মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَّشْرِىْ نَفْسَهُ ابْتِغَاءَ مَرْضَاتِ اللهِ ۗ وَاللهُ رَءُوْفٌ بِالْعِبَادِ
অর্থ: এমন কতিপয় লোক আছেন যারা মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারক লাভের জন্য নিজের জীবন পর্যন্ত কুরবান (উৎসর্গ) করে থাকেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার এ সকল বান্দাগণের প্রতি অত্যন্ত দয়াশীল করুনাময়। (পবিত্র সূরা বাক্বা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২০৭)
এ সকল মহান ব্যক্তিত্ব উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার দেয়া সামান্য অর্থ-সম্পদ পেয়েই সন্তুষ্ট থাকেন। অধিক পাওয়ার আশায় সময় নষ্ট করেন না। মূলত এরূপ ব্যক্তিই হচ্ছেন প্রকৃত ধনী বা সম্পদশালী। এই অল্প তুষ্টির দ্বারা এমন নৈকট্য-কুরবত সন্তুষ্টি লাভ করেন যা অধিক সম্পদের অধিকারী ব্যক্তিগণ লাভ করতে পারেন না।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে
عَنْ حَضْرَتْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْسَ الْغِنٰى عَنْ كَثْرَةِ الْعَرَضِ وَلٰكِنَّ الْغِنٰى غِنَى النَّفْسِ
অর্থ: হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, অধিক সম্পদ থাকাকে ধনী বলা হয়। ধনী বা সম্পদশালী ঐ ব্যক্তি যে অল্পে তুষ্ট। (বুখারী শরীফ)
অন্যত্র বর্ণিত আছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اِنَّـمَا الْغِنٰى غِنَى الْقَلْبِ وَالْفَقْرُ فَقْرُ الْقَلْبِ
অর্থ: প্রকৃত সম্পদশালী ঐ ব্যক্তি যে অল্পে তুষ্ট। আর প্রকৃত অভাবী ঐ ব্যক্তি যে, অধিক পাওয়া প্রত্যাশী। (ইবনে হিব্বান শরীফ)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عَلِىٍّ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ رَّضِىَ مِنَ اللهِ بِالْيَسِيْرِ مِنَ الرِّزْقِ رَضِىَ اللهُ مِنْهُ بِالْقَلِيْلِ مِنَ الْعَمَلِ.
অর্থ: ইমামুল আউওয়াল মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি সামান্য রিযিকে পরিতৃপ্ত ও সন্তুষ্টি থাকবে মহান আল্লাহ পাক তিনি অল্প আমলে তার উপর সন্তুষ্ট থাকবেন। সুবহানাল্লাহ! (শুয়াবুল ঈমান)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত আছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ جَاعَ أَوْ اِحْتَاجَّ فَكَتَمَهُ النَّاسَ كَانَ حَقًّا عَلَى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ يَرْزُقُهٗ رِزْقَ سَنَةٍ مِّنْ حَلَالٍ
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি ক্ষুধার্ত অথবা অভাবী অথচ সে তা গোপন রাখে, তখন মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য আবশ্যক হয়ে যায় যে, উক্ত ব্যক্তিকে হালালভাবে এক বছরের রিযিক দেয়া। অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি অবশ্যই তাকে হালাল পন্থায় এক বছর রিযিক দান করবেন। সুবহানাল্লাহ! (শুয়াবুল ঈমান)
ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার পীর ছাহেব ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (৭৬)
ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার পীর ছাহেব ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (৮২)
ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার পীর ছাহেব ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (৮৩)
ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার পীর ছাহেব ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (৮৪)
ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার পীর ছাহেব ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (৮৫) –