কুরবান
ওই পূত-পবিত্র রাব্বি কানুন তামিলের ফরমান।
শুনো হে আশিক হুকুমে খালিক্ব মহামতি শান্দার,
দিলেন, হয়েই সদয় তিনি দয়াময় পয়গামে বান্দার।
খোদায়ী খবর, বড়ই জবর, ফিকিরী ফরাশে হেরি,
রেযায়ে মালিক ইহাই অধিক কুরআনে লই পড়ি।
খলক্ব ও খালিক্ব দুইয়ের মাঝে সেতু যে মুহব্বত,
মু’মিন তিনিই আমিন হলেন পেয়ে সেই বরকত।
ওই রব্বী রেযায় দাওরে বিলায় আপনারে হরদম,
জাররা জখমও ঝাজরা করছে রৌশনী মনোরম।
জানি নিষ্কলুষের নিষ্কাশনেই কামিয়াব দেয় এনে,
মেকির ক্ষমতা সর্প বার্তা দংশিবে শতগুণে।
আল্লাহ জাল্লা শানুহু তিনিই মু’মিনের কাছে চান,
কর অতি প্রিয়তম বস্তু যে তোমা আমা লাগি কুরবান।
আত্ম উজাড় সদা বারবার করে তব গুল্জার,
খোদ অহঙ্কার রাখে জারে জার অনলেই বেশুমার।
আমরা বান্দা খোদায়ী তা’লীম পালনেই সার্থক,
আমরা নিজের হৃদয়ী কুটিরে রাখতেছি বরহক।
ওই লা শারিকের শপথেই মোরা তামাম মুসলমান,
রহি ঐকতানের উদ্যানে শুধু তরতাজা আবাদান।
তাই বারবার দিতে উপহার মাহে যিলহজ্জে এসে,
দেন ইলাহী উনার আহকামে দ্বীন মু’মিনেরে ভালোবেসে।
ওই হাক্বীক্বী মিলন রহে স্বজতন কুরবানী তরীক্বতে,
হজ্জ কুরবানী দেয় দেয় আনি তরক্কী যে কায়িনাতে।
লাব্বাইক বলে বান্দা হাযির স্বয়ং খালিক্বী দ্বারে,
শির যে নোয়ায়ে তৃপ্তি নিচ্ছে নিজকে উজাড় করে।
হজ্জে মাবরূর গ্রহে বেকসুর সুমহান সুন্নতে,
নিষ্পাপ হয়ে আসলেন যেয়ে হজ্জের ছোহবতে।
করে কুরবানী রাহে রাহমানী হয়েই খোদায়ী অধীন,
হাবীবী রওযা যিয়ারত করে বাড়ী ফিরে মু’মিনীন।
বেমেছাল বড় খোদায়ী তোহফা ঈদ, হজ্জ, কুরবানী,
উজ্জ্বল অনন্তকাল কামালে কামাল ইহাই মুসলমানী।
যবে যমীনে মাহে যিলহজ্জ এলেন যে দীপ্তি,
ওই তামাম তাগুত কুফরী অযুত পড়লো যন্ত্রণাতে।
আফসোস করে আছড়ায় শির অস্থির এলো কেশে,
গাফফারী শানে বেষ্টিত রহে মুসলিম অবশেষে।
হেরে ইবলীস যায় বুঝি মরে তিরস্কারের ঘাতে,
চির দুশমন হতে মুসলিম জাতি পার পেলো সহসাতে।
হায় কুট ও ঘৃণ্য ফন্দি যে আঁটে হজ্জ কুরবানী ঈদে,
ওই মুসলমানেরে ফেলতেই হবে জাহান্নামের খাদে। (নাউযুবিল্লাহ)
হজ্জের তারিখ হেরফের করে, না দেখে চন্দ্রখান,
বেপর্দা আর ছবিও তোলায়, হেসে উঠে শয়তান।
আহা যন্ত্র বলেই যবেহ করছে তাগুতের তরীক্বায়,
কুরবানী ফাযায়িল দিচ্ছে দফায় ইবলীসি কাহিনায়।
ফের কুরবানী ঈদ পালন করতে কাফির গোষ্ঠী কহে,
পশু হত্যা চলবে না আর বলছে তাগুতি মোহে।
বিশেষ করেই গরু কুরবানী বাধা দেয় মুশরিক,
গরুকে তারাই ভাবছে দেবতা যদিও কাল্পনিক।
কুরবানী করা পশুর রক্তে দূষিত হবে পরিবেশ,
করছে ঘোষণা সরকারও হায় বসেই বাংলাদেশ।
আটানব্বই ভাগ মুসলমানের সবুজ দেশেই বসে,
যত্রযত্র কুরবানী নিষেধ আইন পাস করে শেষে।
বিস্ময়কর ঘোষণা শুনেই নড়ে উঠি মু’মিনীন,
মোরা বিশ কোটি মুসলিম রহি জাগ্রত সমীচীন।
সবুজ বাংলা সবুজের মোহে ইলাহী তাসবীহ জপে,
সবুজবাসীরা দীপ্ত ঈমানে কভুনা থাকবে চুপে।
শুনো, মোরা মুসলিম বাংলাদেশের প্রত্যেক পাদদেশে,
রহি হুঁশিয়ার আমলে আবার ইসলামী মজলিসে।
মোরা পূর্ব আর পশ্চিম হতে দেই দেই হুঙ্কার,
ওই প্রতিবাদের কঠিন আগুনে করে দেই ছারখার।
মুসলিম মোরা নববী কানুনে চালাচ্ছি যিন্দেগী,
রহি আপোসহীন মুসলিম সদা ইলাহী রাহেই জাগি।
ইমামুল উমাম মুজাদ্দিদ আ’যম আমাদের মুর্শিদ,
তিনি আওলাদে রসূল রহমতি মূল ইসলামী তামজীদ।
উনার দোয়ায় সোনার বাংলায় ঝরতেছে রহমত,
সুখি সমৃদ্ধ শান্তি বলয়ে মিলতেছে বরকত।
কুরআন সুন্নাহ বিরোধী করবে না আইন বলেই ক্ষমতাসীন,
আর এই সরকার হলোই আবার এদেশে গদ্দিনসীন।
শুনো সরকার কহি বারবার এসো মুর্শিদী দ্বারে,
উনার সকাশে ইছলাহী আসে মূর্খ রহিছে সরে।
আমরা সকল মুসলমানেরা ইমামুল উমামী শানে,
সুন্নী নিয়মে জনম জনমে রহি যে ঐকতানে।
বাংলাদেশ মুসলিম দেশ নেই কারো এতে হাত,
করছি কামনা কাফির মুশরিক হয়ে যাক উৎখাত।
করবো ক্বায়িম খিলাফত মোরা ইনশাআল্লাহ বলি,
তাগুতী ত্রাসে কখনোই কভু থাকবো না আর টলি।
-বিশ্বকবি আল্লামা মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংগের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২০
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, উলামায়ে ছূ’দের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ২১
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৪