হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৮০

সংখ্যা: ২৯৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

ওই ইলাহী আলাল আশূরা মিনাল মুহররম,

উহা আল্লাহ পাক উনার খাছ নিয়ামত সৃষ্টির অনুপম।

ফের মাহে ছফরে রহিছে ক্বদরে সজ্জিত কায়িনাত,

হয় ইতিহাস সৃষ্টির বিকাশ নন্দিতে বাশারাত।

ওই হাজারো লক্ষ কাহিনীতে ভরা আশূরার খ্যাতিয়ান,

খোদ খোদায়ী খাজানা তরীক্বা মতই হয়ে হলো জাহিরান।

সপ্ত যমীন ও আসমান সহ মাখলুক্বি কুল কিছিম,

ওই আশূরা মিনাল মুহররমে রহে সজ্জিত তাসলীম।

পবিত্র দ্বীন ইসলামে রহেন উদ্যমে আশূরার মণিহার,

আলিম ও ছূফী, গ্রহিছেন লুফি ইবলীসে খায় মার।

স্মৃতির আকাশে বেহুদা বিকাশে লই খঁুজে মু’মিনীন,

জজবাহি জোশে বিজয়ী পরশে লভি মোরা আমিরীন।

আলায়ে আলা শাহে কারবালা, আহলে বাইতি শীর,

তিনি হযরত, দ্বীনি ইজ্জত, সাইয়্যিদী মহামীর।

তিনি রব ও রসূলী নূর তুলী, শাহান শাহ কারবালা,

তিনি ইমামুছ ছালিছ মু’মিনি রঈস ফতুহাতে মকবুলা।

তিনি তো ইমাম, ইলাহী ইনাম, বাতিলের মহাজম,

তিনি আপোষহীন আল আমীন, সুন্নী মুকাররম।

শুনুন, তিনি তো সত্যের দীপ্ত প্রতীক আদি ও অনন্ত,

তিনি মুসলিমী পথ প্রদর্শক দায়িমী জীবন্ত।

ওই তিনি মুক্তির দিশারী দাতা দূরন্ত দূর্বার,

ওই তিনি ইছলাহী ইলাহী নূর দ্বীনদারী অভিষার।

ওই কে পারে উনাকে রুখিবেরে, দেখরে সমঝদার,

ওই আজো কারবালা গর্জেরে, বলে নিতে অধিকার।

উনাকে কুফার মুসলিম তারা হাজারো পত্র দিয়ে,

কতনা কাকুতি করে করজোড়ে মিনতির মায়া নিয়ে।

ওই খিলাফত ইচ্ছা ছিল না উনার কখনও দ্বীপ্ত হৃদে,

কেবল উনার ইনায়াত লিল্লাহিয়াতে গুজারেন তাহমিদে।

ইমামুছ ছালিছ পরিজন নিয়ে, রব ও রসূলী মোহে,

তিনি দিলেন রওয়ানা কুফার পথেই সুন্নতি উৎসাহে।

ওই রসূলে আযম নানাজি উনার আদর্শ প্রচার তরে,

দেখুন, চলেন এগিয়ে নির্ভয়েই, হাতিয়ারহীন ওরে।

হায়রে কঠিন ব্যাপার বলছি উনার, শুনুন মুসলমান,

পৌঁছেন নিরস্ত্র ইমাম, পেয়ে পয়গাম, কারবালা ময়দান।

ওই ইয়াযীদের সেনা নির্বোধেরা, করে পথ রোধ হায়।

ইমামকে পৌঁছতে দিবে না কুফায়, কুখ্যাত কুত্তায়।

ওই ইয়াযীদি কুকুর ইবনে যিয়াদ সজ্জিত সেনা নিয়ে,

আটকায় ইমাম ও উনার পরিজনদের কারবালা মরু গায়ে।

ইমাম হাত না মিলিয়ে বাতিলের সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যান,

হলেন পুত্র ভাতিজা অনেক সাথীরা বীর বেশে শহীদান।

গেলেন ইমাম এবার যুদ্ধ ক্ষেত্রে লড়িলেন দূর্দমে,

তিনি শহীদি সুধা করলেন পান শীমারের বল্লমে।

ওই ইয়াযীদ ও তাহার দোসররা সবে মুসলিম যাহিরান,

হাক্বীক্বতে তারা কাট্টা কাফির মুনাফেক বেঈমান।

দেখি এখনো রহে তাদের অনুসারী বিশ্বেই বেশুমার,

কাফিরের সাথে রেখেই আঁতাত হামলাতে হুঁশিয়ার।

ছলে বলে ফের মুসলিমদের ঐক্য রাখছে চিড়ে,

ইয়াযীদি পান্ডা গুন্ডারা আজো দেয় ধেঁাকা দ্বীনদারে।

ওই ইয়াযীদি দালাল রাখে বেশামাল ঝগড়া লাগিয়ে হায়,

ঐক্য ভাঙ্গিছে মুসলমানের, ফাজলামি ফিরকায়।

এহেন সুযোগে কাফিররা আজ আলিমি খিরকা পরে,

বসে, স্কলারের মুকুট লাগায়ে মুসলিমি কাঁধে চড়ে।

তারা ইউটিউব, ফেসবুকসহ, গুগল মিডিয়া জুড়ে,

করছে ওয়াজ দারাজ কণ্ঠে, চ্যালেঞ্জ ছুড়িয়া মারে।

ফের তারাই ইয়াযীদি মালানা হয়েই দেখাচ্ছে দাম্ভিক,

প্রাচীন আলিমি ফতওয়া, অকেজো প্রচারিছে চারিদিক।

আয় ফিরে আয় ওরে ও মু’মিন থেকোনারে নির্বাক,

ওই বেদ্বীন ফানুষে মুসলমানেরা খেওনারে ঘুরপাক।

ওই ইমাদুদ্দীন হন যাহিরীন ফিতনাহি বসুধায়,

এলেন সূর্য রশ্মি হয়েই তিনি পৃথিবীর গণগায়।

কেবল হক্ব রাজারবাগ দরবার হলো ইসলামী মারকাজ,

করহে ইয়াক্বীন শুন হে মু’মিন মুক্তি সেথা বিরাজ।

শুধুই হেথা হতে হয় বিশ্ব ব্যাপিয়া তাগুতেরা কুপোকাত,

দেখ ফিরিয়া আনছেন ইমামুল উমাম মুসলিমী অভিজাত।

বিশ্বকবি মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬১

আল বাইয়্যিনাত উনার দলীলৈর বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬২

হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৮১

হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৭৮

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৩