হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (২৫৮)

সংখ্যা: ২৯৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

বিশুদ্ধ নিয়ত এবং তার ফযীলত ও গুরুত্ব (২)

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

مَنْ كَانَ يُرِيْدُ حَرْثَ الْاٰخِرَةِ نَزِدْ لَهٗ فِي حَرْثِهِ ۖ وَمَنْ كَانَ يُرِيْدُ حَرْثَ الدُّنْـيَا نُـؤْتِهٖ مِنْـهَا وَمَا لَهٗ فِي الْاٰخِرَةِ مِنْ نَّصِيْبٍ ‎

অর্থ: যে ব্যক্তি আখিরাতের ফসল কামনা করে (মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিলের জন্য আমল করে) আমি তার জন্য ফসল তথা নিয়ামত বাড়িয়ে দেই। অর্থাৎ দুনিয়া ও আখিরাতের উভয় নিয়ামতে সমৃদ্ধশীল করি। আর যে ব্যক্তি কেবল দুনিয়ার ফসল তথা সম্পদ-সম্মান কামনা করে আমি তাকে শুধুমাত্র দুনিয়ার ফসল তথা সম্পদ-সম্মান থেকে কিছুটা দিয়ে থাকি। আর আখিরাতে তার কোন অংশ নেই। (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা শূরা শরীফ: সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ২০)

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে-

عَنْ حَضْرَتْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّمَا الْأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ وَإِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَّا نَـوٰى فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهٗ إِلَى اللهِ وَرَسُوْلِهٖ فَهِجْرَتُهٗ إِلَى اللهِ وَرَسُوْلِهٖ وَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهٗ إِلَى دُنْـيَا يُصِيْـبُـهَا أَوِ امْرَأَةٍ يَـتَـزَوَّجُهَا فَهِجْرَتُهٗ إِلٰى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ

 অর্থ:  আমীরুল মু’মিনীন হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, সমস্ত আমল নিয়তের উপর নির্ভর করে। প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য তাই রয়েছে, যেটা সে নিয়ত করে।

কাজেই, যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক এবং উনার সম্মানিত হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিলের উদ্দেশ্যে হিজরত করে  (দেশ ত্যাগ, গোনাহ-খতা থেকে বিরত থাকে) তার হিজরত মহান আল্লাহ পাক এবং উনার সম্মানিত হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি-রেযামন্দি মুবারক হাছিলের উদ্দেশ্য বলে গণ্য হয়।

আর যে ব্যক্তি দুনিয়া হাছিলের উদ্দেশ্যে কোন কোন কাজ করে অথবা কোন নারীকে বিবাহ করার নিয়তে হিজরত করে তার হিজরত হবে সেই নিয়তেই, যে নিয়তে সে হিজরত করেছে। (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)

উল্লেখ্য যে বিশুদ্ধ নিয়ত হচ্ছে বিশুদ্ধ ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

نِيَاتُ الْـمُؤْمِنِ خَيْـرٌ مِّنْ عَمَلِهٖ

অর্থ: মু’মিন ব্যক্তির বিশুদ্ধ নিয়ত তার বিশুদ্ধ আমল অপেক্ষা উত্তম।

মনে রাখতে হবে আমল কবুল হওয়ার পূর্ব শর্ত হচ্ছে, বিশুদ্ধ নিয়ত। বিশুদ্ধ নিয়ত তথা মহান আল্লাহ পাক এবং উনার মহাসম্মানিত হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সন্তুষ্টি-রেযামন্দি হাছিলের উদ্দেশ্য ব্যতীত কোন ইবাদত-বন্দেগীই মহান আল্লাহ পাক উনার দরবার শরীফে গৃহিত হয় না। আর এছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে ইবাদত-বন্দেগী করার নির্দেশ মুবারক দেয়া হয়নি। স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনিই ইরশাদ মুবারক করেন-

وَمَاۤ أُمِرُوْا إِلَّا لِيَعْبُدُوا اللهَ مُخْلِصِيْنَ لَهُ الدِّيْنَ

অর্থ: তাদেরকে কেবল এই আদেশ মুবারকই করা হয়েছে যে, তারা খালিছভাবে শুধুমাত্র মহান আল্লাহ পাক উনার রেযামন্দি-সন্তুষ্টির জন্যই ইবাদত-বন্দেগী করবে। (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা বাইয়্যিনাত শরীফ: সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৫)

ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার: পীর ছাহেব ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (৭৮)

   ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার পীর ছাহেব ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (৭৮) 

ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার পীর ছাহেব ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (৮০)

  ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার পীর ছাহেব ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (৭৬)

ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার পীর ছাহেব ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (৮২)