মুবারক সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ রব্বানী অনুদান,
উহা বেমিছাল কামালে কামাল আকবরী ইহসান।
উহা পাক হাবীবী শানে পায়রবী মুসলিমী ইবাদত,
উহা নিসবতে মালিকী খবর ইনসানী আমানত।
উহা ফালইয়াফরহূ বিরল বহু রব ও রসূলী জোশ,
উহা নিমিশেই করতেছে নিস্ত ইবলীসি আক্রোশ।
কুল মাখলূক্ব ঝেরে তার দুঃখ লুফে নেয় শরাফতা,
গ্রহে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনে সহজেই সফলতা।
তবু জালুমান জাহুলান, হয়ে ইনসান, খোয়াচ্ছে মর্যাদা,
হয়ে আপন ক্বদমে মারছে কুড়াল, বেখিয়াল সর্বদা।
করে নিঃশেষ আকবরী আদেশ, তাগুতী ছোয়ায় ভাগে,
তাগুতী রূপেই হয়ে রুপায়িত অবিরত রহে রোগে।
হয়ে মুসলিম, গ্রহে হায় হীম, খোদাদ্রোহীরে চুমে,
কমজোরেরা লয় তুলে আজ তাগুতকে মহাধুমে।
তাই রহে মাহরূম থেকে অরঘুম, তামাশার গহ্বরে,
ইবলীস ছিনাইয়া লয় ইনসানিয়াত, রেখে সে ধূর্ত ঘরে।
ফালইয়াফরহূ তাই ফেলে যে দিয়েই, লয় গ্রহে জ্বালাতন,
ওই রব্বানী আদেশ সর্বদা তারা করতেছে লঙ্ঘন।
ইহুদী হিন্দু বৌদ্ধ নাছারা নাস্তিকী নায়িব সেজে,
ইসলামী শিরে মারছে মিসাইল সত্যটা নাহি বুঝে।
তারা ছলাত ছওম হজ্জ ও যাকাত জিহাদেও হাজিরান,
শুধু সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ হারাইয়া হায় লভিতেছে অপমান।
আহা পবিত্র দ্বীন ইসলাম আজ ধুকে ধুকে গুজরায়,
তাই জাহানজুড়েই বিরাজে জুলুম মুসলিমী আঙ্গিনায়।
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ তরককারীরা বরই নগন্য,
হেরী, তাই বনে তাগুতের তপ্তাঘাতেই চর্বিত পণ্য।
আহা দিক ব দিকেই দুশমনে দিন হন্যে হয়েই ঘুরে,
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনকারীদের বদনাম দেয় জুড়ে।
কহে মুনাফিক, বিদয়াত এতে ছাহাবী তাবিয়ী নিস্ত,
তাই তো তাগুত করছে নিখুত নিত্য মরণ খিস্ত।
আওয়ামে মু’মিন রেখে গমগিন করতেছে উপহাস,
উহা নাছারা নমর উৎসবী ন্যায় করতেছে উচ্ছাস।
দুই ঈদহীন নেই কোন ঈদ ইসলামী শরীয়তে,
করছে প্রচার উলামায়ে ‘সূ’ মুসলিমী আক্বীদাতে।
আহা ফাসিকের দল সেজে দ্বীনদারী বনে ইবলিসী দাস,
নিজেরে খোদাদ্রোহী দোস্ত ভেবেই হচ্ছে সর্বনাশ।
ওই ফাসিক ফুজ্জার উলামায়ে ‘সূ’রেই শিকার করেই তারা,
আহা মুসলিম মাঝে ফিতনা গুজে ঈমান করছে হারা।
করে, হাহাকার, মারে চিৎকার আশিকে হাবীব সবে,
হতে উদ্ধার করে আব্দার কিভাবে মুক্তি নিবে।
ওই খ¦ালিক মালিক রব ও গফুর ধরাতে পূনর্বার,
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ জারী যে করতে করলেন ইযহার।
হন, তিনি ইযহার নূরী অভিসার, আহলে বাইতী তাজ,
তিনি সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ করতে আছিফ হচ্ছেন মিনহাজ।
ওই আজ বিজ্ঞানী ব্যাস্ত যুগেই তাগুতী বাহন চুড়ে,
ইমামুল উমাম সৌর্জে তামাম অগ্রে চলেন জোরে।
তিনি পরাশক্তিরে দিতে নিস্ত করে দূরন্ত দুর্বার,
তিনি মুবারক ক্বইয়্যূম, ক্বদরে মতলক্বী মাযহার।
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ করতে পালন পুরো কায়িনাত,
দেন জওক শওকে গোটা ভুলোকেই জজবাহী ত্বাহারাত।
ওই অপদস্তের কঠিনাগ্নিতেই জ্বালায়ে খবিসদেরে,
করেন দায়িমে সর্ব আলমে, ফালইয়াফরহূ ঘরে ঘরে।
তিনি যে বিরল আয়োজন সকল প্রকাশেন ধাপে ধাপ,
কোথা নির্যাস কোথা ইতিহাস দেন তুলে উত্তাপ।
বাড়ায়ে ইবলীসি ক্রন্দন করেন পালন নন্দিতে উত্তাল,
ওই আরিফরাই দেন সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফকেই তলায়াল।
খলীফায়ে আসসাফফাহ চৌদ্দশ চুয়াল্লিশ হিজরীর রবীউল আলে,
চমকাবেন পুরোটাই পৃথিবী সজ্জিত করে রকমারী উজ্জলে।
ওই রবীউল আউওয়ালী বারই শরীফে দেন তিনি দাওয়াত,
ওই সপ্ত যমীন আসমান বাসী আরো যে মাখলূক্বাত।
গরু মহিষ মুরগি খাসি ও একশ বারটি পদে,
কোর্মা পোলাও ফিরনি র্জদা ফালুদা ও তাহমিদে।
শুনো, খাওয়াবেন ইমাম মুলকে তামাম সুন্নতী তরতীবে,
থেকে রব ও রসূলী পরের মাক্বামে গুজরান গৌরবে।
বেলুন ফেস্টুন তোরণ আসমান বিজলী তারকায় রঞ্জিত।
সাজাবেন রাজধানীসহ গোটা দেশময় রশ্নিতে সজ্জিত,
তিনি কোটি কোটি তাবারুক প্যাকেট বিলাবেন দেশব্যাপী।
এহেন দৃশ্যে শয়তান ও তার চেলারা গেল যে ক্ষেপি।
ওই তাগুতেরা সবে হিংসায় জ্বলে ছিড়ছে নিজের চুল,
তারা চোরা গোপ্তা করছে হামলা মামলাও সবকুল।
হাজারো মিথ্যা তোহমত জুড়ে প্রচারিছে মিডিয়ায়,
তারা কোটি কোটি টাকা করছে খরচ অনলাইন সহসায়।
ফের দিচ্ছে ধোকা প্রবল প্রবাহে প্রবঞ্চনার জালে,
চায় সহজ সকল মুসলিমদের আটকাতে ভুলভালে।
অখ্যাত প্রতিকায় তাগুতবাদীরা প্রমাণ করতে চায়,
কিন্তু খলীফায়ে আসসাফফাহী রোবে সমস্ত বাতিল একসাথে কাতরায়।
-বিশ্বকবি মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৪
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৫
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৬