সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুননাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যাঁরা ঈমানের সাথে দেখেছেন, অবস্থান করেছেন এবং ঈমানের সাথে দুনিয়ার যমীন থেকে বিদায় নিয়েছেন উনারাই হচ্ছেন ‘হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম’। সুবহানাল্লাহ! উনাদের সম্মানিত মুহব্বত মুবারক হচ্ছেন ঈমান। আর উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা সুস্পষ্ট কুফরী ও চির জাহান্নামী হওয়ার কারণ। উনারা শুধু হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন উনারা। সুবহানাল্লাহ! এই প্রসঙ্গে স্বয়ং যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
رَضِىَ اللهُ عَنْـهُمْ وَرَضُوْا عَنْهُ
অর্থ: “স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি (এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম) উনাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং উনারাও মহান আল্লাহ পাক উনার (এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের) সন্তুষ্টি মুবারক হাক্বীক্বীভাবে অর্জন করতে পেরেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা তাওবা শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত ১০০)
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় ইরশাদ মুবারক করেন, “একমাত্র নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছোহবত মুবারক উনার কারণেই শুধুমাত্র হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারাই
رَضِىَ اللهُ عَنْـهُمْ وَرَضُوْا عَنْهُ
‘রেযামন্দী-সন্তুষ্টি মুবারক’ উনার যে মাক্বাম মুবারক সেটা অর্জন করতে পেরেছেন। উনারা ব্যতীত কেউ এই
رَضِىَ اللهُ عَنْـهُمْ وَرَضُوْا عَنْهُ
‘রেযামন্দী-সন্তুষ্টি মুবারক’ উনার মাক্বাম মুবারক হাছিল করতে পারবে না অর্থাৎ ছাহাবীয়াত উনার মাক্বাম মুবারক অর্জন করতে পারবে না।”
সেটাই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ جَابِرٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّ اللهَ اِخْتَارَ اَصْحَابِـىْ عَلَى الثَّـقَلَـيْـنِ سِوَى النَّبِـيِّـيْـنَ وَالْمُرْسَلِـيْـنَ
অর্থ: “হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি আমার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদেরকে শুধু হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা ব্যতীত সমস্ত জিন-ইনসানের উপর, সমস্ত সৃষ্টির উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন, মনোনীত করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (মুসনাদে বায্যার)
কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
قَدْ سُئِلَ حَضْرَتْ عَبْدُ اللهِ بْنُ الْمُبَارَكِ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ اَيُّـهُمَا اَفْضَلُ حَضْرَتْ مُعَاوِيَةُ بْنُ اَبِـىْ سُفْيَانَ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ اَمْ حَضْرَتْ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيْزِ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ فَـقَالَ وَاللهِ اِنَّ الْغُـبَارَ الَّذِىْ دَخَلَ اَنْفَ فَـرَسِ حَضْرَتْ مُعَاوِيَةَ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَفْضَلُ مِنْ حَضْرَتْ عُمَرَ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ بِاَلْفِ مَرَّةٍ
অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে সুওয়াল করা হয়েছিলো যে, হযরত মু‘আবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি শ্রেষ্ঠ; নাকি বিশিষ্ট তাবিয়ী, ৮ম খলীফা হযরত হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি শ্রেষ্ঠ? জবাবে তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! হযরত মু‘আবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি ঘোড়ায় চড়ে যখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে যেতেন, তখন ঘোড়ার নাকে যেই ধুলাবালিগুলো প্রবেশ করতো, সেই ধুলাবালিগুলোও হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে হাজার গুণ শ্রেষ্ঠ।” সুবহানাল্লাহ! (আস সুন্নাহ্ লিল খ¦ল্লাল ৩/৩৩, মাকতূবাত শরীফ ১ম খণ্ড ২০৭ নং মাকতূবাত, তাত্বহীরুল জানান ওয়াল লিসান লি ইবনে হাজার হাইতামী ২২ নং পৃ. ইত্যাদি)
হযরত মু‘আবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার ঘোড়ার নাকের ভিতরে প্রবেশকৃত ধুলাবালির মর্যাদা যদি বিশিষ্ট তাবিয়ী, ৮ম খলীফা হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে হাজার গুণ শ্রেষ্ঠ হন, তাহলে উনার সরাসরি সম্মানিত ক্বদম মুবারক উনার ধুলিবালির মর্যাদা হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে কতো লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি গুণ শ্রেষ্ঠ? আর তাহলে সরাসরি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের ফযীলত মুবারক কতো বেমেছাল?
