পবিত্র যিলক্বদ,
মাহে মদদে ফল্গু ঝরছে রহমতে গদগদ।
হাছিন গহিন শালীন গ্রহীতে এ মাহের আহ্বান,
জানি ফখর টুটায়ে শোকর লভিছে নন্দে মুসলমান।
কোথা হাহাকার নহে ছারখার খোশ হালে মু’মিনীন,
কুরবানী তরে প্রস্তুত রহে রেজা নিতে সমীচীন।
পবিত্র ওই যিলক্বদী মাহে, বহে বহে নিয়ামত,
তাক্বওয়া সমেত সুন্নাহ রীতিতে ঝরে যায় খেশারত।
এ মাহে আশিক অধিকে মত্ত ইলাহী ইশকে বেশ,
এ মাহে মহড়া দিচ্ছেন সবে খুলে হৃদি উন্মেষ।
রহে পবিত্র হজ্জ উনার গরজ, এ মাহেই প্রস্তুতি,
নিজকে হাজির করাতে অধির পেতে গফফারী প্রীতি।
আহা, নিয়তি নিয়ম আকারে চরম যদিও উষ্ঠাগত,
নেই থেমে নেই ঈমানী ইচ্ছা জিয়ারতে উদ্যত।
যদিও দূর অথই বিভুর ফুরফুরে তবু সয়ে,
পথপাড়ি দিতে রহে সব খাতে ইশকের প্রত্যয়ে।
ওই যিলক্বদ আজ রহে যেন বেশ বিগলিত বাসনায়,
এনায়াত রহে কায়িনাত জুড়ে হাসানাত আঙ্গিনায়।
¯িœগ্ধ সরস শৃঙ্খল রীতি প্রতিক্ষণে প্রতিজনে,
সুন্নাহ শ্লীল করে তারতীল নিরিবিলি ইহসানে।
খোদায়ী জগতে খোদায়ী বিধান চিরন্তন সাবলীল,
করি বিশ্বাস শোকর প্রকাশ, নেই এতে গরমিল।
ইবলিছ বড় ছটফট করে কোন সে অচিন ভয়ে,
কার আগমন আছে প্রয়োজন সাজগোজে উথলায়ে।
ঐ আসমান আজ সজ্জিত বেশ রকমারি তারকায়,
সপ্ত রঙ্গা যমীনও সাজলো নবনব জেওরায়।
ওই যিলক্বদী কোলে মদদী রহম ঝর ঝর বর্ষাণে,
এগারই শরীফ বড়ই তারিফ জান্নাতী আহ্বানে।
তিনি যে হলেন সাইয়্যিদুল উমাম আহলান সাহলান,
তিনি যে হলেন আল হাদীছি আহসানী অনুদান।
তিনি শাহ সাইয়্যিদ হাবীবী উমিদ রব্বানী ইরফান,
তিনি লখতে জিগারে হাদিউল উমাম মকবুলী রায়হান।
তিনি নিবরাসাতুল উমামী নয়ন নন্দিত আবছার,
তিনি তাগুতের ত্রাসাগ্নি ওই করেদেন ছারখার।
তিনি ছহিবে কবিউছ ছানী মামদূহী ফায়িজানে,
তিনি মকবুল বুলবুলে দ্বীন ইসলামী ময়দানে।
তিনি তো খোদায়ী খাছ নিয়ামত আসমানী ফায়ছালা,
তিনি রহমতী খোশ বরকত তাজদীদী নাজওয়ালা।
তিনি মুজাদ্দিদ আ’যমী পরম পাওয়া ইহসানে ছদিক্বীন,
তিনি ইমামুল উমামী আকরামি ধন দ্বীনদারে সমীচীন।
আজ কায়িনাত অজুহাত নিয়ে কাঁদে চিৎকার করে,
আয় খোদা মোরে জুদা নাহি করে গ্রহে নিন নেককারে।
আজকে জাহিল কাহিলে রাখছে আমার বক্ষখানি,
আজকে তাগুত বাজ মেরে মেরে আহত করছে ধুনি।
রকমারী ওই পাপের বহরি বিচরণ করে কোলে,
হাবিয়া অগ্নি আমারি দেহেই দিচ্ছে পাপীরা ঢেলে।
বরদাস্ত নাহি করতে যে পারি দয়াময় রহমান,
খলীফা আপনার পাঠান এবার সাইয়্যিদী মেহমান।
উনি তো আমায় রাখবেন সারায় তাগুত হতেই ফের,
সুন্নাহপ্রীতি ও নীতিতে দিবেন জান্নাতী শমসের।
ওই শমসেরে ধ্বংস যে হবে বাতিলের যন্ত্রণা,
ওই শমসেরে আসবে ফিরেই ইজ্জত ও সান্তনা।
সেই সাইয়্যিদী শমসের হোন সাইয়্যিদুল উমাম তিনি,
সেই সে নকীব বড়ই আজীব আওলাদে নূর গণী।
সেই যে আমির জমহূর নেশে জিয়াবেন খিলাফত,
খলীফাতুল উমামী রহমী জোশ উনি হন আলবত।
তাই ইবলিছ শির আছড়ায়ে কান্না যে করে ভূমে,
হায়! ইবলিছ আফসুস করে থেকে পুরো অর্ঘুমে।
সাইয়্যিদুল উমাম আরশী কালাম তেজস্বী সংবাদ,
সাইয়্যিদুল উমাম ইনামে নিজাম ইসলামী আমজাদ।
পাক মুজাদ্দিদ গাউছুল আ’যম সাফফাহী মহাশান,
সাইয়্যিদুল উমাম নাওয়াসা সুদাম গরীয়ান আরমান।
কাদিয়ানী শিয়া বাহাইসহ ওহাবী ফিরক্বা যতো,
নিস্তানাবুদ করবেন তিনি আদ ছামুদের মতো।
পাবেনা রেহাই ইহুদী-নাছারা বৌদ্ধ হিন্দু শিখ,
মজুসী মালউন মরু ফিরআউন অগ্নিতে মাগে ভিখ।
সাইয়্যিদুল উমাম মামদুহি রোবে তামাম তাগুতদেরে,
ফের জ্বলন্ত ওই অগ্নি লাভায় রাখবেন ছনছারে।
ওরে বিশ্বের মুসলিম সবে জেগে উঠো এক সাথে,
তাগুত দফাতে এক হও আজ এক মিনহাজে গেঁথে।
মোরা গোলামান মুরীদান সবে সাইয়্যিদুল উমামী পদে,
আবাদুল আবাদান রহি কুরবান, কভু নহি বরবাদে।
মাগী ঈমান আমল আক্বীদাসহ হুসনি জনেই মোরা,
আপনার রেজা চাই পেতে চাই রিয়া রাখিনাকো থোরা।
ক্বিবলায়ে কুলূব আকায়ে আ’যম মামদূহী দ্বারে কহি,
ক্ষমা চাহি মোরা সাইয়্যিদুল উমামী উছিলায় ছহী ছহী।
-বিশ্বকবি আল্লামা মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।
আল বাইয়্যিনাত উনার দলীলের বলে, নাস্তিকদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-১১৫
আল বাইয়্যিনাত উনার দলীলের বলে, মুনাফিক রহে পদতলে-১১৬
আল বাইয়্যিনাত উনার দলীলের বলে, মুনাফিক রহে পদতলে-১১৭