হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (২৫৯) বিশুদ্ধ নিয়ত এবং তার ফযীলত ও গুরুত্ব (৩)

সংখ্যা: ৩০০তম সংখ্যা | বিভাগ: মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক

---

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে-

الناس كلهم هلكى الا العالـمون والعالـمون كلهم هلكى الا العاملون والعاملون كلهم هلكى الا الـمخلصون والـمخلصون على خطر عظيم

অর্থ: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন আলিমগণ ব্যতীত সমস্ত মানুষ হালাক বা ধ্বংসের পথে। আমলকারী আলিম ব্যতীত অন্য সকল আলিমগণও ধ্বংস প্রাপ্ত। আমলকারী আলিমও ধ্বংস একমাত্র ইখলাছ হাছিলকারীগণ ব্যতীত। আর ইখলাছকারীগণও ভীত-স্বন্ত্রস্ত রয়েছেন।

 কেননা ইলিম অনুযায়ী আমল করার জন্য নিয়তের বিশুদ্ধতা একান্ত প্রয়োজন। নিয়ত বিশুদ্ধ না থাকলে কোন ফায়দাই লাভ করা সম্ভব নয়। মহান আল্লাহ পাক তিনি ক্বিয়ামতের দিন মানুষের সকল আমলের মধ্যে নিয়ত যাচাই-বাছাই করে প্রতিদান দিবেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি মানুষের আমলের মধ্যে শুধুমাত্র তাদের নিয়তের প্রতিই লক্ষ্য করে থাকেন। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে-

إِنَّ اللهَ تَـعَالٰى لاَ يَـنْظُرُ إِلَى صُوَرِكُمْ وَلَا اِلٰى وَأَمْوَالِكُمْ وَلَكِنْ يَّـنْظُرُ إِلَى قُـلُوبِكُمْ وَأَعْمَالِكُمْ ‏

অর্থ: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদের চেহারা ছূরত ও মাল সম্পদের দিকে লক্ষ্য করেন না। তিনি শুধু তোমাদের আমল ও নিয়ত দেখে থাকেন। (কিমিয়ায়ে সাআদাত ৪/১৭৮)

অন্তকরণ হলো নিয়তের স্থান। অন্তরেই নিয়তের উৎপত্তি হয়ে থাকে।

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমার উম্মতগণের মধ্যে এমন অনেক উম্মত রয়েছেন, যারা কোমল বিছানায় বালিশের উপর মাথা রেখে ইন্তিকাল করে শহীদের মর্যাদা লাভ করবেন। আবার অনেকে জিহাদের ময়দানে দুই সেনা দলের মধ্যস্থানে, ভীষণ জিহাদ করে প্রাণ দিয়েও শহীদের মর্যাদা পাবে না। তার কারণ হচ্ছে, উভয় দলের নিয়ত সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ভালোভাবে অবগত।

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত আছে-

ان الله تعالي للحفظة يوم القيامة اكتبوا لعبدي كذا وكذا من الأجر، فيقولون: ربنا؛ لم نحفظ ذلك عنه، ولا هو في صحيفتنا فيقول انه نواه.

অর্থ: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, কিয়ামতের দিন মহান আল্লাহ পাক তিনি আমলবাহী হাফাযা ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে নির্দেশ মুবারক দিবেন- আমার এই বান্দার আমলনামায় অমুক অমুক আমলের প্রতিদান লিপিবদ্ধ করুন।

হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা বলবেন, বারে ইলাহী! তিনি তো এমন কোন আমল করেননি। উনার আমলনামায়ও এমন কোন আমলের অস্তিত্ব নেই। মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদেরকে বলবেন, আমার বান্দা আমল করেননি বটে, তবে তিনি আমল করার বিশুদ্ধ নিয়ত করেছিলেন। সুবহানাল্লাহ! (মুসনাদে আবূ ইয়ালা শরীফ, কিমিয়ায়ে সায়াদাত-৪-১৭৯)

ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার পীর ছাহেব ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (৭১)

 ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার: পীর ছাহেব ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (৭২) 

ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার পীর ছাহেব ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (৭৩)

ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার পীর ছাহেব ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (৭৪)

 ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার পীর ছাহেব ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (৭৫)