মুবারক শাওওয়াল, যিলক্বদ, যিলহজ্জ রহমানি অভিজাত,
এই ত্রী মাহের কোলে, মুচকিতে দোলে, মাখলূক্বী হাছিনাত।
ওই অনন্ত আবির বহিছে অধির, দূরন্ত দুর্বার,
তার ইতিহাস, করতে ফাঁস বরনীয় অধিকার।
রে ইনসান শুনো আযান, লও ইহসানে বারাকাত,
সবে কৃতজ্ঞতার শীর্ষে থেকেই চমকাও বাশারাত।
পড়ো রকমারি রুপে প্রকাশ্য চুপে, তাসবিতে বেমালুম,
ফিকির, রববিয়াতের ফল্গুতে লুফো প্রতিকাতে মহাধুম।
দেখ, চৌদ্দশত পয়তাল্লিশ হিজরী শিরে শাওওয়ালী শামসুন,
কায়িনাত কুলে রহেন উজ্জলে, যুগান্তরী মাসনুন।
উনিশে শাওওয়াল কামালে কামাল নিসবতি আযীমি শানে,
পাক মুজির মুজিরা যাহরায়ী জোড়া, আজমতি যাহিরানে।
ওলী খলীফায়ে আল মানছুর তিনি রব্বানি আম্বর,
ওই মুজিরাতুল উমাম রহমতে আওয়াম মাহবূবী অন্তর।
ওই উনারা যুগোল খোদায়ী কোমল, রহমতে কায়িনাত,
ওই উনারা রসূলী রওশনী তুলি ইহসানে রুহিয়াত।
তাই সালাম সালাম লক্ষ সালাম, পেয়ে সেই তোহফা,
আপন করে দিলেন মোদেরে, খলীফায়ে সাফফা।
তাই বিশ্ব জুড়েই উনিশে শাওওয়াল, নিয়ামে মাখলুক্বাত,
লভেন নূরী নিসবাতুল আযীমি শানে জ্ঞানিগণ দারাজাত।
হেরি যিলক্বদী জোশে জযবাহী পোশে, জাগিছে ঈমানদার,
কহিছে তারিফে আইয়্যামুল্লাহ শরীফে শরাফতি আনওয়ার।
আউলিয়া আছহাব আহলে বাইত, মিলে সব আশিকান,
জওক শওকেই হচ্ছে পালন, ধরনীতে আলীশান।
বিশেষ একটি আইয়্যামুল্লাহ শরীফ যিলক্বদী বারো শিরে,
উহা বেমিছাল কামালে কামাল তলায়ালে উচ্চারে।
কৌলিন ওদিন সাজে অধিকিন নও নূরে বেশুমার,
রহেন আসমান ফরশ জান্নাত আরশ, খোশ গাহে আতিয়ার।
ওদিন বিছালী শান করেন যাহিরান আউলিয়া আফজাল,
তিনি ফারূক্বী তনয় জগতে উদয় শাহান শাহ আরমান।
তিনি কুতুবুল আলম, সুলত্বানুল আযম, মাহবূবে রব্বানী,
তিনি মাহিউল বিদয়াত, মুহইউস সুন্নাহ, খলীফায়ে সুবহানী।
তিনি তাজুল মুফাসসিরীন, ফক্বিহে আমীর, মুহাদ্দিছ রঈসুল,
তিনি ইসলামী শানে অগ্রগামী দুর্জয়ে দুই কুল।
তিনি তাগুত নাশের সাইফুল্লাহ, সুলত্বানুল আরিফীন,
আমীরুশ শরিয়ত ওয়াত ত্বরীক্বত হয়ে যমীনে তাশরীফিন।
তিনি মুজাদ্দিদ মাদারজাদ, করেন যিন্দা দ্বীন ইসলাম,
তিনি হাদীকুল শিরমণি, হক্বের গুল বালাম।
তিনি মুখলাছে মুয়াল্লিম, রব ও রসূলী নূর নাহিদ,
তিনি খলীফায়ে আস সাফফাহ উনার সুমহান মুর্শিদ।
ত্যাগের তামজিদ, কুরবানি ঈদ, মাহে যিলহজ্জ জিন্দাবাদ,
রহমি শাহানা হজ্জের মাহিনা, উহা মুসলিমি হৃদ ইমাদ।
ওই মুসলিম জিম্মাহ ইশকে খোদায়, পরীক্ষার পয়গামে,
রহেন নাফসি গচ্ছায়, হতে একনিষ্ঠতায় প্রতিজন তাসলিমে।
এ মাহের দশ, এগার, বারোতে কুরবানী করে মোরা,
খোদায়ী খইর লইতে হাযির, হচ্ছি গো মাতোয়ারা।
ওই ইলাহী ওয়াস্তে, কুরবানী দিতে, ক্বওমে মুসলমান,
জোর আওয়াজেই ঈমানী গরজে, রহি সবে আগুয়ান।
ওই ফরয ওয়াজিব কুরবানী সব ভালভাবে মোরা জেনে,
বেঁধে আটসাট, ছেড়ে বানোয়াট শরঈ শর্ত মেনে।
সব মুহূর্তে, লিল্লাহিয়াতে, করছিগো পশু কুরবানী,
করছি ধ্বংস তাগুতী বংশ, শিরিক কুফরি শয়তানি।
হজ্জে মাবরূর পেতেই যাচ্ছেন, মক্কা মদীনা মুসলমান,
মিনা, মুযদালিফা, তাওয়াফে কা’বা, আরাফার ময়দান।
সায়ী করা হয় সাফা মারওয়া কুরবানীসহ সব কানুন,
শর্ত শারায়িত সুন্নী মতেই মকবুল হজ্জ হবে জানুন।
হজ্জে মাবরূরই মুক্তি দানেন, হাজী হয় নিস্পাপ,
লংঘিত হলে, রবে নিষ্ফলে, বুঝে লও পরিমাপ।
ওই সমঝদারেরা হুযুগে মাতোয়ারা, হবে না খবরদার,
হারাম ছবির করে পায়রবি, খোয়ায়োনা অধিকার।
মোদের হজ্জে মাবরূর করুন দান, আয় খোদা রহমান,
চাহি রব ও রসূলী মকবুল রাজি, মুবারক অনুদান।
রাখুন পরিমিতে রসূলী রীতিতে, হইওনা বিপথগামী,
আমরা মু’মিন করছি আমীন কহি অন্তরযামি।
বিশ্বকবি মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৪
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৫
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৬