উনিই সুমহান সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ,
সর্বোচ্চে রেখে উনায় আমরা মু’মিন করি তা’রীফ।
স্বয়ং উনার, হয়ে উজাড় আল্লাহ যুল জালাল,
ওই খ্বালিক্ব, উনি মালায়িক নিয়ে, জানাচ্ছেন ত্বলায়াল।
তাই তিনি বেমিছাল, রহিছেন উজ্বাল, ইজ্জতে রহমান,
খোদ-ব-খোদই নিলেন তাবৎ মুজাসসামী আহলান।
কোথা সে সৃষ্টি কোথা তুষ্টি, জযবাহী হাসানাত,
মাহে রবীউল আউওয়াল কামালে কামাল শাজারাত বাশারাত।
ওই আসমাউল হুসনা, রহেন অনন্যা, বিকশিত উদ্যান,
তিনি হাজির হাবীব হুব্বে মুহিব রব্বী নূরীস্তান।
কায়িনাত উনার পেলেন হায়াত, যাহিরা দস্তুরে,
খোদায়ী খোয়াব ছড়ায় বেহিসাব মাশুকের মঞ্জুরে।
ইলাহীতে আবাদ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ শিরতাজে গুঞ্জার,
মহান রব ও রসূল কেবলই আমূল মাখলূক্বে পারাবার।
কহি অতিব ক্বারিব জারি মুনাছিব কে করে পরিমাপ,
কেবল সীমাহীন, রেখে যে অধীন নেই হেথা পরিতাপ।
ওই নূরী ইমাদ, রহিছেন আজাদ, আ’ইয়াদ শরীফি শাহে,
হেরী যত আশিকান, হলেন ভাগ্যবান সুবহানী অবগাহে।
হেথা, রিক্ত কভু রহেনা সিক্ত যুক্তি হারিয়ে ফেলে,
শাহী আবরণে রহেন সংযোনে সৃষ্টির পুরো কোলে।
ওরে জ্ঞানীগণ খেঁাজ হে সুজন আ’ইয়াদ শরীফি শাবিস্তান,
তিনি তো কখনো নন বেখেয়াল, আবে হায়াতের গুলিস্তান।
কেন মোরা রহিবো গাফিল, কেন করিনা মূল্যায়ন,
ওই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ খোদায়ী বিরল এক আয়োজন।
বলি আযীমুশশান সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ,
সুবহানী দান, রহেন অফুরান, গ্রহে শুধু মাশরিফ।
ওই করেন জ্যোতিষ্মান উনিই জাহান, অনাদি অনন্ত,
খোদ উনার সকাশে স্রস্টাজী মিশে বিকাশে বসন্ত।
ওই আ’ইয়াদ শরীফে লওগো লুফে সুধিত সঞ্জীবনী,
উনার সঙ্গ বানাও অঙ্গ ধরে রাখো মেজবানী।
হায়, তুমি তালাশি রহিতেছ চশি পেরেশানী ছয়লাব,
ওরে আয়, এসো আঙ্গিনায়, রহ তাবাসসুমে কামিয়াব।
ওই হিংসুক রহে নিন্দুক, কেঁদে ফিরে জারে জার,
সেই দুশমন, রহে সারাক্ষণ, ইবলীসে বদকার।
আয় ফিরে দেখ ওরে আ’ইয়াদ শরীফি ঘাটে,
হেথা রব ও রসূল মিলে বিলকুল চমকান পরিপাটে।
রে মুসলিম কল্যাণ অসীম লও লও দ্বিধা ভুলে,
লও ইবলীসি চাল, করে বানচাল দস্তে ঝাণ্ডা তুলে।
ওই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফই মুক্তির পয়গাম,
উনি আবাদুল আবাদ রহেন নিহাদ নিশ্চিতে ইরহাম।
কেন তবে তুমি বিপদগামীতে, নিজেকে রাখছো ডুবে,
কেবল তুমি মুসলিম, বিজ্ঞ আলিম, কেন হায় পছতাবে?
সদা তুমি সুন্নাহয় রহিবে সজীব বিজয়ের মাস্তুলে,
তুমি সত্য ন্যায়ের বীর প্রতীক রহিবে বক্ষ ফুলে।
ইমামুল উমাম, কহেন তামাম, সফলতা কোন কুলে,
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফেই রহে দেখ হে চক্ষু খুলে।
রে মুসলিম জাতি, পেতেই গতি, আয় ফিরে পুনরায়,
তুমি রহ সুন্নাহ রঙ্গে রঙ্গিন হয়ে বিজয়ের আঙ্গিনায়।
টলাতে পারে না, তোমারে তাগুত সত্যের মোহ হতে,
ওই হাবীবী হুব্বে থেকো হে গরক বিভীষিকা লও জিতে।
তব হিম্মত রহে আলবত, শৃঙ্গে হামিশা কায়িম,
ওই পাক খোদারী মদদ তোমারে ঘিরে রাখে তাসলীম।
ওরে রহ হাক্বীক্বী মুসলিম, ঐকতানের চুড়ে,
দেয় একতায় বিজয় তোমায় ইবলীস রহে হেরে।
আজ দুনিয়ার চৌদিকে দেখ মুসলিম চিৎকারে,
সবে অদ্য হতে রহ অগ্রজ সুন্নি বর্ম পরে।
ওই খলীফায়ে আস সাফফাহ তিনি আরো দেন বিবৃতি,
গ্রহো সুন্নতি আখলাক্ব, দেওরে তালাক ইবলীসি সম্পৃতি।
পাবেই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফেই জীবনের সফলতা,
পাবেই খোশ বিজয় এই আক্বীদায় খোদায়ী নিশ্চয়তা।
ফের সুলত্বানুন নাছীর কহিছেন বীর, শুনো হে মুসলমান,
তাগুতী তামাশা জানবে কুয়াশা সেথা শুধু হয়রান।
পেতে বুদ্ধিমানের খেয়াল যে কেবল রব ও রসূলী খোশ,
নববী মদদে তুমি কর নিস্ত, শয়তানি আক্রোশ।
বিশ্বকবি মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংগের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২০
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, উলামায়ে ছূ’দের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ২১
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৪