ওরে সচেতন রহ বাংলাদেশী মুসলিম বিশ কোটি,
বাংলা সীমানা মুছবার তরে দুশমন গড়ে ঘাঁটি।
স্থল আর পানিপথে আজ কাফিররা বেশুমার,
চলাচল তরে যুতসই করে লুফে লয় অধিকার।
বাংলাদেশকে খাবলায় খেতে ব্যস্ত যে হনুমান,
চালায় বিজাতীয় ভুত নিখুঁতভাবে কৌশলী অভিযান।
গ্যাস বিদ্যুৎ বস্ত্রসহ সকল খাতেই তারা,
হায় দানবীয় হাত রাখছে বিছায় মুশরিকী দস্যুরা।
ফের সংস্কৃতির আঁচলে ছাঁকছে ঈমানী রত্মগুলো।
অশ্লীলতার নোংরা নেশার পথ্য ছড়ায়ে দিলো,
ওই কাফির মুশরিক খ্রিস্টানদের মনগড়া মতবাদ,
ঢুকায় মুসলমানের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ইবলীসি আহলাদ।
হায় বৈশাখী পূজনীয় রীতি মুসলিমী কাঁধে আজ,
ঢাক ঢোল পিটে রাখে ফুটফুটে পরিমিত ভাঁজে ভাঁজ।
মুসলিমদের তরুণ তরুণী যুবক যুবতী নিয়ে,
পহেলা বৈশাখ জমে শত শত বটমূলে সবে গিয়ে।
দ্বীনগর্হিত ককুর্মে হায় নেচে গেয়ে একাকার,
হৈ হুল্লোড়ে তামাশা যে করে বাঙালি ব্যানারে পার।
কহে ধর্ম যে হয় ঘরের কর্ম উৎসব এজমালি,
মিছিল মিছিলে শ্লোগান শুনি জয় জয় বাঙালি।
হায় হায় কেন যায় যায় হেন মুসলিমী অভিলাষ,
মুসলিম যেন মুশরিক গোষ্ঠীর বনে গেল চিরদাস।
এভাবেই দিন চলবেই কি হাবুডুবু খেতে খেতে?
এরকম সব রকমারি রঙে হালাকে রইবে মেতে।
ওরে বাংলার মুসলিম জাতি আক্বীদা শুদ্ধ করো,
ইবলীসি খেলায় মেতো না রে আর কুরআন হাদীছ পড়।
আমি মুসলিম বিশ্বাস করি সবার উপরে দ্বীন,
দ্বীনি ইযাযতে সকল কর্ম করবো যে সমীচীন।
আরবী বাঙালি ইরানী তুর্কি আফগানী পরিচয়,
রবে নিষ্ফলে আহা পরকালে কহিতেছি নিশ্চয়।
ভাষা ও দেশ ভিন্ন ভিন্ন নেই এতে ব্যাবধান,
নহে ধলা-কালা প্রভেদখানি বিচারের ময়দান।
ঐ বাংলাদেশের মুসলিম শুনো জরুরী এলান কহি,
ঈমান আমান হিফাযত লাগি ছাড়ো হে সকল ত্রাহি।
গা ঝাড়া দিয়ে জাগো সিংহের সম উত্তালি গর্জনে,
রহ হাবীবী হাছিন অক্ষয় লাগি প্রস্তুত ময়দানে।
স্রষ্টার উপর আস্থা রাখতে বাঁধা দিলো মুশরিক,
বাংলাদেশের কর্তারা হায় মেনেই যে নেয় ঠিক।
ফেললো মুছেই সংবিধানের পাতা হতে বিলকুল,
দেখি বিধর্মীদের ইশকেই হায় আমলারা মশগুল।
বাংলাদেশের মুসলিম জাতি বোবা হলো কেন আজ,
বাতিলি তোয়াজে ব্যাস্ত থাকা ভাবছে প্রধান কাজ।
আফসোস আহা আফসোস, ভাবতে লজ্জা লাগে,
বিপদ আপদে বিদেশী পতির মদদখানিও মাগে।
কেন আল আরাবী উম্মত সব বাংলাদেশীরা ভয়ে,
বাতিলি বাহুতে বন্দি রইবে ম্লেচ্ছের দাস হয়ে।
ওরে আয়, ওরে আয় থেকো না রে আর বোবা,
মু’মিনী ঈমান আলোয়ান তরে করি আজ তওবা।
কেন কাঁপি থরথর নেই ভয় ডর আমরা মুসলমান,
আল্লাহ মোদের মদদ করেন ঝেড়ে ফেলি পেরেশান।
ওই পাক হাবীবী খাছ আওলাদ ইমামে আলম তিনি,
শাহ সাইয়্যিদ সাফফাহী সাজে হাদীছ পাকের বাণী।
পনের শতক হিজরী শিরেই তিনি তো প্রকাশমান,
কেন তবে আজ ত্রাহি জিঞ্জিরে বন্দি মুসলমান।
ওই যে ডাকেন মহান ইমাম শুনে লও কান খুলে,
বুজদিল আর গরমিলে কেন রহ রহ তুমি ঢলে।
কই দ্বীন ইসলাম কুবলকারী সাচ্চা ঈমানদার,
কই সুন্নাহ তালাশী আশিকে রসূল লুকাইয়া কেন আর?
আয় ওরে ভাই চিন্তা যে নাই আনবোই খিলাফত,
মোরা করবো কায়িম শরিয়তী আইন সুন্নতী শরাফত।
বাংলাদেশসহ সাত মহাদেশ দিকে দিকে পৃথিবীর,
শান্তি সাম্য গড়বোই মোরা নববী নূরের নীড়।
নিছফু মিন শা’বান,
দোয়া কবুলের রাত শবে বরাত ছরওয়ারী ফরমান।
লাইলাতুম মুবারাকা পবিত্র কুরআন শরীফে কহেন গফুরুর রহমান,
গুনাহখতা ক্ষমা, করে দেন খোদা, এই রাতে অফুরান।
খুছূছিয়ত আর ফযীলতে ভরা শা’বানী উদ্যান,
নেন মুসলিম প্রীতি নীতি নিয়ে রব্বানী ইহসান।
হযরত ইমামুছ ছালিছ ও ইমামুর রবি’ আলাইহিমাস সালাম,
উনারা বিলাদতী শান পাঁচই শা’বান প্রকাশেন ধরাধাম।
পনেরই শা’বান ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম তিনি,
করেন প্রকাশ বিলাদতী শান খলীফায়ে রব্বানী।
ও মুসলমান, মাহে শা’বানের শুনে নিন পয়গাম,
এই ইমামত্রয়ী সাওয়ানেহে উমরী জজবাহী ইরহাম।
মুসলমানের স্মরণীয় উহা স্বচ্ছতে লও গেঁথে,
উহা ফরয অগ্রজ আগ্রহে লও তাজদীদী নছীহতে।
-বিশ্বকবি আল্লামা মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান
আল বাইয়্যিনাত উনার দলীলের বলে, মুনাফিক গংদেও হাক্বীক্বত গেল খুলে-৫৭
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৫৮
আল বাইয়্যিনাত উনার দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৫৯
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬১
আল বাইয়্যিনাত উনার দলীলৈর বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬২