালে ঈমানের হিফাযত,
নববী মারকাজ রাজারবাগ শরীফ আশরাফি নিয়ামত।
-বিশ্বকবি আল্লামা মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৩০
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৩১
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৩২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৩৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৩৪