কাজেই পূর্ববর্তী ও পরবর্তী উম্মত যত বড় ইমাম-মুজতাহিদ, ওলীআল্লাহ-বুযূর্গ হন না কেন, উনারা সকলে মিলে কস্মিনকালেও হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের সম্মানিত ক্বদম মুবারক উনার একখানা ধুলি-কণার সমানও ফযীলত লাভ করতে পারবেন না। সুবহানাল্লাহ! তাই পরবর্তী উম্মত, ইমাম-মুজতাহিদ, ওলীআল্লাহ-বুযূর্গ উনাদের কারো জন্য হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের ব্যাপারে কোনো কথা বলা, ‘উনারা ভুল করেছেন, উনাদের যাল্লাত বা পদস্খলন হয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি বলা’ কস্মিনকালেও জায়েয নেই।
সেটাই আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “পরবর্তী উম্মত উনারা যত বড় ইমাম-মুজতাহিদ, ওলীআল্লাহ-বুযূর্গ হন না কেন, উনাদের জন্য কস্মিনকালেও হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের এবং উনাদের উপরে যাঁরা রয়েছেন- হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের, তারও উপরে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদের এবং সরাসরি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের কারো ব্যাপারে কোনো প্রকার চূ-চেরা, ক্বীল-ক্বাল করা কস্মিনকালেও জায়েয নেই। কাজেই ‘উনারা ভুল করেছেন, উনাদের খ¦তাহ্ বা ভুল-ত্রুটি হয়েছে, যাল্লাত বা পদস্খলন হয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি’ বলা কস্মিনকালেও জায়েয নেই। অতীতে যারা এগুলো বলেছেন বা লিখেছেন উনাদের জন্য কস্মিনকালেও এটা জায়েয হয়নি। উনাদেরকে খালিছ তাওবা ইস্তিগফার করতে হবে।
একজন উম্মত যত বড় ইমাম-মুজতাহিদ, ওলীআল্লাহ হন না কেন, উনারা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের তুলনায় মর্যাদার দিক থেকে কখনই সমকক্ষ নন।
উল্লেখ্য একজন ছাত্র যেমন তার শিক্ষকের ভুল ধরতে পারে না। ভুল ধরলে তাকে বেআদব বলা হয়। যদিও ঐ শিক্ষকের ভুল হতে পারে। ঠিক একইভাবে একজন মুরীদ তার সম্মানিত কামেল শায়েখ উনার ভুল ধরতে পারে না। কারণ তিনি ইলহাম-ইলকা ও ইলমে লাদুন্নি উনাদের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত। তাই উনার সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে কোনো বিষয় ভুল বলে ধারণা করলে তার ফয়েয-তাওয়াজ্জুহ বন্ধ হয়ে যায়। তওবা না করলে সে মুরতাদ হয়ে মারা যায়। যদি তাই হয়, তাহলে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের যদি কেউ ভুল ধরে, উনাদের ব্যাপারে চূ-চেরা, ক্বীল-ক্বাল করে, উনাদের ভুল-ত্রুটি হয়েছে, উনাদের ইজতিহাদে ভুল হয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি বলে, তাহলে তার অবস্থা কি হবে? এটা ফিকির করতে হবে।
একজন উম্মত তিনি যত বড় ইমাম-মুজতাহিদ, ওলীআল্লাহ হন না কেন, উনার এতো সাহস হয় কিভাবে যে তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের ভুল-ত্রুটি ধরেন বা ধরার? উনাদের বিরুদ্ধে কথা বলেন বা বলার? এই অধিকারটা উনাদেরকে কে দিল?
কাজেই উনাদের প্রতি সর্বোচ্চ বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ ও হুসনে যন মুবারক পোষণ করতে হবে এবং উনাদের ব্যাপারে পরিপূর্ণ আদব মুবারক বজায় রাখতে হবে।” সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
لِـيَغِـيْظَ بِـهِمُ الْكُفَّارَ
“একমাত্র কাফিররাই (হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম) উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে থাকে।” না‘ঊযুবিল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা ফাত্হ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ২৯)
কাজেই যারা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের বিরোধীতা করবে, উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করবে, উনাদের সম্মানিত শান মুবারক নিয়ে চূ-চেরা, ক্বীল-ক্বাল করবে, উনাদের ভুল-ত্রুটি তালাশ করবে, নি:সন্দেহে তারা কাট্টা কাফির ও চির জাহান্নামী। না‘ঊযুবিল্লাহ!
শুধু তাই নয়; হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের সম্পর্কে যারা চূ-চেরা, ক্বিল-ক্বাল করে, তাদেরকে লা’নাতুল্লাহি আলাইহি বলা ফরয। এই সম্পর্কে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِذَا رَاَيْـتُمُ الَّذِيْنَ يَسُبُّـوْنَ اَصْحَابِـىْ فَـقُوْلُوْا لَعْنَةُ اللهِ عَلـٰى شَرِّكُمْ
অর্থ: “হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যখন তোমরা কাউকে আমার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদেরকে গালমন্দ করতে দেখবে, উনাদেরকে দোষারোপ করতে দেখবে, তখন তোমরা বলো- এই নিকৃষ্ট কাজের জন্য তোমাদের প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার লা’নত বর্ষিত হোক। অর্থাৎ তুমি মাল‘ঊন বা অভিশপ্ত।” না‘ঊযুবিল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ)
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন,
فَلَا تُـجَالِسُوْهُمْ وَلَا تُـؤَاكِلُوْهُمْ وَلَا تُشَارِبُـوْهُمْ وَلَا تُـنَاكِحُوْهُمْ وَلَا تُصَلُّوْا مَعَهُمْ وَلَا تُصَلُّوْا عَلَـيْهِمْ
অর্থ: “তোমরা তাদের সঙ্গে উঠা-বসা করবে না। খাওয়া-দাওয়া করবে না, পানাহার করবে না। তোমরা তাদের মেয়েকে বিবাহ করবে না এবং তোমাদের মেয়েকে তাদের নিকট বিবাহ দিবে না। তাদের সাথে নামায পড়বে না এবং তাদের জানাযার নামাযও পড়বে না।” না‘ঊযুবিল্লাহ! (আস সুন্নাহ্ লি আবী ইবনে খাল্লাল ২/৪৮৩) আদব মুবারক (১২৭ পৃষ্ঠার পর)
খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার সম্মানার্থে সমস্ত মুসলমান পুরুষ-মহিলা, জিন-ইনসান, ছোট-বড় সবাইকে এবং আমাদের সবাইকে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের বেমেছাল শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক জানার, বুঝার, উপলব্ধি করার, উনাদের সম্মানিত ছানা-ছিফত মুবারক করার, উনাদের প্রতি সর্বোচ্চ বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ ও হুসনে যন মুবারক পোষণ করার এবং উনাদের প্রতি সর্বক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব মুবারক বজায় রাখার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ মুঈনুদ্দীন।